১২:১৯ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ৭:১৭ অপরাহ্ন
ধান ভাঙার মেশিনে চুল আটকে নারীর মৃত্যু
কৃষি বিভাগ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ধান ভাঙানোর মেশিনের ফিতায় চুল আটকে এক নারীর করুন মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মাইজকান্দি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

মৃত খোদেজা আক্তার (৪৮) একই গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী।

স্বামী লাল মিয়া জানান, শনিবার সকালে তিন মণ ধান গ্রামের বকুল মেম্বারের ধান ভাঙানোর মেশিনে ভাঙাতে নিয়ে যাই। এ সময় আমাকে সহযোগিতা করতে আমার স্ত্রীও আমার স আসে। ধান ভাঙানোর শেষ পর্যায়ে মেশিনের নিচ থেকে ধানের কুড়া সরিয়ে আনার চেষ্টা করে আমার স্ত্রী। তখন অসাবধানতাবশত মেশিনের ফিতায় তার মাথার চুল আটকে যায়। একপর্যায়ে তার মাথার খুলির ওপরের অংশ ছুটে যায়। এ অবস্থায় তাকে দ্রুত কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কেন্দুয়া ওসি মো. আলী হোসেন জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:৩০ অপরাহ্ন
রোপা-আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত আত্রাইয়ে কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

উত্তর জনপদের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি আমন মৌসুমে সবুজ নীলিমায় একাকার বিস্তীর্ণ প্রতিটি ফসলের মাঠ। দিগন্তজুড়ে যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠে এখন রোপা-আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বোরো কর্তন শেষে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামছেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।। রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজম প্রামাণিক বলেন, এবার আমার মনে হচ্ছে বন্যার আশঙ্কা নেই, তাই অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমরা অধিকহারে আমন ধান চাষ করেছি। আশা করছি, এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার শলিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মতো পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবার বড় ধরনের বন্যা না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হব এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ছামাদ প্রামাণিক বলেন, এবার স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, চিনি আতপ জিরাশাল ও ব্রি-৭৫.৯০ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে সুমন স্বর্ণা ও জিরাশাল চাষ করছি। তবে যেসব জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হবে, কেবল ওই জমিতে জিরাশাল ধান রোপণ হয়েছে।

উপজেলার তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, রোপা-আমন ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন আমন চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তাপশ কুমার রায় বলেন, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার এ উপজেলার কোথাও কোন পোকা-মাকরের আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ন
বোরোর বাম্পার ফলনে খুশি নওগাঁর চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এই অঞ্চলের মাটিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের বেশি উৎপাদন হয়।

জানা যায়, চলতি বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা সময় মতো সেচ দিতে পেরেছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত খোজ খবর নিয়েছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমির সঠিক পরিচর্যা করতে পারায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এখানকার কৃষকরা ইস্পাহানী-৮, বেবিলন, হীরা, মেটাল সীড হাইব্রিড, আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো ধানে আবাদ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে মাড়াই করে শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে নিয়ামতপুরের ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আর ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমিতে সঠিক পরিচর্যা করাতে বেশি ফলন হয়েছে। আমি বিঘায় ২৪-২৮ মণ ফলন পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করি লাভবনা হতে পারবো।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি এই মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। জমিতে সময় মতো সার, সেচ দিতে পেরেছি। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের রোগবালাই কম হয়েছে। ফলন বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার ২ বিঘা জমির ধান কেটেছি। এতে বিঘাপ্রতি ২৫ মণ করে ফলন পেয়েছি। বর্তমান বাজারে ১২০০-১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কৃষকদের আগাম ধান চাষের জন্য উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগ থেকৈ সার, বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলার ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার উৎসবে মেতেছেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৫:৩২ অপরাহ্ন
এবছর বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে। হাওরে বোরো ধান কাটা চলছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে। আশা করি, ৩০ তারিখের মধ্যেই হাওরের ধান কাটা হয়ে যাবে, এবার ধান কাটায় কোন সমস্যা হবে না।

আজ বুধবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডেকার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাওরে ধানকে ঝুঁকিমুক্ত, শঙ্কামুক্ত করতে সরকারের নানান পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে প্রতিবছর আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা এমনভাবে কাজ করছি, ইনশাআল্লাহ আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে হাওরের ধান হবে ঝুঁকিমুক্ত ও শঙ্কামুক্ত। পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা ৭০% ভর্তুকিতে হাওরে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে যাচ্ছি। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। গত কয়েক বছর ধরে দ্রুততার সাথে ধান কাটা যাচ্ছে। ফলে হাওরের ধান নিয়ে শঙ্কা অনেকটা কমে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া আমরা স্বল্পজীবনকালীন ও ঠাণ্ডাসহিষ্ণু আগাম জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে ১৫ দিন আগেই ধান পাকে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছেন। এ জাতগুলো দ্রুত সম্প্রসারণ করতে পারলে হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে কোন শঙ্কা থাকবে না। পানি আসার আগেই ঘরে ধান তোলা যাবে।

ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ জাতের ধান চাষ না করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান মন্ত্রী। বলেন, ব্রি ২৮ জাতটি পুরনো হয়ে গেছে, সহজেই ব্লাস্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, উৎপাদনশীলতাও কমে গেছে। ব্রি ২৯ একটু দেরিতে পাকে। এসব জাতের পরিবর্তে উচ্চ উৎপাদনশীল নতুন জাত যেমন ব্রি- ৮১, ব্রি- ৮৯, ব্রি- ৯২ চাষ করতে হবে। এদের ফলন প্রতি শতকে এক মণেরও বেশি।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এবছর ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২ কোটি ২ লাখ টন চাল।

এদিকে হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাওরের ৩৫% ধান কাটা হয়েছে। হাওরে এবছর বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর এই ৭টি জেলায় মোট বোরো আবাদ হয়েছে (হাওর ও উচুঁ জমি মিলে) ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল।

উল্লেখ্য, এবছর বোরোর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল। সারা দেশের প্রায় ২৭ লাখ কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তিন মন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তিন মন্ত্রী। এ সময় তারা একসঙ্গে ধান কাটেন।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উৎসবে যোগ দেন তারা। তিন মন্ত্রী হলেন- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে হাওরে ধানের চাষাবাদ করে। কিন্তু আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। এ বছর হাওরে এসে খুব ভালো লাগছে বোরো ধানের ফলন দেখে। এরই মধ্যে হাওরের ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, যে বছর হাওরের ধান হয়, সে বছর সারাদেশের মানুষ খেতে পারেন। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায়, সে বছর খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এবার বন্যার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। এরই মধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরের ধান কাটছে।

এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জলাভূমি হাওরে আর কোনো সড়ক নির্মাণ হবে না।  হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হবেনা।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরে ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ হবে না। বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় যদি ১০০ দিন করা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২৩ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

হবিগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ জমি থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগ জানায়, আগামী ১০ এপ্রিলের পর থেকে হাওরে ধান কাটা শুরু হবে। ব্রি-২৮ ও হাইব্রিড জাতের ধান প্রথম পর্যায়ে কাটা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাওরে জমির পরিচর্যায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশিরভাগ জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়া শেষ।

কোথাও ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে শুধুমাত্র সেই জমিগুলোতে চলছে শেষ দফার কীটনাশক ছেটানোর কাজ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলার ৯ উপজেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৫ দশমিক ২ মেট্রিক টন হিসেবে এবার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের বাজার দর ৩০ টাকা হলে এবার জেলায় ১ হাজার ৯১২ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, গত বছর বোরো ধানের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা ছিল। এবার কেজিতে কমপক্ষে দু’টাকা বাড়বে।

তিনি আরও জানান, গত বছর বোরোর আবাদ প্রায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। এবার সেই সমস্যা হয়নি। ফলে ধানের ফলন ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। অল্প পরিমাণ জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ার পর সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। বোরোতে এবার আর কোনো সমস্যা নেই।

ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২৩ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে যা করবেন
কৃষি গবেষনা

ধানের ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত ব্লাস্ট রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ রোগের আক্রমণে ফলন শতভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোন সময় রোগটি দেখা দিতে পারে। এটি ধানের পাতা, গিট এবং নেক বা শীষে আক্রমণ করে থাকে। সে অনুযায়ী রোগটি পাতা ব্লাস্ট, গিট ব্লাস্ট ও নেক ব্লাস্ট নামে পরিচিত।

আমন মৌসুমে সবি সুগন্ধি জাতে এবং বোরো মৌসুমে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৫০, ব্রিধান-৬৩, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৪, ব্রিধান-৮৮সহ সরু আগাম সুগন্ধি জাতে শীষ ব্লাস্ট রোগ বেশি হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধে কী করবেন সে করণীয় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

রোগ আক্রমণের পরে করণীয়:
১. আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে।
২. ব্লাস্ট রোগের প্রাথমিক অবস্থায় জমিতে ১-২ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে পারলে এ রোগের ব্যাপকতা অনেকাংশে হ্রাস পায়। শুকনা জমিতে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
৩. পাতা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

৪. ব্লাস্ট রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত ছড়ায়। দিনের বেলায় গরম (২৫-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) ও রাতে ঠাণ্ডা (২০-২২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড), শিশিরে ভেজা দীর্ঘ সকাল, অধিক আর্দ্রতা (৮৫% বা তার অধিক), মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করলে ধানের জমিতে রোগ হোক আর না হোক, থোর ফেটে শিষ বের হওয়ার সময় একবার এবং ৫-৭ দিন পর আরেকবার ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাই-ফ্লক্সিস্টোবিন ২৫ শতাংশ গ্রুপের ছত্রাকনাশক অথবা ৮ গ্রাম ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৩ ১০:৩১ অপরাহ্ন
বরিশালে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর ব্রি’র হলরুমে কৃষি ডিএইর উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. একরামুল হক। কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএই পিরোজপুরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম শিকদার।

বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, বরিশালের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান, পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, সহকারী আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, বরিশালের ডিটিও মোসাম্মৎ মরিয়ম, ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক ইসরাত জাহান মিলি, পিরোজপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলী আজম শরীফ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোর্শেদা আক্তার মিমি, নলছিটির কৃষক মোবারক হাওলাদার প্রমুখ।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, আগে ধান-গম-পাটের মানসম্মত বীজ সরবরাহে বিএডিসির সক্ষমতা ছিল শতকরা ৮-৯ ভাগ। এই প্রকল্প চলমান অবস্থায় একই প্রতিষ্ঠান হতে সারাদেশে এখন ২৫ ভাগের ওপর বীজ সরবরাহ হচ্ছে। তাই বীজের উৎপাদন আরো বাড়ানো দরকার। এজন্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য কৃষকদের আরো লাভবান করা। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা করা সম্ভব। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৩ ১:৪৬ অপরাহ্ন
প্রযুক্তি ব্যবহারে ধানের জাত উদ্ভাবনে সময় কমছে ৫-৭ বছর
কৃষি গবেষনা

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময় ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত, এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) দুই দিনব্যাপী ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং (টিআরবি) শীর্ষক কর্মশালা বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানান। রোববার (৫ মার্চ) গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল রাইচ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্ল্যাটফর্ম লিডার ড. হ্যান্স রাজ ভারদোয়াজ, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ড. গ্যারি এটলিন।

ইরি ও ব্রির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইরি বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র উদ্ভিদ প্রজননবিদ ড. রফিকুল ইসলাম। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চলমান ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং বা টিআরবি প্রকল্পের হালনাগাদ অগ্রগতি ও অর্জন উপস্থাপন করেন ব্রির মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ড. খোন্দকার মো. ইফতেখারুদৌলা। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. হাসানুজ্জামান রনি।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়নে ব্রিতে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতজাতের ধান গবেষণার বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা নিয়ে কর্মশালায় আলোকপাত করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ব্রি মহাপরচিালক মো. শাহজাহান কবীর বলনে, বিএমজিএফের আর্থিক সহায়তায় ও ইরির কারিগরি সহায়তায় ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং বা টিআরবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময়কাল ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত, এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।

তিনি বলেন, গবেষণা কার্যক্রমের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগামী দিনে ধানের জাতে জেনেটিক গেইন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক ধানের জাত উদ্ভাবনে ব্রির সক্ষমতা বেড়েছে। ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিংয়ের পাশাপাশি জাত উদ্ভাবনের সময় কমানোর জন্য আমরা স্পিড ব্রির্ডি কৌশল অবলম্বন করছি।

ব্রির পরিচালক (গবষেণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, টিআরবি কৌশল অনুসরণের মাধ্যমে ধানের ফলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমাকে অতিক্রম করা যাবে। এ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ফলন স্তরকে অতিক্রম করে তৃতীয় স্তরের উচ্চ ফলনশীল ও গুণগত মানসম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক দুই লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮টি ফিক্সড লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা থেকে প্রতিনিয়ত নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে ব্যাকক্রস কৌশল ব্যবহার করে প্রতি শীষে ৮৫০টি পুষ্ট দানা উৎপাদনক্ষম কৌলিক সারি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা বর্তমানে অষ্টম প্রজন্মে রয়েছে। যেখান থেকে ভবিষ্যতে আরও অধিক উৎপাদনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

কর্মশালায় ব্রি, বিনা, ইরি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিজ্ঞানী, সরকারি-বেসরকারি বীজ উৎপাদক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ নেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩ ৭:৪১ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন চান বাকৃবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস

রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন চান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তাঁরা এই দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ দেবেশ সরকার বলেন, ‘১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি ছাড়া সমাবর্তনের আয়োজন করে সেই মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। আমরা এই সমাবর্তন চাই না।’

বাকৃবির অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘সমাবর্তনের প্রাণ চ্যান্সেলর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।’

বাকৃবির অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কারও বিরুদ্ধে না। প্রয়োজনে সমাবর্তনের সময় পিছিয়ে হলেও রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন চাই।’

বাকৃবির সমাবর্তনে দিনের কর্মসূচিতে রাতের সময়সূচি বাকৃবির সমাবর্তনে দিনের কর্মসূচিতে রাতের সময়সূচি
এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিগত ৬১ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র আটটি সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি ছাড়া আমরা অষ্টম সমাবর্তন চাই না। কারণ, ময়মনসিংহ রাষ্ট্রপতির এলাকা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নিজের বলে আমরা মনে করি। ইতিমধ্যে তিনি যেহেতু দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন। সেহেতু সময় নিয়ে হলেও রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে আমরা সমাবর্তন চাই।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এম এইচ সরকার রিফাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা জুয়েনা, শিক্ষার্থী রুহুল কবীর রিয়াদ, ফজলে রাব্বি, তারিক জামান জয়, আব্দুল্লাহ আল বাকি প্রমুখ। মানববন্ধনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রা র মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানববন্ধন করলেও কিছু করার নেই। নির্ধারিত তারিখেই সমাবর্তন হবে এবং তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুশাসনেই হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop