মাথাভাঙ্গা নদীতে চলে অসাধু উপায়ে মাছ শিকার
মৎস্য
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদীতে অসাধু ব্যক্তিরা আবারও শুরু করেছে বাঁধ নির্মাণ। নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করে বাধাঁগ্রস্ত করা হচ্ছে নদীর শ্রোত। ফলে একদিকে যেমন নদী হারাচ্ছে তার চিরচেনা রূপ, অপরদিকে সুতি জালের ফাঁদ পেতে ধরে নেয়া হচ্ছে ছোটবড় সব ধরনের প্রাকৃতিক মাছ।
দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ বাঁধ। নতুন বাস্তুপুর বাশ বাগানের নীচে মাথাভাঙ্গা নদীর বুকে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বাঁধ। নতুন বাস্তুপুরের মতিয়ারের ছেলে ছানোয়ার বাঁধটি নির্মাণ করেছেন বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া সুবলপুর থেকে আমডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে আরো ৩টি বাঁধ।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা হামিদুর রহমান জানান, প্রতি বছর অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অপসারণ করা হয় অবৈধভাবে দেয়া বাঁধগুলো। কিছুদিন পর কিছু অসাধু ব্যক্তি আবারও একই কাজ করে থাকে।
তিনি আরও জানান, আমরা আগে কারেন্ট জালের কথা শুনতাম। বর্তমানে ম্যাজিক জালের পাশাপাশি ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে মাছ মারা হচ্ছে। এভাবেই খাল, বিল, নদী প্রাকৃতিক মাছ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে অচিরেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে মাছ মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইলেকট্রিক মেশিনটি পানিতে ধরে সুইচ দেয়ার সাথে সাথে বিদ্যুতায়িত হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার এক অসাধু ব্যক্তি ওই ইলেকট্রিক মেশিন কিনেছে বলে আমি শুনেছি, তবে এখনও পর্যন্ত চোখে দেখিনি।