মুরগির মহামারি প্রতিরোধে খামারির করণীয়
পোলট্রি
আমাদের দেশের অনেকেই এখন অধিক লাভের আশায় মুরগির খামারের দিকে ঝুঁকছেন। আর এই খামার করে অনেকে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে খামারে মুরগির জটিল রোগের জন্য উন্নত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে মুরগির মহামারি খুব জটিল। মহামারি দেখা দিলে অনেক মুরগি মারা যায় আর খামারিরা পড়েন লসের ভাগে। আর এই সম্পর্কে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে লসের পাল্লা কম হবে খামারিদের।
মহামারি প্রতিরোধে যা করবেন:
মহামারি প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খামারের যত্ন নেয়া। কোনভাবেই খামারে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ রাখা যাবে না। মুরগির খামারের ভেতরে কোন স্থান যদি ভিজে যায় বা স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে তা দ্রুত শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।এছাড়া খামারের ভিতরে ব্যবহারের জন্য আলাদা পোষাক রাখতে হবে। বহিরাগতদের জন্য আলাদা পোষাক রাখতে হবে। বাইরের কাউকে খামারে প্রবেশ করাতে হবে জীবাণুমুক্ত ও গোসল করিয়ে তারপর প্রবেশ করাতে হবে।
কোন খামারে রোগের আক্রমণের খবর পাওয়া গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রোগে আক্রান্ত হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখির মাধ্যমে যাতে খামারে এ রোগের বিস্তার ঘটতে না পারে সেজন্য খামারের চারদিক দিয়ে উচু করে বেড়া দিয়ে দিতে হবে। খামারে দৈনন্দিন ব্যবহার হওয়া জিনিসপত্র ডিমের ট্রে,খাদ্যের পাত্র, পানির পাত্র, ইত্যাদি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
খামারের মৃত মুরগি গর্ত করে ২ মিটার মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে। কোন অবস্থায় বাহিরে ফেলা যাবে না।খামারে প্রবেশ পথ ও চারপাশের বেশ কিছু অংশে নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে দিতে হবে। এতে সহজেই খামারে রোগের আক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে না।