পাথরঘাটায় বিষ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীরের পুকুরে রাতের আঁধারে কেউ পানিতে বিষ মেশানোয় লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা পড়েছে। পুকুরে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মৃগেল, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল।
শনিবার (৮ মে) সকালে উঠে জাহাঙ্গীর পুকুরের এ করুণ অবস্থা দেখতে পান। তিনি জানান, কমপক্ষে এক লাখ ১৭ হাজার টাকার মাছ ছিল তার পুকুরে। শুক্রবার (৭ মে) রাতে কোনো এক সময় দুষ্কৃতিকারীরা পুকুরের পানিতে বিষ মিশিয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর বলছেন, তার কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা এ কাজ করেছে, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
কালিবাড়ি গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর একজন মাছ ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ই দেখি পুকুরে মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। রুই, কাতল, পাঙ্গাস, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মৃগেল, তেলাপিয়াসহ নানা প্রজাতির মাছ ছিল আমার পুকুরে। কিছুদিন আগে এই মাছগুলো পাশের একটি ঘের থেকে তুলে আমি এই পুকুরে রেখেছিলাম।
জাহাঙ্গীর ক্ষোভ নিয়ে বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই। তারপরও কেন এমন হলো, আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জালাল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরাও দেখেছি জাহাঙ্গীরের পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। শত্রুতা থেকে যে কেউ এ কাজ করে থাকতে পারে।
কাঠালতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ব্যস্ত থাকায় তার প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন বলে জানান জাহাঙ্গীর। প্রতিবেশী সাবেক পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল আলমও পুকুরটি দেখেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা! এ ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করে সঠিক বিচার করা উচিত তা না হলে সমাজে বাড়তেই থাকবে বলে তিনি জানান।