৪:২৪ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • নারীর ক্ষমতায়নে দারুণ ভূমিকা রাখছে “আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্প
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ১, ২০২১ ৪:৫৬ অপরাহ্ন
নারীর ক্ষমতায়নে দারুণ ভূমিকা রাখছে “আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্প
প্রাণিসম্পদ

“নিরাপদ মাংসের চাহিদা পূরণে, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে” ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের “আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে । অল্প সময়ের মাঝে দেশের ৪৯১টি উপজেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে । এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৬,৮২৫ জন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে আর সুফলভোগী খামারী ৩৬,৮২৫ জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে । খামারীদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সুফল ভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ, কৃমিনাশক ও ভিটামিন-মিনারেলস প্রিমিক্স বিতরণ, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ক প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ । দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খামারীরা যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনি নারীর ক্ষমতায়নেও দারুন ভূমিকা রাখছে এই কার্যক্রম । সুফলভোগী খামারীদের মাঝে অনেক নারী খামারী রয়েছেন যারা এই প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে নিজের সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রাখছেন । এমনই কয়েকজন নারী খামারীর অবস্থান তোলে ধরা হলো এই পর্বে –

ধামরাই এর শরীফবাগের কামরুন নাহার বেগম বলেন, গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প থেকে যে শুধু কৃমির ঔষধ, ভ্যাকসিন দিচ্ছে তা নয় বরং আমাদের হাতে কলমে শিখিয়েছে কিভাবে গরু মোটাতাজা করতে হবে, কিভাবে ইউএমএস বানাতে হবে । এগুলো নিজেরা করে গত কুরবানি তে গরু বিক্রি করে লাভবান হয়েছি, স্বামী ও সন্তান নিয়ে ভালো আছি, পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে, আগামী ঈদের জন্য ১০ টি গরু মোটাতাজা করছি, পরিবারের উপার্জনে অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগে ।

বগুড়ার গাবতলীর হিজলি গ্রামের মোসাঃ রাজিয়া বেগম বলেন, আগে গরু সনাতন পদ্ধতিতে লালন পালন করতাম, অনেক কিছুই জানতাম না । এই প্রকল্প থেকে অনেক কিছু শিখেছি, বিনামূল্যে ঔষধ ভ্যাক্সিন পাচ্ছি, নিজের মত করে গরু লালন পালন করি, আশে পাশের অনেকেই পরামর্শ নিতে আসে, ভালো লাগে নিজের বর্তমান অবস্থান তৈরী করতে পেরে ।

লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার নিজসেখ সুন্দর গ্রামের সুফিয়া খাতুন বলেন, এই প্রকল্প থেকে ভিটামিন, কৃমিনাশক ও ভ্যাকসিন পাচ্ছি, আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে গরু মোটাতাজাকরন করতে হয় তা শিখেছি, গত ঈদে ২ টি গরু বিক্রি করে আমার প্রায় আশি হাজার টাকা লাভ হয়েছে, গরুর জন্য নতুন ঘর করছি, এই বছর ৪ টি গরু মোটাতাজা করে ঈদে বিক্রি করবো । ঘর সামলানোর পাশাপাশি বাড়তি উপার্জন করে পরিবারকে সাহায্য করতে পেরে আমি খুশি ।

নরসিংদী সদরের নারী উদ্যোক্তা রেহেনা বেগম বলেন, “এই প্রকল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমার অনেক উপকার হয়েছে, আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি” ।

এভাবেই এগিয়ে যাক এদেশের নারীরা আর সমাজে সুসংহত হোক তাদের অবস্থান…

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop