৩:৫৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৬, ২০২৩ ৮:০০ অপরাহ্ন
রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নিয়ে বিতর্ক, যা বলছে প্রশাসন
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী অঞ্চল আমের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় এই সুনাম ধরে রাখতে এবং বাজারে মানসম্মত আমের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন।

ঘোষিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দশ দিন আগে থেকেই আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করার পর এনিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

সমালোচনাকারীরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আম চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। কারণ ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া শুরুর কথা বলা হলেও এখনো অনেক আম পরিপক্ক হয়নি। তবে জেলা প্রশাসন বলছে যে, বাজারে মানসম্মত আম নিশ্চিত করতেই চাষীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে।

এবারের প্রকাশিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৪ মে থেকে গুটি আম পাড়া যাবে। এছাড়া ১৫ মে থেকে গোপালভোগ, ২০ মে থেকে রানীপছন্দ, লক্ষণভোগ বা লখনা, ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বামি আম-৪, গৌড়মতি এবং ২০ অগাস্ট থেকে ইলামতি আম পাড়া যাবে।

এবিষয়ে রাজশাহীর জেলার প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, জেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আম কোন সময় থেকে বিক্রির জন্য পাড়া শুরু করা যাবে তার সময় সীমা উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। স্থানীয়ভাবে এই তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’।

তিনি বলেন, এবার যেহেতু বেশি খরা ছিল সেজন্য আম পাড়ার তারিখ কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। এমন আবহাওয়ার কারণে বাঘা উপজেলার কিছু বাগানে গুটি আম পাকতে শুরু করায় তারিখ এগিয়ে আনার বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়েছে। কিছু বাগানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আম পাকছে যেগুলো কৃষকরা বাজারজাত করতে চায়। এই কৃষককে যদি আরো ১০দিন পর্যন্ত ওয়েট করতে হয় তাহলে কিন্তু তার আমগুলো নষ্ট হলে সে বাজারমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে।

আম পাড়ার সময়সীমা এগিয়ে আনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ৪ মে থেকে আম পাড়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে। যাদের আম পাকেনি তারা আম পাকার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই দিন থেকে তারা আম নামাতে পারবে। তার মানে এই নয় যে, সব আম নামিয়ে ফেলতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৮, ২০২৩ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
আমের মুকুল রক্ষায় যা করবেন
কৃষি বিভাগ

সারাদেশেই আম গাছে মুকুল এসেছে। বিভিন্ন কারণে সেসব মুকুল ঝরেও যায়। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আম বাগান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকা-মাকড় দমনে ব্যর্থ হলে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। তাই আমের মুকুল ঝরা রোধে কিছু করণীয় পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস)।

আসুন জেনে নেওয়া যাক আমের মুকুল রক্ষার পরামর্শগুলো- আমের মুকুলে পোকা এবং রোগ দমনে কমপক্ষে দুইবার স্প্রে করতে হয়। প্রথমবার স্প্রে গাছে মুকুল ৪-৬ ইঞ্চি হলে, কিন্তু ফুল ফোটার আগে। অর্থাৎ মুকুল ফুলে পরিণত হওয়ার আগে। আর আমের গুটি মসুর দানার মতো বড় হলে দ্বিতীয়বার স্প্রে করতে হবে। সেসময় সব গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ফুল ফোটা অবস্থায় কোনো ধরনের স্প্রে করা যাবে না।

স্প্রে প্রস্তুতকরণ
এক লিটার পানিতে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক তরল শূন্য দশমিক ৫০ মিলি অথবা দানাদার শূন্য দশমিক ২ গ্রাম এবং ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে দুই গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

অন্যদিকে, মুকুল আসার আগেই ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করলে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সাইপারমেথ্রিন বা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কিটনাশক এবং সালফারঘটিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এগি করা ভালো।

 

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
ইউটিউব দেখে বারোমাসি আম চাষে উৎসাহী বুলবুল
কৃষি বিভাগ

আমচাষের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আর সুস্বাদু আমের জেলা মেহেরপুর। মেহেরপুরের হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই আম স্বাদের দিক দিয়ে দেশের বাইরে ইউরোপীয় অঞ্চলে সুনাম কুড়িয়েছে। এবার মেহেরপুর জেলায় এক নতুন জাতের বারমাসি আমের চাষ শুরু হয়েছে। বারোমাসি থাই জাতের এ আমটির নাম ‘কাটিমন’।

ইউটিউব দেখে উৎসাহী হয় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের সমাজকর্মী মঈন-উল-আলম ওরফে বুলবুল। আমঝুপি বিএডিসি বীজ উৎপাদন খামারের পাশেই ২৪০টি আম গাছের বাগান গড়েন ২০২১ সালে। সেসব গাছে এখন মুকুল আর ডালে ডালে ঝুলছে থোকা থোকা আম। তার বাগানের গাছের আম কোনটি পরিপক্ক হয়েছে। কোনটি গুটি , আবার কোন ডালে মুকুল। পরিপক্ক আমের রং দেখলেই জিভে পানি আসবে। অসময়ের এ আমচাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে সারাবছরই আমের স্বাদ পাবে মানুষ। তখন বছরজুড়ে হবে আমের মৌসুম।

কৃষিবিদরা আশা করছেন- আগামী একদশকে এ আম দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। আমচাষি মঈন-উল-আলম ওরফে বুলবুল জানান, তার বাগানের আম দেখতে এখন প্রতিদিনই আসছে জেলার বিভিন্ন গ্রামের উৎসাহী মানুষ। এ সময় অন্য জাতের আম গাছে মুকুল বা আম না থাকলেও তার গাছে আম ধরছে থোকায় থোকায়। আম পাড়তে না পাড়তেই আবারো গাছে আসছে মুকুল। গাছগুলোর এ বৈশিষ্ট্য স্থায়ী হলে দেশে আম উৎপাদনে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ আম গাছকে বারমাসি আমগাছ বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয় আমচাষিরা। আমগুলোর ওজন ১ মাসেই ৩শ গ্রাম পর্যন্ত। আটি ছোট এবং আঁশবিহীন। এ আম খেতে অনেকটা হিমসাগর আমের মতো।

একই গাছে কোনটি পরিপক্ক, কোনটি কাঁচা আবার কোন ডালে দেখা যাচ্ছে মুকুল। চলতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার আম বাজারজাত হয়েছে জানান বুলবুল। প্রতি কেজি আম পাইকারি ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আরও ২০-২৫ মণ আম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন।

বুলবুলের বাগানে বরোমাসি আমচাষে সফলতা দেখে আমঝুপি গ্রামের রফিকুল আলমও উৎসাহী হয়েছেন এ আমচাষে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে তিনবিঘা জমি তৈরি করছেন আমের বাগান গড়তে। বুলবুলের সাথে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন আমের কলম নেবার জন্য।

মঈন-উল-আলম ওরফে বুলবুল বলেন- তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে ২ বিঘা জমিতে ২৪০ টি থাই কাটিমনের চারা রোপণ করছিলেন ২০২১ সালের শুরুতে। গাছ গুলোর বর্তমান বয়স মাত্র দেড় বছর। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে তিনি চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। বর্তমানে তিনিও এ বাগান থেকে চারা বিক্রি করছেন। আমের ফলন ভালো হওয়ায় তিনি বাগান সম্প্রসারণের আশা করছেন।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানান, ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ২ বিঘা জমিতে কাটিমন জাতের হাইব্রিড থাই বারোমাসি আম চাষে সাফল্য দেখিয়েছেন বুলবুল।

এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নাসরিন পারভিন জানান- এটি গবেষণার মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী এক দশকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে সারাবছর আম পাওয়া যাবে। আমটি সুস্বাদু এবং বারোমাসে তিনবার আম পাওয়াতে মানুষ উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এ বারোমাসি আমচাষে।

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
পাকা আম যেভাবে সংরক্ষণে রাখবেন
প্রাণ ও প্রকৃতি

আম পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কম। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধু মাস।এসময় আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা দেশীয় ফলে বাজার থাকে সয়লাব। পাকা আম হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, ফজলিসহ নানা জাতের আম রয়েছে। একেক জাতের আমের একেক স্বাদ। তবে খুব বেশি দিন পাওয়া যায় না। এ জন্য করে রাখতে হয় সংরক্ষণ। তবে কিনে আনার পর দুই দিন পরই দেখা যায় আম পচে গেছে। আমের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অটুট রেখে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। জেনে নিন আম সংরক্ষণের উপায়-

সংরক্ষণের জন্য পরিপক্ব আম বেছে নিতে হবে। একটু শক্ত থাকতেই আম সংরক্ষণ করতে হবে। মাপমতো কাগজ কেটে প্রতিটি আম আলাদাভাবে মুড়িয়ে নিয়ে বড় পলিব্যাগে ভরে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রাখুন। এভাবে এক মাসেও আম ভালো থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ১০ দিন পরপর খুলে দেখে নিন। আবার কাগজ বদলে দিতে হবে।

দীর্ঘদিন ডিপ ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করার জন্য প্রথমে ভালো পাকা আম বেছে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে জিপলক ব্যাগে রাখুন। মুখ বন্ধ করে ব্যাগটি ডিপে রাখুন। খাবার কিছুক্ষণ আগে ডিপ থেকে জিপলক ব্যাগ বের করে রাখুন। এভাবে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করা যায়।

আস্ত আম বেশি দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে খবরের কাগজে মুড়ে নিয়ে সব আম একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরুন। কাপড়ের ব্যাগের মুখ ভালো করে আটকে সেটিকে আবার একটি বড় পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এভাবে আম চার থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রাখা যায়।

পাকা আম কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আইসবক্স কিংবা ছোট পাত্রে আমের পাল্প দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। জমে গেলে জিপলক ব্যাগে ভরে আবার ডিপে রাখুন। সারা বছর যে কোনো সময় বের করে স্মুদি, লাচ্ছি বা ডেজার্টেও ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাড়ছে বাংলাদেশের আমের চাহিদা
প্রাণ ও প্রকৃতি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের নাগরিকরা মূলত বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন আম খুবই পছন্দ করেন।

সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশে উৎপাদিত রসালো এই ফলটির চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও কানাডাতেও রয়েছে বাংলাদেশি আমের বহু ক্রেতা।

ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদার কারণে ২০১৮ সালের পর বাংলাদেশের আম রপ্তানি ৪ গুণ বেড়েছে।

গত মে মাস পর্যন্ত শেষ ১১ মাসে দেশের ব্যবসায়ীরা আকাশ পথে ৯৮০ টন আম বিদেশে পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি এবং ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

স্থানীয় আম চাষিরা জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী হলুদ জাতের আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশি আম পাকার পরও সবুজ থাকার কারণে চাহিদা কিছুটা কম।

তবে, সুখবর হলো দেশের গবেষকরা এখন হলুদ জাতের আম উৎপাদনে কাজ করছেন।

এ ছাড়া আরও একটি ভালো খবর হলো, ২০২১ সালে দেশে ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হওয়ায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ আম উৎপাদনকারী দেশ।

প্রকাশ : মে ১৩, ২০২২ ২:৪২ অপরাহ্ন
রাজশাহীর বাজারে আজ থেকে মিলবে গুটি জাতের আম
এগ্রিবিজনেস

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার (১৩ মে) থেকে বাজারে মিলবে রাজশাহীর আম। শুরুতে বাগান থেকে নামবে গুটি জাতের আম। তবে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের কারণে অন্যান্য জাতের আমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো সপ্তাহখানেক।

চলতি মৌসুমে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ শরিফুল হকের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, ১৩ মে থেকে বাজারে গুটি আম নামবে। এছাড়া ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে  লক্ষ্মণভোগ, লখনা এবং রাণীপছন্দ, ২৮ মে থেকে হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌরমতি ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামবে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগর এবং ৯ উপজেলায় এ বছর ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন।

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
সাপাহারে আম প্যাকেজিং হাউস না থাকায় ক্ষতির শিকার কৃষকেরা
এগ্রিবিজনেস

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা আমের নতুন রাজ্য বলে খ্যাতি অর্জন করেছে দেশ ও বিদেশে। কিন্তু উপজেলায় ফল-সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং হাউস না থাকায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি শিকার হচ্ছেন কৃষক, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকেরা।

উপজেলার জসই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা খুব কষ্ট করে আম চাষ করি। কিন্তু এখানে আম প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অর্ধেক আমের দাম পায়না। প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা থাকলে যে পরিমাণ আম বিদেশ যায় তার চেয়ে আরো বেশি পরিমাণ বিদেশ পাঠানো সম্ভব।

ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে আম বা সবজি পাঠাতে গেলে মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষায় পাস করতে হয়। তা না হলে রফতানিকারকের পণ্য অনুমোদন দেয়া হয় না। মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষায় ফেল করা পণ্য পোড়াতে ১৫০০ ইউএস ডলার ক্ষতিগুনতে হয়। একই সাথে পণ্য ও কার্গোভাড়া চোকাতে হয়। দেশের মান ক্ষুন্ন হয়। কৃষি দপ্তরের মান ক্ষুন্ন হয়। যা প্রভাব প্রায় ৫ বছর পোহাতে হয়। এতে কৃষক, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারককে বিপুল পরিমাণ টাকা ক্ষতিতে পড়তে হয়। সাপাহার উপজেলার আম ইউরোপের দেশগুলোতে চরমখ্যাতি লাভ করেছে এই বাজার ধরে রাখতে হলে এখানে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আম প্যাকেজিং হাউস স্থাপন খুব প্রয়োজন। এটি হলে বিভিন্ন প্রকার ফল ও সবজি বিদেশে পাঠানো সহজ হবে। নতুন রফতারিকারকেরা নোংরা সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সব হারিয়ে পথে বসা থেকে রক্ষা পাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাৎ শাপলা খাতুন বলেন, সাপাহারে একটি বড় আমবাজার আছে। এখানে কয়েক উপজেলার আম ক্রয়-বিক্রয় হয়। এই এলাকার আম দেশ ও বিদেশে বেশ সুখ্যাতিলাভ করেছে। বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে স্থান করে নিয়েছে। এটি ধরেন রাখতে একটি ফল-সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং হাউস স্থাপন দরকার। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ৯ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে ১৪ টন ধরে প্রায় ১২ লাখ ৯ হাজার ৫ শত টন তথা ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ৫ শত মণ আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আলু, পেয়ারা, বরই/কুলসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদন হয় উপজেলাজুড়ে।

প্রকাশ : মার্চ ২৯, ২০২২ ১:১১ অপরাহ্ন
বান্দরবানে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে সবুজ পাহাড়
কৃষি বিভাগ

পাহাড়ের আমগাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। পাহাড় জুড়ে শোভা পাচ্ছে চোখ জুড়ানো আম চাষ। গাছে ডাল মুকুলে টুইটুম্বর। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সবুজ পাহাড় জুড়ে শুধু আমের সোনালী মুকুল। আম্রপালী, রাংগোয়াই সহ বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ হয় এই জেলায়। বিভিন্ন জাতের দেশি বিদেশি আম চাষ হয় পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে। তবে পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সবচেয়ে বেশি আম্রপালি’ আমের চাষ হয়।

কৃষকেরা জানালেন, মিষ্টি ও আকারে বড় হওয়ায় এখানকার আমের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় বিগত বছরে আম বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন তারা। এবারও আমের ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।

বান্দরবান সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাস জানান, কৃষকরা ঠিকমতো আম গাছের পরিচর্যা করছে কিনা, সে বিষয়ে তারা নজর রাখছেন। এছাড়া আম চাষের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি মাটিতে উৎপাদিত আম্রপালি আম খেতে বেশ সুস্বাদু পুষ্টিগুণসম্পন্ন তাই রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, আম চাষীরা প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। আমের ফুল ঝরে পড়েনি তাই আশা করছি এ বছরও আমের বাম্পার ফলন হবে।

চলতি বছর বান্দরবান জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জায়গায় আমের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে শুধু আম্রপালী চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬৬৯ হেক্টর জমিতে।

প্রকাশ : মার্চ ১৯, ২০২২ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
মুকুল কম আসায় চিন্তিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষিরা
কৃষি বিভাগ

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আমের মুকুল কম আসায় কম আসায় চিন্তিত আম চাষিরা। শীতের সময় টানা কুয়াশা এবং কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে এবার সময়মতো মুকুল আসেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে। আবার শিলা বৃষ্টিতেও বেশ ক্ষতি হয়েছে।এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে।  এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাগান মালিক, আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, মুকুল কম আসার কারণ হিসেবে এবার ঠাণ্ডা আবহাওয়াকে দায়ী করছে কৃষি বিভাগ। নিয়মিত মুকুল পরিচর্যা ও সঠিকভাবে বালাইনাশক ব্যবহারে এখনও ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব।

ঘন কুয়াশায় এ মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলার আম বাগানে কম এসেছে মুকুল। এর উপর শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি তো আছেই। আবার মুকুল এসেছও দেরিতে। সবমিলে এ মৌসুমে ভাল ফলনের আশা হারিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাগান মালিক,আম চাষিরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে এসব বাগান থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে শীতের সময় টানা কুয়াশা ও শেষ দিকে কয়েক দফা বৃষ্টিতে সময়মতো  মুকুল ফোটেনি আমের গাছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের মুকুল ৪০ ভাগ কম এসেছে।

বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন গাছে মুকুল কম, যেটুকু বের হয়েছে তাও ছোট হয়ে আছে, মুকুল বড় হচ্ছে হচ্ছে না। তাই তারা গাছে স্প্রে করছেন, যাতে মুকুল তাড়াতাড়ি বড় হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে, পরিসংখ্যানগত ভাবে আমরা বলতে পারি প্রায় ৫৫ লাখ আম গাছ রয়েছে এ জেলায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের মুকুল ৪০ ভাগ কম এসেছে। এ বছর শীত একটু বেশি এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে আমের মুকুলটা কম এসেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলার বাগানে ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গাছে এসেছে মুকুল। তাতে লক্ষ্যমাত্রার তিন লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২১ ১:২৪ অপরাহ্ন
নতুন জাতের ‘স্যান্ডি’ আম, মুকুল থাকবে ১২ মাস!
এগ্রিবিজনেস

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের নাজমুল হকের বাড়িতে দেখা মিলছে নতুন জাতের আম স্যান্ডি’। এই আম গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১২ মাস গাছগুলোতে মুকুলের দেখা মেলে।

গাছের মালিক আম চাষি নাজমুল হক জানান, প্রায় ১১-১২ বছর আগে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিদেশি জাতের এ গাছের চারা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর কয়েক একর জমিতে আম বাগান ও নার্সারি করে আম বিক্রি ছাড়াও গাছের চারা তৈরি একটি চারা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। নিজে এই আমের জাতের নাম না জানলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমের নাম স্যান্ডি বলে জানিয়েছে।

প্রতিদিনই মুকুল ফুটে আর একটি থোকায় অনেকগুলো আম আসে, আমের ভেতর আঁশ নেই, খেতে খুবই সুস্বাদু। এর ওজন প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমের আবরণ খুব পাতলা এবং আমের রঙ হলদে হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার জানান, নাজমুল হকের বাগানে যে আমগুলো রয়েছে তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লিচুর মতো এক থোকায় অনেকগুলো ধরে। আর ১২ মাস মুকুল আসে। একবার মুকুল ভেঙ্গে ফেললে ফের মুকুল হয়। আর এই আম খেতে অনেক স্বসাদু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আম চাষি নাজমুল হক পরীক্ষামূলকভাবে স্যান্ডি গাছের চারাটি রোপণ করে ভালো সাড়া ফেলেছেন। আমের ফলন ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে এ আমের নাম দেয়া হয়েছে স্যান্ডি। আগের আমগুলোর দাম না পাওয়ার নতুন আম চাষে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop