৯:০০ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২৪ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
ভোলার চরাঞ্চলের মানুষ মহিষ পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে
প্রাণিসম্পদ

দ্বীপ জেলা ভোলায় মহিষ পালন একটি ঐতিহ্যগত পেশা। এখানকার অর্ধশতাধিক চরের মানুষ বংশপরাম্পরায় মহিষ পালন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক বিছিন্ন দ্বীপ চরগুলোতো প্রায় দুইশ’ বছর ধরে মহিষ বাতান আকারে পালন করে আসছেন চাষীরা। প্রতিটি মহিষের বাতানে দু’শ থেকে হাজার পর্যন্ত মহিষ পালন হয়ে থাকে। যা ঘরোয়া পরিবেশে একেবারেই অসম্ভব।

কিন্তু বর্তমানে এ মহিষ পালন অধিক লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়রা বসত বাড়ির গোয়ালঘরে পালন শুরু করেছেন। মহিষ পালনের ব্যাপকতায় এলাকার দরিদ্র কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। একদিকে মহিষ বিক্রি অন্যদিকে মহিষের দুধ বিক্রিতে লাভবান হয়ে উপকূলের চাষীরা দেখছেন দিন বদলের স্বপ্ন। কালের বিবর্তনে দক্ষিণ উপকূলবাসী আধুনিক নিয়মে উন্নতজাতের মহিষ পালন করে নিজেরা যেমনি স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি এখানকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদের অর্থনৈতিক ভিতকে আরো মজবুত করে গড়ে তুলছেন।

সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্রমতে, জেলা সদর ভোলা, দৌলতখান,বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন,চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক বিচ্ছিন্ন চর রয়েছে। এসব চরে সরকারি হিসেবে ২ লক্ষ ৬০ হাজার মহিষের হিসেব থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষাধিক। এখানে ৯৭ টি মহিষের বড় বাতান (খামার) সহ প্রায় ৭০৫ দুগ্ধ খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লিটার দুধ আসে। এসব দুধ ও দুধের তৈরি দই দিয়ে জেলার ২১ লক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা পূরণ করছে। নদীর মাঝখানে এসব চরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এলাকা জুড়ে সবুজ ঘাসের সমারোহ। আর এসব চরে পালন করা হয় হাজার হাজার মহিষ। সবুজ ঘাস খেয়ে পালিত হয় এসব মহিষ। যুগ যুগ ধরে বংশপরাম্পরায় বহু পরিবার এখানে মহিষ ও দই বিক্রির পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।

অনেকে আবার নিজস্ব মহিষের মাধ্যমে দুধ উৎপাদন করে দই তৈরি করেন। দই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন চরে গড়ে উঠেছে শত শত মহিষের বিশাল বাতান। প্রতিদিন সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গেএসব বাতান থেকে শত শত লিটার দুধ আসতে শুরু করে শহর ও বাজারগুলোতে। গ্রামাঞ্চলে হাটের দিনে মহিষা দই এর টালির পসরা সাজিয়ে বসেন অনেক বিক্রেতারা। বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হয় মহিষের দুধের দই। নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে,প্রায় ১২২০ সালে বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেগে উঠে দ্বীপ জেলা ভোলা। এরপর এখানে গত ৪শ’ বছর ধরে ক্রমশই জনবসতি গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হলে তারা মহিষ,গরু, ছাগল,ভেড়াসহ নানা জাতের গবাদিপশু পালন শুরু করেন। ভোলা দ্বীপ জনপদ হওয়াতে এখানকার ছোট বড় অসংখ্য চরে মহিষ পালনে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে অবস্থা সম্পন্ন গৃহস্থ পরিবারগুলোর শত শত মহিষ পালন করতে তেমন বেগ পেতে হয়না।

স্থানীয় জানান,প্রায় ২শ’বছর ধরে এ জেলায় মহিষের দুধ থেকে কাঁচা দই উৎপাদন শুরু করে। যা ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু হয়ে বর্তমান সময়েও জনপ্রিয়। এখানে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ এমন কোন সামাজিক অনুষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে দই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়নি।

মহিষ পালনকারী ভোলার চরের মিন্টু খাঁ বলেন, মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ২০০১ সালে চারটি মহিষ নিয়ে যাত্রা শুরু করি। এখন আমার ৪১টি মহিষ। বর্তমানে তার দুই একর জমি হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা। এ মহিষের দুধ বেঁচে তিনি তার সংসারের খরচ মেটান। ভোলায় এখন মহিষ পালনে চরাঞ্চলের সবাই ঝুঁকছে। এতোদিন শুধু বাতানে পালন হলেও এখন তা বাড়িতে বাড়িতে ঘরোয়া পরিবেশেও পালন হচ্ছে। মহিষ পালনে দিন বদলের এ গল্প জেলার অনেক কৃষকের। ভোলার চর বৈরাগিয়ার মহিষের বাতান মালিক জাকির হাওলাদার বলেন, তার ৯৫টি মহিষ রয়েছে। এটা আমার দাদা পালন করেছে। তারপর চাচা,এখন আমি করছি। তবে আগে মহিষ একটু সামান্য রোগেই মরে যেত। তাই অনেকে বেশি পালন করতে চাইতো না। কিন্তু এখন কৃমি নাশক ওষুধও বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে মহিষ মারা যাওয়ার ঝুঁকি কমেছে। অন্যদিকে মাংস ও দুধের দাম বাড়ার কারণে লাভের পরিমানও বেড়েছে। তাই অনেকের মতো আমারও বেশি মহিষ পালনের আগ্রহ বেড়েছে। আমি এ মহিষ পালন করে প্রায় ৫ একর জমি কিনেছি।

মহিষের বাতানের অপর মালিক মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর চরে তাদের বাতানে প্রায় আড়াই শত মহিষ রয়েছে। যা তারা চার পুরুষ ধরে লালন করে আসছেন। দৈনিক এখান থেকে ১৩০ থেকে ১৫০ কেজি দুধ হয়। জেলায় অনেকেই ঐতিহ্য ধারণ করে মহিষ পালন করে আসছেন। যা তাদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

স্থানীয় দধি বিক্রেতারা বলেন, সাধারণত দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের দই (টালির) চাহিদা বেশি। বর্তমানে দেড় কেজি ওজনের দধি ২৫০ ও দুই কেজি ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দই থেকে মাখন, ঘি ও ঘোল বানানো হয়। মাখনের কেজি ৯শ’ ও ঘিয়ের কেজি ১৬ শত ১৮ শত টাকায় বিক্রি হয়। এর ভালো দাম পাওয়ায় তাদের লাভও ভালো হয়। তবে দুধের দাম বৃদ্ধি পেলে দইর দামও বেড়ে যায় বলে জানান তিনি।

এ বিষয় ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান বাসস’কে বলেন, ভোলায় সরকারী হিসেবে জেলায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মহিষ রয়েছে।

এতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লিটার দুধ আসে। এগুলো জলা মহিষ নামে পরিচিত। মাংস ও দুধ উৎপাদনের জন্য তারা এসব মহিষ পালন করে থাকে। তিনি বলেন,আমাদের মুদ্রাজাতের মহিষ উৎপাদনের জন্য বাগেরহাট ও টাংগাইলে দু’টি মহিষ প্রজনন খামার রয়েছে। সেখান থেকে ভোলাতে আমরা ১৫০টির মত চেলা মহিষ বিতরণ করেছি । এ চেলা মহিষ দিয়ে বাতানের মহিষগুলোকে কোড়াছ করে উন্নত জাতের মুদ্রাজাতের মহিষ উৎপাদনের জন্য কাজ করছি, যাতে প্রতিটি মহিষ প্রথম থেকেই ১০ থেকে ১৫ কেজি দুধ উৎপাদন করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমরা ভোলা জেলায় ১শ’ একর জমির উপর ডি এল আরই ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রাণালয়ের যৌথ উদ্যোগে উন্নত মুদ্রাজাতের মহিষ উৎপাদনের খামার করার কাজ করে যাচ্ছি, আশা করি ভোলার মহিষের বাতান মালিকরা খুব শীঘ্রই এর সুফল পাবেন। সব মিলিয়ে দ্বীপাঞ্চল ভোলার জনপদে আধুনিক প্রযুক্তিতে মহিষ পালন ও এর ব্যাপক প্রজনন সক্ষমতা

দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪ ২:৫৩ অপরাহ্ন
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস- ২০২৪ উদযাপন, আয়োজনে ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট, সিভাসু
প্রাণিসম্পদ

“Breaking Rabies Boundaries” বা “জলাতঙ্ক নির্মূলে প্রয়োজন সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসন” প্রতিপাদ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২৪। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অধিনস্থ ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট দিবসটি উদযাপনের জন্যে নানা ধরনের কর্মসূচীর আয়োজন করে। ওয়ান হেলথ্ ইন্সটিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ যেমন, প্রশাসনিক বিভাগ, এস. এ. কাদেরী টিচিং ভেটেরিনারি হসপিটাল এবং বিভিন্ন সংস্থা যেমন, সিভাসু ডিবেইট সোসাইটি, ওয়ান হেলথ্ ইয়ং ভয়েস, বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশান, বাধঁন এর সাথে সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।

দিবসের প্রথমার্ধের কর্মসূচীতে ছিলো র‍্যালি, জলাতঙ্ক বিষয়ক আলোচনা সভা, বিনামূল্যে পোষাপ্রাণীর জন্যে টিকাপ্রদান ক্যাম্পেইন, শিক্ষার্থীদের পোস্টার প্রেজেন্টেশান প্রতিযোগিতা। আয়োজনের শেষভাগে “Pathway of One Health Solution for Rabies and it’s Challenges”—শিরোনামে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, জলাতঙ্ক নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণারও উদ্যোগ নেয়া হয়। দিবসটির প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার জন্যে বেশকিছু পোস্টার, ছোট ছোট প্রচারপত্র, এবং একটি সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি করা হয়।

ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ লুত্ফর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই এনিম্যাল হেলথ লিমিটেড-এর হেড অব বিজনেস ডা. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। জলাতঙ্ক নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভাসু’র মাইক্রোবায়োলজি ও ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর পাবলিক হেলথের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহসানুল কবির চৌধুরী।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভাসু’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দিন বলেন, জলাতঙ্কের টিকার দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা গেলে টিকা গ্রহণের হার বাড়বে। এতে করে জলাতঙ্কের ঝুঁকি কমবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকার সহজলভ্যতা জলাতঙ্ক নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দিবসের দ্বিতীয়ার্ধের বিতর্ক অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান এবং ফিজিওলোজি, বায়োকেমিস্ট্রি এবং ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রিদুয়ান পাশা।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করা হয়। সমাপনী পর্বে অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের বিতর্ক আয়োজন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে এবং দক্ষতা বাড়াতে খুব উপযোগী হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওয়ান হেলথ্ ইনস্টিটিউট, সিভাসু- তে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১১, ২০২৪ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
ভোলায় তিনমাস মেয়াদী গবাদি পশুপালন ও কৃষি প্রশিক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

ভোলা জেলা সদরে  তিনমাস মেয়াদী গবাদি পশু, হাঁস মুরগি পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই ২০২৪) বেলা ১১টায় সদরের বাংলাবাজার এলাকায় জেলা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’র হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মানিকহার রহমান।

যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র প্রশিক্ষক সঞ্জীব দেবনাথ, প্রশিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর (পশু পালন), কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, প্রদর্শক (মৎস্য) রফিকুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তিনমাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের ১০০ তম ব্যাচের মোট ৬০ জন যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেন। কর্মদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বিনামূল্যে থাকা- খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২৪ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিপিআইসিসি নেতৃবৃন্দ
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব জনাব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান “বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল” (বিপিআইসিসি) -এর নেতৃবৃন্দ।

দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান অবস্থা, উৎপাদন ও উৎপাদন খরচ এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে সচিব মহোদয়কে অবহিত করেন তাঁরা। একই সাথে পোল্ট্রি শিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান বিপিআইসিসি নেতৃবৃন্দ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিপিআইসিসি ও ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন (এফআইএবি) এর সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ; বিপিআইসিসি’র যুগ্ন-আহŸায়ক ও ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মসিউর রহমান, ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান; এফআইএবি’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুজ্জামান; এফআইএবি’র সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম; বিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ হাবিব এবং বিপিআইসিসি’র যোগাযোগ ও মিডিয়া উপদেষ্টা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৩, ২০২৪ ৮:৪২ অপরাহ্ন
কোরবানির পশু সুস্থ ও স্টেরয়েড মুক্ত কিনা বুঝবেন যে ৭ উপায়ে…
প্রাণিসম্পদ

ডাঃ খালিদ হোসাইনঃ যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হয় । সে অনুযায়ী আর মাত্র ৩ দিন পর আগামী ১৭ জুন পালিত হতে যাচ্ছে  পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ঈদের অন্যতম আনুষ্ঠানিকতা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পছন্দের পশুকে কোরবানি করা। তাই কোরবানির হাটে যাওয়ার আগে অবশ্যই সুস্থ সবল পশু চিহ্নিত করার উপায়সমূহ জেনে নেওয়া উচিত।

কোরবানির গরু সুস্থ ও রোগমুক্ত কিনা তা চেনার উপায়:

১) কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্টেরয়েড দিয়ে গরু মোটাতাজা করে থাকেন, এসব গরু স্বাস্থ্যবান দেখাবে কিন্তু এরা তেমন চটপটে হবে না। খুব বেশি নড়াচড়া করতে দেখা যাবে না। গরুর শরীরে আঙ্গুল দিয়ে হালকা চাপ দিলে ঢেবে যাবে। কিন্তু সুস্থ গরুর শরীরে আঙ্গুলের চাপ দিয়ে আঙ্গুল সরিয়ে নিলে তাৎক্ষণিকভাবে পূর্বের অবস্থায় ফেরত আসবে।

২) সুস্থ পশুর চোখ উজ্জ্বল, চকচকে ও তুলনামূলক বড় আকৃতির হবে। অবসরে জাবর কাটবে (পান চিবানোর মতো), কান নাড়াবে, লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। বিরক্ত করলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সহজেই রেগে যাবে, আশাপাশের পরিবেশে কোন পরিবর্তন দেখলে সে প্রতিক্রিয়া দেখায়।

৩) সুস্থ গরুর নাকের সামনের কালো অংশ (Muzzle) ভেজা থাকবে, অসুস্থ গরুর ক্ষেত্রে শুকনো থাকবে। অসুস্থ গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে।

৪) সুস্থ গরুর গোবর স্বাভাবিক থাকে, পাতলা পায়খানা হবে না ।

৫) সুস্থ ও স্বাভাবিক গরুর সামনে খাবার ধরলে জিহ্বা দিয়ে টেনে নিতে চাইবে। অন্যদিকে অসুস্থ পশু দেখে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় না ।

৬) অসুস্থ গরু ঝিমায়, নিরব থাকে, আশেপাশের কোলাহলে খুব একটা সাড়া দেয় না ।

৭) সুস্থ গরুর লেজ ধরে টেনে পেছনে আনলে সে আবার নিজের আগের পজিশনে চলে যাবে, অসুস্থ গরু আগের জায়গায় যাবে না।

 

আল্লাহপাক আমাদের সবার কুরবানি কবুল করুন৷ আমীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২৪ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
স্মার্ট উন্নত দেশ গড়তে হলে ডিম দুধ মাংসের প্রাপ্যতা বাড়াতে হবে
প্রাণিসম্পদ

ডক্টরস’ ডায়ালগ অন রাইট টু প্রোটিন

বুদ্ধিমান ও স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে হলে প্রোটিনের প্রাপ্যতা বাড়াতেই হবে। উন্নত দেশের মানুষ যেখানে বছরে গড়ে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০টি ডিম খায় সেখানে সরকারি হিসাবে আমাদের দেশে এ সংখ্যা ১৩৬টি। শুধুমাত্র হাঁস ও মুরগির ডিমের হিসাব করলে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক কম। মুরগির মাংসের প্রাপ্যতা উন্নত দেশের তিন ভাগের এক ভাগ। দুধের মাথাপিছু দৈনিক প্রাপ্যতা ২৫০ মি.লি. এর বিপরীতে মাত্র ২২২ মি.লি.। তাই ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণ করতে হলে ডিম, দুধ, মাংসের মাথাপিছু প্রাপ্যতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ৩০ মে ২০২৪ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত “ডক্টরস’ ডায়ালগ অন রাইট টু প্রোটিন” শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সাইন্সেস (বিএউএইচএস), বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ইউ.এস. সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।

বিএউএইচএস এর উপাচার্য্য প্রফেসর ডা. ফরিদুল আলম বলেন- আপাত বিচারে মাথাপিছু আয় কম হওয়াকে প্রোটিন বা পুষ্টি ঘাটতির কারণ হিসেবে দায়ী করা হলেও সচেতনতার অভাবকেও এ দায় থেকে মুক্ত করা যায় না। তিনি বলেন- বেসরকারি এমনকি সরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতেও ডিম কিংবা দুধের বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনা অথচ প্রতিবেশি দেশে প্রচারিত দারুণ চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে। ডা. ফরিদুল আলম বলেন- প্রচারেই প্রসার। তাই জনসচেতনতা বাড়াতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সাইন্সেস জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক, প্রফেসর ডা. মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে মানুষকে কোনো বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে তবে আচরণে পরিবর্তন আনা অনেক কঠিন একটি কাজ। আশার কথা হলো অধিকাংশ মানুষ এখনও ডাক্তার, পুষ্টিবিদ কিংবা হেলথ প্রফেশনালদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করেন। তাই প্রোটিন ও পুষ্টি বিষয়ক জনসচেতনতা বাড়াতে ডাক্তার ও হেলথ প্রফেসশনালদের এগিয়ে আসতে হবে।

ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ টীম লীড খাবিবুর রহমান কাঞ্চন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। পুষ্টি সূচকে উন্নতি করতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ার চিত্র পাল্টে যাবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রোটিন চাহিদা পূরণ করতে হলে আমাদেরকে স্বল্প জায়গায় এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে অধিক পরিমান মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনের কথা ভাবতে হবে। কাঞ্চন বলেন, সয়াবিন এমন একটি শষ্য যা একদিকে যেমন উদ্ভিজ্জ্য প্রোটিনের চাহিদা মেটাচ্ছে অন্যদিকে তেমনি প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনেও বড় ভূমিকা রাখছে।

ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা’র সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব প্রামাণিক বলেন, পশ্চিম ইউরোপের দেশ মোনাকোর মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি। চীনের একজন মানুষ ৭৫ বছর বয়সেও অনেক বেশি কাজ করতে পারেন। নেদারল্যান্ডসের মানুষেরা এখনকার মত এতটা লম্বা ছিল না। অলিম্পিকের মেডেল তালিকায় আমেরিকা এবং ইউরোপই শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বহুকাল কারণ তাঁরা পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এক শলাকা সিগারেটের দাম ১৫-১৮ টাকা অথচ পৃথিবীর প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন- একটি ডিমের দাম ১৩ টাকা হলেই তুলকালাম কান্ড বেধে যায়। এ মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. খালেদা ইসলাম বলেন- জাতি গঠনের প্রেক্ষাপটে প্রতিটি নাগরিকের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। প্রোটিনের ঘাটতি একটি শক্তিশালী জাতিকেও দূর্বল জাতিতে পরিণত করতে পারে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত ও দূর্বল শিশুর জন্মহার, খর্বাকৃতি ও কম ওজনের শিশুর সংখ্যা বাড়তে থাকলে পরিণামে বৃহত্তর সমাজ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন নাহার নাহিদ মহুয়া বলেন, ডিম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যেমন- ডিম খেলে হার্টের সমস্যা হয়, প্রেসার হয়, শরীর মোটা হয়ে যায়, অপারেশনের রোগীকে ডিম দেয়া যাবেনা, বয়স্কদের ডিম-মাংস দেয়া যাবেনা; ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া ঠিক নয় ইত্যাদি। অথচ ডিম ও দুধ হচ্ছে সুপার ফুড। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির মাংস হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর মাংস।

বিইউএইচএস -এর পাবলিক হেলথ ফ্যাকাল্টির ডীন, প্রফেসর ডা. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে নেতিবাচক প্রচারণা বাদ দিয়ে ইতিবাচক প্রচারণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যকর বার্তাগুলো যদি ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে মানুষ উপকৃত হবে, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি হবে, জাতি আরও মেধাবি হবে এবং সার্বিক বিচারে সরকার ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে।

সেমিনারে প্রায় ২৫০ জন ডাক্তার, পুষ্টিবিদ, হেলথ প্রফেশনাল ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৪ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের এক কোল্ড স্টোরেজে ২৮ লক্ষ ডিম মজুদ; ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
প্রাণিসম্পদ

ডিমের অবৈধ মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি প্রতিহতের লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (৫ মে) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগার সিন্দুর কোল্ড স্টোরেজ এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান এ দেখা যায় কোল্ড স্টোরেজ এ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীগণের প্রায় ২৮ লক্ষ পিস ডিম মজুত আছে যা প্রায় বিশ দিন হতে একমাস পূর্বেই কোল্ড স্টোরেজ এ মজুত করা হয়েছে। উক্ত কোল্ড স্টোরেজ এর ম্যানেজার জনাব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন এর সাথে কথা বলে এবং রেজিস্টার বহি পর্যবেক্ষণ করে এর সত্যতা পাওয়া যায়।

বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের এমন ডিম মজুত কার্যক্রম সন্দেহজনক এবং বাজার অস্থির করার পাঁয়তারা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব হৃদয় রঞ্জন বণিক।
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক সহযোগিতায় অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব লুৎফুন্নাহার বেগম, কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি তদারকি টিম এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিক বৃন্দ।

অভিযান এ ডিম মজুত রাখা ব্যক্তিদের দ্রুত একদিনের মধ্যেই ডিম খালাস করার জন্য বলা হয় অন্যথায় বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২৪ ৭:০৭ অপরাহ্ন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে “বিজ্ঞান ভিত্তিক মহিষ পালন এবং খামার ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক খামারী প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ

সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় “বিজ্ঞানভিত্তিক মহিষ পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী খামারী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন হয়েছে। গত ০৪ মে, ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট এর বাস্তবায়নে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর, ফেঞ্চুগঞ্জ এর সহযোগীতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী নির্বাচিত ৫০ জন মহিষ খামারীদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, সাভার, ঢাকা। আরো উপস্থিত ছিলেন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকা; ডাঃ মোঃ মারুফ হাসান, পরিচালক, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, সিলেট বিভাগ, সিলেট এবং মোঃ মিজানুর রহমান মিয়া, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সিলেট; মোঃ আশাদুল আলম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপপ্রকল্প পরিচালক, বিএলআরআই, সাভার, ঢাকা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণিস্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন।

তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মহিষ খামারীগণ লাভজনক পদ্ধতিতে খামারে মহিষ পালন; বয়সভিত্তিক বিভিন্ন মহিষের খাদ্য ব্যাবস্থাপনা; কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি; গর্ববতী, প্রসূতী, দুগ্ধবতী ও বাছুরের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা; প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা; মহিষের রোগ প্রতিরোধে করণীয়, টিকা প্রদান ও কৃমি মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মাবলী, কৃমি প্রতিরোধে খামারীদের করনীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাংলাদেশে প্রাপ্ত মহিষের জাতসমূহ, দুধালো গাভী মহিষ, আদর্শ প্রজনন উপযোগি ষাঁড় মহিষ নির্বাচন সম্পর্কে খামারীরা সুনিপুণ ধারণা অর্জন করবেন।

 

এছাড়াও খামারীদেরকে সুষম দানাদার খাবার মিশ্রণ প্রক্রিয়া, ইউএমএস (ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র) প্রযুক্তি, টিএমআর (টোটাল মিক্সড রেশন) প্রযুক্তি হাতে কলমে শেখানো ও ডেমোনেস্ট্রেশন মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করবেন। তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে আছেন বিএলআরআই-এর মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান মজুমদার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৪, ২০২৪ ৫:৩৬ অপরাহ্ন
তীব্র তাপদাহে প্রাণিসম্পদ ক্ষতি প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান
প্রাণিসম্পদ

৪ মে, ২০২৪ জাতীয় প্রেস ক্লাব এর মাওলানা  মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ সিমেন্ট শীট ম্যানুফ্যাকচারিং এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত হল “তীব্র তাপদাহে প্রাণিসম্পদ ক্ষতি প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান” । উক্ত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত তাপে পোল্ট্রি এবং ডেইরি খামারে শেদ হিসেবে সিমেন্ট শীট এর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয় । সিমেন্ট শীট এর ৬ স্তরের কারণে গরমে শেডের ভিতর ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে, যার ফলে গরম জনিত কারনে মুরগির ও গবাদি পশুর হিট স্ট্রেস নিয়ন্ত্রন থাকে, মৃত্যু ঝুকি হ্রাস পায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ।

 

উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞগণ খামার ব্যবস্থাপনায় শেডে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বকে অভিহিত করেন এবং চলমান দাবদাহে খামারিদের বিভিন্ন করণীয় বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিমেন্ট শীট ম্যানুফ্যাকচারিং এ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট জনাব ড. মুসাদ্দিক হোসেন । এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জনাব ডঃ নাথুরাম সরকার, নির্বাহী পরিচালক, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, অধ্যাপক আনোয়ারুল হক বেগ – শের এ বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খন্দকার মোঃ মহসিন, মহাসচিব, বাংলাদেশ পোলত্রি ফার্মারস এ্যাসোসিয়েশন, এ কে ফজলুল হক, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বংলাদেশ খামার রক্ষা জাতীয় কমিটি, ডঃ রফিকুল হাসান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভার, এবং ডঃ মোঃ মোস্তফা কামাল, পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৯:৪০ অপরাহ্ন
“New Hope Campus Recruitment -2024” held at SAU
প্রাণিসম্পদ

Rakib Khan, SAU, Dhaka-1207 : “New Hope Campus Recruitment – 2024” was held under FASVM at Sher-e-Bangla Agricultural University (SAU) on last Saturday. The programme started at 2:30 pm.

New Hope Agrotech Bangladesh Ltd. is a Chinese Agri-based multinational Company, Currently New Hope is ranking No-1 feed producing company in the world. The company arranged a Campus Recruitment programme at Sher-e- Bangla Agricultural University on the basis of their vacancy on the presence of Execuitive Director Mr. Li Chunbin along with others chinese management of this company.The host was the Faculty of Animal Science and Veterinary Medicine.


This program was completed with two sessions. The first session was presentation on the New Hope Group and the activities of technical services in the farmer level and the end session was job interview.

Here, the internship coordinator Prof. Dr. Mahfuzul Islam showed the activities of the internship students & another internship coordinator Prof. Dr. Asaduzzaman gave a speech too. From Company side Mr. Xu (Head of Hr. and Admin Dept.) had given speech to introduced New Hope Group activities and Dr. Muhammad Al-Maruf (AGM, S&M) showed the activitites of technical Service Dept.

Finaly, The session was ended by the Speech of Dean of the Faculty of Animal Science and Veterinary Medicine Prof. Dr. K.B.M Saiful Islam. He showed gratitude and previllage to the New Hope Management and said to continue arranging this type of Programme in future. More than 50 students were participated in this job interview session.

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop