১:২৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১৩, ২০২৩ ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
যশোরে পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

যশোরে পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। পাট চাষে লাভবান হওয়ায় যশোরের শার্শা উপজেলার কৃষকদের মধ্যে পাট চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় এবারও লাভের আশা করছেন চাষিরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শার্শা উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের বছরের মতো এবারও পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। শার্শা উপজেলা অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় সেখানে পাটের আবাদ কিছুটা বেশি হয় থাকে।

স্থানীয় পাট চাষিরা বলেন, প্রত্যেক বিঘা জমিতে পাট চাষে বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও আনুসাঙ্গিক খরচসহ রোদে শুকিয়ে তা ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬-১৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ফলন ভালো হলে আমরা লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।

শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবারের মৌসুমে শার্শা উপজেলায় পাট চাষ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে পাটের চাষ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
প্রচন্ড দাবদাহে লোকসানে ঝালকাঠির লেবু চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

লেবু চাষে লোকসান গুনছেন ঝালকাঠির চাষিরা। গত কয়েক বছরে এখানকার লেবু বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে গেছে। ফলে বাজারে লেবুর ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চাষিরা হতাশ হয়ে এর চাষ না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় পেয়ারা আমড়ার পর লেবু ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এই জেলার ভিমরুলি, কাফুরকাঠি, শতদশকাঠি, বাউকাঠিসহ ২২টি গ্রামের কৃষকরা লেবু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে এবছর প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। এছাড়াও তাপের কারণে ফলের আকারও অনেকটা ছোট হয়ে যায়। ফলে লেবুর বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৩৩৬ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ হয়েছে।

এক চাষি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার ফলে মাটিতে প্রয়োজনীয় রস ছিল না। আর প্রচন্ড তাপের কারণে ফলের আকারও ছোট হয়ে যায়। লেবুর ভেতরে রসের পরিমানও কম। তাই বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছি না। এতে চাষের খরচও উঠাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।

অন্যান্য আরো চাষিরা জানায়, বর্তমান বাজারে ৮০টি লেবু ৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছেনা। উৎপাদন খরচও উঠা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরে লাভবান হতে পারায় চলতি বছর এই জেলার চাষিরা লেবু চাষে বেশি আগ্রহী হন। তবে এবছর প্রচন্ড দাবদাহের কারণে লেবুর আকার ছোট হয়ে যায়। আর লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। তাই কৃষকরা বাজারে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছেন। চাষিদের সকল সমস্যা সমাধানে আমরা এগিয়ে আসছি। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রকাশ : মে ২, ২০২৩ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুস্তাকিম!
কৃষি বিভাগ

মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষক মুস্তাকিম সরকার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তিনি সারাবছর বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করে থাকেন। এরমধ্যে টমেটো, শসা, ক্যাপসিকাম বেগুন, তরমুজ, সাম্মামও রয়েছে। তাই এবছর তিনি মিষ্টিকুমড়া চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

জানা যায়, কৃষক মুস্তাকিম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এবছর প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তিনি আদমপুর গ্রামে বিশাল এলাকা নিয়ে দোয়া বহুমুখী কৃষি খামার নামে একটি কৃষি খামার গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি শসা, টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, তরমুজ, বাউকুল বরই, সাম্মামসহ নানা জাতের ফল ও সবজি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। চলতি বছর তাতে মিষ্টি কুমড়া যোগ করেন। এবং প্রায় ৪০ টনের ওপরে কুমড়া উৎপাদন করেন। স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছেন। মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অনেক কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি একটি টিনশেড ঘরের ভেতরে ছোট বড় মিষ্টি কুমড়া গুলো স্তূপ করে রেখেছেন। তার উৎপাদিত একেকটি মিষ্টি কুমড়ার ওজন প্রায় ২-৫ কেজি। আর মোট ৪০ টনের বেশি। এখান থেকেই তিনি তা বিক্রি করছেন। পাইকরার সরাসরি তার কাছ থেকে কুমড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে।

কৃষক মুস্তাকিম সরকার বলেন, আমি সারাবছর বিভিন্ন সবজি ও ফলের চাষ করে থাকি। এবছর ১০ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছি। এতে সব মিলে বিঘাপ্রতি ১৩ হাজার করে খরচ হয়েছে। চারা রোপনের ৩ মাসের মধ্যেই জমি থেকে মিষ্টি কুমড়া তুলে বিক্রি করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, জমিতে ৪০ টনের ওপরে ফলন পেয়েছি। আশা করছি প্রতি টন মিষ্টি কুমড়া ২০-২২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।

স্থানীয় অন্য কৃষকরা জানায়, চাষাবাদে তার এমন সফলতা এলাকার বেকার যুবকদের উৎসাহিত করছে। তিনি নিজেকে একজন আদর্শ চাষি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আশা করছি তিনি আরো এগিয়ে যাবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, কৃষক মুস্তাকিম এবছর প্রথমবারের মতো মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। তিনি অন্যান্য আরো সবজি ও ফল চাষ করে নিজেকে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আশা করছি বর্তমান বাজারদর ভালো থাকলে তার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

প্রকাশ : মে ১, ২০২৩ ১১:৪৭ অপরাহ্ন
আখ চাষে লাভবান গাজীপুরের চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

আখ চাষে গাজীপুরের চাষিরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আগে শুধু গরমের মৌসুমেই আখের চাষ করা হতো। তবে বর্তমানে শীত ও গ্রীষ্ম দুই মৌসুমেই আখ চাষ করা হচ্ছে। চাষিরা চাষের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবানও হচ্ছেন। আর কম খরচে মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যেই উৎপাদিত আখ বাজারজাত করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন।

জানা যায়, গাজীপুর উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নে কম বেশি আখের চাষ হলেও কালীগঞ্জ, বাহাদুরসাদী, জামালপুর, মোক্তারপুর পৌরসভা এলাকায় বেশি চাষ হয়েছে। এখানকার চাষিরা ঈশ্বরদী ১৬ ও ৩৬, টেনাই, বি.এস.আর.আই ৪১ ও ৪২ জাতের আখের বেশি চাষ করছেন। মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যে এর বাজারজাত করা যায়। আর কম খরচে উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, চলতি মৌসুমে গাজীপুর উপজেলায় ৬২ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। গত বছর ৩ হাজার ৬১৪ মেট্রিকটন আখের ফলন পাওয়া গেলেও এবছর ৩ হাজার ৭৩৫ মেট্রিকটন আখের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে সব মৌসুমে আখের চাষ করে লাভবান হতে পারায় কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বাশাইর গ্রামের চাষি আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় বছর চাষের খরচ বেড়েছে। গত বছর ১০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করতে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এবছর আরো বেশি খরচ হয়েছে। আর জমির আখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

খলাপাড়া গ্রামের আরেক চাষি ইসলাম সরকার বলেন, আখের চাষ করতে আমার বেশি খরচ হয় না। কারণ আমি নিজেই জমিতে সব কাজ করি। এবছর ৯ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। চাষে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমিতে আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তাই প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পেরেছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, উপজেলায় দিন দিন আখ চাষের পরিমান বাড়ছে। কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন। আমরা কৃষকদের আখ চাষের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে চাষে আগ্রহী করা হচ্ছে। এছাড়াও চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ে যেয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকরা আখের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আর বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ৯:২২ পূর্বাহ্ন
পতিত জমিতে লেবু চাষে কৃষক সেলিমের ভাগ্যবদল!
কৃষি বিভাগ

ময়মনসিংহে পতিত জমিতে লেবু চাষে ভাগ্য বদলেছেন কৃষক সেলিম মিয়া। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ একর পতিত জমিতে উন্নতজাতের সিডলেস লেবু চাষে সফল হয়েছেন। মাত্র ১ বছরের মধ্যেই ফলন পাওয়ায় উৎপাদিত লেবু বিক্রি করে তিনি লাভবান হয়েছেন। আগামীতে লাভের পরিমান দ্বিগুণ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

জানা যায়, কৃষক সেলিম মিয়া ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ২০২১ সালের শেষের দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ একর পতিত জমিতে উন্নতজাতের সিডলেস ৮০০ লেবুর চারা রোপন করেন। চারা রোপনের ১ বছরের মধ্যেই গাছে ফলন পেয়েছেন। এতে প্রথম বছরে লেবু বিক্রি করে খরচের টাকা উঠিয়ে ফেলেছেন। দ্বিতীয় বছর থেকে লাভের পরিমান দ্বিগুণ হবে বলে তিনি জানান।

কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, আমার এই জমিটি পতিত পড়ে ছিল। ২০২১ সালের শেষের দিকে কৃষি অফিসের পরামর্শে ৮০০ লেবুর চারা রোপন করি। আমাদের এই পতিত জমিতে এত সুন্দর লেবু বাগান হতে পারে তা আমরা কোনো দিন কল্পনাও করিনি। কৃষি অফিসাররা নিয়মিত আমার বাগানটি পরিদর্শন করেন। এছাড়াও আমার এখানে পানির ব্যবস্থা ছিল না। কৃষি অফিস থেকে পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় আরেক কৃষক করিম উদ্দিন বলেন, আমি সেলিমের বাগানটি দেখেছি। এখানে যে এমন বাগান সৃষ্টি হবে তা আগে চিন্তা করা যায় নি। আমিও সেলিম থেকে পরামর্শ নিচ্ছি। আগামীতে আমিও লেবুর বাগান করবো।

ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার আলম তুষার বলেন, নদীর পাড়ের জমিগুলো খুব উর্বর হয়। এই জমি গুলো আগে পতিত পড়ে থাকতো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আমরা কৃষক সেলিম মিয়াকে ৮০০ লেবুর চারা দিয়েছিলাম। আমরা তাদের পানি সেচের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। আশা করছি আগামীতে এই অঞ্চলে লেবুর চাষ আরো বাড়বে। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

প্রকাশ : এপ্রিল ৯, ২০২৩ ১১:৫৫ অপরাহ্ন
বিদেশী ফল মালবেরী চাষে লাখপতি নওগাঁ’র সোহেল
কৃষি বিভাগ

জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় বিদেশী জনপ্রিয় ফল মালবেরী উৎপাদনের উজ্জল সম্ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। ঠা ঠা বরেন্দ্র বলে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা তার সমন্বিত বরেন্দ্র এগ্রো খামারে মালবেরী চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার এ সফলতা দেখতে প্রতিদিন আগ্রহী উদ্যোক্তারা খামারে আসছেন এবং নিজেরাও মালবেরী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

মালবেরী প্রধানত পাহাড়ী এবং শীত প্রধান দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান এসব দেশে মালবেরী চাষ হয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কিছু কিছু এলাকায় মালবেরী চাষ হচ্ছে। সোহেল রানা তার ধারাবাহিক অনুসন্ধানী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন থেকে চার বছর আগে তার এগ্রো খামারে অন্যান্য অনেক ফলের সাথে প্রায় ৫০টি মালবেরী গাছের চারা রোপণ করেন।

থাইলান্ড থেকে সরাসরি এবং ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মালবেরী চারা সংগ্রহ করেন। তিনি তার এ খামারে ৮ প্রজাতির মালবেরী চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশী মালবেরী উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। চলতি বছর মূল সিজনে প্রতিটি গাছে গড়ে কমপক্ষে ১০ কেজি করে মোট ৫০০ কেজি মালবেরী উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে এ বছর মূল সিজনে ২ লক্ষ টাকার মালবেরী বিক্রি করবেন।

এ ছাড়াও গাছ গুলোতে বছরে আরও একবার মালবেরী উৎপাদিত হবে। সেখান থেকেও আসবে অতিরিক্ত আয়। অথচ খরচ তেমন নাই বললেই চলে। ব্যবহার করেন কেবলমাত্র জৈবসার। রোগবালাই কিংবা পোকা মাকড়ের কোন আক্রমণ নাই। নিরাপদেই চাষ করেন তিনি।

সোহেলরানার এ এগ্রো খামারের সফলতার কাহিনী লোকের মুখে মুখে। তার উপর বিদেশী ফল মালবেরী চাষ ও লাভের কথা শুনে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী লোকজন দেখতে তার খামারে ভিড় করছেন। নিজেরাও মালবেরী চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছেন সোহেল রানার কাছ থেকে।

মালবেরী চাষের অপরা সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন এ ফল উচ্চমানের পুষ্টিগুন সম্পন্ন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মালবেরী খুবই উপকারী। সাপাহারের সোহেল রানার মত যদি কেউ মালবেরী চাষে এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগ সবরকমের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সাধারণত এই অঞ্চলের কৃষকরা ইরি ও বোরো ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। তবে গত কয়েকবছর যাবত তারা পতিত জমিতে এই সবজির চাষ করে অধিক ফলন পাচ্ছেন। আর বাজারদর ভালো থাকায় মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই ইউনিয়নেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। কৃষকরা বেশ কয়েক বছর ধরে ইরি ও বোরো ধান চাষাবাদের সঙ্গে জমির পতিত জায়গায় এই সবজির চাষ করছেন। বর্তমানে এই সবজির চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর এখানকার উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি বছর আগৈলঝাড়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়া উৎপাদিত হয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা শুধু কুমড়া নয়, এর ডাটা ও পাতা বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারছেন।

আগৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর গ্রামের অনিতা ভদ্র জানান, আমি ১০ বছর যাবত ইরি ও বোরো ধানের পাশে পতিত জমিতে কুমড়ার চাষ করছি। এর চাষে বেশি খরচ হয় না। একটু যত্ন নিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। গত বছর জমি থেকেই ৫০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছিলাম। আশা করছি এবছর আরো বেশি টাকার বিক্রি করতে পারবো।

কৃষকরা জানায়, মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ কম। আর এর ফলন অধিক পাওয়া যায়। প্রতিটি কুমড়া ৩-৮ কেজি ওজনের হয়। বর্তমানে প্রতিমণ হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকর মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পতিত জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়ার চাষ করছেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকর মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আমরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে আসছি।

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০০ অপরাহ্ন
সজিনা চাষে স্বাবলম্বী জয়পুরহাটের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাট জেলায় কৃষকরা অনাবাদি ও পতিত জমি গুলোতে সজিনার চাষ করছেন। গ্রাম অঞ্চলের বাড়ির পাশে রাস্তার দুপাশে সজিনার গাছ লাগিয়ে কৃষকরা চাষ করছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় চাষিরা এই সবজি চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন।

সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সজিনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এতে সজিনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ, বম্বু, ভাদসা, দোগাছী, জামালপুর, দোগাছী, চকবরকত, ধলাহার ও পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর, মোহাম্মদপুর, আওলাই ও কুসুম্বা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে বারোমাসি সজিনার চাষ করছেন কৃষকরা। রাস্তার দু’পাশে পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি সজিনার সারি সারি গাছ গুলো এখন সজিনার ভারে দোল খাচ্ছে । জেলায় পুষ্টিগুণে ভরা সজিনা চাষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ।

সদর উপজেলার ধলাহার এলাকার সজিনা চাষি মো: রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর আমার বাড়ির রাস্তার দুপাশে ১০টি সজিনার গাছ লাগিয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ৮ মণ সজিনা বিক্রি করেছি। এবার সজিনার বাম্পার ফলন পাবো বলে আশা করছি। বর্তমানে সজিনা ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সজিনা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।

জয়পুরহাটের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মনিরুজ্জামান মানিক জানান, সজিনা পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি। সজিনার মধ্যে ভিটামিন-এ ও সি আছে। এটি মানব দেহের কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সজিনা উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের অনেক উপকারী।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, সজিনা বসতবাড়ির আশপাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে চাষ করা যায়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতিয় সবজি। সজিনা চাষে খরচ কম। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। সজিনা গাছের তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বললেই চলে ।হে

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২৩ ৭:৪৪ অপরাহ্ন
জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রাজশাহীর পান চাষ!
কৃষি বিভাগ

বর্তমানে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পান চাষিরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। রাজশাহী অঞ্চলের অনেক গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে এই পান চাষ। রাজশাহীতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পান চাষ।

জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও পবার মতো কয়েকটি উপজেলায় পান ও সুপারি চাষ হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা পানের বরজ তৈরী করে চাষ করছেন। এতে স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার পাইকারদের কাছে জমি থেকেই সরাসরি বিক্রি করে থাকেন।

দুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এখানে মিষ্টি ও সাঁচি এই দুই ধরনের পান বেশি চাষ করা হয়। আর স্থানীয় ও আশেপাশের কয়েকটি উপজেলায় এখানাকার পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

মোহনপুর উপজেলার আরেক কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, আমি ২১ বছর যাবত পানের চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে লাভ বেশি। আর একবার পানের বরজ তৈরী করলে তা থেকে অনেক বছর পানপাতা সংগ্রহ করা যায়। পানের চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।

বাগমারা উপজেলার চান্দাপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের মাত্র একটি বাগান ছিল। এখন ১২ বিঘা জমিতে পানের চাষ করছি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ও পান গাছের যত্ন করে এমন সফলতা পেয়েছি।

কৃষক আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের উৎপাতিদ পানের পাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানকার পানপাতা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশেও রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে সৌদি আরবে বেশি চাহিদা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলার মাটি ও আবহাওয়া পান ও সুপারি চাষের খুবই উপযোগী। এই জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানের উৎপাদন হয় মোহনপুরে। চলতি বছর ৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে পান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। এতে প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কৃষক জড়িত। গত বছর ৭৩ হাজার ৭৭১ টন ফলন পাওয়া গেছে। এবছর ৭৬ হাজার ৬৭৮ মেট্রিক টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যার বর্তমানে বাজার মূল্য ৬২৩.৮২ কোটি টাকা।

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্ল্যাক কিং জাতের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন নোয়াখালীর কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

নোয়াখালীতে কালো তরমুজের বীজ ব্ল্যাক কিং-১ চাষ করে লাভবান কৃষকরা। এই তরমুজ খুব কম খরচে চাষ করা যায় ও অল্প সময়ে এর ফলন পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এর চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকরা রমজানকে সামনে রেখে আগাম রোপন করায় এখন ফলন পেয়েছেন। আর বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।

জানা যায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার শুল্লুকিয়া গ্রামে আয়োজিত মাঠ দিবসে এই জাতের তরমুজ চাষের প্রমাণ পাওয়া যায়। এখানকার কৃষকরা এই জাতের তরমুজের চাষ করেছেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা একটি জাত। বীজ বপনের মাত্র ৬৫-৮০ দিনের মধ্যেই তরমুজ বাজারজাত করা যায়। আর এককটি তরমুজের ওজন ৮-১২ পর্যন্ত হয়। খেতে খুবই মিষ্টি। বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষকরা ব্ল্যাক কিং জাতের তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন। পাশাপাশি বাজারদর ভালো থাকায় লাভবানও হচ্ছেন।

কৃষক সামছুউদ্দিন বলেন, আমরা আগে অন্য জাতের তরমুজের চাষ করতাম। তবে এই জাতের তরমুজের মতো ফলন পাইনি। অন্যান্য জাতের সাইজ ছোট হলেও ব্ল্যাক কিং-১ জাতের তরমুজের সাইজ অনেক বড়। একেকটি তরমুজ ওজনে ৮-১২ কেজি হয়ে থাকে। আর বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি তোজাম্মেল হক ও দুলু রহমান বলেন, ব্ল্যাক কিং-১ জাতের বীজ থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে। বর্তমানে এর পরিক্ষামূলক চাষে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আশা করছি এই বীজ আরো দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop