৫:১৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:০৭ অপরাহ্ন
পুকুরে মিলল ২০ ইলিশ
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়ায় পুকুরে মিললো ২০টি ইলিশ মাছ। আশ্চর্যজনক এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ইলিশ দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমান স্থানীয় অনিমেষ মণ্ডলের পুকুর পাড়ে।

জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার লতাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ মণ্ডল শুক্রবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলে নিয়ে মাছ ধরতে পুকুরে নামেন। এরপর তাদের জালে একে একে ২০টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।

খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামের একটি পুকুরে ২০টি ইলিশ মাছ পাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।

তিনি বলেন, ‘চটচটিয়া নদীর ১০০ ফুট দূরে অনিমেষের ১২০ শতক জমির একটি ঘের রয়েছে। এই ঘেরে জোয়ারের সময় পানি তোলা হয়। এ কারণে ওই পানির সঙ্গে জাটকা ঘেরে আসতে পারে। আর ওই ঘেরের পাশেই রয়েছে অনিমেষের পুকুর। সেখানে ৬-৭ ফুট পানি থাকে। ঘেরের পানি ওই পুকুরে মেশে। আবার বর্ষার সময় এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পানির সঙ্গে নদী থেকে জাটকা ঘের হয়ে পুকুরে আসতে পারে। আর ইলিশ গভীর পানির মাছ। হয়তো ছোট পোনা পানির সঙ্গে ঢুকে পড়ে বদ্ধ জায়গায় ৬-৭ ফুট পানিতে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ করা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সুখবর পাওয়ার আশা করতে পারি।’

অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। এর আগে আমরা কখনও পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই।

স্থানীয় প্রবীণ জেলে সুকুমার বলেন, ‘নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের সরাসরি কোনও সংযোগ নেই। মাঝে ঘের রয়েছে। ঘেরে নদী থেকে পানি তোলা হয়। আবার বর্ষায় পানিতে সব একাকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেলো।’

ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ হয়– বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয় না। অনিমেষের পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।’

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩ ৯:৫৯ অপরাহ্ন
মাছ শিকারে দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

ইলিশসহ সকল প্রকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস সকল প্রকার মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ভোলার মেঘনার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ও তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১শত ৯০ কিলোমিটার এলাকার দুইটি অভয়াশ্রমেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। মাছ শিকার থেকে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা মাছ শিকার করবে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা হবে বিশেষ অভিযান।

অক্টোবরের প্রজনন মৌসূমে ডিম ছাড়ার পর বর্তমান সময়টি ইলিশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় ইলিশ জাটকা থেকে বেড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। ইলিশের বেড়ে ওঠার পাশা-পাশি অন্যান্য মাছ এসময় নদীতে ডিম ছাড়ে বিধায় ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেতুঁলিয়ার ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তমের ১ শত কিলোমিটারসহ মোট ১ শত ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ১ মার্চ থেকে ইলিশসহ সকল মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। জেলেদেরকে এসময় মাছ শিকার থেকে বিরত রাখতে মৎস্য বিভাগ ভোলা জেলার ১শত ৩২ টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষ প্রচার-প্রচারণা। জেলেরাও মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে প্রস্তুত। তবে তাদের দাবি প্রতি বছরই তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে কিন্তু প্রভাবশালীরা অবৈধ জাল দিয়ে ইলিশসহ অন্যান্য মাছগুলো নষ্ট করে ফেলে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে গুরুত্ব দেয় না। জেলেরা বলছেন,এ দু’মাস তাদেরকে খুব কষ্টে থাকতে হয়। ঠিকমতো ঋণের কিস্তি দিতে পারেন না। অনেকে বিকল্প কাজ যোগার করতে ব্যর্থ হন। তাদের জন্য প্রনোদনা হিসাবে জন প্রতি ৪০ কেজি করে ২ মাসের যে চাল বরাদ্দ করা হয় তাও তারা সময় মতো পান না। শুধু কোনদিন আর চাল নয় এর পাশাপাশি বিকল্পকর্মসংস্থান তৈরি করা ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার দাবিও করছেন জেলেরা।

ভোলার নাসির মাঝি ঘাটের জেলে মোহাম্মদ নুর উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক বছরই আমরা ছোট-খাটো যে সমস্ত জেলেরা রয়েছি তারা অভিযান মেনে চলি। এবারও মেনে চলবো। কিন্তু প্রভাবশালী কিছু জেলেরা রয়েছে, যাদেরকে বড় বড় গডফাদাররা নেতৃত্ব দেয় তারা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে অভিযানের সময় এবং অভিযানের বাইরেও মাছ শিকার করে। সেগুলো বন্ধ করতে না পারলে অভিযান সফল হবে না।

ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানিয়েছেন, নিষিদ্ধকালীন সময় জেলেরা যাতে মাছ শিকার না করে সেজন্য প্রত্যেকটি ঘাটে, হাটবাজারে সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। এছাড়া দু’মাস অভয়াশ্রমে জেলেদেরকে মাছ শিকার থেকে বিরত রাখার জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার চাল আগামী ১০ দিনের মধ্যেই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। জেলেদের যে সমস্ত সমিতির ঋণের কিস্তি রয়েছে সেগুলো যাতে নিষেধাজ্ঞার এই দুই মাস বন্ধ রাখা যায় সে বিষয়েও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তবে আইন অমান্যকারী জেলেদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

জেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮ শত ১৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। নিবন্ধনের বাইরেও রয়েছে আরো অন্তত ২ লাখ জেলে। জাটকা রক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৮৯ হাজার ৪ শত ১০ জন জেলেকে ২ মাস ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
মাদারিপুরের খালে মিলল ইলিশ
মৎস্য

মাদারীপুরের ডাসারে খালে মিলল ইলিশ মাছ। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপু‌রে ডাসার উপজেলার একটি খালে ইলিশটি মাছ পাওয়া যায়। সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যমে বিষয়‌টি নি‌য়ে তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়েছে।

জেলে ইউসুফ বেপারি জানান, আমি জীবনেও কল্পনা করিনি যে এত ছোট খালে ভেসালে আমি ইলিশ মাছ পাব। খালটি ডাসার খাল নামে পরিচিত। এসময় ইলিশ মাছ পাওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা মাছটিকে এক নজর দেখতে ভিড় করে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ হো‌সেন জানান,আমদের বাড়ির পাশের খালটিতে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হলে খালে ভেসালসহ অন্যান্য উপায়ে মাছ শিকারিরা মাছ ধরে। এ খালে ছোট বড় নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এ প্রথম ইলিশ মাছ পাওয়ার ঘটনা ঘটে। সত্যিই অবাক হওয়ার মতো।

ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন বলেন, যদিও নদী থেকে খালটি অনেক দূরে তবে নদীর সঙ্গে খালটির সংযোগ থাকার কারণে ইলিশ মাছটি আসতে পারে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১০:০২ অপরাহ্ন
ইলিশ পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কায় মেঘনা পাড়ের জেলেরা
মৎস্য

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার মধ্য রাত থেকে ইলিশ আহরণে নামবেন জেলেরা। ইতোমধ্যে জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা মেরামত ও জাল প্রস্তুত করেছেন।

তবে জেলেদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও বিরাজ করছে। তারা মা ইলিশ রক্ষার সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু জেলে নির্বিচারে মা ইলিশ ধরায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যে কারণে তারা এখন নদীতে নেমে ইলিশ পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কায় আছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের জেলে আলমগীর হোসেন জানান, সরকার মা ইলিশ রক্ষায় যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা আমরা মেনেছি। আমরা নদীতে নামিনি। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ও মৌসুমী জেলে ঠিকই মা ইলিশ নিধন করে টাকা কামিয়েছে।

একই এলাকার জেলে এনায়েত উল্যাহ ও ওমর ফারুক জানান, বছরে দুইবার ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমরা সব কিছুই মানি। কিন্তু এসময় আমাদের সংসার চলে না। প্রতিবছর এ সময়টা আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। ঋণ করে চলতে হয়। বছর শেষে দেখা যায় একেকজন ২০-৩০ হাজার টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে যে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়, তা সঠিক ওজনে না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।

তারা বলেন, বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিসিনপত্রের যে দাম, ২৫ কেজি চাল দিয়ে ৫-৭ জনের সংসার চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। সরকার আমাদের বিষয়ে আরো দৃষ্টি দেয়া দরকার।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, চাঁদপুর জেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসব সিদ্ধান্ত আমরা শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। জেলেদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আশা করছি ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ইলিশ ধরার অপেক্ষায় জেলেরা, রাতেই শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)। ফলে মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারবেন জেলেরা।

এরই মধ্যে সাগরে নামতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন বরগুনার জেলেরা।

জেলেদের অভিযোগ, দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের উৎপাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকার করতে পারেন না। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলেদের স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে তারা।

জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। টানা ২২ দিন পর আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পারবেন বলে খুশি জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ধারদেনা করে চালিয়েছেন অনেক জেলে। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়লে সেই ধারদেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

জানা যায়, জেলেরা সাগরে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জাল ঠিক করছেন আবার কেউ নৌকা মেরামত করছেন। মধ্যরাত হলেই সাগরে নেমে পড়বেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী টলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, র‍্যাব যেভাবে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলদস্যু নির্মূল করেছে ঠিক সেভাবে ভারতীয় জেলেদের দমন করতে না পারলে জেলেরা না খেয়ে মরবে। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করলে দেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ঢুকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে যাতে পশ্চিমের বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জোর দাবি জানাই।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, দেশে ইলিশের পরিমাণ বাড়াতে অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফলতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছি। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলায় ৩৭ হাজার ৭০ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার,আটক দুই
মৎস্য

চলতি ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের দায়ে মোংলায় দুই জেলেকে আটক করেছে মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ড।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পশুর ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে অভিযান চালায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদস্যরা।

এ সময় আইন অমান্য করে মাছ ধরার সময় পশুর নদীর জয়মনিরঘোল এলাকার আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে মন্টু শেখ (৩৮) ও আঃ রশিদ খাঁনের ছেলে তিতুমির খাঁন (১৮)কে আটক করা হয়। এছাড়া এ সময় ১৮ হাজার মিটার বেহুন্দী জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল ও আটক জেলেদের মোংলা ফেরিঘাটে আনা হয়। সেখানে ওই দুই জেলের প্রত্যেককে নগদ এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদারের মোবাইল কোর্ট। জব্দকৃত জাল সেখানে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামসহ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

এর আগে সোমবারের অভিযানে জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার নেট জাল ও ৩ হাজার মিটার বেহুন্দী জাল ফেরিঘাট এলাকায় আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত করা হয়।

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
কেশবপুরে ইলিশ মাছ জব্দ
মৎস্য

যশোরের কেশবপুরে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীর মাছ জব্দ করেছে মৎস্য অফিস।

সোমবার দুপুরে শহরের মাছ বাজার থেকে ওই মাছ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

মৎস্য অফিস জানায়, শহরের মাছ বাজার এলাকায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ বিক্রি করছিলেন উপজেলার ভোগতীনরেন্দ্রপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ।

খবর পেয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আনুমানিক ৭ কেজি নোনা ইলিশ মাছ জব্দ করেন। পরে তিনি জব্দ ইলিশ মাছ কেশবপুর শিশু সদন এতিমখানায় বিতরণ করে দেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২২ ৯:১৮ অপরাহ্ন
ইলিশের প্রজনন বাড়তে পারে কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে
মৎস্য

প্রজনন সময়ে মা-ইলিশ শিকার বন্ধ রাখতে সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে মা-ইলিশের বিচরণ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মাছ শিকারের এ নিষিদ্ধ সময়ে কুড়িগ্রামের ইলিশ জেলেদের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১শ’ ৮৭ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। মৎস্য বিভাগের তালিকাভুক্ত জেলেদের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবী এই চাল পাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) কালিপদ রায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলাকে ইলিশ জোনভুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে জেলার ইলিশ জেলেদের জন্য প্রণোদনা হিসেবে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল দেওয়া শুরু হয়। তখন থেকে প্রতিবছর খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন ইলিশ জেলেরা।

মৎস্য বিভাগ জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার ৩৬৬ জন তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ উপজেলার ( সদর, নাগেশ্বরী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) ৭ হাজার ৫০০ দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে মাথাপিছু ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে মাছ আহরণে বিরত রাখতে পারলে ইলিশ প্রজননে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টরা।

ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোতে পানির প্রবাহ থাকায় চলতি বছর কিছুটা আগে থেকে জেলার নদ-নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। গত ১৫-২০ দিন আগে থেকে বাজারে সীমিত পরিমাণে স্থানীয়ভাবে শিকার করা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে এ বছর প্রজনন মৌসুমের এই সময়টাতে জেলার নদ-নদীতে ইলিশের আগমন আগের সময়ের তুলনায় বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করছে মৎস্য বিভাগ।

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২২ ৩:১৯ অপরাহ্ন
মা ইলিশ জব্দ,এতিমখানায় বিতরণ
Uncategorized

ভোলার দৌলতখানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ বিক্রি করার সময় দেড়শ কেজি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করেছেন উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও থানা পুলিশ।

গতকাল নিষেধাজ্ঞার প্রথম প্রহরে পৌর শহরের দক্ষিণ মাথার সেলিম চত্বরের মাছবাজারে অভিযান চালান তারা। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরে জব্দ মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুল হাসনাইন জানান, মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকারের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময় সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রিয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্য করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে উপজেলার মাছঘাট ও বাজারগুলোতে সচেতনতা সভা, প্রচার-প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইলিশ শিকারে না যেতে মসজিদের মাইকে এলাউন্স করে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, বৃহম্পতিবার রাত সাড়ে সাতটায় পৌর শহরের সেলিম চত্বরের মাছবাজারে গিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায়ীর শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার প্রথম প্রহরে জনবহুলস্থানে এসব অবৈধ মাছ বিক্রি করছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় মেঘনা নদীর ১৫০ কেজি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা সটকে পড়লে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে এসব মাছ রহিমা বেগম এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

প্রকাশ : অক্টোবর ৬, ২০২২ ৫:৩৭ অপরাহ্ন
গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

গত একযুগে দেশে ইলিশ আহরণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদনে একসময় খারাপ অবস্থা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, ইলিশ সমৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট গবেষণা ও বর্তমান সরকারের গৃহিত ব্যবস্থাপনায় ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে গত ১২ বছরে ইলিশ আহরণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ ছিল ২ দশমিক ৯৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ইলিশের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বত্র মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে। ইলিশের উৎপাদন ব্যাপক আকারে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অত্যন্ত সুস্বাদু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও আবেগের মাছ ইলিশ। ইলিশের জিআই সনদ বাংলাদেশের। পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশ আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। সরকারের কঠোর ব্যবস্থাপনা, ইলিশের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি, মা ইলিশ ধরতে না দেওয়া, জাটকা আহরণ বন্ধ রাখা এবং ইলিশ যেখানে ডিম দেয় সে জায়গায় উপযোগী পরিবেশ রক্ষার ফলে ইলিশের উৎপাদন এভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত মৎসীজীবীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেজন্য তাদের সরকার চাল দেয়, বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সহযোগিতা দেয়। মা ইলিশ অথবা ছোট ছোট ইলিশ ধরলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না। সেক্ষেত্রে ইলিশ আহরণকারী জেলেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের মানুষ ইলিশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে, রপ্তানি পণ্যের ক্ষতি হবে এবং নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধরতে যাওয়া অসাধু ব্যক্তিরা নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য স্থানীয়ভাবে সচেতন করা, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার জেলেদের মা ইলিশ ও জাটকা আহরণ থেকে বিরত রাখে।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কেউ মাছ আহরণ করে কী না সেটা বিমানবাহিনীর মাধ্যমে আকাশপথে মনিটর করা হবে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। নৌ পাহারা, আকাশ পথে পাহারা ও স্থলপথে পাহারা দেওয়া হবে। মা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে কোথাও কোথাও বরফকল বন্ধ রাখা হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় যারা আইন অমান্যের অপরাধ করবে তাদের তাৎক্ষণিক সাজা প্রদানে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া অবৈধভাবে মাছ আহরণ করা যানবাহন জব্দ করা, প্রয়োজনে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা, মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে মৎসীজীবীদের উৎসাহিত করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

সাংবাদিকদের মন্ত্রী আরও জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সহজ-সরল জেলেদের যানবাহনে নিয়ে বন্ধকালে মাছ ধরার চেষ্টা করে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। যারা অবৈধ জাল তৈরি করে আহরণ বন্ধকালে জাটকা অথবা মা ইলিশ ধরে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেয়। এমনকি জাল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বেআইনি জাল উদ্ধার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই মুহূর্তে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইলিশ বৃদ্ধি না পেলে আমরা রপ্তানি করে এ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারতাম না।

মন্ত্রী যোগ করেন, জলবায়ুর পরিবর্তন, নদীর স্রোত ও পরিবেশের সঙ্গে ইলিশ সম্পৃক্ত। বৈরী পরিবেশ, অসাধুভাবে বালু উত্তোলন, নদী ভাঙ্গন, নদীর পানি দূষণসহ নানা কারণে মা ইলিশের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বিধায় বর্তমানে ইলিশের বিস্তৃতি অনেক বেড়েছে। এখন ছোট নদীসহ অনেক দুর্লভ জায়গায় ইলিশ পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের অতীতে পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। এ বছর এটি ২৫ কেজিতে উন্নীত করা হয়েছে। এবার দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫টি উপজেলায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭ টি জেলে পরিবারকে ১৩ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ আহরণ বন্ধকালে আমাদের জলসীমায় নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশসহ মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে। মিয়ানমার অথবা অন্য কোন দেশের কেউ এসে আমাদের ভৌগলিক এলাকায় মৎস্য আহরণের কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ লুকিয়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে চায় আমরা তাদের গ্রেফতার করবো। এ ব্যাপারে আমরা কঠোরভাবে নজরদারি করছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যয় এবছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৭ হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop