হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ
মৎস্য
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীর কয়েকটি স্থানে নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্পজাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউস) মা মাছ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জোয়ারের সময় ভোররাতের দিকে হালদা নদীর হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের মাছুয়াঘোনা, আমতুয়া, নাপিতের ঘাট, গড়দুয়ারা এবং কাটাখালি এলাকায় ডিম পেয়েছেন বলে জানান সংগ্রহকারীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহকারী শফিউল আলম বলেন, বুধবার মধ্যরাতে বৃষ্টি হয়, ভোররাতে মা মাছ নদীতে ডিমের নমুনা ছেড়েছে।
নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২২ নৌকা মিলে ২০ কেজির মত ডিম সংগ্রহ করেছি। আহরিত অল্প কিছু প্রাকৃতিক ডিম মাছুয়াঘোনা হ্যাচারির ৪টি টাংকিতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার নদীতে আছি। আজ সকালে ডিম সংগ্রহকারী ১০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত করে নমুনা ডিম পেয়েছি।’
হালদা নদীর পিএইচডি ডিগ্রীধারী হালদা গবেষক ও চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের প্রভাষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, হালদা নদীতে বর্তমানে যে ডিম পাওয়া গেছে তা মূলত নমুনা ডিম, যেহেতু এখনও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল হয়নি তাই মা মাছ ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ পায়নি। তবে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এখনও পর্যন্ত ডিম ছাড়ার সময় রয়েছে।
সাধারণত নমুনা ডিম ছাড়ার পর অনুকূল পরিবেশে মাছ নদীতে পুরোদমে ডিম ছাড়ে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত এই সময়ে অমাবশ্যা ও জোস্ন্যাতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে ডিম ছাড়ার উপযুক্ত এই সময়ে নদীতে পাহাড়ি ঢলের অনুপস্থিতি ও নদীতে মাছ পুরোদমে ডিম না ছাড়ায় হতাশ হয়ে পড়ছেন ডিম আহরণকারীরা।