১২:৫১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ ১০:২৬ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনাকে জনগণ আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

শেখ হাসিনাকে জনগণ আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আরেকবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবে। আর জনগণ যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে, ভালো, আমরা স্যালুট দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাব। এর ব্যত্যয় হবে না।

রাজধানীর গাবতলীতে শুক্রবার ফুলের পাইকারি বাজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। জনগণ নির্ধারণ করবে— কে আগামীতে ক্ষমতায় আসবে। ভোট ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো সম্ভব নয় মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে, অবরোধ করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। এই সরকারের ভিত্তি জনগণ। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, তৃণমূলে। মাটির অনেক গভীরে। ইচ্ছা করলেই সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, গাড়ি পুড়িয়ে, মানুষকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে আছি। উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। তার জন্য দেশে রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা প্রয়োজন।

 

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৯:৫২ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিতে কলকাতায় যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিতে ভারতের কলকাতায় যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি নিয়েও প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসাবে কলকাতায় এটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।

আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল পাঁচটায় কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।

আলোচনা সভায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার, বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক আনোয়ারুল হক ভূইয়া, আন্ত:দেশীয় সমন্বয়কারী অবনী কুমার ঘোষসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩ ৭:৪২ অপরাহ্ন
কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ করা গেলে বহু কৃষিবিদের কর্মসংস্থান হবে: কৃষিমন্ত্রী 
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি।সেমিনার শুরুর আগে ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক কৃষিবিদ দিবসের র‌্যালি উদ্বোধন করেন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন।

এসময় তিনি আরোও বলেন, অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এখানে পৃথিবীর সব ফসল হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আধুনিক প্রযুক্তির অনেক কর্মসূচি নিয়েছেন। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বায়োটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, ন্যানো টেকনোলজি, এডিটেড ব্রিডিং ইত্যাদি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন। খাদ্য রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েও তিনি কাজ করছেন। আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীরা যদি আরো ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করেন তবে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধশালী দেশ। যেখানে কৃষিবিদরা অগ্রজ ভুমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের অনেক দিয়েছেন, তিনি ছিলেন মহামানব।

বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের শান্তির, সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কৃষিবিদরা স্ব-স্ব অবস্থান ও পেশা থেকে কঠোর পরিশ্রম করবেন, সত্য-নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করে ও মিথ্যাচার করে তাদের মূল থেকে উৎপাঠন করে বাংলাদেশকে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠা করবেন।
এসময় কৃষিবিদরাই গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে সবচাইতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ বাবু, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্তে¡ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব এহতেশামুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবি সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড এম. এ. সাত্তার মন্ডল।

এছাড়াও অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কৃষিবিদ আবুল ফয়েজ কুতুবী, তৎকালীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি কৃষিবিদ মোঃ ইয়াছিন আলী, বাকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি জনাব মোঃ নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ড. মোঃ সালেহ আহমেদ, কৃষিবিদ ড. হামিদুর রহমান, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আসলাম আলী, কৃষিবিদ ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীর, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, কৃষিবিদ মিজবা-উজ-জামান, কৃষিবিদ সারোয়ার মোর্শেদ জাস্টিজসহ অনেক বরেন্য কৃষিবিদ।

উল্লেখ্য সেমিনারে বাংলাদেশের বিভিন্নপ্রান্ত হতে প্রায় চার হাজার কৃষিবিদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২২ ৬:১১ অপরাহ্ন
কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত পূরণে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নতদেশসমূহের মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে সেসব দেশের পূর্বশর্ত পূরণে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য দেশে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। আম রপ্তানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে। চীন ও নেদারল্যান্ডসের সাথেও যৌথভাবে কাজ চলছে।

আজ রবিবার দুপুরে ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে ফুড সেফটি অ্যান্ড এক্সপোর্ট অপরচুনিটি টুওয়ার্ডস ইউএসএ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানি মূলত গার্মেন্টসনির্ভর। শুধু গার্মেন্টসনির্ভর থাকলে হবে না বরং রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃষিকে একপাশে সরিয়ে না রাখতে বা প্রান্তিকীকরণে না রাখতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও রপ্তানির সম্ভাবনা অপার। সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ, বিনিয়োগ, সমন্বয় এবং সমন্বিত উদ্যোগ।

এ বিষয়ে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন।

দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকটের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ দেশটি চিরদিন দুর্ভিক্ষের দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে প্রতিবছর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ না খেয়ে থেকেছে, না খেয়ে মারাও গেছে। আর গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। এই সময়ে কোন রকম খাদ্য সংকট হয় নি, একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচার অ্যাটাশে ফ্রান্সিস মেগান, অ্যামচামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. কামাল বক্তব্য রাখেন। দুদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অ্যামচামের নেতৃবৃন্দ জানান, যুক্তরাষ্ট্র বছরে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করে। সেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ১.৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য, শতকরা হিসাবে এক ভাগেরও কম।

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২২ ৪:১৬ অপরাহ্ন
বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে- কৃষিমন্ত্রী
পাঁচমিশালি

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে ২০২৩ সালে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। কাজেই, আমি মনে করি, বিএনপি এখন যতই বলুক নির্বাচনে আসবে না, সময় হলে তারাসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর নটরডেম কলেজ প্রাঙ্গণে কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যে কোন মূল্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে কিছু জঙ্গি, ধর্মান্ধ, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে । একইসাথে, নির্বাচনে যাবে না বলে আন্দোলন সংগ্রামের নামে বিএনপি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি চেষ্টা করছে। কাজেই, এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। কাজেই, সরকারের মৌলিক দায়িত্ব রাজনৈতিক সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সরকার যে কোন মূল্যে এটি করবে। বিএনপির নাশকতা করতে চাইলে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।

কারিতাস বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য বেসরকারি কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারিতাস বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। কারিতাস বাংলাদেশ আগামী দিনে তাদের সেবাধর্মী কর্মকাণ্ডের আরও বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হবে-এ প্রত্যাশা করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমাদের এ অঞ্চলের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর। অকাল বন্যা আসে, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এসব কাটিয়ে উঠে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব নীতির কারণে।

ভালবাসা ও সেবায় ৫০ বছরের পথ চলা এই মূলসুরে আয়োজিত কারিতাস বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আর্চবিশপ বিজয় এন. ডিক্রুজ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, কারিতাসের প্রেসিডেন্ট জেমস রমেন বৈরাগী, নির্বাহী পরিচালক সেবাস্তিয়ান রোজারিও, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাশেদা কে. চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৫:১৫ অপরাহ্ন
সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

সুগারমিলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুগারমিলের অনেক পতিত জমি আছে। সেগুলোকে চাষের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জমি কোথায় কোথায় পতিত আছে, তা খুঁজে বের করে চাষের আওতায় আনতে হবে।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সুগারমিল এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই যেকোনো মূল্যে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। এজন্য যেটুকু সুযোগ আছে, তার সবটুকু আমরা কাজে লাগাতে চাই। সেজন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে আরও তৎপর ও সক্রিয় হতে হবে। কীভাবে উৎপাদন আরও বাড়ান যায়-তা খুঁজে বের করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৪ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে, যার পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৮:০১ অপরাহ্ন
নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

দেশে কোনক্রমেই আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে আন্দোলন করছে। আমি বলতে চাই, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবির মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশনসমূহের নেতৃবৃন্দের দুইদিন ব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জনগণ যদি আমাদেরকে ভোট না দেয়, তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে স্যালুট করে চলে যাব। ২০০১ সালেও আমরা সেটি করেছিলাম। কিন্তু ২০০১-০৬ সালে ক্ষমতায় থেকে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছিল। জনগণ তাদের সাথে থাকে নি। জনগণ এখন আওয়ামী লীগের সাথে। এই জনগণকে নিয়েই আমরা দেশের উন্নয়নের কাফেলা এগিয়ে নিয়ে যাবো।

বিএনপির নানা রকমের হুমকির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কোন হুমকিকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার-শক্তির উৎস জনগণ। সবসময় জনগণের সমর্থন নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপির মতো চোরাগলি পথে, নানারকমের ষড়যন্ত্র করে কোন দিন ক্ষমতায় আসে নি। কাজেই, জনগণকে নিয়েই আমরা বিএনপির আন্দোলনকে মোকাবেলা করব।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও পুলিশ সদস্যদের লিস্ট করার জন্য বিএনপির এক সিনিয়র নেতার হুমকির জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা। আমরা নির্বাচিত সরকার। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, ব্যবসাবাণিজ্যের নিরাপত্তা দেয়া, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা ও উন্নয়নকে আরও গতিশীল করা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য৷ এটি করার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। কাজেই, আমাদেরকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখাবেন না। সাবধান করে দিচ্ছি, আমরা যে কোন পরিস্থিতিতে আপনাদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করব।

বিএনপির আমলে প্রতিবছর দেশে দুর্ভিক্ষ হতো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময়
আশ্বিন- কার্তিক মাস আসলেই দেশে মঙ্গা হতো, দুর্ভিক্ষ হতো। প্রতিদিন মানুষ না খেয়ে থাকতো, না খেয়ে মানুষ মারাও যেতো। আর এখন বিশ্বব্যাপী চরম সংকটের সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও দূরদর্শিতায় দেশে খাদ্য সংকট নেই, একটি মানুষও না খেয়ে নেই।

অনুষ্ঠানে আইডিইবির সভাপতি একেএম এ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান, আব্দুল মোতালেবসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিসসমূহের শতাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২২ ৫:৫৯ অপরাহ্ন
সারের কৃত্রিম সংকট রোধে ৩৮৩ ডিলার-ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ টাকা জরিমানা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েট চিয়েন (Pham Viet Chien) এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, শুধু জরিমানা নয়, সার কারসাজিতে জড়িত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সেজন্য, লাইসেন্স বাতিলের জন্য তাদের নাম শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের কাজ চলছে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সারের মজুতে কোন সমস্যা নেই। গুদামে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। একইসাথে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বরাদ্দও বেশি দেয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও কোথাও সারের সংকটের কথা শুনা যাচ্ছে। এটি হতে পারে না। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসন বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারো গাফিলতি পাওয়া গেলে-তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এমওপি সার প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান,আগস্ট মাসে আজকে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত ১ লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবরে ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুত অনেক বেশি থাকবে।

উল্লেখ্য, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুত ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুত বেশি।

চালের দাম শিগগিরই কমবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। জিটুজি ভিত্তিতে এ চাল আনা হচ্ছে। চাল আসতে ১৫-২০ দিন লাগতে পারে। এছাড়া, রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আনা হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশে প্রায় ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দেয়া হবে। এছাড়া, টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করা হবে। ওএমএসেও চাল বিক্রি করা হবে। সব মিলিয়ে চালের দাম শিগগিরই কমবে।

এর আগে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে দুদেশের কৃষি সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েট চিয়েন বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার জন্য ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করার প্রস্তাব প্রদান করেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি সহযোগিতা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতার ফলে ভিয়েতনামের কৃষি উন্নত হয়েছে। যেহেতু তিনটি দেশই ডেল্টা, কাজেই তাদের পারস্পরিক সহযোগিতায় সবপক্ষই উপকৃত হবে।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত জানান, কাজুবাদাম রপ্তানিতে ভিয়েতনাম বর্তমানে প্রথম এবং কফি রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কাজুবাদাম-কফি রপ্তানির ৫০% সে দেশে উৎপাদিত হয়, বাকীটা ভারত ও আফ্রিকার দেশসমূহ থেকে এনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।

বাংলাদেশে কাজুবাদাম ও কফির চাষ সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী এক্ষেত্রে ভিয়েতনামের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন,গত ২ বছরে আমরা ২০ লাখ কাজুবাদামের চারা কৃষকদেরকে দিয়েছি। ইতোমধ্যে এসব গাছে কাজুবাদামের ফলন শুরু হয়েছে। আশা করছি, কাজুবাদাম উৎপাদনে বাংলাদেশও ভাল করবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ৭:২২ অপরাহ্ন
দেশে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ক্ষমা করা হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ক্ষমা করা হবে না। একইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে যশোর ইটিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কৃষি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি জামাতের আমলে সারের মূল্য ৯০ টাকায় নিয়ে ঠেকিয়েছিল।  শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসেই সারের মূল্য কমিয়ে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনেছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে সারের মূল্য বাড়ানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, গুলশান বনানীর ব্যবসায়ীরা কৃষি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে নব্য শোষক শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সাড়ে ১৬ কোটি মানুষকে দেশের উৎপাদন দিয়েই খাওয়াচ্ছি। কৃষকের পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ ভিক্ষুকের দেশ না; খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন আকাশের মতো উদার। তার দয়ায় খালেদা জিয়া জেলের বাইরে আছে। ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোল চালিয়ে হবে না।

বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি ও অধিক ফলনশীল ধানের জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধির শীর্ষক কর্মশালায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষক ও বীজ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২২ ৮:২২ অপরাহ্ন
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনোই বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় ছিল। বঙ্গবন্ধু সবসময় দুঃখী মানুষের কষ্টের কথা ভাবতেন। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ভাবতেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তিনি।

শেখ মুজিব ছাড়া বাংলাদেশের অস্তিত্ব চিন্তা করা যায় না। বাংলাদেশে এখন ক্ষুধার হাহাকার নেই বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে সংকট নিরসনে। সবার কষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।

প্রসঙ্গত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরসহ আরো অনেককে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে অবস্থান করায় এ হত্যাকাণ্ড থেকে প্রাণে বেঁচে যান।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop