ইলিশ গেছে ভারতে, দাম বেড়েছে বাংলাদেশে
মৎস্য
ইলিশ চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কারণ ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। আর তাতেই বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে।
কোলকাতার বাজারে বৃহস্পতিবারই উঠেছে বাংলাদেশের ইলিশ। বুধবার রাতেই বেনাপোল দিয়ে ইলিশের চালান ভারতে যায়। হাওড়াসহ পাইকারি বাজার হয়ে সেই ইলিশ এখন কোলকাতার বাজারে। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ইলিশ রপ্তানি চলবে। পূজা উপলক্ষে মোট দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হবে। ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে। ৫২ জন রপ্তানিকারক এই রপ্তানির অনুমতি পেয়েছেন। প্রত্যেক রপ্তানিকারক ৪০ টন করে রপ্তানি করতে পারবেন।
বেনাপোলের ইলিশ রপ্তানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নুরুল আমিন বিশ্বাস জানান, “বুধবার রাত থেকে রপ্তানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে ৭৮ টনের বেশি ইলিশ পাঠানো হয়েছে ভারতে।
বৃহস্পতিবার প্রায় একই পরিমাণ রপ্তানি হবে।” তারা ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ তারা ১০ ডলারে রপ্তানি করছেন। তবে তিনি জানান, ইলিশ রপ্তানিকারকেরা ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করেন। বাজারে যে দামে শেষ পর্যন্ত বিক্রি হবে তার ওপর তারা লাভ ভাগাভাগি করে নেবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রধানত হাওড়া, শিয়ালদা ও পাটিয়াপুকুর পাইকারি বাজারে ইলিশ যায়। সেখান থেকে কোলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন খুচরা বাজারে ইলিশ বিক্রি হয়।
এদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হওয়ার আগেই রপ্তানি হবে এই খবরেই বাংলাদেশে ইলিশের দাম বাড়া শুরু করে। আর রপ্তানি শুরুর পর দাম বাড়া অব্যাহত আছে।
ঢাকার কারওয়ান বাজারেও ইলিশের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে বড় আবারের ইলিশের সরবরাহ কমে গেছে বলে জানান ইলিশ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন। তিনি মনে করেন, সরবরাহ দুই-একদিনে আরো কমে যাবে। তিনি জানান, গত দুই দিনে হঠাৎ করেই ইলিশের দাম কেজিতে গড়ে ২০০ টাকা বেড়ে গেছে।
২০১২ সালে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে আবার রপ্তানি শুরু হয়। তখন থেকে প্রতি বছর ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি হতো। কিন্তু এবার রপ্তানি করা হচ্ছে চারগুণেরও বেশি। গত বছর বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরন করা হয়। বাংলাদেশে মোট মৎস উৎপাদনে ইলিশের পরিমান ১২.৫ ভাগ।