বিষ প্রয়োগে সুখসাগরে হাজারো পাখির মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি
প্রচণ্ড শীতে নিজেদের রক্ষা করতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ত্রিপুরা এসে ছিল পরিযায়ী পাখির দল, কিন্তু মানুষের হিংস্রতার কারণে মৃত্যু হল তাদের। বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হলো কয়েক হাজার পরিযায়ী পাখি বেগুনী কালেমকে।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার গোমতী জেলার উদয়পুরের সুখসাগর জলাশয়ে।
প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে শীতের মৌসুমে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায় উদয়পুরের নানা সরোবর, বিল, জলাভূমিতে।
পাখি প্রেমীরা এই পরিযায়ী সুন্দর পাখিদের ছবি নিজেদের সংগ্রহে রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন। গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে পরিযায়ী পাখিরা উদয়পুরের সুখ সাগর জলাতে দল বেধে নামা শুরু করেছিল।
জানা যায়, দূরবর্তী এলাকার কয়েকজন যুবকের নজরে পড়ে এই পরিযায়ী পাখি। এরা রাতে ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সুখসাগর জলার জমিতে ছিটিয়ে যায়। বিষ মেশানো ধান খাওয়ার পরই পাখিগুলো ছটফট করতে থাকে এবং বাঁচার তাগিদে ওড়ার চেষ্টা করে, কিন্তু বেশি দূর উড়তে পারেনি। সামান্য উড়ারপর লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। ফলে গোটা সুখসাগর জলার চারপাশে পাখিদের মরদেহ ছিটিয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাখিগুলো মরে যাওয়ার পরে এক দল যুবক বস্তায় ভরে নিয়ে মৃত পাখিগুলো নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে দুই বস্তার বেশি পাখি নিয়ে গেছে তারা।
এদিকে এই মৃত পাখিদের ছবি বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এঘটনায় যারা জড়িত তাদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানয়েছেন পরিবেশ সচেতন মানুষ।
পাখি প্রেমীরা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে মূলত দুই জাতের পাখি সেখানে ছিল। এর এক জাতের পাখি হচ্ছে বেগুনি কালেম বা কামপাখী এবং অপর পাখী হচ্ছে সরাইলি বা সরাইল।