ফুলবাড়ীতে সেচ দিয়ে আমনের চাষ,লোকসানের শঙ্কা কৃষকরা
কৃষি বিভাগ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বৈরী আবহাওয়ায় কৃষকেরা অনেকটা বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিয়ে আমনের চাষ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় সব এলাকায় শেষ হয়েছে জমিতে আমনের চারা রোপণ কাজ। এ সময় সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে লোকসানের শঙ্কা কৃষকদের।
আমনের খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কেউ জমিতে সার দিচ্ছেন, কেউবা নিড়ানি। খরার কারণে অনেকেই ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন চালু করে ধানের খেতে সেচ দিচ্ছেন।
উপজেলার উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম তালুকদার জানান, সাত বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন। বর্তমানে খেতের যে অবস্থা তাতে ভালো মনে হচ্ছে। অন্যবারের তুলনায় এবার আমন ধান চাষাবাদে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে। ভালো ফলন হলেও চাষের খরচের টাকা তুলতে পারব কি না, সে শঙ্কায় আছি আর যদি ফলন ভালো না হয় তাহলে তো মহাবিপদ!
আলাদিপুর গ্রামের কৃষক তারাপদ রায় জানান, এবারের আমন চাষাবাদের সময় হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পাওয়ার টিলার মালিকেরা জমি চাষের দাম বাড়িয়েছেন। চারা রোপণের জন্য বিঘাপ্রতি শ্রমিকদের ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
এখন জমিতে সার প্রয়োগের সময় হয়েছে। বাজারে সবধরনের সারের দাম বেশি হওয়ায় কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লাভের আশায় চাষাবাদ শুরু করে এখন লোকসানের শঙ্কায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, ‘উপজেলায় এ বছর ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ জমিতে আমন চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। আমনের ভরা মৌসুমে যাতে কেউ সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আমরা বাজার মনিটরিংসহ মজুত জারির বিরুদ্ধে তৎপর আছি। পাশাপাশি বাজারে সারের সরকারের নির্ধারিত মূল্য বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ মিলে উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’