৭:৪১ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২১ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
কাপ্তাই হ্রদে আরো বাড়ছে মাছ ধরা বন্ধের সময়সীমা
মৎস্য

বর্ষাকালীন সময়ে বছরের শুরুতে যে হারে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বাড়ার কথা তার ন্যূনতমও বাড়েনি। পানি না বাড়ার ফলে হ্রদে ছাড়া পোনা ঠিকভাবে যেমন বেড়ে উঠতে পারেনি, তেমনি এখন মাছ ধরা শুরু হলে পানি কম থাকায় ব্যাপকহারে মাছ ধরা পড়বে। তাই কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩১ জুলাই পেরিয়ে আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন করপোরেশন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়, হ্রদে প্রত্যাশিত পানি না থাকায়, এই মৌসুমে মাছ ধরার বন্ধকালীন সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভাবা হচ্ছে।

এর আগে গত ১ মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে প্রতি বছরের মতো মাছ আহরণে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়, যার মেয়াদ আসছে ৩১ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বছরের এই বর্ষাকালীন সময়ে হ্রদে যে হারে পানির পরিমাণ বাড়ে, এই বছর তার ন্যূনতমও বাড়েনি। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত মৎস কর্মকর্তারাও। পানি না বাড়ার ফলে হ্রদে ছাড়া পোনা ঠিকভাবে যেমন বেড়ে উঠতে পারেনি, তেমনি এখন মাছ ধরা শুরু হলে পানি কম থাকায় ব্যাপকহারে মাছ ধরা পড়বে।

বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট এর রাঙামাটি কার্যালয়ের উর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আজহার আলী জানিয়েছেন, এই বিষয়টি আসলেই উদ্বেগের,তাই আমরা মাছ ধরা বন্ধের মেয়াদ আরও কিছু দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। সম্ভবত এটি ১০/১৫ দিন বেশি দীর্ঘায়িত হতে পারে।’

বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএফডিসি)’র রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘হ্রদে পানি কম থাকার বিষয়টি আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ হ্রদে যদি ন্যূনতম ১০৩/১০৪ ফুট পানি না থাকে তবে তা মাছের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এখন পানি আছে ৮৪/৮৫ ফুট। পানি না বাড়লে এখনই মাছ ধরা শুরুর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে। এই বিষয়ে বুধবার একটি সভা আছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা আপাতত বন্ধের সময়সীমা আরও কিছুদিন বাড়ানোর পক্ষে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৭, ২০২১ ৬:৪৬ অপরাহ্ন
চৌবাচ্চায় জিওল মাছ চাষ করে লাখপতি গৃহবধু
মৎস্য

ভাঙড়ের কুল্বেড়িয়া গ্রামের এক গৃহবধূ চৌবাচ্চায় জিওল মাছের চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে। বড় পুকুর কিংবা ভেড়ি নয় ছোট চৌবাচ্চাতেই মাছ চাষ করে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কই, শিঙি, মাগুরের মত জিওল মাছের পাশাপাশি পাবদা, তেলাপিয়া, রুই, কাতলাও চাষ করা যায় অনায়াসে। ফুল টাইমার নয় বাড়ির কাজের ফাঁকেও গৃহবধূরা এই মাছ চাষ করতে পারেন। আপনজনেদের পাতে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি বাড়তি আয় যোগাচ্ছে সংসারে।

তার এই কাজে খুশি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম অভিনব এই উদ্যোগ নেওয়ায় প্রশাসনের তরফে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের বিডিও কৌশিক কুমার মাইতি বলেন, ‘বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য সবরকম সাহায্য ও সহযোগিতা করছে সরকার। ওই গৃহবধূকে আট লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। যার ৬০ শতাংশ ঋণ সাবসিডি হিসাবে দেওয়া হয়েছে।‘

পুকুর কিংবা ভেড়িতে যেমন স্বাভাবিক নিয়মে মাছ চাষ হয় তার থেকে সামান্য আলাদা এই মাছ চাষের পদ্ধতি। প্রমাণ মাপের একটি বড় চৌবাচ্চায় ভূগর্ভস্থ জল ভরতে হয় প্রথমে। তারপরে রাসায়নিক দিয়ে সেই জলের অমলত্ব ও ক্ষারত্ব ঠিক করতে হয়। এরপর ওই জলে বিভিন্ন প্রকার ছোট মাছ ছাড়তে হয়। একই সাথে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও করতে হয়। যেহেতু অল্প জলে বিপুল সংখ্যক মাছ থাকে তাই ওই জলে যন্ত্রের সাহায্যে অক্সিজেন দিতে হয়। যেটা মাছেদের বাঁচতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কয়েক ঘণ্টা অন্তর খাবার দিতে হয়।

নিয়মিত খাবার ও অক্সিজেন পেয়ে মাত্র দু মাসের মধ্যেই একটি জিওল মাছ পাঁচ গ্রাম থেকে আশি বা একশো গ্রাম ওজনের হয়ে ওঠে। সেটা বাজারে বিক্রি করলেই মোটা টাকা আয় হয়। এই পদ্ধতির নাম বায়ো ফ্লক ফিস কালচার। বায়ো ফ্লক চাষীরা জানাচ্ছেন, এক কেজি কই বা শিঙি মাছ চাষ করতে তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা খরচ হয়। সেটাই বাজারে বিক্রি হয় তিনশো থেকে চারশো টাকায়। অর্থাৎ দশগুণ বেশি লাভ পাওয়া সম্ভব।

কলকাতা বিমানবন্দরের চাকরি ছেড়ে এমনই মাছ চাষ করছেন ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের কুলবেড়িয়া গ্রামের গৃহবধূ পায়েল মৃধা। পায়েল জানালেন, ‘ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখতে দেখতে হঠাৎ করেই বায়ো ফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ভিডিও দেখি। আমার স্বামী সুমন মৃধাও এটা নিয়ে আগ্রহী হন। দু’জনে নদীয়ার শান্তিপুরে চলে যাই। ওখানে হাতে কলমে এই মাছ চাষের পাঠ নিই।

স্বামী বেসরকারি চাকরিতে ব্যস্ত থাকায় শ্বশুর, শাশুড়ির সহযোগিতায় আমি এই চাষ করছি গত আট মাস ধরে। পায়েলের দাবি, ‘যেহেতু এটা সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়, তাই এই মাছের স্বাদ খুব সুস্বাদু এবং এটা স্বাস্থ্যপ্রদ। গৃহস্থালির হাজারো একটা কাজের মাঝে যে কোন ব্যক্তি বা গৃহবধূ এই চাষ করেই বছর খানেকের মধ্যে লাখপতি হতে পারেন বলে দাবি মাছ চাষীদের।

ভাঙড় দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রানী সম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গতানুগতিক মাছ চাষের বাইরে এখন এই ধরনের মাছ চাষে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। বায়ো ফ্লক মাছ চাষ পদ্ধতি সম্প্রতি মৎস্য দফতরের অধীনে আনা হয়েছে। কোনও মহিলা এই চাষ করলে ৬০ শতাংশ এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী চাষ করলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সাবসিডি পেতে পারে। পায়েল মৃধা শুধু ভাঙড় নয় গোটা জেলার পথ প্রদর্শক বায়ো ফ্লক ফিস কালচারের।‘ সূত্র:NEWS18বাংলা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৭, ২০২১ ৫:৪৯ অপরাহ্ন
সামুদ্রিক মাছ বাওস ধরা পড়ল পদ্মায়
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে মৎস্য শিকারি বাচ্চু শেখের জালে ৩ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৩ ফিট লম্বা একটি বাওস মাছ ধরা পড়েছে। ১১০০ টাকা কেজি দরে ৩ হাজার ৫২০ টাকা দিয়ে মাছটি বিক্রি করা হয়।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোরে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কর্ণেশনা কলাবাগান এলাকার অদূরে পদ্মা নদীতে মাছটি ধরা পড়ে।

পরে মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত মৎস্য আড়তের সামনে আনলে স্থানীয় শাকিল সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১১০০ টাকা কেজি দরে ৩ হাজার ৫২০ টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন। এ সময় অদ্ভুত প্রকৃতির এ মাছটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করেন।

মৎস্য আড়তদার সম্রাট শাহজাহান শেখ জানান, এই মাছের প্রকৃত নাম বাওস হলেও স্থানীয়ভাবে আমরা এটাকে বাঙ্গোশ বলে থাকি। এ মাছ সাধারণত সমুদ্রে পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বছরের আষাঢ়, শ্রাবণ মাসের দিকে মাঝে মাঝে পদ্মায় মাছটি পাওয়া যায়। এই মাছটির দ্বারা শরীরের ব্যথা উপশম হয়। এবং মাছটি খুবই সুস্বাদু তাই পরিবার-পরিজনদের নিয়ে খাওয়ার জন্যই কিনেছি।

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ জানান, আঞ্চলিক ভাষায় এটিকে বাঙ্গোশ বললেও মূলত এই মাছের নাম বাওস। এটি সামুদ্রিক মাছ। সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে এসব মাছ মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২১ ৭:৪৩ অপরাহ্ন
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলারভর্তি মাছে জেলেরা
মৎস্য

কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে নেমেছেন। বড় বড় ট্রলারগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য মাছ শিকারে গেলেও প্রতিদিন ছোট ট্রলারগুলোতে করে কাঙ্ক্ষিত মাছ নিয়ে তীরে ফিরেছেন জেলেরা। মাছ কিনতে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ওই দিন ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ও আবহাওয়া খারাপ থাকায় অধিকাংশ ট্রলার মাছ শিকারে যেতে পারেনি। পরে বড় ট্রলারগুলো সপ্তাহ কিংবা ১ মাসের জন্য সমুদ্রে গেলেও ছোট ট্রলারগুলো ভোরে গিয়ে দুপুরে মাছ শিকার করে ফিরে আসছে। ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে হাসিমুখে তীরে ফিরছেন জেলেরা।

জেলেরা জানান, ‘মাছের প্রজননের জন্য গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শনিবার থেকে আমরা মাছ শিকারে নামি। অনেকদিন পর সাগরে জাল ফেলায় আমাদের জালে প্রচুর পরিমাণে নানা রকম মাছ ধরা পড়ছে। এতদিন অপেক্ষার পর আমাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ায় আমরা খুশি।’

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারায় কক্সবাজার উপকূলীয় জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের জোয়ার বইছে, হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।

স্থানীয় জেলে শাহাব উদ্দিন মাঝি বলেন, ‘ভোর ৫টার সময় আমরা ৫ জন জেলে একসঙ্গে সাগরে মাছ শিকারে যাই। প্রথম প্রথম ভালোই মাছ পাচ্ছি।’

বাহারছড়া নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি বেলাল উদ্দিন জানান, ‘৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকারে যেতে না পারায় জেলে এবং মালিকপক্ষ উভয়কে অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এমনকি নিষেধাজ্ঞা শেষে নৌকা প্রস্তুত করে সাগরে মাছ ধরতে পাঠানোরও সামর্থ্য ছিল না অনেক মালিকের। তারপরও কষ্ট করে যারা নৌকা সাগরে পাঠিয়েছে তারা নিরাশ হয়নি। মাছ পড়েছে জালে। জেলেরা খুশি। মালিকদের মাঝেও স্বস্তি ফিরেছে।’

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান জানান, ‘এখনও সাগরের অবস্থা ভালো না। বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল। এ কারণে অনেক ট্রলারকে আমরা এখন মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তারপরও কিছু কিছু ট্রলার সাগরে গিয়ে মাছ পাচ্ছে। কয়েকদিন পর গেলে প্রচুর মাছ পাবে জেলেরা।’ সূত্র:রাইজিংবিডি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২১ ২:০১ অপরাহ্ন
জালে আটকে প্রাণ গেল জেলের
মৎস্য

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে মৃত শাহাব উদ্দিন (৪৭) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝির ঘোনা এলাকার বাসিন্দা।

রোববার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝির ঘোনাস্থ ভোলা খালে এ ঘটনা ঘটে।

বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মওলানা বদিউল আলম জেলের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান জানান, ‘পেকুয়ায় ভোলা খালে জাল বসিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল শাহাব উদ্দিন। প্রতিদিনের মতো সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাছ ধরার জন্য খালে জাল বসায় সে।

এক পর্যায়ে পানির স্রোতে জালের ভেতর আটকা পড়ে শাহাব উদ্দিন। অন্যান্য জেলেরা দ্রুত জালটি উঠিয়ে তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) কানন সরকার জানান, ‘মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলে মারা গেছেন বলে জেনেছি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২১ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
মহানন্দায় ধরা পড়ল ৩০ কেজি ওজনের বাঘাইড়
মৎস্য

তেঁতুলিয়ায় সীমান্তঘেষা নদী মহানন্দায় প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। কয়েকজন যুবক মিলে মাছটি শিকার করে। মাছটি শিকার করে বাড়িতে নিয়ে গেলে মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় জমায় শতশত মানুষ।

রবিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার সর্দারপাড়া এলাকার মহানন্দা নদীতে হাসিনুরের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক মাছটি ধরে।

জানা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুম থাকা সত্তেও মহানন্দায় পানি কিছুটা কমে গেলে ওই এলাকার হাসিনুর, লিংকন, তইমুলসহ কয়েকজন নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ওই সময় হাসিনুর তার পায়ের কাছে মাছটির উপস্থিতি টের পেলে বড় মাছ ভেবে দলবদ্ধ হয়ে সাড়ে ২৮ কেজি ওজনের এই বাঘাইড় মাছটি ধরতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে হাসিনুর জানান, আমরা আজ কয়েকজন মিলে নদীতে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ আমাদের জালে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছটি আটকা পড়ে এবং মাছটি নদী থেকে বাসায় নিয়ে এসে সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছি।

স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত প্রবাহিত মহানন্দা নদীটি বাংলাদেশের-ভারত বুক চিরে প্রবাহিত হওয়ায় মাছটি ভারত থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে এ নদী থেকে বোয়াল মাছ ধরা পড়লেও এই প্রথম এতো বড় বাঘাইড় মাছ ধরা পড়লো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২১ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
জেলেদের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির ২২ কেজির ‘পাখি মাছ’
মৎস্য

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে প্রায় ২২ কেজি ওজনের ৭ ফুট লম্বা বিরল প্রজাতির একটি মাছ ধরা পড়েছে। মাছটির পিঠের দিকে পাখার মতো আছে বলে এটিকে পাখি মাছ বলছেন জেলেরা।

শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে কমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিনের জারিরদোনা মাছঘাটে মাছটি বিক্রি হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায় গভীর মেঘনাতে ইলিশ ধরার জালে বিরল প্রজাতির মাছটি স্থানীয় জেলেদের জালে ধরা পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, রাতে মাছটি ঘাটে উঠালে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। মাছটি লক্ষ্মীপুরের মাছ ব্যবসায়ী মো.গোফরান ২ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনে চড়া দামে বিক্রি করতে ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা ও রায়পুর কারিমিয়া মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আ হ ম নোমান সিরাজী ওই ব্যবাসায়ীকে অনুরোধ করে একই দামে মাছটি কিনে রাখেন। পরে ১০ জন মিলে ভাগ করে নেন বিরল প্রজাতির পাখি মাছটি।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কাদ্দুছ জানান, মাছের পিঠের দিকে পাখার মতো আছে সে কারণে এটিকে পাখি মাছ বলেন জেলেরা। এটি মূলত সামুদ্রিক মাছ। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সমুদ্র থেকে মাছটি মেঘনায় চলে এসেছিল বলে ধারণা করছেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২১ ১০:২২ পূর্বাহ্ন
শ্রীপুরে দু‘নৌকার সংঘর্ষ, প্রাণে বাঁচলেন অর্ধশতাধিক মানুষ
মৎস্য

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নদীতে দুই নৌকার সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অর্ধশতাধিক মানুষ বেঁচে গিয়েছে। হতাহত বা নিখোঁজ হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে একটি ইঞ্চিনচালিত নৌকা বরমী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটিতে ৩০ থেকে ৪০ জন কিশোর ও যুবকের পিকনিকের আয়োজন চলছিল।

একই সময় অপর একটি নৌকা সিংহশ্রী ঘাট থেকে নদীর অন্য পাড় বরামা ঘাটে আসার পথে মাঝ নদীতে এলে পিকনিকের নৌকাটি ওই নৌকার মাঝ বরাবর তুলে দেয়। এতে পিকনিকের নৌকায় থাকা কিশোররা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে ঘাট থেকে অন্য নৌকা এসে নদী থেকে তাদের উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নিখোঁজ বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২১ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
এক কাতলের দাম ৪৪ হাজার টাকা!
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ২৫ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের এক কাতল বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার ২০০ টাকা। 

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকালে পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলনস্থলে ঢালারচর এলাকায় নিরঞ্জন হালদার নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর মাছের খ্যাতি দেশজুড়ে। নদীতে পানি বাড়ার সময় সাধারণত বড় বড় মাছ ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলনস্থলে ঢালারচর এলাকায় নিরঞ্জন হালদার নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে ২৫ কেজি ৩০০ গ্রামের ওজনের একটি বড় কাতল মাছ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাছটি ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় বিক্রির জন্য তোলা হয়।

প্রতিযোগিতামূলক দরের মাধ্যমে মাছের আড়তদার দুই ভাই সম্রাট শাহজাহান শেখ ও নুরু ইসলাম শেখ যৌথভাবে মাছটি কিনে নেন। কেজি-প্রতি দাম দেওয়া হয় ১ হাজার ৭০০ টাকা। এরপর মুঠোফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রতি কেজি ১ হাজার ৭৫০ টাকা হিসেবে ৪৪ হাজার ২০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করে দেন।

মাছের আড়তদার শাহজাহান শেখ জানান, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটে মাছের ব্যবসা করি। এসব মাছ প্রতিযোগিতামূলক-ভাবে ঘাটের বড় আড়তদারেরা কিনে নেন। স্থানীয়ভাবে এসব মাছের ক্রেতা কম। স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে হলে মাছ কেটে ভাগ করে বিক্রি করতে হয় বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২১ ৮:৩৮ অপরাহ্ন
আফতাব নিয়ে এলো দ্রুত বর্ধনশীল দেশী শোল মাছের পোনা
এগ্রিবিজনেস

শোল জনপ্রিয় একটি মাছ। আমাদের দেশে শোল মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে বিশেষ করে যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের কাছে শোল মাছ ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এই মাছ সব ধরনের প্রতিকুল পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবেলা করে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। এই মাছ চাষে একজন কৃষক খুব সহজেই লাভবান হতে পারেন তবে তার জন্য প্রয়োজন রেডি খাবারে (ফিশ ফিড) অভ্যস্ত দেশী শোল মাছের পোনা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে তেলাপিয়াসহ অন্যান্য মাছের পোনা বাজারজাত করে মৎস্য খামারীদের মাঝে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়
বাংলাদেশে এই প্রথম বারের মত আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড মাছ চাষিদের জন্য নিয়ে এলো দেশী শোল মাছের পোনা। এই পোনা পালনের সুবিধাসমূহ নিম্নরূপঃ

১. শতভাগ প্রস্তুতকৃত হালাল মাছের খাবারে অভ্যস্ত
২. ১০-১২ মাসে ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে ১০০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে
৩. উচ্চ উৎপাদনশীল ও বেশি মুনাফা
৪. রোগ প্রতিরোধে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন

দেশী শোল মাছের পোনা পেতে যোগাযোগ করুনঃ
০১৭০৯৬৩৮১০৪

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop