১২:২৮ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২৩ ১২:২৭ অপরাহ্ন
প্রাকৃতিক উপায়ে ফসলের পোকা দমন করবেন যেভাবে
কৃষি গবেষনা

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকা দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলিলিটার পানি ও ১০ মিলিলিটার তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার পানি সঙ্গে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালেও বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজের চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেওয়ার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার পানি মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের সঙ্গে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলো ফসলে কোনো রকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতি রেখে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বন্ধুপোকা ফসলের অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২৩ ৪:২৮ অপরাহ্ন
ধান গাছের শিকড়ে গিঁট রোগ দূর করার উপায়
কৃষি গবেষনা

ধান আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য শস্য। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করে কৃষকরা আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন করছেন। তবে ধান চাষের সময় কিছু কিছু রোগবালাই এ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এর মধ্যে ধান গাছের শিকড় গিঁট রোগ ধানের মারাত্নক ক্ষতিক র। ফলে ধানের শিকড় গিঁট রোগ দমনসহ বিভিন্ন রোগ ও দমন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

ধানের শিকড় গিঁট রোগ সাধারণত বীজতলায় এবং বোনা আউশ ক্ষেতে চারা অবস্থায় দেখা যায়। এই কৃমি ধান গাছের প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো মাটিতে গাছের শিকড়ে আক্রমণ করে।

আক্রান্ত গাছ বেঁটে, পাতা হলদে এবং শুকিয়ে যেতে থাকে। আক্রান্ত গাছের শিকড়ের মধ্যে গিঁট দেখা যায়। গাছ বাড়তে পারে না এবং দুর্বল হয়।

শিকড় গিঁট রোগ দমন করতে হলে আক্রান্ত বীজতলা বা জমি পানিতে ডুবিয়ে রাখলে আক্রমণের প্রকোপ কমানো যায়। চাষাবাদে শস্যক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। বীজতলা বা আউশ ক্ষেতে বিঘা প্রতি ২.৫-৩.০০ কেজি ফুরাডান অথবা কুরাটার ছিটিয়ে দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৭, ২০২৩ ৩:৪০ অপরাহ্ন
আমনের বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে ময়মনসিংহে কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

 বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় “ময়মনসিংহ অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক এক কর্মশালা আজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, পরিচালক (সরেজমিন উইং) এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মীর্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, ড. মো. খালেকুজ্জামান, পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড. মো. আব্দুল লতিফ, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক গবেষণা ড. মোঃ আব্দুল মালেক।

ব্রির সিনিয়র লিয়াজোঁ অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল মোমিন এর সঞ্চালনায় এই আঞ্চলিক কর্মশালায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ড. মোঃ ইব্রাহীম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান, রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ, ব্রি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন–কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল।

 

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজেআরআই, বিএসআরআই, বারটানসহ নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমুহের বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালকগণ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকগণ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অত্র অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালকগন ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর ময়মনসিংহ অঞ্চলের চার জেলার জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাবৃন্দ, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অত্র অঞ্চলের বীজ, সার ও বালাইনাশক ডিলার, বীজ উৎপানকারী, এনজিওপ্রতিনিধি ও কৃষক প্রতিনিধিবৃন্দসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট তিন শতাধিক অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।

 

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ড. মো. আব্দুল লতিফ। কর্মশালায় কৃষক প্রতিনিধি, বীজ উৎপাদক ও ডিলার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা মুক্ত আলোচনা অংশ নেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রির মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, দেশের মানুষের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিকভাবে তত্পর থাকতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত করতে না পারলে আমাদের পরনির্ভরশীলতা তৈরি হবে যা কখনোই কাম্য নয়। বিশ্বব্যাপি চলমান সংকটে নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। অধিক ফলনের জন্য যে এলাকায় যে জাত চাষের পরামর্শ বিজ্ঞানীরা দিয়েছে সে জাত চাষ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্রি ২০৩০, ২০৪০, এবং ২০৫০ সালের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

 

