প্রচন্ড দাবদাহে লোকসানে ঝালকাঠির লেবু চাষিরা!
কৃষি বিভাগ
লেবু চাষে লোকসান গুনছেন ঝালকাঠির চাষিরা। গত কয়েক বছরে এখানকার লেবু বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে গেছে। ফলে বাজারে লেবুর ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চাষিরা হতাশ হয়ে এর চাষ না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় পেয়ারা আমড়ার পর লেবু ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এই জেলার ভিমরুলি, কাফুরকাঠি, শতদশকাঠি, বাউকাঠিসহ ২২টি গ্রামের কৃষকরা লেবু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে এবছর প্রচন্ড গরমের কারণে লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। এছাড়াও তাপের কারণে ফলের আকারও অনেকটা ছোট হয়ে যায়। ফলে লেবুর বাম্পার ফলন হলেও বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৩৩৬ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ হয়েছে।
এক চাষি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার ফলে মাটিতে প্রয়োজনীয় রস ছিল না। আর প্রচন্ড তাপের কারণে ফলের আকারও ছোট হয়ে যায়। লেবুর ভেতরে রসের পরিমানও কম। তাই বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছি না। এতে চাষের খরচও উঠাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।
অন্যান্য আরো চাষিরা জানায়, বর্তমান বাজারে ৮০টি লেবু ৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছেনা। উৎপাদন খরচও উঠা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরে লাভবান হতে পারায় চলতি বছর এই জেলার চাষিরা লেবু চাষে বেশি আগ্রহী হন। তবে এবছর প্রচন্ড দাবদাহের কারণে লেবুর আকার ছোট হয়ে যায়। আর লেবুতে রসের পরিমান কমে যায়। তাই কৃষকরা বাজারে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছেন। চাষিদের সকল সমস্যা সমাধানে আমরা এগিয়ে আসছি। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।