কৃষক আবদুল কাদিরের অন্য রকম ‘শিল্পকর্ম’
কৃষি বিভাগ
৩৫ শতক জমিতে লাল ও পালংশাকের চারা সারিবদ্ধভাবে রোপণ করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। আরও আছে শহীদ মিনার ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার নকশা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কৃষক আবদুল কাদির তাঁর জমিতে এ শিল্পকর্ম গড়ে তুলেছেন।
আবদুল কাদির (৫০) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াখালবলা গ্রামের বাসিন্দা। খালবলা বাজারের শিববাড়ির সামনে দিয়ে নদীর পাড়ের কাঁচা রাস্তা ধরে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর হাতের বাঁ পাশের একখণ্ড জমিতে চোখে পড়বে আবদুল কাদিরের এ শিল্পকর্ম
কাদির বলেন, তিনি রাজনীতি করেন না। ছা পোষা কৃষক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তাঁর রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মুখচ্ছবি ফসলের জমিনে চারা রোপণের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। সবার প্রথমে তিনি গড়েছেন নৌকার আদল। এর ওপরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মুখের আদল ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তিনি এক মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন। আরও আছে শহীদ মিনারের নকশা।এর আগে ২০২০ সালে তিনি ‘মুজিব ১০০ বর্ষ’ নামে আরেকটি শিল্পকর্ম করেন।
কাদির বলেন, তাঁর জন্ম বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর। তিনি তাঁর বাবা তারা মিয়ার মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা শুনেছেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের কথা জেনেছেন। এসব শুনে শুনে তাঁর মনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জন্ম নেয়। এ কাজে তাঁর কয়েকজন কাছের বন্ধু ও ‘বন্ধুমহল পাড়া খালবালা ডিজিটাল ক্লাবের’ সদস্যরা তাঁকে নানাভাবে পরামর্শ দেন।
কাদির আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কিছু করা যায় কি না, তা নিয়ে তিনি তাঁর সহপাঠী মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। হাফিজুর একজন চিত্রশিল্পী। তাঁর পরামর্শ ও নির্দেশনায় কাদির তাঁর ৩৫ শতক জমি আবাদের উপযোগী করেন। সেই জমিতে মুখচ্ছবির লাইন এঁকে দেন হাফিজুর। তিনি সেই লাইনে লালশাক, পালংশাক, শর্ষে ও গম বীজ বপন করেন।
পাড়াখালবলা গ্রামের পাঁচ-ছয়জন বাসিন্দা বলেন, আবদুল কাদিরের কাজটি দেখার জন্য প্রতিদিন দূর–দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।