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, গবেষণা সম্প্রসারণ সংযোগ বাড়াতে এই আঞ্চলিক কর্মশালা ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই আলোচনা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষণ মাঠে প্রয়োগ করা গেলে ফলন অবশ্যই বাড়বে।

কর্মশালার সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, গবেষণা ও সম্প্রসারণের ফলপ্রসূ সংযোগের মাধ্যমে আমরা চালের উৎপাদন ১৯৭১ সালের এককোটি টন থেকে ২০২৩ সালে এসে চার কোটি টনে উন্নীত করতে পেরেছি এটা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসামান্য অর্জন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২৩ ৫:৩৩ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ
কৃষি গবেষনা

কুমিল্লা জেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ। চলতি মৌসুমে কুমিল্লার দেড়শ’ একর জমিতে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। জেলার চৌদ্দগ্রাম, মুরাদনগর ও দাউদকান্দিতে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। এতে শ্রমিক সংকট দূর হবে। ধান চাষে খরচ কমে আসবে।

কৃষি অফিসের সূত্রমতে, প্রতিনিয়ত কমছে কৃষি শ্রমিক। এ সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকরী উপায় বের করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন তাঁরা সমলয়। নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত, সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হবে ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হবে। তারপর রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হবে। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে, বেঁচে যায় শ্রমিকের খরচ। চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যাবে।

দাউদকান্দির কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এটিকে কাজে না লাগালে ব্যয় বাড়বে। কৃষক কৃষি বিমুখ হয়ে পড়বেন। মেশিনের সাহায্যে ধান লাগানোর কারণে কৃষকের খরচ কম লাগছে।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, প্রতি একর জমিতে ধান লাগাতে ১২-১৫ হাজার টাকা শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়। সেখানে মেশিনে ধান লাগালে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হবে। সময়ও কম লাগবে। কাটতে সময় এবং খরচ কম লাগবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধান লাগানোর মেশিন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। একটি ছোট মেশিনের দাম সাড়ে চার লাখ টাকার মতো। সরকার এতে ৫০ ভাগ ভর্তুকি দিবে। কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষক সচেতন। তাই এখানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৮:৪১ পূর্বাহ্ন
মাশরুমের পুষ্টিগুণ জানলে আপনি অবাক হতে বাধ্য…
কৃষি গবেষনা

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে ছায়াযুক্ত স্যাঁতসেঁতে জায়গায় কিংবা স্তূপীকৃত গোবর রাখার স্থানে ছাতার আকৃতির সাদা রংয়ের এক ধরনের ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়। একে আমরা ব্যাঙের ছাতা বলে অভিহিত করে থাকি। আগাছার মতো যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা এসব ছত্রাক খাবার উপযোগী নয়। অনুরূপ দেখতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে যে ব্যাঙের ছাতা উৎপাদিত হয়, তা অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং বিশ্বে সবজি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই ব্যাঙের ছাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় মাশরুম ।

সাধারণভাবে মাশরুম হল বিশেষ এক প্রকার প্রজাতির ছত্রাক, বেশ সুস্বাদু মুখরোচক এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এদের কোনো ক্লোরোফিল থাকে না। এরা স্যাঁতসেঁতে ও ছায়াযুক্ত জায়গায় এবং মৃত জৈব বস্তুর উপর জন্মায়। যেমন – খড়, পাতা, মরা গাছের ডাল। পচা জৈব বস্তুর খাদ্যসার এরা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের অঙ্গজজনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বংশবিস্তার করে।

মাশরুমের খাদ্যগুণ

১। খাদ্যগুণ বলতে এতে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অতি প্রয়োজনীয় ১৮ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন থাকে।

২। মাশরুমের অনেক ওষুধি গুণ আছে। শর্করা কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের আদর্শ খাদ্য। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড় ও দাঁতের গঠনে বিশেষ কার্যকরী। ফলিক আ্যসিড থাকায় রক্তাল্পতা রোগে উপকারী।

৩। মাশরুম প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি। তাই একে সবজি মাংসও বলা হয়ে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে (শুকনো মাশরুম) ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

৪। মাশরুমে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও কমমাত্রায় ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে। লৌহ কম থাকাতেও সহজলভ্য অবস্থায় থাকে বলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে মাশরুম সহায়তা করে।

৫। মাশরুম খুব নিম্নশক্তি সম্পন্ন খাবার (Low calorie) | এতে কোলেষ্টরল নেই, চর্বির পরিমাণ অত্যন্ত কম (২-৮%) কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড লিনোলোয়িক এসিড রয়েছে।৬। মাশরুম সহজপাচ্য খাদ্য হওয়ার দরুন শিশু, গর্ভবতী মহিলা, বৃদ্ধ এবং হার্টের, বহুমূত্র (ডায়াবেটিস), গ্যাসের সমস্যা, কুষ্টকাঠিন্য, হাইপারটেনশন এবং রক্তাপ্লতা রোগীদের ক্ষেত্রে একটি উত্তম পথ্য হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

৭। মাশরুমের পরিমিত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও যথেষ্ট আঁশ (৮-১০%) থাকে। এতে স্টার্চ নেই। শর্করার পরিমাণ কম বিধায় বহুমূত্র রোগীদের জন্য মাশরুম আদর্শ খাবার।

৮। কম চর্বি, কোলোস্টেরকমুক্ত এবং লিনোলেয়িক এসিড সমুদ্ধ হওয়ায় মাশরুম হৃদরোগীদের জন্যও খুব উপকারী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ১:০২ অপরাহ্ন
‘ল্যাংড়া’ আমের নামকরণের ইতিহাস
কৃষি গবেষনা

আমের একটি বিখ্যাত জাত ‘ল্যাংড়া’ (langra mango) যা উপমহাদেশে (ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান) খুবই জনপ্রিয় । এটি ভারতের অন্যতম একটি বিখ্যাত আম। ভারতের বেনারসে এর উদ্ভব হয়েছে। তাই বানারসী আমও বলে; স্বাদে ও মানে খুবই উন্নত।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, গোয়া, উত্তরপ্রদেশের লখনৌ, রত্নগিরিতে এবং বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, নওগা ও নাটোর এলাকায় বেশি জন্মে। সাতক্ষীরার ল্যাংড়া আম স্বাদে, মানে উন্নত।

আমের জাতের নামকরণে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ, জনশ্রুতি ও প্রবাদ রয়েছে। তেমনি ল্যাংড়া জাতের নামকরণেও তা রয়েছে।

১) কাশীতে এক ল্যাংড়া ( খোঁড়া/খঞ্জ) ফকিরের বাগানে সুমিষ্ট আম ফলত। তা থেকে ল্যাংড়া নাম। আবিষ্কর্তা হলেন পাটনার ডিভিশনাল কমিশনার ককবার্ন সাহেব।

২) মনে করা হয় মোঘল আমলে (Mughal Empire) ভারতের বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙায় এই আমের চাষ শুরু হয়। আঠারো শতকে এক ফকির সুস্বাদু এই আমের চাষ করেন। ফকির যেখানে বাস করতেন তার আশেপাশে শত শত আমের গাছ ছিল।ফকিরের আস্তানা থেকে এই জাতটি প্রথম সংগৃহীত হয়েছিল। তারই একটি থেকে এই অতি উৎকৃষ্ট জাতটি বেরিয়ে এসেছে। সেই ফকিরের পায়ে একটু সমস্যা অর্থাৎ খোঁড়া ছিল। এই খোঁড়া ফকিরের নামে আমটির নামকরণ হয়েছে।  সেই থেকে এই আমের নাম হয়ে যায় ‘ল্যাংড়া’।

৩) কাশীর (Kashi) কাছে ল্যাংড়া গ্রামের আমকেই আগে বলা হতো ল্যাংড়া আম।

৪) একবার ভীষণ ঝড়ে কাশীতে একটা আম গাছ প্রায় উৎপাটিত হয়ে আকার নেয় ল্যাংড়া মানুষের। তা থেকে ল্যাংড়া নাম।

৫) হাজিপুরের একটি আমগাছকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে সৈন্যসামন্ত। পাটনার কলেক্টার সাহেব এবং কোম্পানীর কর্মচারীরা মাত্র একটি আমগাছের জন্য হিমশিম খাচ্ছেন। এই গাছের ডাল নিয়ে সমস্যা। দ্বারভাঙ্গা, হাতুয়া, বৈতিয়া, দুমড়াও এর মহারাজারা ঐ আমগাছের ডালের পরিবর্তে হাজার হাজার টাকার খাজনা হারাতে রাজি। কারণ হাজিপুরের একজন ল্যাংড়া (খোঁড়া) ফকির ঐ বিশেষ আমের জাতের আমের উদ্ভাবন করেছিলেন; তারই নাম ল্যাংড়া। ঐ আমগাছ তলাতেই ছিলেন সেই খোঁড়া ফকির যার নামে স্বনামধন্য আম ল্যাংড়া।

 

ড. সমরেন্দ্র নাথ খাঁড়া

উপ উদ্যানপালন অধিকর্তা

পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ৩:০৫ অপরাহ্ন
বরিশালে তেলফসল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার ওপর আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ নগরীর মৎস্য বীজবর্ধন খামারের হলরুমে ডিএইর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান এবং ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। কীনোট উপস্থাপন করেন তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন।
বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শিরিন আক্তার জাহান, ডিএই পটুয়াখালীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ভোলা সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার এএফএম শাহাবুদ্দিন, শরীয়তপুরের জাজিরার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জামাল হোসেন, ঝালকাঠি সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার আলী আহমেদ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান খান প্রমুখ।


প্রধান অতিথি বলেন, পামওয়েল আর সয়াবিনতেল আমাদের পুরো বাজার দখল করে আছে। এখানে সরিষাকে প্রতিষ্ঠিত করাতে হবে। এছাড়া ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমানোর আর কোনো বিকল্প নেই। দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে। এসব বুঝতে পেরে অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বি পামওয়েলের আমদানিকারকরা বসে নেই। তারা সরিষার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ সরিষা হলো নিরাপদ তেল। তাই সরিষা আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই তেলফসলের উৎপাদন আশানুরূপ বাড়বে। পাশাপাশি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২৩ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে যা করবেন
কৃষি গবেষনা

ধানের ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত ব্লাস্ট রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ রোগের আক্রমণে ফলন শতভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোন সময় রোগটি দেখা দিতে পারে। এটি ধানের পাতা, গিট এবং নেক বা শীষে আক্রমণ করে থাকে। সে অনুযায়ী রোগটি পাতা ব্লাস্ট, গিট ব্লাস্ট ও নেক ব্লাস্ট নামে পরিচিত।

আমন মৌসুমে সবি সুগন্ধি জাতে এবং বোরো মৌসুমে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৫০, ব্রিধান-৬৩, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৪, ব্রিধান-৮৮সহ সরু আগাম সুগন্ধি জাতে শীষ ব্লাস্ট রোগ বেশি হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধে কী করবেন সে করণীয় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

রোগ আক্রমণের পরে করণীয়:
১. আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে।
২. ব্লাস্ট রোগের প্রাথমিক অবস্থায় জমিতে ১-২ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে পারলে এ রোগের ব্যাপকতা অনেকাংশে হ্রাস পায়। শুকনা জমিতে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
৩. পাতা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

৪. ব্লাস্ট রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত ছড়ায়। দিনের বেলায় গরম (২৫-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) ও রাতে ঠাণ্ডা (২০-২২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড), শিশিরে ভেজা দীর্ঘ সকাল, অধিক আর্দ্রতা (৮৫% বা তার অধিক), মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করলে ধানের জমিতে রোগ হোক আর না হোক, থোর ফেটে শিষ বের হওয়ার সময় একবার এবং ৫-৭ দিন পর আরেকবার ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাই-ফ্লক্সিস্টোবিন ২৫ শতাংশ গ্রুপের ছত্রাকনাশক অথবা ৮ গ্রাম ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৯:০২ অপরাহ্ন
জাতীয় পাট পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান
কৃষি গবেষনা

পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন-রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

রোববার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক এ তথ্য জানান।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- পাটবীজ, পাট ও পাটজাত পণ্যের গবেষণায় সেরা গবেষক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদ আল হোসেন, সেরা পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষি ক্যাটাগরিতে কিশোরগঞ্জের আবু হানিফ, সেরা পাট উৎপাদনকারী চাষি পাবনার মো. এনামুল হক, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা প্রতিষ্ঠান (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) উত্তরা জুট ফাইবার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড, পণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) জোবাইদা করিম জুট মিল মিলস লিঃ।

এছাড়াও পুরস্কার পাচ্ছেন পাটের সূতা উৎপাদনকারী সেরা পাটকল হিসাবে আকিজ জুট মিলস লিমিটেড, পাটের সূতা রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনতা জুট মিলস লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল হিসাবে সোনালি আঁশ লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্রিয়েশন (প্রাঃ) লিমিটেড, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের সেরা নারী উদ্যোক্তা হিসাবে তরঙ্গ ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের সেরা পুরুষ উদ্যোক্তা হিসাবে গোল্ডেন জুট প্রোডাক্ট।

এছাড়াও সম্মাননার জন্য সুপারিশ করা অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতিগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ পাট চাষি সমিতি, বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লেমিনেটিং জুট ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ জুট গুডস্ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেজিইএ), বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ), বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ), বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৩ ১:৪৬ অপরাহ্ন
প্রযুক্তি ব্যবহারে ধানের জাত উদ্ভাবনে সময় কমছে ৫-৭ বছর
কৃষি গবেষনা

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময় ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত, এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) দুই দিনব্যাপী ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং (টিআরবি) শীর্ষক কর্মশালা বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানান। রোববার (৫ মার্চ) গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল রাইচ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্ল্যাটফর্ম লিডার ড. হ্যান্স রাজ ভারদোয়াজ, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ড. গ্যারি এটলিন।

ইরি ও ব্রির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইরি বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র উদ্ভিদ প্রজননবিদ ড. রফিকুল ইসলাম। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চলমান ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং বা টিআরবি প্রকল্পের হালনাগাদ অগ্রগতি ও অর্জন উপস্থাপন করেন ব্রির মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ড. খোন্দকার মো. ইফতেখারুদৌলা। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. হাসানুজ্জামান রনি।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়নে ব্রিতে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতজাতের ধান গবেষণার বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা নিয়ে কর্মশালায় আলোকপাত করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ব্রি মহাপরচিালক মো. শাহজাহান কবীর বলনে, বিএমজিএফের আর্থিক সহায়তায় ও ইরির কারিগরি সহায়তায় ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং বা টিআরবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময়কাল ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত, এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।

তিনি বলেন, গবেষণা কার্যক্রমের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগামী দিনে ধানের জাতে জেনেটিক গেইন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক ধানের জাত উদ্ভাবনে ব্রির সক্ষমতা বেড়েছে। ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিংয়ের পাশাপাশি জাত উদ্ভাবনের সময় কমানোর জন্য আমরা স্পিড ব্রির্ডি কৌশল অবলম্বন করছি।

ব্রির পরিচালক (গবষেণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, টিআরবি কৌশল অনুসরণের মাধ্যমে ধানের ফলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমাকে অতিক্রম করা যাবে। এ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ফলন স্তরকে অতিক্রম করে তৃতীয় স্তরের উচ্চ ফলনশীল ও গুণগত মানসম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক দুই লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮টি ফিক্সড লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা থেকে প্রতিনিয়ত নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে ব্যাকক্রস কৌশল ব্যবহার করে প্রতি শীষে ৮৫০টি পুষ্ট দানা উৎপাদনক্ষম কৌলিক সারি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা বর্তমানে অষ্টম প্রজন্মে রয়েছে। যেখান থেকে ভবিষ্যতে আরও অধিক উৎপাদনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

কর্মশালায় ব্রি, বিনা, ইরি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিজ্ঞানী, সরকারি-বেসরকারি বীজ উৎপাদক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ নেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop