৪:৪৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২৫, ২০২৩ ১২:২৮ অপরাহ্ন
‘বিষ মেশানো মাংস খেয়ে শকুনের মৃত্যু,’ মামলা বনবিভাগের
পোলট্রি

মৌলভীবাজারের বড়কাপন এলাকা থেকে বিলুপ্তপ্রায় শকুনের ১৩টি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি তদন্ত করতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগ এবং আইইউসিএনের কর্মকর্তা ও গবেষক দল।

গতকাল সকালে সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের কালারবাজারের কাছে বড়কাপন গ্রামের বুড়িকোনা বিল থেকে বনবিভাগের কর্মকর্তারা ১০টি মৃত শকুন উদ্ধার করেন। পরে দুপুরে সেখান থেকে আরও ৩টি মৃত শকুন উদ্ধার করা হয়।

মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, ‘মৃত ১০টি শকুন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) কর্মকর্তারা বস্তায় করে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। এগুলো ১০-১২ দিন আগে মারা গেছে বলে ধারণা করছি। সব পচে-গলে গেছে। শকুনগুলোর মৃত্যুর কারণ জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিলেট ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছি। ধারণা করছি, মৃত গরু কিংবা কুকুর অথবা শিয়াল খেয়ে শকুনগুলো মারা যেতে পারে।’

‘অনেক সময় গরুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় এবং কুকুর-শিয়াল নিধনে গ্রামগঞ্জে বিষ জাতীয় পদার্থ ব্যবহৃত হয়। এই প্রাণীগুলোর কোনোটি মারা যাওয়ার পর তার মাংস শকুন খেলে তারাও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে,’ বলেন তিনি।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, ‘মামলায় মো. রোকন ও মজনু মিঞার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। বন বিভাগ থেকে শকুনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া এলাকা থেকে দুটি বিষের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে ওই বোতল দুটি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।’

বন বিভাগের অভিযোগের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী। পুলিশ ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিলেটের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এস এম নুরুল আমিন জানান, ‘শকুনগুলো গত ৭ তারিখে মারা গেছে। এখন সেগুলো পচে অবস্থা খারাপ। আমাদের এখানে যেটুকু পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ ছিল এ অবস্থায় তাও করার পর্যায়ে নেই। তারা যেটা বলছিলেন কেমিক্যাল কোনো অ্যাফেক্ট থেকে মৃত্যু হয়েছে। কেমিক্যাল টেস্ট করার সুযোগ সিলেটে নেই। ঢাকার মহাখালীতে জনস্বাস্থ্যের কর্মকর্তারা এই টেস্টগুলো করেন। আমরা তাদের এটা বলে দিয়েছি।’

বন বিভাগ ও আইইউসিএনের জরিপ অনুযায়ী, দেশে ২৬০টি শকুন ছিল। এর মধ্যে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে ছিল ৮০টি। এই ১৩টি শকুনের মৃত্যুর পর সংখ্যাটি আরও কমে গেল।

আইইউসিএন বাংলাদেশের শকুন সংরক্ষণ প্রকল্পের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম বলেন, ‘মহাবিপন্ন বাংলা শকুনগুলোর মরদেহ ল্যাবে পাঠিয়েছি। ল্যাব টেস্টের পর বুঝতে পারবো কী কারণে মারা গেছে। গরু খেলেও অনেক সময় শকুন মারা পড়ে। কারণ গবাদি পশুকে অনেক সময় ডাইক্লোফেনাক ইনজেকশন পুশ করা হয়।’

‘আর দ্বিতীয় কারণ হলো শিয়াল স্থানীয় বাড়িঘরে হামলা করে হাঁস-মুরগি নিয়ে যায়। ফলে অনেকে শিয়ালকে বিষ খাওয়ায়। এতে শিয়াল মারা যায়। ওই শিয়ালের মাংস খেলে শকুনও মারা যায়। আমরা ১১ সদস্যের একটি টিম আজ সেখানে গিয়েছি এবং যতগুলো মৃত অ্যানিম্যাল ছিল সেগুলো মাটিচাপা দিয়েছি। যেন আর কোনো শকুন খেয়ে মারা না যায়।’

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ২:৫২ অপরাহ্ন
বরিশালে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে তিন গরু হত্যার অভিযোগ
প্রাণিসম্পদ

বরিশালের গৌরনদীতে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে পশুগুলোর মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু খান জানান।

এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অভিযোগকারী রাজু খান উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উত্তর শরিকল গ্রামের নুরে আলম খানের ছেলে।

তিনি জানান, “শনিবার সকালে গরুগুলোকে গোয়াল ঘর থেকে বের করে পাশের খোলা জায়গায় চাড়ির (গরুকে খাবার দেওয়ার কনক্রিটের বড় পাত্র) সামনে বেঁধে খাবার দেওয়া হয়। চাড়িতে আগেই কিছু পানি ছিল। আমার বাবা সেই পানির সঙ্গে খৈল, ভূসি ও কুড়া মিশিয়ে গরুকে খেতে দেন।”

রাজু খান আরও বলেন, ওই খাবার খেয়ে বেলা ১১টার দিকে চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে একটি গর্ভবতী গাভি মারা গেলে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে চিকিৎসা দেওয়ার পরও একটি গর্ভবতী গাভি ও একটি বাছুর মারা যায়।

তার অভিযোগ, রাতের আঁধারে কে বা কারা শত্রুতা করে গরুর চাড়িতে বিষ ঢেলে রেখেছে। যা খেয়ে গরু তিনটি মারা গেছে। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গৌরনদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই একটি গাভি মারা যায়। পরে একটি বাছুর ও অপর গাভিটি মারা যায়।

একটি বাছুরকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ায় গরু তিনটি মারা গেছে। বিষের ধরন জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে; ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রতিবেদন এলে বলতে পারবো।”

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, “এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রাজু খান থানায় জিডি করেছেন। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩ ১২:২১ অপরাহ্ন
মাছের সাথে শত্রুতা,সাত লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের গনি প্যাদার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির সাত লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন পানি নষ্ট বা অন্য কোনো কারণে মাছগুলো মরে যাচ্ছে। পরে বিকেলে এলাকার লোকজন এসে দেখেন পুকুরে বিষ দেওয়া হয়েছে।

গনি প্যাদা বলেন, আমার পুকুরে পাঁচ প্রজাতির মাছ ছিল। বিষ দেওয়ার কারণে সব মাছ মরে গেছে। আমার সঙ্গে শত্রুতা করে এত বড় সর্বনাশ কে করল। আমি এর বিচার চাই।

হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মারার বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি গনি প্যাদাকে বলে দিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে আনোয়ারের সাফল্য
কৃষি বিভাগ

বিষমুক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাটের কৃষক আনোয়ার হোসেন। উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের বালুরদিয়া এলাকায় স্ত্রী শাহিদা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ কাঠা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ শুরু করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থা বুরো বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ দুই ফসলে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।

জানা গেছে, সবজি চাষের জন্য গত বছর অক্টোবর মাসে আনোয়ারের স্ত্রী শাহিদা বেগম বুরো বাংলাদেশের বানেশ্বর শাখা থেকে জাইকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত (এসএমএপি) প্রকল্পের আওতায় এক লাখ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক কৃষি কর্মসূচি সংগঠক আবদুর রহমান বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষের জন্য এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। হাতে কলমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে জৈব বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিনামূল্যে ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠালো পেপার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা দেন কৃষকদের। তবে আনোয়ার চাষ শুরু করলে অন্য কৃষকরাও এ পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হন।

এ বিষয়ে কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, মাত্র ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে ইতোমধ্যে ৬৫ হাজার টাকার শাকসবজি বিক্রি করেছি। আরও ১৫-২০ হাজার টাকার শাক ও লাউ বিক্রি হবে। তবে অর্ধেক জমিতে ঘাষ চাষ করেছি গরুকে খাওয়ানোর জন্য। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিষমুক্তভাবে সবজি চাষে বেশ সাফল্য পেয়েছি।

এ ব্যাপারে বুরো বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা এবিএম তাজুল ইসলাম জানান, আমরা দেশের ১১ জেলায় বিশেষ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। তার অংশ হিসেবে চারঘাটে আমাদের প্রোগ্রাম হয়। আনোয়ারের সাফল্য অবশ্যই ইতিবাচক। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং পরামর্শ দিয়ে ফসলের অবস্থা মনিটর করছি। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচও কমছে, একইসঙ্গে জমির মাটি ও পরিবেশ নিরাপদ থাকছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩, ২০২৩ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

ভোলায় এবার প্রথমবারের মতো বিষমুক্ত সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে বেশি ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজির ভালো চাহিদা থাকায় বেশি দামও পাওয়া যাচ্ছে।

জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ১০০ একর জমিতে ৫ শতাধিক কৃষক পরিবেশবান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় বিষমুক্ত ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, করলা, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা ক্ষেতের ফলন কেটে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন।

কৃষক মো. ইউসুফ ও বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এ সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে চাহিদা অনেক বেশি। বাজারে অন্য সবজির চেয়ে এর দামও ভালো পেয়ে থাকি। এতে আমরা অনেক লাভবান। এ ছাড়াও এ সবজি কিনতে পাইকাররা সরাসরি ক্ষেতে চলে আসেন। ভালো দাম দিয়ে কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ দাস জানান, তিনি প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চর মাদ্রাজের সব এলাকার মাঠ পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও কৃষককে ভালো ফলনের জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, তারা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চর মাদ্রাজ ইউনিয়নকে আইপিএম মডেল ইউনিয়ন করার জন্য ৫ শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছেন। ফলে কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছেন।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ ১১:০৭ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন গদখালীর ৫০০ কৃষক
কৃষি বিভাগ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের ৫০০ কৃষক বিষমুক্ত সবজি নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করছেন। এতে দারুণ সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। তাদের চাষাবাদ ঘিরে গদখালীকে বিষমুক্ত সবজি চাষের ‘মডেল’ বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা। নিজের বাঁধাকপি ক্ষেতে সেচের পানি যাতে ঠিকঠাক যায় সেদিকে নজর দিয়ে নালা কাটছিলেন মনিরুল ইসলাম। অপরপাশে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম ক্ষেতের মাটি আলগা আর ঘাস নিংড়ে দিচ্ছিলেন। এ দৃশ্য গদখালী ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামের ফসলি মাঠের। মনিরুল-মর্জিনা দম্পতি ১২ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি, ১২ শতাংশ জমিতে পটল চাষ করেছেন। এই সবজি ক্ষেতের বিশেষত্ব হলো এখানে রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ জৈবসার ও জৈব বালাইনাশক এবং ক্ষতিকর পোকা দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে হলুদ ফাঁদ পদ্ধতি।

ঝিকরগাছা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ‌‘পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের’ আওতায় সারা দেশের ২০ ইউনিয়নে কাজ চলছে। এর মধ্যে গদখালী ইউনিয়নও রয়েছে। গদখালী ইউনিয়নে ২০টি গ্রুপের কাজ চলছে। প্রতি গ্রুপে ২৫ জন কৃষক রয়েছেন। সবমিলে কৃষকের সংখ্যা ৫০০ জন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, হলুদ ফাঁদ বা সেক্স ফেরোমন পদ্ধতি ব্যবহার করায় কৃষকের পেস্টিসাইডের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমছে। মাটির গুণাগুণ ভালো থাকছে, উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি।

বারবাকপুর গ্রামের মাঠে বেগুন ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে পলি মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে দেখা গেছে কৃষকদের। পলি মালচিং পদ্ধতি—লম্বা একটা পলিথিনের মাঝে গর্ত করে তার ভেতরে সবজি ইত্যাদি রোপণ করা। এর ফলে জমিতে অতিরিক্ত সেচ লাগে না, গাছ প্রয়োজনীয় রস মাটি থেকে সংগ্রহ করে। এতে আগাছা তেমন একটা হয় না।

বারবারপুর এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘পলি মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো ও বেগুন চাষ করা হচ্ছে। কৃষিতে আধুনিকায়নের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে এসব ব্লকে। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এসব মাঠে ৯ গ্রুপে ২২৫ কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল প্রদর্শনী করা হয়েছে। রবি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, বেগুন, লাউ, টমেটো, করলা, ব্রকলি ইত্যাদি ফসল কীভাবে নিরাপদ উপায়ে চাষাবাদ করা যায়, তা এখানে হাতে-কলমে দেখানো হয়েছে।’

এসব ফসল সম্পূর্ণ নিরাপদ, কেননা এখানে কোনও রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি উল্লেখ করে আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘জৈবসার বিশেষ করে কেঁচো কম্পোস্ট আবাদের জন্য খুবই উপকারী। এই ব্লকে কৃষকরা চার হাজার ৪০০ রিংয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ১৮৫ মেট্রিক টন কেঁচো সার তৈরি করছেন। এখানকার প্রায় প্রতি বাড়িতে নারীরা কেঁচো সার তৈরি করেন এবং তারা সেগুলো ক্ষেতে ব্যবহার করেন।’

বিভিন্ন জৈবসার ও বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতি কৃষকদের শেখানো হয়েছে জানিয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রামের গাছগাছালি থেকে ছত্রাক ও বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। যেমন দুই কেজি নিমের পাতা বেটে এক লিটার পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর চার লিটার পানি মিশিয়ে তা ছাঁকতে হবে। এরপর সেটি আগুনে জ্বালিতে এক লিটার পরিমাণ করে ফেলতে হবে। এই এক লিটার নিমের রসের সঙ্গে ৯ লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করলে শোষক পোকা, ছিদ্রকারী পোকা সহজেই দমন করা সম্ভব। তেমনি, ২০ মি.লি পেঁয়াজের রসে দুই লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করলে গাছের যেকোনও পচারোগ দমন হয়ে যাবে। এমন করে প্রায় ১৭-১৮টি পদ্ধতিতে পোকা ও ছত্রাক দমন সম্ভব।’

গদখালীকে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের মডেল বানাচ্ছি জানিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—নিরাপদ উপায়ে বা জৈবিক উপায়ে ফসল উৎপাদন। দেশে বর্তমানে প্রধান আলোচিত বিষয় হলো—ফুড সিকিউরিটি ও ফুড সেফটি। ইতোমধ্যে আমরা ফুড সিকিউরিটি অর্জন করেছি, এখন ফুড সেফটির বিষয়টির ওপর জোর দিচ্ছি।’

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৭, ২০২২ ১:৪৮ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুরে বিষপ্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ
মৎস্য

গুরুদাসপুরে কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট নিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দেবত্তর গড়িলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় রমজান আলী বাদী হয়ে থানায় ৯ জনের নামে এজাহার দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগি রমজান আলী জানান, তফশীল বর্নিত পুকুরে আমি ও আমার ভাই সোবাহান ২০১৪ সাল থেকে মাছ চাষ করে আসছি। অসৎ উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে একই এলাকার গোলাম মোস্তফা পুকুরটি দখলের জন্য ইতিপূর্বে জোরপূর্বক মাছ ধরে ক্ষতিসাধন করেছে। ওই সময়ে আমাকে মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়েছিল। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনাবলি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। ৮ মাস পূর্বে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২ হাজার ৫০০ পিচ পুকুরে মাছ ছাড়ি। যা এখন বিক্রি উপযুক্ত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে পুকুরে গিয়ে দেখি পানিতে গ্যাস ট্যাবলেট কীটনাশক প্রয়োগ করে সমস্ত মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। গোলাম মোস্তফাসহ তার সহযোগিরা মাছ গুলো মেরে ফেলছে বলে তিনি দাবি করেন। এতে তার সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা মুঠোফনে জানাম, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২২ ৩:৫১ অপরাহ্ন
পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়ার চাষ করবেন যেভাবে
মৎস্য

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ করার উপায় আমাদের দেশের অনেক মৎস্য চাষিরাই জানেন না। নদী-নালায় মাছ কমে যাওয়ায় এখন অনেকেই তাদের পুকুরে মাছ চাষ করছেন। পুকুরে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে তেলাপিয়া মাছ অন্যতম। আজকে জেনে নিব পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ সম্পর্কে-

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ:
আমাদের দেশে মাছ চাষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেমনই হচ্ছে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি। এই চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দারুণ সফল হচ্ছেন চাষিরা। এ ধরনের মাছ চাষের জন্য প্রথমে পুকুরে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর তেলাপিয়া। মাছ বড় হলে আগে মলা মাছ ধরতে হবে। কারণ বাজারে এর চাহিদা অনেক। মলা মাছ বড় হতে কম সময় লাগে। মলা মাছে লাভের পরিমাণও অনেক বেশি।

প্রথমেই পুকুরে বিষ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তার পরদিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ছয়-সাতদিন পর শতাংশপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ মিলি পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।

একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেণু ছাড়তে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেণু দিতে হবে। তারপর এ মলা মাছের ওপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।

মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করতে হবে। তেলাপিয়া বাজারজাত হবে আরও পরে। সঠিকভাবে মাছের যত্ন নিলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০ থেকে ৩০০ পিসে কেজি হবে।

এভাবে মাছের বয়স ৯০ দিন হলে আনুমানিক ৯০ শতাংশ মলা মাছ বিক্রি করে ১০ শতাংশ মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়া সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২২ ৭:১৬ অপরাহ্ন
কেন্দুয়ায় মাছের সঙ্গে শত্রুতা
মৎস্য

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় শত্রুতার জেরে এক মাছচাষির ফিশারি পুকুরে বিষ (কীটনাশক) প্রয়োগ করে অন্তত ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরবেলা ওই ফিশারী পুকুরের মালিক আলাল মিয়া পুকুর পাড়ে গেলে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার সাধারণ মানুষ ঘটনাটি দেখতে পুকুরে গিয়ে ভিড় করেন। ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি আলাল মিয়া কেন্দুয়া পৌরশহরের তুরুকপাড়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, আলাল মিয়া পাশের কুন্ডুলী গ্রামে ৪টি পুকুর লিজ নিয়ে পাঙ্গাস, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে মাছগুলো বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন আলাল। সম্প্রতি কুন্ডুলী গ্রামের ইউপি সদস্য সুহেল মিয়া, তার ভাই মস্তু মিয়া ও মান্নান মিয়া গংদের সঙ্গে আলাল মিয়ার বিরোধ দেখা দিলে পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। পরে এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেন আলাল।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে আলাল মিয়া প্রতিদিনের মতো তার ফিশারী পুকুরে গেলে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন। পরে বিষয়টি কেন্দুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ফিশারী মালিক আলাল মিয়া জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রায় দেড় মাস আগে কুন্ডুলী গ্রামের সুহেল মেম্বার, তার ভাই মস্তু মিয়া ও মান্নান মিয়া গংরা আমার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় তখন আমি কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। তারই জেরে আমার ফিশারিতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সুহেল মিয়া বলেন, মাছের সঙ্গে এমন কাজ কোনো মানুষ করতে পারে না। কেউ যদি করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনা হোক। এছাড়া গ্রামের একটি মারামারি মামলায় আমরা সবাই বাড়ি ছাড়া। এই কাজ আমাদের কেউ করেনি।

কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৎস্য অফিসারকে বলেছি, তারা পুকুরের পানি সংগ্রহ করেছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৪:৫০ অপরাহ্ন
বিষপ্রয়োগে তিন পুকুরের মাছ নিধন!
মৎস্য

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৫-৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তিনটি পুকুরের মধ্যে একটি পুকুরে এমন ক্ষতিতে মাছ চাষি আলাউদ্দিনের এখন দিশেহারা।

আশংকায় আছেন তার অন্য দুইটি পুকুরের মাছ নিয়ে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে।

মাছ চাষি আলাউদ্দিন জানান, আমি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকসা এলাকায় তিনটি পুকুরে প্রায় ১ একর জায়গার উপর পুকুর খনন করে আমি কয়েক বছর ধরে পুকুরে মাছ চাষ করছি।

এর মধ্যে একটি পুকুরে এবার পুকুরে রুই,সিলভারকাপ, বৃগেড, মৃগেল, কাতলা, সরপুঁটি, ঘাসকাপ, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছি। এতে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। কিন্তু রোববার ভোর রাতের কোনো এক সময় আমার ক্ষতিকরার উদ্দেশ্যে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে। সকালে এসে দেখি মাছ গুলো পুকুরের পানিতে ভেসে উঠছে।

প্রথমে গ্যাসের অভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে ভাবলেও সকালে পুকুরের পাড়ে দুটি শপিং বেগ পরে থাকতে দেখি। মনে হচ্ছ পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমার প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা এমন একটি সংবাদ পেয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ দায়ের করা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop