৩:৩৫ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণে হরিয়ানা থেকে আসছে মহিষ
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ১, ২০২১ ৭:৪২ অপরাহ্ন
মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণে হরিয়ানা থেকে আসছে মহিষ
প্রাণিসম্পদ

দেশের মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণে ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে মুররাহ প্রজাতির ১৬০টি মহিষ আনছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। চলতি মাসেই একটি কারিগরি কমিটি প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শনে (পিএসআই) ভারত যাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আমাদের দেশে বর্তমানে যে মহিষের জাত রয়েছে তা বছরে বাচ্চা প্রসবের পরে প্রায় ৩০০ দিনে ৪০০-৫০০ লিটার দুধ দিয়ে থাকে আর হরিয়ানা রাজ্যের মুররাহ জাতের মহিষ ৩০০ দিনে প্রায় ২০০০-২৫০০ ক্ষেত্র বিশেষে ৩০০০ লিটার পর্যন্ত দুধ দিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, বর্তমান সরকার দেশে মাংস ও দুধ উৎপাদনে জোর দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুধ ও মাংসের যোগান নিশ্চিত করার জন্য ভারত থেকে ভালো জাতের মহিষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশাকরি আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আমরা এসব মহিষ হাতে পাবো।করোনার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও এখন পুরোদমে কাজ চলছে। চলতি মাসের যে কোনো সময়ে আমাদের একটা টিম পশু দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ডা. মো.মুহসীন তরফদার রাজু বলেন, মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়)’ মাধ্যমে সরকারি মহিষ খামারসহ (সাভার, ঢাকা, সন্তোষ, টাঙ্গাইল এবং বাগেরহাট) দেশের মোট ২০০টি উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভালো জাতের (মুররাহ) মহিষ ভারত থেকে সংগ্রহ করা হবে। ইতিমধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করা হলেও করোনার কারণে আমদানি করা সম্ভব হয়নি। এখন নতুন করে সকল কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে আশাকরি মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মহিষ দেশে আসবে।

তিনি আরও বলেন, মুররাহ জাতের এ মহিষ বছরে ৩০০ দিন পর্যন্ত দুধ দিতে অভ্যস্ত। গড়ে এরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি দুধ দেয়। আমরা ভারত থেকে ১০টি পুরুষ এবং ১৫০টি স্ত্রী মহিষ আনবো। তবে আমাদের আমদানি বিষয়ক কার্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি স্ত্রী মহিষের সঙ্গে একটি করে বাচ্চাও থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে আসছে ৩১০টি মহিষ।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে উৎপাদিত দুধের ৯০ শতাংশ দুধ আসে গরু থেকে, আট শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং দুই শতাংশ আসে মহিষ থেকে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ছিল ২৩.৭০ লাখ টন, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে উন্নীত হয়েছে ১০৬.৮০ লাখ টনে। বর্তমানে দেশে মোট দুগ্ধ উৎপাদনকারী গরু ৮.৬ মিলিয়ন, যার মধ্যে দেশীয় ৪.৫৬ মিলিয়ন (৫৩ শতাংশ) এবং সংকর জাতের ৪.০৪ মিলিয়ন (৪৭ শতাংশ)।

বর্তমানে মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১৭৫ মিলিলিটার। দেশে বছরে ১৫২ লাখ টন দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১০৬.৮ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫২.০২ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে দুধ উৎপাদন হয় ১০৬.৮০ লাখ টন। এ চাহিদা অনুযায়ী সরকার আরও ৪০.২২ লাখ টন দুধ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, মহিষের মাংস ও দুধে কোলেস্টেরলের মাত্রা অন্য প্রাণীর মাংস ও দুধ অপেক্ষা কম, যা স্বাস্থ্যসম্মত। মহিষের দুধে আমিষের পরিমাণ ৪.৫ শতাংশ ও চর্বির পরিমাণ ৭.৫ শতাংশ। মহিষের দুধে অন্য প্রাণির দুধের চেয়ে ৪৩ শতাংশ কোলেস্টেরল কম থাকে। ভিটামিনের পরিমাণও মহিষের দুধে বেশি থাকে। বাণিজ্যিকভাবে মহিষের দুধ ব্যবহার করে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি অনেক লাভজনক, মহিষের দুধে মোট সলিড বেশি থাকায় দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি (দই, ছানা, পনির ইত্যাদি) তৈরিতে গরুর দুধের চেয়ে কম পরিমাণ মহিষের দুধ লাগে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop