সারে ভর্তুকি দিয়ে উভয় সংকটে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ
আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক হারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উভয় সংকটে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, সারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত। এটা নিয়ে কী করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর ভর্তুকি খাতে বাজেটে আছে ৯ হাজার কোটি টাকা। এবার আরও ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি লাগবে সরকারের।আরও প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন। এজন্য সারে অতিরিক্ত ভর্তুকি নিয়ে সরকার উভয় সংকটে রয়েছে।
এদিকে এত ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে, অন্যদিকে সারের দাম বাড়লে কৃষকের কষ্ট বাড়বে৷ উৎপাদন খরচ বাড়বে, খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়েছে, যা গতবছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় জাহাজ ভাড়াও প্রায় দুই গুণ বেড়েছে। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উভয় সংকটে সরকার৷ তবে, বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য সংকটে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশের খাদ্য উৎপাদনের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ইউরিয়া ৮২ টাকা, টিএসপি ৫০ টাকা, এমওপি সার ৪১ টাকা এবং ডিএপিতে ৭৯ টাকা। ২০০৯ সাল থেকে ২০২১- ২২ অর্থবছর পর্যন্ত সার, সেচসহ কৃষি উপকরণে মোট ৮৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৫-০৬ অর্থ বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রায় ২৭ গুণ বেশি ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। ফলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন।