৫:৩২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৫, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
অল্প পুঁজিতে ব্রয়লার পালনে স্বাবলম্ভী হবেন যেভাবে
পোলট্রি

অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।

বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।

জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩১ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি বাচ্চা পরিবহনে খামারিরা যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন পণ্য আমাদানিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলসি খোলার দাবি বাফিটা‘র
পোলট্রি

বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) অনেকটা বন্ধ রয়েছে। যার ফলে প্রাণীজ ও কৃষিজ পণ্য আমদানি নিয়ে শঙ্কায় আছেন দেশের আমদানিকারকরা। যার ফলে, বাড়তে পারে ডিম, দুধ ও মাংসের দাম। তাই বাস্তবতা বিবেচনায়, এই সমস্যা সমাধানে পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে এল/সি খোলার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগিডিয়েন্টস ইম্পোটার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (বাফিটা)।

সংগঠনটি গেল ১১ অক্টোবর বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্ণরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বাফিটা সভাপতি সুধীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দেশের কৃষি শিল্প খাতের প্রাণিজ (পোল্ট্রি, ডেইরী ও মৎস্য) খাদ্য তৈরীর ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (বাফিটা)”। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বানিজ্য সংগঠন, যৌথ মূলধন কোম্পানী ও ফার্মসমূহ পরিদপ্তর ও এফবিসিসিআই কর্তৃক অনুমোদিত এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর বাংলাদেশ গেজেটে এস. আর. ও তে অন্তর্ভূক্ত এসোসিয়েশন এর সদস্যবৃন্দ।

এই এসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রাণিজ খাদ্য তৈরী শিল্পের সূচনালগ্ন থেকে অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামাল  আমদানি ও বিভিন্ন প্রাণিজ (পোল্ট্রি, ডেইরী ও মৎস্য) খাদ্য তৈরী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে আসছে।

চিঠিতে বলা হয়, আমাদের দেশে প্রাণীজ (পোল্ট্রি, ডেইরী ও মৎস্য) খাদ্য তৈরির অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালগুলির উৎপাদন হলেও চাহিদার সিংহভাগ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। বৈশ্বিক মহামারী (কভিড-১৯) ভাইরাসের কারনে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব এবং বহিঃবিশ্বে সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার কারনে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বিশ্বে প্রাণীজ খাদ্য তৈরির অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালগুলির উৎপাদন বিঘ্ন ঘটে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান ডলারের মূল্য, বন্দর ও শিপিং চার্জ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি নির্ভর প্রাণীজ খাদ্য তৈরির অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালগুলির আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রাণীজ খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

সামগ্রীক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকার কর্তৃক আরোপিত নির্দেশনা মোতাবেক অত্যাবশ্যকীয় পন্য ব্যতীত অনান্য সকল আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে। যার ফলে বিভিন্ন তফশীলি ব্যাংক সমূহ পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্টস সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করছেন, যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।

আরও উল্লেখ্য করা হয়,আমদানি ক্ষেত্রে L/C খোলার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হলে প্রাণীজ (ডিম, দুধ, মাছ ও মাংস) প্রোটিনের সংকট সৃষ্টি হবে। জনস্বার্থে ও প্রাণীসম্পদের সার্বিক কল্যানে প্রাণীজ প্রোটিনের চাহিদা পুরনে আমদানি ক্ষেত্রে L/C খোলার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা অতীব প্রয়োজন।

তাই দেশের কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট খাতসমূহের টেকসই উন্নয়নে পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্টস সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান জরুরীভাবে সমন্বয় করার আবেদন করেন তারা। এ বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান বাস্তবতার নিরীখে উপর্যুক্ত বিষয়ে দেশের কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত প্রাণীজ খাদ্য তৈরীর অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামাল, পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্ট সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করতে অনুরোধ জানান বাফিটা।

উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বাফিটা’র সদস্য বিটিসি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাব বিশ্বাস বলেন, আমরা আমাদের দাবি পেশ করেছি, আশা করি দ্রুতই আশানুরূপ ফল পাবো।

এদিকে গেল সোমবার (৭ নভেম্বর) প্রাণীজ ও কৃষিজ পণ্য আমাদানিতে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে এলসি খোলার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্ণরের কাছে চিঠি দিয়েছে এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব)। তাদেরও দাবি খুব শিঘ্রই প্রাণীজ খাদ্য তৈরীর অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামাল, পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্ট সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার পালনে একজন খামারী যা করবেন
পোলট্রি

বর্তমানে আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা পূরনে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্রয়লার মুরগির খামার। আর ক্রেতার কাছেও ব্রয়লারের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এর মাধ্যমে খামারিরাও হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান। তবে অধিকাংশ খামারিরা অন্যের দেখাদেখি খামার গড়ে তোলাতে খামারের মূল অনেক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত না। যার কারণে খামারে চাহিদা মোতাবেক উন্নতি করতে না পেরে হতাশ হয়ে যাচ্ছেন।

ব্রয়লার মুরগি পালনে খামারিদের যা করতে হবে:
প্রথম খামারে প্রতিদিন নিয়ম মোতাবেক খাবার দিতে হবে। আকষ্মিক খাবার কম- বেশি দেয়া যাবে না। তাতে করে মুরগির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া নিয়মিত মুরগির ওজন মাপতে হবে। যদি ওজনের কোন তারতম্য চোখে পড়ে সাথে সাথে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, খামারে কোনক্রমেই মিশ্র মুরগি পালন করা যাবে না। একটি খামারে একই জাতরে মুরগি পালন করতে হবে। এক খামারে বহুজাতের মুরগি পালন করলে বহুরক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

তৃতীয়ত, খামারে মুরগির পুষ্টিগুণ ধরে রাখার জন্য নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাপে খাবার পরিবেশন করতে হবে। খাদ্য প্রদানের পূর্বে অবশ্যই খাদ্যের পাত্র যাতে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ব্রয়লার মুরগির খামারে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করে দিতে। ব্রয়লারের খামারে কোনভাবেই আলোর সংকট রাখা যাবে না। এতে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধিসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়া, ব্রয়লার মুরগির খামারে প্রতিদিনের আয় ও ব্যয়ের হিসাব লিখে রাখতে হবে। কোন কারণে ব্যয় বেড়ে গেলে তা কমিয়ে আনা যাবে। এছাড়াও খামারকে লাভজনক করাও সহজ হয়ে যাবে।

প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২২ ৮:২৮ পূর্বাহ্ন
দেশীয় গরু দিয়েই নিয়ন্ত্রণে আসবে মাংসের দাম
প্রাণিসম্পদ

দেশের অভ্যন্তরীণ এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ ও নজর দিলে গরুর মাংসের দাম ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব। এতে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায় পাওয়া যাবে।

সেক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর দিতে হবে
১. গরুর খামারের বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে হবে কৃষির সমান হারে, বাণিজ্যিক খাত হিসাবে নয়। কারণ, খামার করা আসলে কৃষিকাজ।

২. সরকারের প্রাণিসম্পদ নীতিমালা খামারিবান্ধব নয়। এ কারণে বড় বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যাঁরা বড় বিনিয়োগ করেছেন, তাঁরাও সুবিধা করতে পারছেন না।

বিশ্বে অধিক মাংস উৎপাদনকারী গবাদিপশুর জাত, যেমন: আমেরিকান ব্রাহমা, দক্ষিণ আফ্রিকার বয়ার গোট, দুম্বা দেশে আনার অনুমতি নেই। দেশীয় জাত অথবা সংকর জাতের গরু দিনে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনে বাড়ে।

অন্যদিকে, ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন বাড়ে প্রতিদিন ১ হাজার গ্রামের বেশি। দেশীয় ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের ওজন দৈনিক ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম করে বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বয়ার বাড়ে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। ফলে মাংস উৎপাদনের ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক বেশি।

আমদানি করতে না দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, দেশীয় জাত নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাদের সেই আশঙ্কা রয়েছে। অধিক মাংসের জাত দেশে আনা হলে দুধ উৎপাদন ব্যা…

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
খামারে বাচ্চার আচরণ অনুযায়ী যেমন ব্যবস্থা নিতে হবে
পোলট্রি

ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে বর্তমান সময়ে ব্যাপকহারে পোল্ট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে আমাদের দেশে। তবে মুরগির আচরণ অনুযায়ী যদি নেয়া যায় ব্যবস্থা তাহলে আসবে আরও সম্মৃদ্ধি এই খাতে।

মুরগির খামারে বাচ্চার আচরণ অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা:
খামারে বাচ্চা আনার পরই প্রথমে দেখতে হবে সুস্থ আছে কিনা। সুস্থ বাচ্চাকে গ্লুকোজ না দেওয়াই ভালো। তবে গরমের দিনে ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান পানির সাথে দেওয়া যেতে পারে। আর শীতের দিন পানির কুসুম গরম করে দিতে হবে। নিয়ে আসার পর বাচ্চাগুলোকে ব্রুডারে উঠানোর আগেই প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি প্রদান করতে হবে। খাদ্য ও পানি প্রদানের পরেই ব্রুডারে নিয়ে আসতে হবে।

প্রয়োজনে খামারে নিয়ে আসা বাচ্চাগুলোকে ভিটামিন প্রদান করতে হবে। আর তেমন প্রয়োজন না হলে ভিটামিন প্রদানের কোন দরকার নেই। পোল্ট্রি খামারে বাচ্চা আনার পর যদি দেখা যায় বাচ্চা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে তাহলে সেই বাচ্চাগুলোকে গ্লুকোজ পানি প্রদান করতে হবে। এতে করে বাচ্চাগুলো শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল হয়ে উঠবে। এই সময়ে বাচ্চাগুলোকে ভিটামিন সি জাতীয় কিছু প্রদান করা যেতে পারে।

খামারে পালন করা বাচ্চাগুলো যদি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকে তাহলে কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক ছাড়াই ব্রুডিং করতে হবে। সুস্থ বাচ্চাগুলোতে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।বাচ্চা নিয়ে আসার পর যদি দেখা যায় বাচ্চাগুলো ডিহাইড্রেশনে আছে তাহলে সেগুলোকে স্যালাইন প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ১০:১১ অপরাহ্ন
পঞ্চগড়ে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করতে ব্যবসায়ী!
পাঁচমিশালি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগে হাসিবুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রোববার (৫ জুন) দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম ফেরদৌস উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ আদেশ দেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জবাইকৃত গরুর মাংস ও ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। পরে তাকে পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মাংস ব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বিজয়নগড় এলাকার বাসিন্দা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সারাবন তহুরা, চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ভোরে নিজের বাড়িতে অসুস্থ গরুটি জবাই করে দুপুরে চিলাহটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ বাজারে বিক্রি করছিলেন হাসিবুল। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাংসসহ হসিবুলকে চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ। খবর পেয়ে ইউএনও সেখানে পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন বলেন, রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সারাবন তহুরা বলেন, গরুটি অসুস্থ ছিল বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ গরুর মাংস খেলে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২২ ৯:০৫ অপরাহ্ন
ঢাকায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীতে পরিচালিত সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমে জনসাধারণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একইসাথে বেড়েছে এ সব পণ্যের চাহিদাও। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করেছে মন্ত্রণালয়।

বুধবার (৬ এপ্রিল) ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের স্থান বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পণ্যের সরবরাহও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পূর্বনির্ধারিত সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, কালশী এবং যাত্রাবাড়ির পাশাপাশি আজ থেকে খিলগাঁও, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

স্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিটি ভ্রাম্যমান গাড়িতে দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ (৬ এপ্রিল) মোট ১ হাজার ৫০০ কেজি গরুর মাংস, ১৫০ কেজি খাসির মাংস, ৫০০ কেজি ড্রেসড্ ব্রয়লার, ৩ হাজার লিটার দুধ ও ২০ হাজার ডিম বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। ৩ হাজার ২৩০ জন ক্রেতা আজ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র থেকে পণ্য ক্রয় করেছেন।

অপরদিকে এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য প্রতিটি স্থানে একজন উপসচিবকে দায়িত্ব প্রদান করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ কার্যক্রম তদারকি করছেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীতে ১ রমজান থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ২৮ রমজান পর্যন্ত। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ভ্রাম্যমাণ এ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২২ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম শুরু
প্রাণিসম্পদ

রমজান মাসে বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে রমজান মাসে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি আরো বলেন, “১ রমজান আজ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার ১০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ এ বিপণন কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রাথমিকভাবে সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, জাপান গার্ডন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, কালশী এবং যাত্রাবাড়ি ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা চালু করা হবে। মাংস, দুধ এবং ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও সাপ্লাই চেইন সচল রেখে রমজান মাসে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা আমাদের লক্ষ্য। চাহিদা ও দ্রব্যের সরবরাহ বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের পরিসর বৃদ্ধির পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে”।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, “প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। ভ্রাম্যমাণ বিপণনে ব্যবহৃত পরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষকে নিরাপদ খাবার পৌঁছে দেয়া সাংবিধানিক দায়িত্ব। কোনভাবেই যাতে খাবারে ভেজাল না আসে, খাবার যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ, অস্বাস্থ্যকর বা জীবাণুযুক্ত না হয় এই বিষয়টিতে খামারিদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। খাবার যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি না হয় সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে”।

মন্ত্রী আরো জানান, “গত বছর রমজান মাসে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ডেইরি ও পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থায় ৩৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৭ টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে। এর মাধ্যমে ৪৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৩১০ জন ভোক্তা এবং ৮১ হাজার ৩৭৭ জন খামারি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন”।

মন্ত্রণালয় থেকে এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের সব কার্যক্রম নিয়মিত মনিটর করা হবে বলে এ সময় জানান মন্ত্রী। কম মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রির পদক্ষেপ এর আগে কেউ নেয়নি বলেও জানান মন্ত্রী। রমজান মাসে একজন লোকও যাতে কোনভাবে কষ্ট না পায় সেটা সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে এ সময় অধিক মুনাফা লাভ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

করোনায় প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “কোন কোন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভ্যাট-ট্র্যাক্স মওকুফের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে সরকার কোটি কোটি ছাড় দিলেও উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িতরা লাভবান হয়েছেন। প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি। করোনায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গতি কোনভাবেই যাতে স্থবির না হয়ে পড়ে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন”।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। এছাড়া বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মশিউর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প ভ্রাম্যমাণ এ বিক্রয় কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২২ ৬:১১ অপরাহ্ন
ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, ও মাংস বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

রমজান মাস উপলক্ষ্যে আগামীকাল (০৩ এপ্রিল) থেকে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

গরুর মাংস, খাসির মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও সাপ্লাই চেইন সচল রেখে মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে।

আগামীকাল রবিবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কৃষি খামার সড়কের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

Continue reading “ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, ও মাংস বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়”

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop