১১:৩৯ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২১ ১১:১৫ অপরাহ্ন
সুন্দরবনের নদী ও খালে ২ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ
মৎস্য

চলছে মাছের প্রজনন মৌসুম। আর এই মৌসুমে মা মাছ রক্ষায় বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) থেকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের সব নদী ও খালে দুই মাসের জন্য মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গেল বছরও এই দুই মাস সুন্দরবনে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, ৩১ আগস্ট মধ্যরাতে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবার মাছ ধরতে পারবে। নিষেধাজ্ঞা বলবত করতে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য সব ধরনের পাশ ও পারমিট বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানসের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে সুন্দরবন বন বিভাগ একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। যার অংশ হিসেবে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। আমরা গেল বছর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবত করে আসছি।

তিনি আরও জানান, এই দুই মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সুন্দরবনের নদী খালে যেমন মাছ বাড়বে, তেমনি অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবছর একই সময়ে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে চোরা শিকারিরা যাতে মেতে না উঠতে পারে সেজন্য বনে টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২১ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
নতুন সামুদ্রিক মাছের প্রজাতি আবিস্কার করল শেকৃবির গবেষকদল, নাম বাংলাদেশী গিটারফিশ
মৎস্য

শেকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের কক্সবাজারের সামুদ্রিক জলসীমা থেকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো একটি সামুদ্রিক মাছের প্রজাতি শনাক্ত করলো শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এর ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের একোয়াটিক বায়োরিসোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকরা। দেহের গঠন, বাহ্যিক আকৃতি এবং ডিএনএ বারকোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রজাতিটি শনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় পাওয়া যায় বলে প্রজাতিটির ইংরেজি নাম দেয়া হয়েছে বাংলাদেশী গিটারফিশ। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং এদের ডিএনএ বারকোডিং গবেষনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য মাছটির প্রধান উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব তার পিএইচডি সুপারভাইজার কোরিয়ার সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিট্যুট (কিওস্ট) এর অধ্যাপক ড. ইওনহোলী এর নামে মাছটির বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন গøুকোসটেগাস ইওনহোলী । মাছটি রাইনোবেটিফরমিস বর্গের, গøুকোসটেগিডি পরিবারের এবং গøুকোসটেগাস গণের একটি প্রজাতি।

গøুকোসটেগিডি পরিবারের প্রজাতিগুলোকে জায়ান্ট গিটারফিশ বলা হয়। পৃতিবীতে এ পর্যন্ত জায়ান্ট গিটারফিশের ৮ টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। দুইটি প্রজাতি ছাড়া বাকি সকল গিটারফিশরা সামুদ্রিক লোনা পানিতে বসবাস করে তবে ২ টি প্রজাতি মাঝে মাঝে ইষৎ লোনা পানিতে আসে। এরা দেখতে গিটারের মত হওয়ায় এদেরকে গিটারফিশ বলা হয়। আইইউসিএন এর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রাপ্ত গিটারফিশরা মহাবিপন্ন। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গিটারফিশদের সংরক্ষরনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাথে নিয়ে এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। তা নাহলে গিটারফিশরা খুব বেশীদিন পরিবেশে টিকে থাকবে না।

বাংলাদেশী গিটারফিশ প্রজাতিটি বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ডিএনএ বারকোডিংয়ের মাধ্যমে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা জাতীয় মাছের প্রজাতি শনাক্তরন ও সংরক্ষণ পরিস্থিতি নিয়ে করা একটি গবেষণার সময় পাওয়া যায় যাতে অর্থায়ন করে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। মাছের প্রজাতি শনাক্তকরণের এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব, ডিন, ফিশারিজ, একোয়াকালচার এবং মেরিন সায়েন্স অনুষদ এবং সহযোগী হিসেবে ছিলেন শেকৃবি একোয়াটিক বায়োরিসোর্স রিসার্চ ল্যাব এর গবেষনা সহকারী মো: জায়িদুল ইসলাম। গবেষণা প্রবন্ধটি ২৯জুন ২০২১ ইং তারিখে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী জ্যুট্যাক্সা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই উদ্ভাবনের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া উদ্ভাবকবৃন্দকে অভিনন্দন জানান। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নততর গবেষণার মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২১ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে কয়েক প্রজাতির মাছ চাষে সাফল্য
মৎস্য

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে কয়েকটি প্রজাতির মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একদল গবেষক। এছাড়া গবেষকরা মাছের এমন একটি সাশ্রয়ী মূল্যের শর্করাপ্রধান খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন যাতে মাছের প্রজাতিভিত্তিক প্রকৃত স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ অক্ষুণ্ন থাকে। বৃষ্টির পানিতে এই মাছ চাষ হওয়ায় এবং পানির গুণাগুণ রক্ষায় মাছের প্রকৃত স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণ ফিরে পেয়েছেন।

প্রকল্পের প্রধান ইনভেস্টিগেটর ও সমন্বয়কারী ড. নাজমুল আহসান জানান, করোনার সময়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকলেও গবেষকদের তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই গবেষণা চালিয়ে গেছেন। তারা তেলাপিয়া, শিং, কৈ ও টেংরা মাছ নিয়ে কাজ করেছেন। এর মধ্যে টেংরা মাছ ছাড়াও অন্য তিনটি মাছের ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছেন। বৃষ্টির পানিতে এই মাছ চাষ হওয়ায় এবং পানির গুণাগুণ রক্ষায় মাছের প্রকৃত স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণ ফিরে পেয়েছেন।

তিনি জানান, তাদের তৈরি শর্করাবান্ধব প্রাকৃতিক খাবার ভালো কাজ করেছে। সাধারণত মাছের খাবার তৈরিতে আমিষজাত এবং গ্রোথজাত উপকরণ বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তারা যে নতুন ফিসফিড তৈরি করেছেন তাতে একদিকে যেমন কোন গ্রোথ হরমোন বা অজৈবিক উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি, অন্যদিকে এতে এমন একটি প্রাকৃতিক সম্পূর্ণ জৈবিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মাছের স্বাদ বাড়ায়।

বুধবার বেলা ১১টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এই গবেষণা প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন। তিনি বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে ক্ষুদ্র পরিসরে মাছ চাষে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি যাতে চাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গবেষণালব্ধ ফলাফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছালে তারা তা ব্যবহার করে আর্থ-সামাজিকভাবে লাভবান হতে পারে। ফলে দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানা গেছে, সলিডারেট এশিয়া এবং ওয়ার্ল্ড ফিসের সহযোগিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন এবং নেদারল্যান্ডের ওয়াগিনন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে এই কাজ করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২১ ৪:১৬ অপরাহ্ন
বছরে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন
মৎস্য

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় মৎস্য জোন। এখানে প্রতি বছরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়।

প্রতি মৌসুমে এসব মৎস্য প্রকল্প থেকে ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকার মাছ বিক্রি করছেন চাষিরা। মুহুরীচর মৎস্য প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৭০-৮০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ দেশের বিভিন্ন বাজারে আমিষের যোগান দিচ্ছে।

জানা যায়, ১৯৮৪ সালে সরকার ফেনী নদীর মিরসরাই-সোনাগাজী অংশে প্রায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের পর প্রায় ৫০ হাজার একরের অধিক চর জেগে উঠে। এই বাঁধ দিয়ে পশ্চিম দিকে যেতে বাঁধের দক্ষিণে চোখ যতদূর যায় ততদূর পর্যন্ত শত শত হেক্টর জমিতে এই মৎস্য প্রকল্প। এখানে পাঙ্গাস, কার্প, তেলাপিয়া, গুলশা, পাবদা, শিং, কই ইত্যাদি জাতীয় মাছের চাষ হচ্ছে। গত ২৫ বছরে মিঠা পানির মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত মুহুরী প্রকল্প সারা দেশের সবচেয়ে বড় মত্স্য জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এখানের মাছ।

১৯৯৬ সালের দিকে সাবেক চেয়ারম্যান মাঈনুল ইসলাম, আবুল খায়ের কোম্পানি, বাবুল চৌধুরী, এম এইচ লাভলু চৌধুরী এরা আধুনিক পদ্ধতিতে মত্স্য চাষ শুরু করেন। তাদের সফলতার পথ ধরে ধীরে ধীরে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরির পিছে না ছুটে গড়ে তোলেন শত শত মত্স্য প্রকল্প। বর্তমানে এখানে বাণিজ্যিকভাবে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মত্স্য প্রকল্প গড়ে তুলেছে বিভিন্ন নামি দামিসহ ৫ শতাধিক প্রতিষ্ঠান। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার শ্রমজীবী মানুষ মত্স্য প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এদের এখন একমাত্র জীবিকার অবলম্বন মত্স্য চাষ।

উপজেলা মত্স্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বছরে একর প্রতি সর্বনিম্ন ৭ মেট্রিক টন মাছ উত্পাদন হলে প্রায় ৭ হাজার একর জমিতে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ উত্পাদন হয়। প্রতি কেজি মাছ গড়ে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও যার বাজার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। মুহুরী চর থেকে প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করলেও এখানকার মত্স্যচাষিরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২১ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ দিয়ে ৫০ লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ ঢেলে ৫০ লাখ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ী পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়।

জানা যায়, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে মৎস্য ব্যবসায়ী ইমান উদ্দিনের পুকুরে বিষ প্রয়োগে মরে যাওয়া মাছ শত শত লোক যে যার ইচ্ছেমতো কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ী ইমান উদ্দিন জানান, ‘আমার সঙ্গে দক্ষিণ তারুয়া চৌধুরী বাড়ির আজাদ ছৌধুরীর ছেলে মাসুদসহ এমরান, আজাদ, ফরহাদ ও ওবায়দুলের ১৫ থেকে ১৬ দিন আগে বাড়ির সীমানা নিয়ে কথাকাটি হয়। তখন তারা আমার পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। তারাই গতকাল দিনগত রাতে আমার পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মেরে ফেলেছে। আমার ৩০০ শতকের পুকুরে তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, পাঙ্গাসসহ আরও দুই-তিন জাতের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, ‘আমাকে একেবারে নিঃশ্ব করে দিয়েছে। আমি এখন চোখে অন্ধকার দেখছি। কীভাবে এত বড় ক্ষতি আমি কাটিয়ে উঠব বুঝে উঠতে পারছি না। আমার সারা জীবনের সঞ্চয় নষ্ট করে দিয়েছে চৌধুরী বাড়ির এমরান, মাসুদ, ফরহাদ ও ওবায়দুল। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আমার ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানাচ্ছি।’

উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী সাফি বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ আমার ছোট ভাইয়ের পুকুরে বিষ ঢেলে অন্তত ৫০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।’

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাবেদ মাহমুদ জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ী অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২১ ৪:৫৩ অপরাহ্ন
নওগাঁয় মৎস্যজীবীদের মাঝে ছাগল ও মাছের খাদ্য বিতরণ
মৎস্য

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ‘রাজশাহী বিভাগে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’ ও ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মাছচাষ প্রকল্পের’ আওতায় ২০ জন জেলেদের বিনামূল্যে উন্নত জাতের ছাগল এবং ছয়জন প্রদর্শনী খামারীদের মাঝে মাছের খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

রোববার(২৭ জুন) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অনুকুল চন্দ্র সাহা বুদু, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায়, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মাকসুদুর রহমান, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা একেএম জামান প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২১ ৪:২৩ অপরাহ্ন
হালতিবিলে মা ও পোনা মাছ নিধন
মৎস্য

নাটোরের নলডাঙ্গায় ব্রহ্মপুর, মাধনগর, খাজুরা পিপরুলসহ প্রায় সব বাজারে দেখা মিলছে বাইম, টেংরা, শিং, বোয়ালসহ নানা প্রজাতির দেশীয় পোনা মাছ। যার আকার এক ইঞ্চি বা তারও কম।

জানা যায়, মাছ গুলো ধরা হয়েছে অবৈধ চায়না বা ঢলুক জাল দিয়ে। এসব জাল এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা আর চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ফুট দৈর্ঘের ও ক্ষুদ্র পাশ বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির হয়।

নলডাঙ্গা অধ্যুষিত বারনই নদী ও হালতিবিলে সবেমাত্র বর্ষার পানি এসেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, দেশীয় পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব। আগের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জালের নাম শোনা গেলেও এবার নতুন করে তৈরি হয়েছে চায়না জাল বা ঢলুক জাল।

জাল ব্যবহার করা হয় নদীর তলদেশ দিয়ে। কিছু অসাধু জেলারা কৌশলে এই জাল পেতে রাখে নদীর তলদেশ দিয়ে। যেখানে শুধু ক্ষুদ্র মাছের পোনা নয় মাছের ডিম পর্যন্ত আটকা পরে। সাথে রয়েছে খেয়া জাল । তবে দিনের বেলায় এসব জাল চোখে পরে না ।

এলাকাবাসী জানান, দিনের বেলায় নদীর মধ্যে খেয়া জালের শুধু কাঠামো পরে থাকতে দেখা যায়। আর রাত হলেই অসাধু জেলারা এই খেয়া জাল দিয়ে শুরু করে মাছ শিকার। আর ভোর হতেই জাল লুকিয়ে রেখে শুরু হয় মাছ বিক্রির ধুম।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি আমরা। মা ও পোনা মাছ নিধন রোধে জনসচেতনতা মুলক প্রচারনা কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে উপজেলার হালতিবিল টাংকি, বাঁশভাগ ও কালিগঞ্জ বেশ কিছু জাল পুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জনসচেতনতা জন্য মাইকিং ও অভিযান অব্যাহত আছে এবং খুব দ্রুত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২১ ৭:৫৫ অপরাহ্ন
ভিডিও দেখে মাছ চাষ আমিরুলের, বিক্রি ৩ লাখ টাকা
মৎস্য

বগুড়ার সোনাতলার বালুয়াহাট ইউনিয়নের ছয়ঘোড়া পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী খয়বর মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম। পড়াশোনা করেছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর অভাবের তাড়নায় আর পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি তার। স্কুলপড়ুয়া ছোট্ট দুই মেয়ে নিয়ে আমিরুলের সংসার।

আমিরুল একদিন ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখতে পান বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ। এরপর তার আরও আগ্রহ জন্মায়। তিনি ভালোভাবে মাছ চাষের ভিডিওগুলো দেখেন এবং তার স্ত্রীকে বলেন। প্রথমে তার স্ত্রী সায় না দিলে এক প্রকার জোর করেই ব্যবসার জমানো টাকা দিয়ে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের উপকরণ কেনেন এবং মাছ চাষ শুরু করেন।

আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে আমার কাজে পরিবার সায় দিতে চায়নি। অবাধ্য হয়েই মাছ চাষ শুরু করি। এগারো কেজি ছোট পোনা মাছ দিয়ে মাছের খামার তৈরি করি। সেগুলো বড় হতে থাকে। ১১ কেজি মাছের পোনা থেকে মাছ হয় ৪০০ কেজি। যা ছয় চালানে খুব অল্প সময়ে ৩ লাখ টাকা বিক্রি করি। মাছ চাষ করেই এখন আমার মেয়েদের পড়ালেখা ও সংসার চলে।’

এ বিষয়ে আমিরুলে স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী যখন আমাকে এ বিষয়ে বলে, আমি ভাবি এভাবে ছোট জায়গায় কি মাছ চাষ সম্ভব? এরপর আমার স্বামী জোর করেই মাছ চাষ করেন। প্রথম চালানে ৫০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়। তখন খুবই আশ্চর্য হই। আমার স্বামী ঝুঁকি নিয়ে মাছ চাষ করে সফল। এখন গ্রামের অনেকেই তার কাছে আসেন। তাকে দেখে অনেকেই বায়োফ্লকে মাছ চাষে আগ্রহী হয়েছেন।’

সোনাতলা উপজেলা মৎস্য অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো আমিরুলের মাছের খামার দেখতে যাইনি। তবে শুনেছি। আমি শিগগিরই যাবো। তার যদি কোনো সহায়তার প্রয়োজন হয়, আমি করবো। যদি ট্রেনিংয়েরও প্রয়োজন পরে, আমরা উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।’

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে চোখেমুখে খুশির ঝিলিক আমিরুলের। তিনি সরকারি কোনো সহায়তা পেলে মাছের খামারটি আরও বড় করবেন। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে চান তিনি।

– জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২১ ১:৩৪ অপরাহ্ন
নাটোরে পুকুরে বিষ দিয়ে লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রামে দুটি পুকুরে কিছু অজ্ঞতা লোক ‘বিষ দিয়ে কয়েক লাখ’ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। “বিষক্রিয়ায় রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মন মারা যায়।”এতে তার প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন তা নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার বাগডোব বিল গরিলায় এই ঘটনা ঘটে।

সিংড়ার মাছ চাষি মাহাবুব আলম জানান, বসন্তপুর গ্রামে প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৭টায় তার পুকুরের প্রহরী আছির উদ্দিন মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি চলে যান। ভোর রাতে পুকুরে মাছ ভাসতে দেখা যায়।

অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি সিংড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান।

এদিকে, বড়াইগ্রামে সলিম মুন্সি (৫৫) বলেন, বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের বাগডোব বিল গরিলায় ‘বিষ প্রয়োগে’ তার পুকুরের অন্তত সাত লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার বড়াইগ্রাম থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সলিম মুন্সি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২১ ৫:৩৭ অপরাহ্ন
কারখানার দূষিত পানিতে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

সাভারের আশুলিয়ায় ১০ বিঘা পুকুরের প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ ডাইং কারখানার দূষিত পানির কারণে মরে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আনুমানিক ৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার (২৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে আশুলিয়ার জিরানীর কলেজপাড়া কলাবাগানের দক্ষিণ পাশের পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতে দেখা গেছে।

পুকুরটির মালিক রেজাউল করিম জানান, তিনি ও মো. মালেক নামে এক ব্যক্তি ১০ বিঘা জমির পুকুরে কাতল, সিলভার কার্প, রুই, তেলাপিয়া ও কার্প মাছসহ নানা প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু গতকাল তার পুকুরের পাশে মার্স ওয়াস অ্যান্ড ডেনিং লিমিটেড নামের একটি কারখানা তাদের বর্জ্য পানি পুকুরে ছেড়ে দেয়। পরে আজ সকালে পুকুরে গেলে অনেক মাছ মরে পানির উপর ভাসতে দেখেন তিনি।

তিনি বলেন, কারখানার দূষিত পানি ছেড়ে দিয়েছে। রাত থেকেই মাছ মরা শুরু হয়েছে। আমি থানায় যাচ্ছি অভিযোগ দায়ের করবো। আনুমানিক ৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে মার্স ওয়াস অ্যান্ড ডেনিং লিমিটেড কারখানার প্রকৌশলী রুস্তম আলী মণ্ডল জানান, বিষয়টি শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত দেখবো। আর আমাদের কারখানার পানি গিয়েই মাছ মারা গেছে কি না এটা তো শিউর না।

সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি শুনেছি। সেই মাছ চাষিকে কয়েকটি মাছ ও পুকুরের পানি নিয়ে আসতে বলেছি। যদি কারখানার পানির কারণে কিছু হয় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop