৩:২৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৫, ২০২৩ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
জালে আটকা পড়লো ৩১ কেজির বাঘাইড়
মৎস্য

গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ে ৩১ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ। আর এই মাছটি বিক্রি হয় ২১ হাজার ৭০০ টাকায়। পরে মাছটি ক্রেতারা ভাগাভাগি করে নেন।

মঙ্গলবার বিকালে পলাশবাড়ী পৌরশহরে বিশালাকৃতির এই বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন এক জেলে। এ সময় উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। এরই মধ্যে দাম হাঁকানো হলে প্রতি কেজি ৭০০ টাকা দরে ক্রয় করেন ভোক্তারা। যৌথভাবে মাছ কিনে নেওয়া হয় বলে জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই জেলে (বিক্রেতা) জানান, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে তার জালে বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে। এরপর বিক্রির জন্য পলাশবাড়ী পৌর শহরে উঠানো হয়। গ্রাহকদের দর-দামের একপর্যায়ে ৩১ কেজি ওজনের বাঘাইড়টি ২১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন। এর আগেও ৪৫ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ তার জালে আটকা পড়ছিল বলেও জানান তিনি।

পলাশবাড়ীর ক্রেতা সুমন মিয়াসহ অনেকে বলেন, বড় আকারের এই মাছটি দেখে কেনার আগ্রহ হয়। সামর্থ্য না থাকায় এককভাবে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আমরা কয়েকজন মিলে ৭০০ টাকা কেজি দরে মোট ২১ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করি।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ১২:২৮ অপরাহ্ন
সোনাগাজীতে জেলেদের জালে ধরা পড়লো ১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা
মৎস্য

ফেনীর সোনাগাজীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১০ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ফেনী নদীতে মাছটি ধরা পড়ে। এ সময় উৎসুক মানুষ মাছটি দেখতে সেখানে ভিড় জমান।

জেলে হিরেন্দ্র জল দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনিসহ আরও দুজন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। দুপুরের দিকে তাদের জালে বিশাল আকারের শাপলাপাতা মাছটি আটকা পড়ে। পরে ওজন করে দেখা যায় এর ওজন ১০ মণ।

বিকেলে মাছটি স্থানীয় আড়তে নিয়ে এলে শংকর নামের এক ক্রেতা প্রতি মণ ৮ হাজার টাকা দরে ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২২ ১:৪৯ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে অবৈধভাবে মাছ ধরার দায়ে ২৩ জেলে আটক
মৎস্য

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ২৩ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে আলাদা দুটি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামসুল আরেফিন।

এসময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত এফবি সুফিয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার ও ট্রলারে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০ মণ মাছ, একটি নৌকা ও ১৩০০ মিটার ইলিশের জাল উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, আটক জেলের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি পটুয়াখালীর মহিপুর এলাকায় এবং বাকি আটজনের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামসুল আরেফিন জানান, তার নেতৃত্বে প্রথমে রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনের ভোলা নদী থেকে রাত ১০টার দিকে অনুমতিবিহীন একটি ফিশিং ট্রলার এবং ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ইলিশ, পোয়া, ফ্যাকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০ মণ মাছ ও ১৩০০ মিটার জাল জব্দ  করা হয়।

তিনি জানান, অনুমতি ছাড়া বনে প্রবেশ করার অপরাধে আটক ১৫ জেলে, ট্রলার ও মাছের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসাথে জেলেদেরকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এই বন কর্মকর্তা আরও জানান, একই রাতে বনের বড় ধনচে বাড়িয়া অভয়ারণ্যে এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে একটি নৌকাসহ আট জেলেকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সিওআর মামলা দায়ের করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১০:০২ অপরাহ্ন
ইলিশ পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কায় মেঘনা পাড়ের জেলেরা
মৎস্য

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার মধ্য রাত থেকে ইলিশ আহরণে নামবেন জেলেরা। ইতোমধ্যে জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা মেরামত ও জাল প্রস্তুত করেছেন।

তবে জেলেদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও বিরাজ করছে। তারা মা ইলিশ রক্ষার সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু জেলে নির্বিচারে মা ইলিশ ধরায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যে কারণে তারা এখন নদীতে নেমে ইলিশ পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কায় আছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের জেলে আলমগীর হোসেন জানান, সরকার মা ইলিশ রক্ষায় যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা আমরা মেনেছি। আমরা নদীতে নামিনি। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ও মৌসুমী জেলে ঠিকই মা ইলিশ নিধন করে টাকা কামিয়েছে।

একই এলাকার জেলে এনায়েত উল্যাহ ও ওমর ফারুক জানান, বছরে দুইবার ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমরা সব কিছুই মানি। কিন্তু এসময় আমাদের সংসার চলে না। প্রতিবছর এ সময়টা আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। ঋণ করে চলতে হয়। বছর শেষে দেখা যায় একেকজন ২০-৩০ হাজার টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে যে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়, তা সঠিক ওজনে না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।

তারা বলেন, বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিসিনপত্রের যে দাম, ২৫ কেজি চাল দিয়ে ৫-৭ জনের সংসার চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। সরকার আমাদের বিষয়ে আরো দৃষ্টি দেয়া দরকার।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, চাঁদপুর জেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসব সিদ্ধান্ত আমরা শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। জেলেদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আশা করছি ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ইলিশ ধরার অপেক্ষায় জেলেরা, রাতেই শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)। ফলে মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারবেন জেলেরা।

এরই মধ্যে সাগরে নামতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন বরগুনার জেলেরা।

জেলেদের অভিযোগ, দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের উৎপাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকার করতে পারেন না। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলেদের স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে তারা।

জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। টানা ২২ দিন পর আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পারবেন বলে খুশি জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ধারদেনা করে চালিয়েছেন অনেক জেলে। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়লে সেই ধারদেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

জানা যায়, জেলেরা সাগরে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জাল ঠিক করছেন আবার কেউ নৌকা মেরামত করছেন। মধ্যরাত হলেই সাগরে নেমে পড়বেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী টলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, র‍্যাব যেভাবে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলদস্যু নির্মূল করেছে ঠিক সেভাবে ভারতীয় জেলেদের দমন করতে না পারলে জেলেরা না খেয়ে মরবে। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করলে দেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ঢুকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে যাতে পশ্চিমের বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জোর দাবি জানাই।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, দেশে ইলিশের পরিমাণ বাড়াতে অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফলতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছি। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলায় ৩৭ হাজার ৭০ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২২ ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
মাছ ধরা বন্ধ,ভালো নেই জেলেরা!
মৎস্য

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা জাল, নৌকা ঘাটে রেখে অলস সময় কাটাচ্ছে।

উপজেলা মৎস্যবিভাগের তথ্যমতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সময়ে আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।

জেলেরা জানান, সরকার যে পরিমান চাল বরাদ্দ দিয়েছে তা ঠিকমতো তাদের কাছে পৌঁছায় না। তাই অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন জেলেরা। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষা ভবানীপর ও সৈয়দপুর ইউনিয়ন। এই দু’টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার জেলে মেঘনায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভবানীপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসবাস করছেন কয়েকশ’ জেলে পরিবার। ঝুপড়ি ঘরে তাদের বসবাস। নদীতে মাছ ধরে চলে তাদের জীবন। মাছ ধরতে না পারলে সংসার চলে না।

জেলেপাড়ার সুমন মাঝি জানান, নদীতে অভিযান চলছে। এখন কাজকর্ম নেই। অন্য কাজও জানি না। তাই অনেক কষ্টে আছি।

সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের জেলে মো. হোসেন। বয়স ২৭। তার ওপর বাবা-মা, ভাইবোনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব। একদিন আয় করতে না পারলে উপোষ থাকতে হয় পরিবারের সবাইকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে তার নৌকা ঘাটে বাঁধা। এখন অটোরিকশা চালাচ্ছেন। হোসেন বলেন, ২২ দিন নদীতে মা ইলিশের অভিযান। মাছ না ধরলে একদিনও সংসার চলেনা। সরকার চাল দেয়, তাও ঠিক মতো পাই না। কি করবো? রিকশা চালিয়ে যা পাই, চাল-ডাল কিনে কোনোমতে চলি। চরখলিফা ৭নং ওর্য়াডের জেলে বাবুল বলেন, আমাগো চাল বেকে (সবাই) খায়। সরকার সাগরে অভিযান দিছে। এহন ট্রলারের জাল বুনি। মালিক অল্প কিছু টিয়া দেয়। কোনো মতে দিন চলে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন ইনকিলাবকে বলেন, দৌলতখান উপজেলায় ২২ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২০ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ইলিশের অবাধ প্রজনের লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতা সভা করা হয়েছে। প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে মৎস্যবিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার,আটক দুই
মৎস্য

চলতি ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের দায়ে মোংলায় দুই জেলেকে আটক করেছে মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ড।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পশুর ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে অভিযান চালায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদস্যরা।

এ সময় আইন অমান্য করে মাছ ধরার সময় পশুর নদীর জয়মনিরঘোল এলাকার আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে মন্টু শেখ (৩৮) ও আঃ রশিদ খাঁনের ছেলে তিতুমির খাঁন (১৮)কে আটক করা হয়। এছাড়া এ সময় ১৮ হাজার মিটার বেহুন্দী জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল ও আটক জেলেদের মোংলা ফেরিঘাটে আনা হয়। সেখানে ওই দুই জেলের প্রত্যেককে নগদ এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদারের মোবাইল কোর্ট। জব্দকৃত জাল সেখানে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামসহ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

এর আগে সোমবারের অভিযানে জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার নেট জাল ও ৩ হাজার মিটার বেহুন্দী জাল ফেরিঘাট এলাকায় আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত করা হয়।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ ১:৫১ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে অবৈধভাবে মাছ শিকার,১৮টি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৮ জেলে আটক
মৎস্য

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরা অবস্থায় ১৮টি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৮ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ।

রোববার সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সামসুল আরেফিন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।

সুন্দরবনে সারা বছরই বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ—এমন এলাকায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন তারা।

আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন।

সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাদিক মাহমুদ জানান, আটক হওয়া ট্রলারের মধ্যে ১০টি সাগরে ইলিশ আহরণের জন্য দুবলা জেলেপল্লি টহল ফাঁড়ি থেকে পাস পারমিট নেয়। তবে তারা সাগরে না গিয়ে এই ১০টিসহ ১৮টি ফিশিং ট্রলার স্থায়ীভাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা কটকার কাদেরের খালে চলে যায়। আটক ট্রলারগুলোর মধ্যে ১০টি ইলিশ ধরার জাল ও আটটিতে ক্ষুদ্র ফাঁসের জাল পাওয়া গেছে।

আটক জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা স্লুইস এলাকায়। তাদের সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট আদালতে পাঠাতে কটকা এলাকা থেকে রওনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২২ ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বরগুনার জেলেরা
মৎস্য

সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরগুনার জেলেরা।

নিম্নচাপের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য বরগুনার পাথরঘাটায় ট্রলারগুলোতে ভরা হচ্ছে বরফ।

চলতি মাসে পরপর তিনটি নিম্নচাপের আগাম বার্তা যথাসময়ে না পাওয়ায় সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ঘটেছে ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজের ঘটনা। তাই পাথরঘাটায় একটি আবহাওয়া অফিস স্থাপনের দাবি তাদের।

অবশ্য পাথরঘাটায় আবহাওয়া অফিস স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বরগুনা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।

গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার অন্তত ২০টি ট্রলার ডুবে যায়। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি শতাধিক জেলে ভাসতে ভাসতে ভারতের জলসীমায় গিয়ে আটক রয়েছেন কারাগারে। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন জেলে।

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২২ ৭:৪১ পূর্বাহ্ন
অবৈধভাবে সুন্দরবনে মাছ ধরায় ৫ জেলে আটক
পাঁচমিশালি

অবৈধভাবে সুন্দরবনে মাছ ধরার অপরাধে পাঁচ জেলেকে আটক করেছেন বনরক্ষীরা।

আটক জেলেদের সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট আদালতে চালান করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার বিকেলে পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলেপল্লীর আওতাধীন ভবানীর খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জেলেদের আটক করা হয়।

আটক জেলেরা হলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের আ. মালেকের ছেলে মো. লাল মিয়া (৪৫), খুলনার কয়রা উপজেলার লোকা গ্রামের হাকিম ঢালীর ছেলে আবু হানিফ (৫০), ভান্তারপুল গ্রামের নেছার সরদারের দুই ছেলে সালাম সরদার (৪০) ও করিম সরদার (১৯) এবং কুমারখালী গ্রামের আব জাফরের ছেলেজাহাঙ্গীর সানা (৪৫)।

দুবলা জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার মজুমদার জানান, বর্তমানে সুন্দরবনে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাসপারমিট দেওয়া শুরু হবে। কিন্তু এরই মধ্যে অসাধু এসব জেলেরা অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভবানীর খালে মাছ শিকার করছিলেন। এমন তথ্য পেয়ে দুবলার বনরক্ষী ও স্মার্ট দলের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।

আটক জেলেদের কাছ থেকে ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রলার, বিভিন্ন প্রজাতির চার মণ মাছ ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। ট্রলারে বরফ না থাকায় জব্দ করা মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট মাছ দুবলা অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। আটকৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop