বিএলআরআই এর ‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএলআরআই কর্তৃক ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে ‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে নিজস্ব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির সমাপনী ঘোষণা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জনাব সুবোল বোস মনি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ও একুশে পদক বিজয়ী ড. জাহাঙ্গীর আলম খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন্নাহার ও ড. নাথু রাম সরকার।অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুইদিনব্যাপী চলা এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব সুবোল বোস মনি বলেন, বর্তমানে কৃষির কেবল অভ্যন্তরীন বাজার বিদ্যমান। আমাদের কৃষির বৈদেশিক বাজার তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞানীদের কেবল ২০৩০ বা ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে কাজ করলে হবে না, নিজেদের সময়কে অতিক্রম করে ভাবতে হবে। সকল বিজ্ঞানী একই রকমভাবে ভাবলে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে না। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন চাকুরি জীবনের শেষে এই বেদনায় ভুগতে না হয় যে এই জাতিকে আরও অনেক কিছু দেবার ছিলো।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে যেনো তা দেশের প্রান্তিক খামারিদের প্রয়োজনে লাগে। একই সাথে তরুণ ও আধুনিক খামারিদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়েও আমাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। আগামী দিনের গবেষণা প্রকল্পসমূহকে ঢেলে সাজানো হবে, যেন তা টার্গেট পূরণে সহায়তা করে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তা নেওয়া হবে। দুইটি প্রতিষ্ঠান এক হয়ে কাজ করলে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দুইদিনব্যাপী চলমান এই কর্মশালায় মৌখিক উপস্থাপনা ও পোস্টার উপস্থাপনার মাধ্যমে উপস্থাপিত গবেষণা প্রকল্পসমূহকে পুরষ্কৃত করা হয়।