৮ হাজার হেক্টর জমির ধান ডুবে গেছে বন্যায়
কৃষি বিভাগ
চলনবিলের আট উপজেলার রোপা আমন ধান বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে। আমনের ভরা মৌসুমে যখন ক্ষেতজুড়ে ফসলের সমারোহ, ঠিক তখনই অসময়ের বন্যায় তলিয়ে গেল আট হাজার হেক্টর জমির ধান। এ অবস্থায় আমনের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা কৃষকের।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া; পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া; নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রমতে, অসময়ের বন্যায় চলনবিলের প্রায় আট হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনের বর্ষণ ও বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে শুধু তাড়াশ উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমির সদ্য রোপণ করা রোপা আমন ধান ডুবে গেছে।
উপজেলার মালশিন গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ভাদ্র মাসের শুরুতে তাড়াশে ১২-১৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানি বৃদ্ধি, ভারি বর্ষণ ও বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠের জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকের স্বপ্ন সবুজ ধান ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ডুবে যাওয়া জমির পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদনদীর পানি বৃদ্ধি ও স্থানীয়ভাবে জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় আট হাজার হেক্টর জমির সদ্য লাগানো রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে।
চলনবিলের তজির হোসেন, মনোয়ার হোসেন, দুদু মণ্ডলসহ একাধিক কৃষক জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে চলনবিলের কৃষকের বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বন্যার পানি নেমে গেলেও আবারও রোপা আমন ধান লাগাতে কৃষকরা চারা বীজের সংকটে পড়বেন।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা। এ এলাকার অধিকাংশ ফসলি জমি নিচু। তাই অল্প পানিতেই ফসল তলিয়ে যায়। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর কারও হাত নেই। তবে বন্যার পানি নেমে গেলে ডুবে যাওয়া রোপা আমন ধান ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।