রাজবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ছরোয়ারের চমক
কৃষি বিভাগ
বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে সফল হয়েছে রাজবাড়ীর ছরোয়ার হোসেন। চাকরির পাশাপাশি তিনি এই কমলার বাগান করেন। বর্তমানে তার বাগানে শোভা পাচ্ছে চায়না ও নাগপুরীসহ ৪ জাতের কমলা। যা একবার রোপন করলে অন্তত ১০ বছর ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া বাজারে কমলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কমলা বিক্রি করে তিনি ভালো আয় করতে পারছেন।
জানা যায়, ছরোয়ার হোসেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চাকরি করার পাশাপাশি ২ বছর আগে কমলার বাগান করেন। তার বাগানে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী ও মেন্ডারিংসহ ৪ জাতের মোট ৪৫০টি কমলা গাছ আছে। প্রতিটি গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুঁলছে হলুদ ও সবুজ রঙের কমলা। এই কমলাগুলো খেতে সুমিষ্ট ও খু্বই সুস্বাদু।
কমলাচাষি ছরোয়ার হোসেন বলেন, আমি গত দুবছর আগে আমার ৪ বিঘা জমিতে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী, মেন্ডারিংসহ ৪৫০টি কমলার চারা রোপন করি। বর্তমানে প্রায় সবগুলোতে গাছে কমলা এসেছে। কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কমলা চাষে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এবছর যা ফলন এসেছে তাতে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার কমলা বিক্রির আশা করছি। অনেকে আমার কাছে কমলা চাষের পরামর্শ নিতে আসেন। আমি তাদের কমলার চারা ও চাষের পরামর্শ দিচ্ছি।
কমলার বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী সাত্তার মোল্লা বলেন, ছরোয়ারের বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই কমলা ধরেছে। আমি কমলা খেয়ে দেখেছি। খেতে খুবেই মিষ্টি ও সুস্বাদু। অনেককে দেখলাম তার কাছে পরামর্শ নিচ্ছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. বাহাউদ্দিন শেখ জানান, মানুষের ধারনা ছিল যে কমলা শুধু পাহাড়েই উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে সমতল ভূমিতেও কমলার চাষ হচ্ছে। তেমনি ছরোয়ারের বাগানটিও সমতল ভূমিতে হয়েছে।