দেশে প্রথম জাতীয় চা দিবস পালিত
প্রাণ ও প্রকৃতি
দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস পালিত হচ্ছে।গত বুধবার বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এবারের চা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, চা-শিল্পের প্রসার’।
চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার সকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট ও পঞ্চগড়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। দেশের সাধারণ মানুষের সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে চা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্পের পুনর্বাসনে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন গত ১০ বছরে প্রায় ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সর্বাধিক ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। চা রফতানির পুরাতন ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সরকার এর উৎপাদনের পাশাপাশি বিপণনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে। ফলে, ২০২০ সালে ১৯টি দেশে চা রফতানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। আমরা চা আইন ২০১৬ প্রণয়ন করেছি।’
বাংলাদেশ চা বোর্ড জানায়, ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ৪ জুন চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত বছর। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।