চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞাত রোগে হাঁস-মুরগির মৃত্যু
প্রাণিসম্পদ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অজ্ঞাত রোগে হাঁস-মুরগির মৃত্যু বেড়েছে। এক সপ্তাহে উপজেলার বাঁকা ও সীমান্ত ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে শতাধিক হাঁস-মুরগি মারা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যায় সুস্থ হাঁস-মুরগি ঘরে তোলার পর সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। তাই অনেকে আবার হাঁস-মুরগি অসুস্থ বুঝলেই জবাই করছে।
বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা শাহানারা বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুস্থ অবস্থায় মুরগি ঘরে তুলেছিলাম। সকালে দেখি দুটি মুরগি মারা গেছে। এ ছাড়া কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি হাঁস মারা গেছে। এরপর গত কয়েক দিন সব সময় হাঁস-মুরগির খেয়াল রাখা শুরু করি। অসুস্থ অবস্থায় চারটি মুরগি জবাই করেছি।’
একই এলাকার বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, ‘হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় ৫টি হাঁস ও একটি মুরগি জবাই করেছি। এ ছাড়া গত কয়েক দিনে দুটি মুরগি মারা গেছে। হাঁসগুলোর কয়েক দিন ধরে খাবার খেতে পারছিল না। ডানা বাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছিল।’
শাখারিয়া গ্রামের নিহা বলেন, ‘আমার ছোট চাচির তিনটি মুরগি অসুস্থ হয়েছে মারা গেছে। আমরা এখন সব সময় হাঁস-মুরগির খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সঠিক সময় হাঁস-মুরগির টিকা না দিলে এসব রোগ দেখা দেয়। এ জন্য আমরা সবাইকে টিকা দেওয়ার জন্য বলি। আমরা ইতিমধ্যে মৃত একটি মুরগি সংগ্রহ করেছি।
এটা পরীক্ষার পর বলতে পারবে কী কারণে মুরগির মৃত্যু হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি হাঁসগুলো ডাক প্লেগে আক্রান্ত হয়েছিল। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।