বাছুরের দাম ২ লাখ টাকা!
প্রাণিসম্পদ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একটি গরুর বাছুর ২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নেপালি জাতের গরুর বাছুরটি বিক্রি করে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন দামুড়হুদা উপজেলার বয়রা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টু মল্লিক।
তিনি একই গ্রামের জিয়ারত মল্লিকের ছেলে। এতো দামে গরুর বাছুর বিক্রির ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বাছুরটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসী।
তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টু মল্লিক জানান, আমি চাষি মানুষ। গত ২০ বছর ধরে নেপালি জাতের একটি গাভি লালন-পালন করছি। পরে গাভিটি একটি বাছুর প্রসব করে। এটি তৃতীয়তম বাছুর। বর্তমানে বাছুরের বয়স সাড়ে তিন মাস। গত শনিবার ২ লাখ টাকায় কেনেন পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। বাছুরটি আমার বাড়িতেই আছে, মায়ের (গাভির) দুধ পান করছে। তাই ১ মাস পর আমার কাছ থেকে নিবেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর।
তিনি আরও জানান, সাড়ে তিন মাস বয়সী এঁড়ে বাছুরটি ২ লাখ টাকায় বিক্রির বিষয়টি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি জানার পর থেকে আমার বাড়িতে বাছুরটি দেখতে আসছেন এলাকার মানুষ। এখন ওর (বাছুর) দাম আরও বেশি হাঁকানো হচ্ছে। যেহেতু আমি বিক্রি করে ফেলেছি তাই আর নতুন করে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
চাঁদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাছুরটি দেখতে খুব চমৎকার। আমার খুব পছন্দ। বিদেশি জাতের হওয়ায় দাম বেশি হলেও কিনেছি। এখন গাভির দুধ খাচ্ছে। তাই কিছুদিন পর বাড়ি নিয়ে আসবো।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান জানান, তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টুর সাফল্যের কথা আমি শুনেছি। খামার উন্নয়নে তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। তার মতো কেউ যদি গরুর খামার করতে চায় তাহলে তাকেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সহযোগিতা করা হবে।