২:৪৩ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২১, ২০২৪ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যায় কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষতি
কৃষি বিভাগ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে বন্যায় কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া লস্কর গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী। এবার আমন মৌসুমে দুই একর জমিতে ধান চাষ করেছিলেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর রাতে ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের সৃষ্ট বন্যার পানিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিমজ্জিত ছিল মুনসুর আলীর চাষ করা ধানের জমি। ফলে ধানের চারা পচে গন্ধ বের হচ্ছে।  তার মতো শত শত কৃষকের ধানের জমি টানা কয়েক দিন পানিতে তলিয়ে থাকায় বেশির ভাগ আমন ফসলে পচন ধরেছে। আর এদিকে পানি কমতে থাকায় ফসলের মাঠ থেকে বের হচ্ছে ধানের চারা ও কাঁচা ধান পচা গন্ধ।

কৃষক মুনসুর আলী বলেন,আমার চাষ করা দুই একর জমির ধান পচে-গলে সব শেষ। দুই একর জমিতে ধান চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ট্রাক্টর পঈন দিয়ে জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে বীজ, কীটনাশক, ইউরিয়া সার মহাজনদেও কাছে বকেয়া নিয়ে ধান চাষ করেছি। সর্বনাশা বন্যায় ধান তলিয়ে ছিল সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। একটি ধানের চারাও নেই, সব ফস থেকে  পচা গন্ধ বের হচ্ছে।  দুর্গন্ধে জমিতেই যাওয়া যায় না।’

উপজেলার রামেরকুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আমার জীবনেও এতো পানি দেখিনি। এবারের বন্যায় আমার ঘর-বাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি দেড় একর জমির ধান বালুর নিচে পড়ে শেষ হয়েছে। এখনও ঘর-বাড়ির মেরামতের কাজ শুরু করতে পারেনি। খুবই অসহায় অবস্থায় আছি।’

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে ১৪ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করা হয়েছিল। এবারের বন্যায় নিমজ্জিত হয়েছিল ৯ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ধান। এরমধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৬৮১ হেক্টর ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৮২১ হেক্টর জমির ধান। এছাড়া ১২৪ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতি হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে ধান চাষের ক্ষতি হয়েছে সম্ভাব্য মূল্য অনুযায়ী ১১৩ কোটি ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ৬১৫ এবং সবজি  চাষে ক্ষতি হয়েছে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারিভাবে প্রাপ্ত প্রণোদনা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২৪ ২:৫৭ অপরাহ্ন
দিনাজপুরে আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুর  জেলার ১৩ টি উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ কৃষকরা আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার  (১১ অক্টোবর, ২০২৪) পর্যন্ত জেলায় ৮ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া, গতকাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগাম জাতের আমন ধান কর্তনের বিষয় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জেলার বীরগঞ্জ, কাহারেল, খানসামা ও বিরল উপজেলা ধান কর্তনের বিষয় সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, চলতি বছর আমন মৌসুমে ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে এ ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের হাইব্রিড ব্রি-ধান অর্জিত হয়েছে ৩৭ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে।

গত এক সপ্তাহ থেকে ১৩ টি উপজেলাতেই আগাম জাতের আমন ধান কর্তন কৃষকেরা মহা উৎসবে শুরু করেছে। কৃষকেরা আগাম জাতের ধান কর্তন করে ওই জমিতে পুনরায় সরিষা ও আলু চাষ করবেন। ধান কর্তনের পর, ওই জমিতে সরিষা ও আলু লাগানোর প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে জেলার অনেক উপজেলাতে আগাম জাতের আলু রোপন শুরু হয়ে গেছে। সেই সাথে সরিষার চাষ করা হচ্ছে। উঁচু মানের জমি গুলোতে আলু এবং কিছুটা নিচু জমিতে সরিষার চাষ করছেন কৃষকেরা।

জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, জেলার সবচেয়ে দূরবর্তী উপজেলা ঘোড়ারহাট। এ উপজেলায়, চলতি আমন মৌসুমে ২ হাজার ৪২৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড সহ আগাম জাতের আমন ধানের আবাদ হয়েছে।মাঠ থেকে ধান কাটা মাড়াই সহ বাজার জাত করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

দেশের খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূণ ও উদ্বৃত্ত কয়েকটি জেলার মধ্যে দিনাজপুর একটি। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ফসল উপাদনে ও উদ্বৃত্ত কয়েকটি উপজেলার মধ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলা এগিয়ে রয়েছে। এবার অন্যান্য ফসলের ন্যায় আগাম জাতের ধান আবাদ ভাল হয়েছে। অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এসব জমিতে সরিষা, আলুও শাক সবজী আবাদের জন প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন কৃষকেরা। বন্যা ও প্রাকৃতিক র্দূযোগ এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার আগাম জাতের আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

আগাম জাতের ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণে বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা লাভ বান হচ্ছেন। একই জমিতে শীত কালীন শবজি,ভুট্টা ও আলু আবাদের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজলার সিংড়া ইউনিয়নের র্ভনাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ জানান, তিনি এক একর জমিতে লাল তীর,জটাপাড়ী, আগাম জাতের আমন ধান রোপন করেছেন। বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ মন ধানের ফলন পেয়েছেন। গুয়াগাছী গ্রামের মো. আ. হামিদ জানান, তিনি দেড় একর জমিতে লাল তীর জাতের আমন ধান রোপন করেছেন।তিনি বিঘা প্রতি ২০ মন করে ধানের ফলন পেয়েছেন।

কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা মন দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন।আগাম জাতের ধান বিক্রি করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। ধানের কাঁচা খড় বিক্রি করে ভালো মূল্য পাচ্ছেন। ধান কর্তনের পর ওই জমিতে ভুট্টা,আগাম জাতের আলু, ফুল কপি,বাধাকপি সহ শীত কালীন সবজি রোপনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২৪ ৭:২৩ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ‘শীতকালীন সবজি চাষ প্রদর্শনী-২০২৪ উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) এর উদ্যোগে এর হল রুমে বুধবার (৯ অক্টোবর ২০২৪) বিকাল ৩ টায় শীতকালীন সবজি চাষ প্রদর্শনী-২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো: হাম্মাদুর রহমান। বাউএক পরিচালক প্রফেসর ড. মো: নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাভিদুল হক ভূঁইয়া, সহযোগী পরিচালক, বাউরেস এবং প্রফেসর ড.বেনতুল মাওয়া, পরিচালক, জিটিআই।
বাউএক এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো: এনামুল হক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মো: আব্দুর রহমান, উপ-পরিচালক বাউএক ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো: হাম্মাদুর রহমান বলেন বাউএক কে ভবিষ্যতে এধরণের কর্মসূচী আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং ভবিষ্যতে বাউরেসের মাধ্যমে আরও অর্থায়নের আশ্বাস দেন এবং একই সাথে তিনি আরো অধিক সংখ্যায় কৃষকদের এইধরনের কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। পরিশেষে তিনি নির্বাচিত ১২ জন কৃযক-কৃযাণীর মাঝে বিভিন্ন প্রকার সবজির চারা বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, বাউরেস এর অর্থায়নে ‘ময়মনসিংহ জেলার কৃষকদের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাউএক সরাসরি ময়মনসিংহ জেলার কৃষক-কৃষাণীদের অংশগ্রহণে এ সকল কর্মসূচি পালন করছে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ১২ জন কৃষক-কৃষাণীছাড়াও বাকৃবির কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪ ১১:০৯ অপরাহ্ন
মৃত্তিকার এনক্যাডারমেন্ট রায় বাস্তবায়ন কমিটির কর্মকর্তাদের নাজেহাল – হেনস্থা ও লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) বর্তমানে ক্যাডার ও নন ক্যাডার দুইটি নিয়োগবিধির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়ন ও প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ কার্যক্রমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণসহ অফিসের সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ২০/৩/২০২৪ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ থেকে রায়ের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ৮৯ জন নন ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের সাথে একীভূত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ০২/০৯/২০২৪ তারিখ এসআরডিআই এর সেমিনার কক্ষে মহাপরিচালক জনাব মোঃ জালাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সকল সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রায় বাস্তবায়নের জন্য ০৩/০৯/২০২৪ তারিখ কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা এই প্রস্তাবের ব্যাপারে স্পষ্টিকরণের জন্য একটি পত্র জারী করে। সেই পত্র প্রেরণের জন্য গত ২৩/৯/২০২৪ তারিখ মহাপরিচালক মহোদয়ের দপ্তরে মামলার রায় প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। আলোচনা চলাকালীন সময়ে কতিপয় কর্মকর্তার ইন্ধনে বহিরাগত ও অত্র প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী আলোচনারত কর্মকর্তাদের সাথে অশোভন আচরণ হুমকি-ধামকি ও লাঞ্ছিত করেন।এরই প্রতিবাদে আজ মৃত্তিকার কর্মকর্তারা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (KIB) এর সামনে মানববন্ধন করেন এবং বৈষম্যহীন এসআরডিআই চান। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে ৯দফা পেশ করেন।

১। মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের উপর যারা হামলা ও লাঞ্ছনা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করতে হবে।
২। উপ পরিচালক (প্রশাসন) পদ সৃজনের পূর্বেই অবৈধভাবে জনাব মোঃ শরিফুল ইসলামকে প্রদত্ত রুটিন দায়িত্ব বাতিল করতে হবে।
৩। বহিরাগতদের আগমনের পূর্বেই কারা এবং কী উদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কর্মচারীদের জড়ো করান তা সনাক্ত করতে হবে।
৪। মহাপরিচালকের কার্যালয়ে কারা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রহস্যজনকভাবে বহিরাগতদের রুমে প্রবেশ এবং নির্বিঘ্নে চলে যেতে দিয়েছে তা সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।
৫। নারী কর্মকর্তাদের ভীত সন্ত্রস্তকারীদের বিচার করতে হবে।
৬। উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এনক্যাডারমেন্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭। প্রতিষ্ঠানে বারবার বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আগমন প্রতিহত করতে হবে।
৮। কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯) প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিচার করতে হবে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ১২:৩২ অপরাহ্ন
কুমিল্লার বন্যাদুর্গত কৃষকদের মধ্যে ধানবীজ বিতরণ
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার বন্যাদুর্গত কৃষকদের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) আজ সকাল ১০টায় ধানবীজ বিতরণ করেছে।
বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য বার্ডের উদ্যোগে কৃষি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়ন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের মোট ২৫৪ জন কৃষকের মধ্যে ব্রি-৭৫ জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বার্ডের কৃষি ও পরিবেশ বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা, প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষণা পরিচালক ও প্রকল্প বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. আবু তালেব, সহযোগী প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালক সাইফুন নাহার, উপ-পরিচালক আবদুল্লা-আল-মামুন, সহকারী পরিচালক এস. এম. হানিফ মজুমদার, প্রশিক্ষণ সহকারী বার্ড।

কর্মকর্তারা জানান ,আমন জাতের ধানের বীজ প্রদানের ফলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দ্রুত বীজতলা তৈরি করে ধানের চাষ করতে পারবেন। উক্ত প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় পরবর্তীতে বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে মাছের পোনা, বিভিন্ন ধরনের সবজি বীজ ও মুরগির বাচ্চা বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২৪ ৪:০৩ অপরাহ্ন
নওগাঁর কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন
কৃষি বিভাগ

নওগাঁ জেলায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মিষ্টি কুমড়া সব মানুষের একটি উপাদেয় এবং সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজি। নওগাঁ সদর উপজেলার কিত্তীপুর ইউনিয়নের কির্ত্তীপুর, হরিরামপুর, মাধাইনগর ও শালুকান গ্রামের মাঠগুলোতে কুষকরা ব্যপকভাবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। এসব গ্রামের মাঠে মাঠে কেবলই মিষ্টি কুমড়ার জাংলা। যতদুর চোখ যাবে শুধুই এ ফসলের চাষ। জাংলার উপরে সবুজ লাউয়ের ডগা। আর জাংলার নিচে শুধু লাউ আর লাউ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি ভরিপ-১/২০২৩-২০২৪ এর আওতায় নওগাঁ জেলায় মোট ৪৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল নওগাঁ সদর উপজেলার এ এলাকায় চাষ হয়েছে ১২৫ হেক্টর জমিতে। ফেব্রুয়ারী/ মার্চ মাসে জমিতে মিষ্টি লাউয়ের চারা রোপণ করতে হয়। আর জুলাই মাস থেকে ফসল বাজারজাত করন শুরু হয়।

মিষ্টি লাউ একটি লাভজনক ফসল। জাংলা তৈরী, কুমড়ার জমি প্রস্তুত, পরিচর্যা, সার কীটনাশক ইত্যাদি বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ২ হাজার কেজি কুমড়া উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমান বাজার প্রতি কেজি ২৫ টাকা হিসেবে ২ হাজার কেজি লাউয়ের বিক্রি মুল্য ৫০ হাজার টাকা। ফলে এক বিঘা জমি থেকে সমুদয় খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০- হাজার টাকা লাভ করতে পারেন
মাধাইনগ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র এনামুল হক তাঁর আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। তাঁর মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তিনি এ মওসুমে প্রায় ৫ হাজার কেজি কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী তিনি কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। একই ভাবে হরিরামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মুকুল তাঁর দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন মিষ্টি কুমড়া । তিনি তাঁর এ দেড় বিঘা জমি থেকে কুমড়া বিক্রি করে প্রায় লাভ করবেন প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন খরিপ-১ এর আওতাভুক্ত এটি একটি উপাদেয় এনপ্রিয় সবজি। এটি ভিটামিন, প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ একটি সবজি। মানুষের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এ ফসল মোটামুটি লাভজনক হওয়ায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে উৎসাহিত করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২৪ ৯:০২ পূর্বাহ্ন
নওগাঁয় পাট কাটা কার্যক্রম চলছে
কৃষি বিভাগ

নওগাঁ জেলায় পাট কাটার মওসুম চলছে। ইতিমধ্যে জমি থেকে পাট গাছ কেটে পানিতে জাগ দেয়া ও পচন শেষ হলে আঁশ আলাদা করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।  এ বছর জেলায় মোট তিনহাজার পাঁচশ’ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। মূলত দেশী, তোষা এবং মেস্তা- এ তিন জাতের পাট চাষ করেছেন জেলার কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে জেলার নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৫০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ৫৭৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১২০ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৮৫৫ হেক্টর এবং মান্দা উপজেলায় একহাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে । তবে, জেলার সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় কোন পাট চাষ হয়নি।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় দুইহাজার হেক্টর জমির পাট কাটা সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর জেলায় পাঁচহাজার পাঁচশ’ ৫০ মেট্রিক টন বা একলাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ মন পাট উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলার দুইহাজার প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে একবিঘা জমির বিপরীতে জনপ্রতি এককেজি করে পাট বীজ দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২৪ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুরের জাজিরায় বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত কৃষক
কৃষি বিভাগ

শরীয়তপুর জেলার অন্যতম সবজি উৎপাদনকারী উপজেলা জাজিরা। জাজিরাকে জেলার শস্য ভান্ডারও বলা হয়। সারা বছরই মৌসুম ভিত্তিক সবজি উৎপাদন করে থাকেন এখানকার কৃষকরা। এবারও এখানকার কৃষকরা বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত দুই বছর কৃষকরা সবজির দাম ভালো পাওয়ায় আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন। মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের ফলে সবজির ভালো ফলনেরও আশা কৃষকসহ কৃষি বিভাগের। উপজেলায় এবার বর্ষকালীন সবজি আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। তুলনামূলক উঁচু জমিতে ইতিমধ্যে ১শ’ ৩৫ হেক্টরে সবজি আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা আশা করছেন আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই তারা বাজারে সবজি বিক্রি করতে পারবেন।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ওমর ফারুক বাসস’কে বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জেলার সবজি ভান্ডার খ্যাত জাজিরা উপজেলার কৃষকরা বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমির উপযোগীতা অনুযায়ী তুলনামূলক উঁচু জমিতে অধিক লাভের আশায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ সম্পন্ন করেছেন। আশা করা যায় কোন ব্যত্যয় না ঘটলে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই কৃষক বাজারে সবজি তুলতে পারবেন। উপজেলার ৬শ’ ৫০ হেক্টর সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বাকিটা আগস্ট মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান।
কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের এ সময়ে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে কৃষককে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান করতে আমরা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছি। আমরা কৃষকদেরকে মালচিং ও বেড পদ্ধতিতে জমির প্রকারভেদে বেগুন, শশা, করলা, লাউ, কাঁচামরিচ, ধুন্দলসহ বিভিন্ন শাক—সবজি আবাদে উদ্বুদ্ধ করছি। আশা করছি কৃষকরা তাদরে কাংখিত ফলন পেয়ে অধিক লাভবান হবেন।
উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাশার গ্রামের কৃষক, ফরহাদ খান বলেন, গত দুই বছরে আমরা সবজির দাম ভালো পাওয়ায় এবার বেশি জমিতে সবজি আবাদ করছি। বড় কোন প্রাকৃতি দুর্যোগ বা সমস্যা না হলে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ ২০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।
একই গ্রামের কৃষক মো: ফারুক মোল্লা বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় আমাদের সবজি খুব সহজেই ঢাকায় পাঠাতে পারছি বলে আগের তুলনায় দাম বেশি পাচ্ছি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতায় তাই আমরাও আগের তুলনায় কম উৎপাদন খরচে বেশি লাভবান হচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২৪ ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
নওগাঁ জেলায় মাঠে মাঠে চলছে আমন রোপণের উৎসব
কৃষি বিভাগ

উদ্বৃত্ত ধান উৎপাদনের জেলা নওগাঁয় মাঠে মাঠে চলছে প্রধান ফসল আমন ধান রোপণের উৎসব। কৃষকরা তাঁদের জমিতে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা জুড়ে মাঠে মাঠে আধুনিক প্রযুক্তি কলের লাঙ্গল দিয়ে জমিতে চাষ দেয়ার দৃশ্য। খন্ড খন্ড জমিতে সারিবদ্ধভাবে শ্রমিকের চারা রোপনের শৈল্পিক চিত্র আবহমান গ্রাম বাংলার চিরায়ত রুপ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। এর মধ্যে হাইব্রীড জাতের ৯৭৫ হেক্টর, উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর।
মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধপানের চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬৮ শতাংশ। আমন ধানের চারা রোপণের শেষ তারিখ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদনের পরিমাণ ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।
কৃষি বিভাগের সূত্র মোতাবেক জেলায় উপজেলা ভিত্তিক আমন ধান চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৫৯০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৯ হাজার ৬৮৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৬ হাজার ২৭৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৬৭০ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ২৩ হাজার ৬২০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ২১ হাজার হেত্টর, সাপাহার উপজেলায় ৯ হাজার ৮৭৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৫ হাজার ৪০৫ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৬৯৫ হেক্টর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২৪ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
পাট গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূল আর সার সঙ্কট না থাকার ফলে কুমিল্লায় এ বছর সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যথাসময়ে ভালো বৃষ্টিপাত, ভালবীজের সহজলোভ্যতা এবং সারের সঙ্কট না থাকার কারণে লক্ষমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, তার চেয়ে ৪শ’ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এখন পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষক মনির হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমি চাষে খরচ হয়েছে প্রায় আট হাজার টাকা।

পিপুইয়া গ্রামের পাটচাষী সুলতান মিয়া জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে পাট রোপণ করেছিলেন। ফলন ভাল হয়েছে। রোগবালাই মুক্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। একই কথা জানালেন, বাশরা গ্রামের পাট চাষী গোলাম কিবরিয়া। তিনি পাটের নায্য মূল্য আরও বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, এক সময়ে জেলার অনেক কৃষক পাট চাষ করত। এখনও পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ আছে। তাই নায্য মূল্য পেলে অনেকেই পাট চাষের দিকে ঝুঁকবেন।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় কুমিল্লায় পাটের চাষাবাদ কমে গিয়েছিলো। তবে পাটের বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায় হওয়ায় এ জেলায় ধীরে ধীরে পাটের চাষাবাদ বাড়তে শুরু করেছে। পাটের চাহিদা বাড়ায় কুমিল্লার কৃষকেরা বিগত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে অধিক পাট চাষ করেছেন। এ জেলায় এ বছর ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাটের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশি, তোষা জাতের পাট। মৌসুমের এ সময়টাতে পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে কুমিল্লায় পাটচাষ করায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop