৭:৪০ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২৪ ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
মাগুরায় কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণ
কৃষি বিভাগ

মাগুরায় সদর উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমের গম, সরিষা, ভুট্টা,শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসাড়ি ডালের  বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর বেলা ১১ টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে এ বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রামের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার তোজাম্মেল হক, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোছা. রোমানা রহমান প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি রবি মৌসুমে সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের মোট ১৩ হাজার  কৃষকের মধ্যে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। আজ ৮ হাজার কৃষককে সরিষা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। বাকি কৃষকদের পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ফসলের বীজ ও সার প্রদান করা হবে।

facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২৪ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
কৃষি-শিল্প পরামর্শ কর্মশালা এবং সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ “স্ট্রেংথেনিং এগ্রিকালচারাল টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট (এসএটিইপি)” এর আওতায় কৃষি-শিল্প পরামর্শ কর্মশালা এবং বাকৃবি ও কৃষি-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর ২০২৪) ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালা এবং সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. এ, কে, ফজলুল হক ভূঁইয়া। দেশের কৃষি ও খাদ্যপ্রযুক্তি খাতের গবেষণা ও মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, জলবায়ু ব্যবস্থাপনাসহ কৃষিবিষয়ক উচ্চশিক্ষা শক্তিশালীকরণে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এর অর্থায়ন করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।


ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. এ,কে, ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন,গত ৬৩ বছর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিথযশা শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছেন এবং ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের কৃষি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আধুনিক কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উচ্চতর কৃষি গবেষণা পরিচালনায় সহায়ক হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে কৃষি ও কৃষি প্রধান ৯ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ এখানে গবেষণা করার সুবিধা পাবে। তিনি আরো বলেন বহিঃবিশ্বের সঙ্গে তাল রেখেই আমাদের চলতে হবে। আগামীর কৃষি যে যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির কৃষি- সে কথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৃষির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নিজস্ব অংশগ্রহণের প্রশ্নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।

অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি’র সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. জি.এম. মুজিবর রহমান, এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র সোশ্যাল সেক্টর ইকোনোমিস্ট রিওতারো হায়াসি, বাকৃবি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ভূঞা, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ, মোঃ আবুল হাসেম, সভাপতি, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, চেয়ারপারসন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন, মিসেস ফৌজিয়া ইয়াসমিন, ডিরেক্টর, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড, জনাব নাসের আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক, প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, বাকৃবি’র জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন এবং ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড এর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এসএটিপি প্রকল্পের অধীনে ‘বাংলাদেশ ইনস্ট্রুমেন্টেশন সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ নামে একটি উচ্চতর গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি শিক্ষার যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।এছাড়া, প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক ও কৃষি সম্পর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে যোগসূত্র তৈরি করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩১, ২০২৪ ১২:০২ অপরাহ্ন
লালমনিরহাটে আগাম জাতের আমন ধান উৎসব
কৃষি বিভাগ

লালমনিরহাট জেলায় শুরু হয়েছে আগাম জাতের আমন ধান কাটার উৎসব। আমন ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে। এর ফলে একই জমিতে তিনটি ফসল আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে কৃষকরা।

দেশের সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা লালমনিরহাট। জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা এলাকার মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায় চারদিকে শুধু সোনালী ফসলের সমারোহ। পুরো মাঠ যেন সোনালী রঙে সেজেছে। তবে এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি ধানের ভালো দামে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

গত বছর এ সময় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে ১২০০- ১৩৫০টাকা পর্যন্ত। ধানের বর্তমান বাজারদরে খুশি কৃষকরা । ধানের দাম আরও বাড়বে এমন প্রত্যাশাও করছেন তারা।

কৃষক আব্দুল মিয়া(৪৮) বলেন, নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ বছর আমনের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। তবে এবার ফলন আশানুরূপ হয়েছে। পোকা-মাকড়ের তেমন উৎপাতও ছিল না। বলা যায় ধানের ফলন মোটামুটি ভালোই।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বিঘা জমি থেকে আমি প্রায় ১৫ মণ ধান পেয়েছি । এ বছর বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৮ -১০ হাজার টাকা। সার ও অন্যান্য কীটনাশকের দাম বাড়ার পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তাই আশা করছি, কয়েকদিন পর ধানের দাম আরও বাড়বে।

জেলা সদরের বড়বাড়ী হাটের ধানের পাইকার ফারুক মিয়া বলেন, হাটে নতুন ধানের তেমন সরবরাহ নেই। ধানের দাম কমার আশংকা নেই। তবে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি আরো বলেন, এখন অধিকাংশ কৃষকই বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করে। ধানের পাইকাররাও কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে ন্যায্য মূল্যে ধান কিনছেন। বর্তমানে আমরা প্রতি মণ ধান ১২০০-১৩৬০ টাকায পর্যন্ত কিনছি।

এ জেলায় গত কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে কিছু জায়গায় পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ গুলো মাটিতে হেলে পড়েছিল কিন্তু ধানের দানা গুলো শক্ত হয়ে যাওয়ায় হেলে পড়া ধান গাছগুলোর তেমন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা নেই বলে জানিয়েছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন।

গত বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার বড়বাড়ী বাজারে কৃষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (৪০) বলেন, ধানের বর্তমান বাজারদরে মোটামুটি ভালোই ।এ বছর ৮ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম ২ বিঘা জমির ধান ঘরে তুলেছি বাকি ৬ বিঘা জমির ধান ৫-৬ দিনের মধ্যে ঘরে তুলবো। আবার ধান কাটা শেষ হলেই সেই জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করার ও প্রস্তুতি নিচ্ছি।

একই এলাকার কৃষক আবুছালাম ( ৪৬) বলেন, চলতি মৌসুমে সময় মতো বৃষ্টি এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকায় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও মোটামুটি ভালোই ধানের আবাদ হয়েছে। মানভেদে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৩৬০ টাকায় পযন্ত। তিনি আরো বলেন, আমরা এবার আগাম আমন ধান চাষ করেছি। এ ধানের ফলন আর দামও অনেক ভালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন জানান, আমন চাষ শুরুর পর থেকেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুই ফসলী বা তিন ফসলী জমিগুলোতে কিভাবে ধানের ফলন ভালো হবে সে ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এবার জেলায় ৮৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আগাম ধানের চাষাবাদ হয়েছে । ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান আগাম কাটা হয়েছে।

এবার আমন চাষে কৃষকদের বাড়তি কিছু খরচ করতে হয়েছে। তবে, ধানের ফলন আশানুরূপ। কৃষকরাও আশানুরূপ দরে ধানও বিক্রি করতে পারছেন।

 

_বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৭, ২০২৪ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত গাজীপুরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে অনেক ধরনের শীতকালীন সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন, মূলা, পালংশাকসহ নানা শাক-সবজিতে ভরে গেছে কৃষকের খেত। ভালো দাম পাওয়ার আশায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। এদিকে এরমধ্যে বাজারেও উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে দাম অনেক বেশি।

উপজেলার কালীগঞ্জ, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, জয়দেবপুর ও সদর এলাকায় চাষিদের কৃষি কাজে ব্যস্ততা দেখা গেছে। সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, বেগুন, মুলা, লাউ, পটল, বরবটি, গাজর, পালং শাক, লাল শাকসহ হরেক রকম আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে।কেউ চারার পরিচর্যা করছেন আবার কেউ সার-বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। এছাড়াও যারা পিছিয়ে পড়েছেন তারা জমি প্রস্তত, বীজ বপণে তোড়জোড় শুরু করেছেন।
কৃষকরা বলছেন, আগাম শীতকালীন সবজি চাষে পোকা মাকড়ের আক্রমণ, বৃষ্টিপাতসহ বিভিন্ন ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও খরচ হয় বেশি। তারপরও বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভ হয় দ্বিগুণ। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

চাষি নুরুল হক বলেন, ১০ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এবছর মাঝখানে বৃষ্টির কারণে চারা কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তারপরও যেসব চারা আছে সেগুলোই এখন পরিচর্যা করছি ভালো দাম পাওয়া যায়।
কৃষক মাজেদুল বলেন, এ বছর ৩০ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি। আগাম শীত মৌসুমের জন্য যেসব সবজি চাষ করা হয় তার দাম ভালোই পাওয়া যায়। কিন্তু পরিচর্যা বেশি করতে হয়। পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। আবার বৃষ্টি হলে চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ভালো দামের আশায় আগাম সব সবজি চাষ করা হয়।

শ্রীপুর গ্রামের সবজি চাষি সিদ্দিক আলী বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছি। এ বছর বৃষ্টির কারণে আগাম সবজি চাষে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এজন্য একটু বেশি পরিচর্যা করতে হয়েছে। অনেক খরচ পড়ছে। তবে অসময়ে বাজারে এই সবজির চাহিদা থাকে অনেক। এ কারণে এই সবজিগুলো বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। এ জন্য আগাম শীতকালীন সবজি চাষে আমাদের আগ্রহ বেশি থাকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বৃষ্টির পর থেকে কৃষকরা আগাম শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ শুরু করেছেন। যা এরইমধ্যে বাজারে উঠেছে এবং কৃষকরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। আগাম শীতকালীন সবজি চাষে একটু ঝুঁকি বেশি থাকে। এজন্য কৃষকদের সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সুষম সার, জৈব সার এবং কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২৪ ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য খুলনা-ঢাকা রুটে চালু হয়েছে বিশেষ ট্রেন
কৃষি বিভাগ

পরিবহন খরচ কমানোর পাশাপাশি সড়ক পথে চাপ কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চল ২২ অক্টোবর খুলনা-ঢাকা রুটে একটি ‘বিশেষ কৃষি-পণ্য ট্রেন’ চালু করেছে। রেলওয়ের পশ্চিম জোনের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস আজ সকালে ট্রেনটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ট্রেনটি খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ১০:১৫ টায় ছেড়ে গিয়ে যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া এবং ঈশ্বরদী সহ ১৫টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে রাত ১০:৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।

ট্রেনটির কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, কৃষিপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার সপ্তাহে তিন দিন দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা কম খরচে ও কম সময়ে রিফ্রিজিং বগির মাধ্যমে নিরাপদে কৃষিপণ্য পরিবহন করতে পারবে। সাতটি লাগেজ ভ্যান নিয়ে গঠিত এই ট্রেনটির ১২০ টন কৃষিপণ্য বহনের সুবিধা থাকবে।
কৃষিপণ্য ছাড়াও বিশেষ ট্রেনে হিমায়িত মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, খুলনা থেকে বিশেষ ট্রেনে ঢাকায় এক কেজি পণ্য পরিবহন করতে ব্যবসায়ীদের মাত্র ১ টাকা ৪৭ পয়সা খরচ হবে।

ট্রেনটি মঙ্গলবার খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন এবং শনিবার রহনপুর স্টেশন থেকে কৃষি ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২১, ২০২৪ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যায় কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষতি
কৃষি বিভাগ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে বন্যায় কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া লস্কর গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী। এবার আমন মৌসুমে দুই একর জমিতে ধান চাষ করেছিলেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর রাতে ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের সৃষ্ট বন্যার পানিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিমজ্জিত ছিল মুনসুর আলীর চাষ করা ধানের জমি। ফলে ধানের চারা পচে গন্ধ বের হচ্ছে।  তার মতো শত শত কৃষকের ধানের জমি টানা কয়েক দিন পানিতে তলিয়ে থাকায় বেশির ভাগ আমন ফসলে পচন ধরেছে। আর এদিকে পানি কমতে থাকায় ফসলের মাঠ থেকে বের হচ্ছে ধানের চারা ও কাঁচা ধান পচা গন্ধ।

কৃষক মুনসুর আলী বলেন,আমার চাষ করা দুই একর জমির ধান পচে-গলে সব শেষ। দুই একর জমিতে ধান চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ট্রাক্টর পঈন দিয়ে জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে বীজ, কীটনাশক, ইউরিয়া সার মহাজনদেও কাছে বকেয়া নিয়ে ধান চাষ করেছি। সর্বনাশা বন্যায় ধান তলিয়ে ছিল সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। একটি ধানের চারাও নেই, সব ফস থেকে  পচা গন্ধ বের হচ্ছে।  দুর্গন্ধে জমিতেই যাওয়া যায় না।’

উপজেলার রামেরকুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আমার জীবনেও এতো পানি দেখিনি। এবারের বন্যায় আমার ঘর-বাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি দেড় একর জমির ধান বালুর নিচে পড়ে শেষ হয়েছে। এখনও ঘর-বাড়ির মেরামতের কাজ শুরু করতে পারেনি। খুবই অসহায় অবস্থায় আছি।’

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে ১৪ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করা হয়েছিল। এবারের বন্যায় নিমজ্জিত হয়েছিল ৯ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ধান। এরমধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৬৮১ হেক্টর ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৮২১ হেক্টর জমির ধান। এছাড়া ১২৪ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতি হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে ধান চাষের ক্ষতি হয়েছে সম্ভাব্য মূল্য অনুযায়ী ১১৩ কোটি ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ৬১৫ এবং সবজি  চাষে ক্ষতি হয়েছে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারিভাবে প্রাপ্ত প্রণোদনা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২৪ ২:৫৭ অপরাহ্ন
দিনাজপুরে আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুর  জেলার ১৩ টি উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ কৃষকরা আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার  (১১ অক্টোবর, ২০২৪) পর্যন্ত জেলায় ৮ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া, গতকাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগাম জাতের আমন ধান কর্তনের বিষয় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জেলার বীরগঞ্জ, কাহারেল, খানসামা ও বিরল উপজেলা ধান কর্তনের বিষয় সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর আমন মৌসুমে ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে এ ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের হাইব্রিড ব্রি-ধান অর্জিত হয়েছে ৩৭ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে।

গত এক সপ্তাহ থেকে ১৩ টি উপজেলাতেই আগাম জাতের আমন ধান কর্তন কৃষকেরা মহা উৎসবে শুরু করেছে। কৃষকেরা আগাম জাতের ধান কর্তন করে ওই জমিতে পুনরায় সরিষা ও আলু চাষ করবেন। ধান কর্তনের পর, ওই জমিতে সরিষা ও আলু লাগানোর প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে জেলার অনেক উপজেলাতে আগাম জাতের আলু রোপন শুরু হয়ে গেছে। সেই সাথে সরিষার চাষ করা হচ্ছে। উঁচু মানের জমি গুলোতে আলু এবং কিছুটা নিচু জমিতে সরিষার চাষ করছেন কৃষকেরা।

জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, জেলার সবচেয়ে দূরবর্তী উপজেলা ঘোড়ারহাট। এ উপজেলায়, চলতি আমন মৌসুমে ২ হাজার ৪২৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড সহ আগাম জাতের আমন ধানের আবাদ হয়েছে।মাঠ থেকে ধান কাটা মাড়াই সহ বাজার জাত করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

দেশের খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূণ ও উদ্বৃত্ত কয়েকটি জেলার মধ্যে দিনাজপুর একটি। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ফসল উপাদনে ও উদ্বৃত্ত কয়েকটি উপজেলার মধ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলা এগিয়ে রয়েছে। এবার অন্যান্য ফসলের ন্যায় আগাম জাতের ধান আবাদ ভাল হয়েছে। অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এসব জমিতে সরিষা, আলুও শাক সবজী আবাদের জন প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন কৃষকেরা। বন্যা ও প্রাকৃতিক র্দূযোগ এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার আগাম জাতের আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

আগাম জাতের ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণে বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা লাভ বান হচ্ছেন। একই জমিতে শীত কালীন শবজি,ভুট্টা ও আলু আবাদের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজলার সিংড়া ইউনিয়নের র্ভনাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ জানান, তিনি এক একর জমিতে লাল তীর,জটাপাড়ী, আগাম জাতের আমন ধান রোপন করেছেন। বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ মন ধানের ফলন পেয়েছেন। গুয়াগাছী গ্রামের মো. আ. হামিদ জানান, তিনি দেড় একর জমিতে লাল তীর জাতের আমন ধান রোপন করেছেন।তিনি বিঘা প্রতি ২০ মন করে ধানের ফলন পেয়েছেন।

কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা মন দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন।আগাম জাতের ধান বিক্রি করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। ধানের কাঁচা খড় বিক্রি করে ভালো মূল্য পাচ্ছেন। ধান কর্তনের পর ওই জমিতে ভুট্টা,আগাম জাতের আলু, ফুল কপি,বাধাকপি সহ শীত কালীন সবজি রোপনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২৪ ৭:২৩ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ‘শীতকালীন সবজি চাষ প্রদর্শনী-২০২৪ উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) এর উদ্যোগে এর হল রুমে বুধবার (৯ অক্টোবর ২০২৪) বিকাল ৩ টায় শীতকালীন সবজি চাষ প্রদর্শনী-২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো: হাম্মাদুর রহমান। বাউএক পরিচালক প্রফেসর ড. মো: নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাভিদুল হক ভূঁইয়া, সহযোগী পরিচালক, বাউরেস এবং প্রফেসর ড.বেনতুল মাওয়া, পরিচালক, জিটিআই।
বাউএক এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো: এনামুল হক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মো: আব্দুর রহমান, উপ-পরিচালক বাউএক ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো: হাম্মাদুর রহমান বলেন বাউএক কে ভবিষ্যতে এধরণের কর্মসূচী আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং ভবিষ্যতে বাউরেসের মাধ্যমে আরও অর্থায়নের আশ্বাস দেন এবং একই সাথে তিনি আরো অধিক সংখ্যায় কৃষকদের এইধরনের কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। পরিশেষে তিনি নির্বাচিত ১২ জন কৃযক-কৃযাণীর মাঝে বিভিন্ন প্রকার সবজির চারা বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, বাউরেস এর অর্থায়নে ‘ময়মনসিংহ জেলার কৃষকদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাউএক সরাসরি ময়মনসিংহ জেলার কৃষক-কৃষাণীদের অংশগ্রহণে এ সকল কর্মসূচি পালন করছে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ১২ জন কৃষক-কৃষাণীছাড়াও বাকৃবির কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪ ১১:০৯ অপরাহ্ন
মৃত্তিকার এনক্যাডারমেন্ট রায় বাস্তবায়ন কমিটির কর্মকর্তাদের নাজেহাল – হেনস্থা ও লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) বর্তমানে ক্যাডার ও নন ক্যাডার দুইটি নিয়োগবিধির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়ন ও প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ কার্যক্রমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণসহ অফিসের সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ২০/৩/২০২৪ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ থেকে রায়ের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ৮৯ জন নন ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের সাথে একীভূত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ০২/০৯/২০২৪ তারিখ এসআরডিআই এর সেমিনার কক্ষে মহাপরিচালক জনাব মোঃ জালাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সকল সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রায় বাস্তবায়নের জন্য ০৩/০৯/২০২৪ তারিখ কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা এই প্রস্তাবের ব্যাপারে স্পষ্টিকরণের জন্য একটি পত্র জারী করে। সেই পত্র প্রেরণের জন্য গত ২৩/৯/২০২৪ তারিখ মহাপরিচালক মহোদয়ের দপ্তরে মামলার রায় প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। আলোচনা চলাকালীন সময়ে কতিপয় কর্মকর্তার ইন্ধনে বহিরাগত ও অত্র প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী আলোচনারত কর্মকর্তাদের সাথে অশোভন আচরণ হুমকি-ধামকি ও লাঞ্ছিত করেন।এরই প্রতিবাদে আজ মৃত্তিকার কর্মকর্তারা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (KIB) এর সামনে মানববন্ধন করেন এবং বৈষম্যহীন এসআরডিআই চান। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে ৯দফা পেশ করেন।

১। মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের উপর যারা হামলা ও লাঞ্ছনা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করতে হবে।
২। উপ পরিচালক (প্রশাসন) পদ সৃজনের পূর্বেই অবৈধভাবে জনাব মোঃ শরিফুল ইসলামকে প্রদত্ত রুটিন দায়িত্ব বাতিল করতে হবে।
৩। বহিরাগতদের আগমনের পূর্বেই কারা এবং কী উদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কর্মচারীদের জড়ো করান তা সনাক্ত করতে হবে।
৪। মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কারা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রহস্যজনকভাবে বহিরাগতদের রুমে প্রবেশ এবং নির্বিঘ্নে চলে যেতে দিয়েছে তা সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।
৫। নারী কর্মকর্তাদের ভীত সন্ত্রস্তকারীদের বিচার করতে হবে।
৬। উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এনক্যাডারমেন্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭। প্রতিষ্ঠানে বারবার বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আগমন প্রতিহত করতে হবে।
৮। কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯) প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিচার করতে হবে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ১২:৩২ অপরাহ্ন
কুমিল্লার বন্যাদুর্গত কৃষকদের মধ্যে ধানবীজ বিতরণ
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার বন্যাদুর্গত কৃষকদের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) আজ সকাল ১০টায় ধানবীজ বিতরণ করেছে।
বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য বার্ডের উদ্যোগে কৃষি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়ন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের মোট ২৫৪ জন কৃষকের মধ্যে ব্রি-৭৫ জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বার্ডের কৃষি ও পরিবেশ বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা, প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষণা পরিচালক ও প্রকল্প বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. আবু তালেব, সহযোগী প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালক সাইফুন নাহার, উপ-পরিচালক আবদুল্লা-আল-মামুন, সহকারী পরিচালক এস. এম. হানিফ মজুমদার, প্রশিক্ষণ সহকারী বার্ড।

কর্মকর্তারা জানান ,আমন জাতের ধানের বীজ প্রদানের ফলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দ্রুত বীজতলা তৈরি করে ধানের চাষ করতে পারবেন। উক্ত প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় পরবর্তীতে বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে মাছের পোনা, বিভিন্ন ধরনের সবজি বীজ ও মুরগির বাচ্চা বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop