২:৪১ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ১:২৬ অপরাহ্ন
ধানক্ষেতে বন্য হাতির মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপচেলার পূর্ব চাম্বল ইউনিয়নের একটি ধানক্ষেতে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের একটি টিম মৃত হাতি উদ্ধার ও মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে ঘটনাস্থলে রয়েছে।

বাঁশখালী বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ হাতিটির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ধানক্ষেতে একটি বড় মৃত হাতি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বন বিভাগকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছে। হাতিটি কিভাবে মারা গেলো তা উদঘাটনে ময়নাতদন্ত করে দেখা হবে। পরে হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হবে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদে এক বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
লাকসামে শিয়ালের মাংস বিক্রি
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুমিল্লার লাকসামে প্রকাশ্যে শিয়াল জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকালে কয়েকজন যুবক লাকসামের দৌলতগঞ্জ রাজঘাট সংলগ্ন নতুন বাজারে শিয়ালের মাংস বিক্রি করেন। এ সময় বিক্রেতারা শিয়ালের মাংসের নানা উপকারিতার কথা উল্লেখ করে প্রতি কেজি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি করেন।

শিয়ালের মাংস বিক্রেতা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দিন দুপুরে দৌলতগঞ্জ বাজার রাজঘাট ব্রিজ সংলগ্ন নতুন বাজারে শিয়ালটি জবাই করার জন্য স্থানীয় এক কশাইকে ১৫০ টাকা দেওয়া হয়। জবাইয়ের আধা ঘণ্টার মধ্যে মাংস বিক্রি শেষ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাংস ক্রয় করা ব্যক্তিরা জানান, মাংস বিক্রেতারা বলেছিলেন বাত-ব্যথা কিংবা কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিয়ালের মাংস রান্না করে খাওয়ার বিকল্প নেই। এ সব ক্ষেত্রে শিয়ালের মাংসই অব্যর্থ ওষুধ। তাদের এসব কথা বিশ্বাস করে মাংস ক্রয় করেন তারা।

স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুল আজিজের কাছে শিয়াল জবাই ও মাংস বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম বলেন, বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করা আইনত দ–নীয় অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২১ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারে গুলি করে বন্য হাতি হত্যা
প্রাণ ও প্রকৃতি

চকরিয়ায় একটি বন্য হাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর হতে পারে বলে ধারণা সংশ্নিষ্টদের। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ণগ্রাম বনবিটের অধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা হাতিটির সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন করেন। এ সময় নিশ্চিত হওয়া যায়, হাতিটিকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বন বিভাগ জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে পূর্ণগ্রাম বনবিটের অধীন হাইথারা ঘোনা নামক স্থানে হাতিটিকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং আরও একজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

পূর্ণগ্রাম বনবিট কর্মকর্তা আবুল কালাম জানিয়েছেন, কক্সবাজারের চকরিয়া এবং বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা হাইথারা ঘোনার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ওই এলাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে দ্রুত বর্ধনশীল মিশ্র ফলের বাগান করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো ওই বাগানে হাতি, শূকরসহ বন্য প্রাণীর খাবারের সংস্থান করা।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার ভোরে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের টেরিঢেবা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীপাড়ার দু অং মার্মার ছেলে মংহ্লা মার্মা (৪২) ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কাইন্দার বিলের টুম্পাপাড়ার মে মং মার্মার ছেলে অং থোয়াই চিং মার্মা (৪৫) বন্যশূকর শিকারে অস্ত্র হাতে বের হয়। এ সময় তারা সংরক্ষিত বনের ভেতর মিশ্র ফলের বাগান এলাকায় গেলে সামনে পড়ে যায় একটি মাদি হাতি। তখন শিকারিরা প্রাণে বাঁচতে হাতিটির মাথা লক্ষ্য করে একটি গুলি ছুড়লে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে মংহ্লা মার্মাকে আটক করা হয় এবং অন্যজন পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, বন্য হাতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তার এবং হাতি হত্যায় ব্যবহূত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

হাতি হত্যার খবর পেয়ে বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আনোয়ার হোসেন সরকার। পরে হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিটির সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২১ ২:৩১ অপরাহ্ন
লোকালয়ে মেছো বাঘ উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় রাতে কয়েকটি শিশু তাদের বাড়ির সামনে খেলছিল। এ সময় তারা মেছো বাঘটি দেখে ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে মেছো বাঘটিকে উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এতে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১০টায় বেনাপোল পোর্ট থানাধীন রঘুনাথপুর পেচোড় বাঁওড় এলাকা থেকে মেছো বাঘটিকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, রাতে মেছো বাঘটি দেখে ভয়ে চিৎকার করতে থাকে শিশুরা। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে শিশুদের উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা মেছো বাঘটি উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, স্থানীয়রা মেছো বাঘটি উদ্ধার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। রাতেই উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৯, ২০২১ ১২:৩৪ অপরাহ্ন
শেরপুরের বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

শেরপুর শ্রীবরর্দী উপজেলার বনাঞ্চল বালিঝুড়ি রেঞ্জের অধীনস্থ মালাকোচা এলাকায় একটি বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে শেরপুর বন বিভাগ।

কয়েক দিন ধরেই সীমান্তে হাতির উপদ্রব বেড়েছে। হাতিটি সোমবার রাত তিনটার দিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রবেশ করে সবজির বাগান ধ্বংস করছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

বন বিভাগের ধারণা, সবজি রক্ষায় বাগানের চারদিক বিদ্যুতায়িত করা তারে স্পৃষ্ট হয়ে হাতিটি মারা যেতে পারে। মৃত ওই পুরুষ হাতিটির বয়স ২৫/৩০ বছর হতে পারে।

বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে মৃত হাতিটি উদ্ধার কার হয়েছে। বাগান রক্ষার বৈদ্যুতিক জিআর তারে বৈদ্যুতিক শকে হাতিটি মারা যেতে পারে। হাতির মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে এবং মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৯, ২০২১ ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
বন,পরিবেশ প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা ও জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোতে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী চারটি মূল দাবি উত্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হলো: (১) কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করা (২) উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়া (৩) জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করা এবং (৪) জলবায়ু উদ্বাস্তু এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতি ও ধ্বংসের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করা। বিশ^বাসীর প্রতি সম্মেলনে প্রধান মন্ত্রীর এই দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক সিআরবি চত্ত্বরে ৮ নভেম্বর ২০২১ যৌথ ভাবে সংহতি সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ, এডাব চট্টগ্রাম, ক্যাব-চট্টগ্রাম, ক্যাব যুব গ্রুপ, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্ম জোট (ক্লিন) ও এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি)। আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, পরিবেশবিদ, ডঃ ইদ্রিস আলী, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব ও সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের কো-চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুচ, জাসদের সভাপতি ও সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের কো-চেয়ারম্যান ডাঃ মাহফুজুর রহমান, সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, বিশিষ্ঠ নারী নেত্রী ও এডাব চট্টগ্রামের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক হোসাইন কবির, প্রশিকার উপ-পরিচালক অজয় মিত্র শংকু, শাহাদত হোসেন, পরিবেশ সংগঠক ইমতিয়াজ হোসেন, এসডিজি যুব গ্রুপের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ, ইপসার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহম্মদ আলী শাহীন, ঘাসফুলের সমন্বয়কারী যোবায়ের আহমদ, প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী জসিমুল হক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে দুর্যোগের সংখ্যাও ভয়াবহতা দুটোই বেড়ে গেছে। আর এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় ও উন্নয়নশীল দেশগুলো। গত ২০ বছরে যে সব দেশ জলবায়ু দুর্যোগ আক্রান্ত প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলে লবণাক্ততা, খরা, বন্যা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে জীবিকা হারিয়ে প্রতিবছর পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে।

 

বক্তারা অবিলম্বে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জলবায়ু-বিপদাপন্নদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করা, ২০৫০সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বক্তাগণ আরও বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ বাতাসে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমন ও তার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো চুক্তি স্বাক্ষর করে। প্যারিস চুক্তির উদ্দেশ্য পূরণ করতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ এলক্ষ্য পূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও চীন, রাশিয়া, ব্রাজিল ও ভারতের মতো বড় নির্গমনকারী দেশ কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে মানবজাতি রক্ষার উদ্যোগ অনেকটাই ব্যর্থ হবে। মানব জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য এসব দেশের লজ্জা পাওয়া উচিত।

এ বিষয়ে ক্লিন-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, বাতাসে কার্বন নির্গমনের ৭২ শতাংশই আসে জ্বালানি খাত থেকে। তাই কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য কয়লা, গ্যাস ও জ্বালানিতে খাতে উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ৪০টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু জার্মানি, জাপান, চীন, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়ামের মতো বড় বিনিয়োগকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এসব দেশের অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। পরে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় নাটিকা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন নাট্যধার শিল্পগোষ্ঠী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২১ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিকারির ফাঁদ থেকে উদ্ধার ৩৫০টি বক
প্রাণ ও প্রকৃতি

নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রামে শিকারির ফাঁদ থেকে উদ্ধার ৩৫০টি বক আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। সোমবার (৮ নভেম্বর) গুরুদাসপুরের চাপিলা ইউনিয়নের চাকলের বিল, তেলটুপি বিল, ভত্তাগাড়ী বিল ও বড়াইগ্রামের নিশ্চিন্তপুর বিল, জালসুকা বিলসহ ১২টি মাঠে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে মেহেদী হাসান তানিম, সাদেক হোসেন, মনির হোসেন ও আশিকুর রহমান ওই অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় ৩২টি পাখি শিকার করা ফাঁদ (কিল্লা ঘর) ধ্বংস করা হয় এবং ৩২টি শিকারি বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও খাঁচাবন্দি ৩৪০টি বুনোবক স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে মাঠেই অবমুক্ত করা হয়। অভিযানে ৪ জন শিকারি কিশোর হওয়ায় তারা আর পাখি শিকার করবে না মর্মে স্থানীয় এলাকাবাসী মুক্ত করে নেন।

পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসান বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাখি শিকার বন্ধে চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তারা ৫ জন পরিবেশকর্মী এই অভিযান পরিচালনা করেন। সেচ্ছাশ্রমে পরিবেশ রক্ষায় তারা সব সময় প্রস্তুত রয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২১ ১:২৩ অপরাহ্ন
ধানখেতে কৃষকের পাতা বিদ্যুৎফাঁদে হাতির মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় লোকালয়ে আমন ধান খেতে এসে কৃষকের দেওয়া বিদ্যুৎফাঁদে প্রাণ হারিয়েছে একটি বন্যহাতি। আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হযরত আজগর আলী শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে মইত্তাতলী বিলের ধানক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। 

এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সের বিশালাকৃতির একটি বন্যহাতি ধান ক্ষেতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন সেখানে ভিড় করে।

সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজল করিম বলেন, ‘আমি মৃত হাতিটি দেখতে গিয়েছিলাম। আপাতত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

বন বিভাগের সাতকানিয়া মার্দাশা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে কৃষকেরা ধানক্ষেতের চারিদিকে বিদ্যুতায়ন করে রাখেন। আর, খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটি মারা যায়।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২১ ৭:১৬ অপরাহ্ন
সিলেটে কোটি টাকার তক্ষক উদ্ধার করে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিলেটে কোটি টাকার মূল্যের একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার  (১০ নভেম্বর) রাতে  ‘প্রাধিকার’ এর সদস্যদের এক অচেনা প্রানির সন্ধান দেয়  সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রশান্ত সিংহা প্রান্ত ও তার পরিবার। পরে প্রাধিকারের সদস্যরা সিলেট শহরের আম্বরখানার মনিপুরী পাড়া থেকে প্রানিটি উদ্ধার করে।

প্রাধিকারের জনসংযোগ সম্পাদক আরিজ আহমেদ সাদ বলেন, এটি তক্ষক, লম্বায় ১০ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম । অন্যান্য আত্মরক্ষী প্রাণীদের মত তক্ষকের ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দাপুটে। এটি নিজের শরীরের লেজ, দাঁত, পা প্রভৃতি হারালেও আবার প্রাকৃতিক ভাবে গজাতে পারে‌।

শুক্রবার প্রাধিকার এর সদস্য ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রাণিটি সিলেট বন্যপ্রানী সংরক্ষণ কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান ,ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার শহিদুল ইসলাম , প্রাধিকারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রাহমান, সভাপতি তাজুল ইসলাম, রেসকিউ হেড আশরাফুল ইমন , জনসংযোগ সম্পাদক আরিজ আহমেদ ও নাহিয়ান রহমান।

ডাঃ কামরুল হাসান বলেন, এশিয়ান প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসাায় হাঁপানি,এইডস, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কার্যত এ ঔষধ এবং পরিক্ষা ফলপ্রসূ না হলেও তক্ষকের বিলুপ্তি ও শিকার চলছে অবৈধ ভাবে ও অহরহ।

তক্ষক দিয়ে ক্যান্সারের মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয়, তক্ষক ঘরে থাকলে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা আসে, প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা, মাথার ম্যাগনেটের দাম কোটি টাকা—এমন গুজবের ওপর ভর করে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে দেশজুড়ে  রয়েছে  কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র । আমার জানামতে আদৌও এর মূল্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে গুজবের কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটি।আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী এটি একটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ২:৩১ অপরাহ্ন
শিকারির ফাঁদ থেকে উদ্ধার দুই শতাধিক বক অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

নাটোরের গুরুদাসপুরে শিকারির ফাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় দুই শতাধিক বক পাখি মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেছেন পরিবেশকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিবেশকর্মীরা উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মশিন্দা মাছপাড়া, হাজিরহাট, নয়াবাজার, কাছিকাটা, হাসমারি, দারিহাসমারিসহ প্রায় ১২টি বিলে ওই অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় ২৭টি পাখি শিকার করা ফাঁদ( কিল্লা ঘর) ধ্বংস করা হয় এবং ২৭টি শিকারি বক উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও শিকার করা প্রায় দুই শতাধিক বুনো বক উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop