বুদ্ধিজীবী সেই যার মধ্যে দেশপ্রেম রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,‘আজকে ২০ জন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, ডা. জাফরুল্লাহ, আসিফ নজরুল বিবৃতি দিয়েছেন মোদীর বিরুদ্ধে হরতাল করা না-কি গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি জানি না তারা কি ধরনের বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবী সেই যার মধ্যে দেশপ্রেম রয়েছে।
রবিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই রেললাইনে আগুন, এসিল্যান্ডের অফিসে অগ্নিসংযোগ, কাগজপত্র পুড়িয়ে দেয়া কি গণতান্ত্রিক অধিকার? আমার মনে হয় এটা বলতেও তারা দ্বিধা করবেন না। তারা দাবি করবেন ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে নিয়েছে, ৩০ লাখ মানুষকে শহীদ করেছে, এটাও তো পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার ছিলো। যারা রেললাইন উপড়ে ফেলে, মানুষকে হত্যা করে, তাদের কি বিচার হওয়া উচিত প্রশ্ন রাখেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফ্রিডমের (স্বাধীনতার) ৪ টা পিলার রয়েছে। ফ্রিডম ফর ফেয়ার, ফ্রিডম ফর হাঙ্গার, ফ্রিডম ফর স্পিচ। শুধু ফ্রিডম ফর স্পিচ হলে চলবে না। মানুষের যাতে ভয়ভীতি না থাকে, সন্ত্রাস যাতে না থাকে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারে দায়িত্ব হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, সম্পদের নিরাপত্তা দেয়া। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও জাতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করার স্বার্থে আমাদের পুলিশ, তাদের যে দায়িত্ব ছিলো; তারা সে দায়িত্ব পালন করেছে।
তিনি আরো বলেন, বুদ্ধিজীবীদের আমি হুঁশিয়ার করতে চাই; আপনারা বিবেক দ্বারা পরিচালিত হন। রাশিয়ান দার্শনিক খুব সুন্দর কথা বলেছেন, ‘যে সকল বুদ্ধিজীবী জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিরব ভূমিকা পালন করে, জাতির বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করে, তাদের আমি দোযখের আগুনে নিক্ষেপ করতে চাই।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও বলতে চাই, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জাতির বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ যখন সমৃদ্ধির পথে এগুচ্ছে। আজকে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, আবার ওই পাকিস্তানি ধারায় ফিরে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলার মাটি থেকে তাদের চিরতরে সরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধকালীন রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকবাহিনী, রাজাকার আল-বদররা আমাদের পায়ের নিচে অস্ত্র সমর্পণ করেছে। আজকে আমরা বলছে চাই, তোমরা যত রকমের ষড়যন্ত্র করো না কেনো এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মূল উৎপাটন করবো; বাংলার মাটি থেকে।
ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। সুপরিকল্পিতভাবে একটা আন্তর্জাতিক চক্র পাকিস্তানের লেজুড়বৃত্তি যারা করে, পাকিস্তানের উচ্ছিষ্টভোগী, পা-চাটা কুকুর, আজকে যারা স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ আবারও তারা পাকিস্তানের অংশ বানাবে। বাংলাদেশকে ধর্মান্ধ দেশ করবে, ধর্ম ভিত্তিক দেশ করবে, তাদের আমি বলতে চাই এটি কোনো দিনই বাংলাদেশে সম্ভব হবে না।