৯:০৩ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৬, ২০২৩ ১০:০৫ অপরাহ্ন
ঝড়-বৃষ্টির মাঝেও ৫ জেলায় অব্যাহত থাকবে তাপদাহ
প্রাণ ও প্রকৃতি

দেশর পাঁচ জেলায় বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নঁওগা, মৌলভীবাজর, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। সারাদেশের দিনে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি নীলফামারীর রাজারহাটে সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় আজ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ৫:৩৪ অপরাহ্ন
‍জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা সহনীয়,ক্ষতির তথ্য পাইনি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা ‘সহনীয়’ ছিল জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, এই দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি।“আমরা পাঁচ বছরে যত দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি, তার মধ্যে এবারের ব্যবস্থাপনাটি ছিল সর্বোচ্চ সঠিক,” বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ।

ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকাল ৬টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এখনও সেটি অতিক্রম করছে। বিকালে এটি উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে অগ্রসরমান হবে।“এখন ঝড় ৫০ থেকে ৬৮ কিলোমিটার গতিতে হচ্ছে। যেহেতু সকাল থেকে ভাটা শুরু হয়েছে তাই জলোচ্ছ্বাসের (বড়) শঙ্কা নাই, মাত্রাটাও সহনীয়।

তিনি বলেন,“সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ঝড়টি দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অতিক্রম করছে। তবে ঝড়ের কেন্দ্রের ৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে ঝড়ের গতিবেগ এখনও ২০০ থেকে ২১৫ কিলোমিটার। এ গতিবেগে কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম করলে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হবে”। ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ না পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া কক্সবাজারে ৫৭৬টি কেন্দ্রে ২ লাখের বেশি, চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৪ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সন্দ্বীপ, সুবর্ণচরের মানুষকেও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে”।

কিছু আশ্রয়কেন্দ্রে সুপেয় পানি না থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কক্সবাজারের একটি কেন্দ্রে সুপেয় পানি ছিল না। আমি অভিযোগ পেয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসককে বলেছি। সেখানে তিনি পর্যাপ্ত মিনারেল ওয়াটারের ব্যবস্থা করেছেন”। তিনি বলেন,“এবার আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার আমরা তাদের মিনারেল ওয়াটার খাওয়াব, সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যায় যা করেছিলাম, যেন দুর্যোগের পর সেখানে পানিবাহিত কোনো রোগ না হয়।”

দুর্যোগকালীন লাখ লাখ মানুষের ব্যবস্থাপনা সহজ নয় জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, “হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র, লক্ষ লক্ষ মানুষ। এদের ব্যবস্থাপনা বাস্তবিক অর্থে এত সহজ না। আমরা দেখেছি এর আগেও সক্ষমতা ১০০ জনের হলেও ২০০ মানুষ আসে। তাদের খাওয়া-দাওয়া, স্যানিটেশনের ব্যবস্থা খুব সহজ নয়।” তবে এবারের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাজের প্রশংসা করেন প্রতিমন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ১:২৮ অপরাহ্ন
উত্তাল সমুদ্রে গোসল করতে নেমে বিপদে পর্যটক!
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঘূর্ণিঝড় মোখার সরাসরি প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গে। রৌদ্রের প্রখর তাপে রোববার দুপুরেও দেখা নেই বৃষ্টির। তবে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। উত্তাল সমুদ্র দেখতে সমুদ্র পারে ভিড় করেছে হাজার হাজার পর্যটক।

এমন অবস্থায় সাবধানতা অবলম্বনের জন্য শনিবার বিকেল থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রের পর্যটকদের গোসলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা জারি করেছে প্রশাসন।

দীঘার বিচে অবাধ্য পর্যটকদের আটকাতে বিচ সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখা হয়েছে দড়ি দিয়ে। চলছে প্রশাসনিক নজরদারি। এরপরেও নজরদারি এড়িয়ে সমুদ্রে গোসল করতে গিয়ে বড়সড় বিপদে পড়লো এক পর্যটক। প্রবল স্রোতে সমুদ্রের তলে যাওয়া পর্যটককে কোনোমতে উদ্ধার করে নুলিয়ারা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক ঝড়-বাতাস চলতে। রোববার সকাল থেকেই সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে রাখাইনে ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ৮:৩৩ অপরাহ্ন
হাতির আক্রমণ হতে মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্য হাতির আক্রমণ হতে মানুষের জানমাল রক্ষায় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। এবিষয়ে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সোলার ফেন্সিং স্থাপন, সচেতনতা মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যেই হোক মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে হবে এবং ফসলসহ অন্যান্য ক্ষতি হলে জনগণকে দ্রুততম সময়ে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

রবিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ সকল নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী এসময় দেশের শব্দদূষণ বন্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে যেকোনো মূল্যেই জলাভূমি সংরক্ষণ করতে হবে এবং হাওর, বাওর, নদী, বিল পুনঃখনন করতে হবে। মন্ত্রী দেশব্যাপী অধিক হারে বৃক্ষরোপণ সহ চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম গুণগতমান বজায় রেখে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২৩ ৯:০৩ অপরাহ্ন
রাতেই হতে পারে ৬০ কিমি বেগে ঝড়
প্রাণ ও প্রকৃতি

দেশের ৫ বিভাগে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১টা পর্যন্ত দেয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সারা দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ২:৫২ অপরাহ্ন
বৃষ্টির সম্ভাব্য তারিখ জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তর
প্রাণ ও প্রকৃতি

 

তাপ প্রবাহের বর্তমান পরিস্থিতি আরও তিন দিন চলবে, এরপরে তীব্রতা কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১৬ এপ্রিল) বিষিয়টি জানায় তারা।

আবহাওয়া অধিদপ্ত বলেছে, আগামী ১৯ তারিখের পর দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া সারাদেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে ২৩ তারিখের পর।

এদিকে ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রাবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

ঢাকায় ১৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আজও ঢাকার আবহাওয়া একই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে আগামী ৩ দিনের মধ্যে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বাতাসের গতিবেগ ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। যা পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে চলছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২৩ ৩:৫৭ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ : পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় থাকলেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।

রবিবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান -এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর কথা আসবেই। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অনেক চড়াই উৎরাই, অনেক রক্ত, অনেক বার কারাবরণ করে তিনি দেশকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসে যুদ্ধ করার কারণে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছে। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন।

বনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে হিসেবে দেশ গঠনে দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে হবে। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার শপথ নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সকলের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়িত হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়।

মুখ্য আলোচক হিসেবে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আরও তৎপর হতে হবে। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয়দফা ছিলো বাঙালির স্বাধীনতার দলিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশ।

আলোচনা সভার পূর্বে পরিবেশমন্ত্রী সহ অতিথি বৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে ভোলার কৃষকরা লাভের পথে
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূলে ও এই অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন ভোলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগ থেকে সার ও বীজ দিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

জানা যায়, ভোলার রাজাপুরের কৃষকরা তাদের আবাদি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার ও বীজ দিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে কুষকরা এই ফসলের আবাদ করছেন। এর চাষে খরচ কম হয় এবং উৎপাদন বেশি হয়। বর্তমান বাজারে তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই দেশে তেল জাতিয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে ও প্রকল্পের আওতায় ৯০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। এবছর গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ চাষ করা হয়েছে। এখন কৃষকের খেতে সূর্যমুখীর ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছেন।

পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সূর্যমুখীচাষি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, এবছর কৃষি বিভাগের দেওয়া বীজ ও সার দিয়ে আমার ৩০ শতক জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে চাষ করেছি। জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি দ্বিগুণ লাভবান হতে পারবো।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, ভোলা জেলায় গত বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছিল। এবছর তা ছাড়িয়ে ৯০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। এর তেল খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হয়। তাই দিন দিন এর চাষ ও চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২৩ ১১:২৮ অপরাহ্ন
মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় ৩০০ মাল্টা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
কৃষি বিভাগ

ফলবাগানে মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় রাতের আধাঁরে কেটে ফেলা হয়েছে ফল ধরা প্রায় ৩০০ মাল্টা গাছ। এ ঘটনায় বাগানমালিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত ৩নং ওয়ার্ডের কোমরপুরে ঘটেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওই বাগান মালিক।

ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক মেজবাউর রহমান অভিযোগ করেন, বখাটেরা রাতের আঁধারে বাগানের চৌকি ঘরে ঢুকে মাদক সেবন করতো। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাদের বাগান থেকে বের করে দিলে তারা দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরপর সকালে বাগানে গিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলা অবস্থায় দেখতে পান।

এ ঘটনায় প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মেজবাউর জানান। গাছগুলো দুই বছর আগের লাগানো। সেগুলোতে ফুল এসেছিলো। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত মারুফ ও ওহিদুজ্জামান নামে দুজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এস আই ফাহিম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৯:১০ অপরাহ্ন
বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষে লাভবান শরীয়তপুরের চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

শরীয়তপুরে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বছর শরীয়তপুরে ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ মৌচাষির দল এসেছে। মধু চাষ করে নিজেরাই সামলম্বী হচ্ছেন না, অবদান রাখছেন অর্থনীতিতেও। মৌখামার ঘিরে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে অনেক বেকার যুবকের। মধু কিনতে মৌচাষির কাছে আসেন দেশি-বিদেশি ক্রেতা। দরদাম করে মধু কিনে নিয়ে যান তারা। তবে মধুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ খামারিদের। ন্যায্য দাম পেলে এ শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে বলে মনে করেন খামারিরা।

শরীয়তপুরের মাঠে মাঠে এখন কালোজিরা আর ধনিয়ার মতো মসলা জাতীয় ফসলে ভরে উঠেছে। মাঠজুড়ে সাদা ফুল বাতাসে দোল খায়। বিচরণ করছে মৌমাছির দল। বসছে ফুলে, করছে মধু আহরণ। ফসলি মাঠের পাশে অস্থায়ীভাবে অবস্থান নিয়েছেন মৌচাষিরা। বসিয়েছেন সারি সারি মৌবাক্স। প্রতিটি বাক্সে একটি করে রানি মৌমাছিসহ কয়েক হাজার কর্মী মৌমাছি বসবাস করে। তারা ছুটে যায় ফসলি মাঠে। ফুল থেকে আহরণ করেছে ফুলের নির্যাস। মৌমাছির সেই নির্যাস বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় ঘন মধুতে।

মৌচাষিরা ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর বাক্সের ফ্রেমগুলো থেকে নিষ্কাশন যন্ত্রের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত মধু হাতের স্পর্শ ছাড়াই সম্পূর্ণ মেশিনের সাহায্যে বের করা হয়। এরপর তা মজুত রাখা হয় বিভিন্ন আকারের কনটেইনারে। তারপর মাঠ থেকেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন মধু।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শরীয়তপুরে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া ও ৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে কালোজিরা আবাদ হয়েছে। এসব ফসলি মাঠের পাশে ৯ হাজার ৪৪০টি মৌবাক্স বসানো হয়েছে। এতে ৫৫ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আছে। যার বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মৌ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে শুধু মধু নয়, বিশেষ চারটি উপাদান সংগ্রহ করা যায়। তার প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগের মাধ্যমে খামারিদের সমৃদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিলে মধু শিল্প থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।’

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop