৯:১২ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ১:১৭ অপরাহ্ন
অসময়ের বৃষ্টিতে হিলিতে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ
এগ্রিবিজনেস

অসময়ের বৃষ্টির কারণে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে সবজির দাম।টানা বৃষ্টির ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।হঠাৎ এমন দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে হিলি সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহে আগে দুইদিনের বৃষ্টির প্রভাবে দফায় দফায় বেড়েছে শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ২০ টাকার বেগুন আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। ২৫ টাকার শিম এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ২০ টাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, ২০ টাকার ফুলকপি ৩০ টাকা, ২৫ টাকার শসা ৪০ টাকা, ২০ টাকার কাঁচামরিচের দাম এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের শাক-সবজির দামও দ্বিগুণ বেড়েছে।

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা ইসমাঈল হেসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই।সব তরকারির দাম যেমনে বাড়ছে তা আমার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।

হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে সব সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

আরেক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ বলেন, গত সপ্তাহে দুইদিন বৃষ্টির জন্য সবজির দাম  খুব বেড়ে গেছে। টানা বৃষ্টিতে কৃষকের সব সবজির আবাদ পানিতে ডুবে গেছে। যে কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম আর দামও অনেক বেশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সাভারের গোলাপ গ্রামে ছত্রাকের আক্রমণে বিপাকে গোলাপ চাষীরা
এগ্রিবিজনেস

সাভারের গোলাপ গ্রাম খ্যাত বিরুলিয়ার গোলাপের ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে গোলাপ ফুলের বাগান। ছত্রাকের প্রাদুর্ভাবে ফুলের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গাছও। ফেব্রুয়ারী মাসের বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে চাষীরা গোলাপ ফুল ব্রিকি করে লাভবান হয়ে থাকেন, কিন্তু ছত্রাকের আক্রমনের কারনে বিক্রি হচ্ছে না গোলাপ। ভরা মৌসুমে এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ফুল চাষীয়রা।

এদিকে, কৃষি বিভাগ বলছে, গরম না আসা পর্যন্ত ছত্রাকের আক্রমণ রোধ করা যাবে না।

রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলার ২২০ হেক্টর জমিতে সারা বছরজুড়েই বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় গোলাপ ফুল। এরমধ্যে সিংহভাগ ফুল চাষ হয় বিরুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। লাল টকটকে ফুটে থাকা গোলাপ থেকে প্রতি মৌসুমে আয় হয় কোটি কোটি টাকা।

তবে এবারের মৌসুমের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে গোলাপ ফুল ফোটার মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণ ফুল ফোটার আগেই নষ্ট হচ্ছে গাছ ও ফুল। অজ্ঞাত ছত্রাকের আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে গাছ ও ফুল।

বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রাম দেখতে প্রতিদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান অসংখ্য পর্যটক। তবে এবার ফুল বাগানের করুণ দৃশ্য দেখে হতাশ তাঁরাও।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, অসময়ের বৃষ্টি ও বেশি শীত পড়ার কারণে ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

ক্ষতি পোষাতে সরকারি আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন গোলাপ চাষীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২২ ২:৪৪ অপরাহ্ন
বৃষ্টির প্রভাবে হিলিতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
এগ্রিবিজনেস

বৃষ্টির কারণে দিনাজপুরে হিলির পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ছয় টাকা। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

ব্যবসায়ীর জানান, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমের কারণে দাম বেড়েছে।

রোববার হিলি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়, প্রতিটি আড়তে কমেছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ। সরবরাহ কমার কারণে দুই দিনের ব্যবধানে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৬ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। এতে পেঁয়াজ কিনতে এসে চরম বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সাব্বির হোসেন বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে,সেই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে দুদিন থেকে আড়ৎগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহও কমে গেছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আবারও কমে আসবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২ ১:৫৮ অপরাহ্ন
হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম
এগ্রিবিজনেস

হিলিতে কমতে শুরু করেছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম।সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩-৫ টাকা করে কমেছে দাম।

বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় তাই চাহিদা কমেছে আমদানীকৃত পেঁয়াজের। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকায় পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহপূর্বে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২১-২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১৭-১৯ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৮-৩৯ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩৪-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, সম্প্রতি ভারত হতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশের বাজারে সেই তুলনায় চাহিদা কম রয়েছে। চাহিদা কম হওয়াতে দাম কমতে শুরু করেছে। দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবারহ থাকায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম আরও কমবে বলে তিনি জানান।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান,বর্তমানে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। বুধবার বন্দর দিয়ে ২৩১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল, সেখানে বৃহস্পতিবার আমদানি হয়েছে ২৬৮ টন।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচামাল ও পচনশীল পন্য, তাই আমদানিকারকরা অতিদ্রুত যেন বন্দর থেকে তা খালাস করতে পারেন, সে ব্যবস্থা রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২২ ১:২৬ অপরাহ্ন
সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম
এগ্রিবিজনেস

সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও নিত্যপণ্যের বাজার দর চড়া। আলু ছাড়া বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

শীত মৌসুম প্রায় শেষ, এরপরও কমছে না শীতের সবজির দাম। শুক্রবার মিরপুর-১,৭,১১ ও কালসির বাজার ধুরে দেখা গেছে খুচরা পর্যায়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা প্রতি পিস, টমেটো ৩০, লাউ ৫০-৮০ টাকা। আর গ্রীষ্মের সবজি ঢেঁরশ, করলা, পটলের দাম একশ টাকার বেশি।

সবজি ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম ১০-১৫ টাকা করে বেড়েছে।

বেড়েছে গরু, মুরগীর মাংসের দামও। চড়া মাছের দামের পাশাপাশি বেড়েছে চাল, ময়দা, গুড়া দুধ, ডিমের দাম।

গরুর গোশত ব্যবসায়ী আনোয়ার জানান,  গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা কেজি করে গরুর গোশত বিক্রি করছি,আজকে ৬২০ টাকা কেজি।

ব্রয়লার মুরগী ব্যবসায়ী সাইদ জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫-১০ টাকা দাম বাড়ছে,আজকের রেট ১৬৫-১৭০ টাকা।

চড়া দামে পণ্য কিনে ক্রেতারা বলছেন, সংসার চালানো দ্বায় হয়ে পড়েছে।

চলতি সপ্তাহে বেড়েছে চাল, ময়দা, গুড়া দুধ, ডিমের দামও। তবে কমেছে আদা, রসুনের দাম। আর অপরিবর্তিত পেঁয়াজের দাম।

চড়া মাছের বাজারও। প্রায় অধিকাংশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকার বেশি কেজিতে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ১:৫৪ অপরাহ্ন
আমদানি করা বাসমতী চালে ক্ষতিকর সিসা
এগ্রিবিজনেস

উচ্চ মূল্যে বাজারে বিক্রি হওয়া বাসমতী চাল কোহিনুরে ক্ষতিকর মাত্রায় ভারী ধাতু সিসা পাওয়া গেছে, যা রান্না বা সেদ্ধ করলেও রয়ে যায়। এই ধাতু ক্যানসার, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করে এবং দাঁত ও হাড়ে জমা হয়ে অস্টিওপরোসিস-জাতীয় রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। বিদেশ থেকে আমদানি করা ওই চালের দাম প্রতি কেজি ২২০ টাকা। কিন্তু ওই চালের চার ভাগের এক ভাগ দামে বিক্রি হওয়া দেশে উৎপাদিত চালে এই ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) করা এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারে বিক্রি হওয়া ১৩ ধরনের চালের নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এসব চালে আর্সেনিক, সিসা, ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি আছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্যই সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষাটি করা হয়েছে বিএআরসির পুষ্টি বিভাগের পরিচালক ড. মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে।

মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ-বিদেশের অনেক সংস্থা থেকে বাংলাদেশের চালে ভারী ধাতু আছে বলে মন্তব্য করা হয়। এ জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গবেষণা করে বিষয়টি যাচাই করেছি। আমাদের দেশে উৎপাদিত চালের মধ্যে সামান্য যে ভারী ধাতু পাওয়া গেছে, তা জৈব অবস্থায় রয়েছে, রান্নার পর যা আর অবশিষ্ট থাকে না। কিন্তু আমদানি করা বাসমতী চালে যে পরিমাণ সিসা পাওয়া গেছে, তা মানমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। আর রান্নার পরও তা থেকে যায়। এই সিসা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’

তবে খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি করা উচ্চ মূল্যের বাসমতী চালে মাত্রাতিরিক্ত সিসার উপস্থিতি এটা প্রমাণ করে, আমদানি করা মোটা চালের মধ্যেও এই ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে। কিন্তু দেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আমদানি হওয়া কোনো চালে ভারী ধাতু আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয় না। আমদানি বিধিমালাতেও এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মো. রায়হানুল কবীর বলেন, ‘দেশের আমদানি বিধিমালায় ভারী ধাতু আছে কি না, তা পরীক্ষা করার শর্ত নেই। আমরা শুধু এর পুষ্টিগুণ ও অন্য কোনো ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না, তা পরীক্ষা করি।’

জানতে চাইলে দেশের অন্যতম বড় চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মজুমদার ট্রেডার্সের মালিক চিত্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে চাল আমদানি করছি। কোনো দিন এ ধরনের কোনো পরীক্ষা আমাদের করতে হয়নি। আর চালের মধ্যে এসব সিসা, তামা বা লোহা থাকে না।’

গবেষণার ফলাফল:

বিএআরসির গবেষক দলটি বলছে, বাসমতী চালের মধ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় সিসা কোথা থেকে এল, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মাটি, সার, কীটনাশক প্রয়োগ বা চাল প্রক্রিয়াজাত করার সময় ওই সিসা চালের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।

বিএআরসি ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মিরপুর ১, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও বিভিন্ন চেইন শপ থেকে চালের নমুনা সংগ্রহ করে। স্থানীয় ও আমদানি মোট ১৩ ধরনের চালের নমুনার মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান-২৮, গুটি, পাইজাম (সেদ্ধ), পাইজাম (আতপ), আমন, মিনিকেট, বাসমতী, বাঁশফুল, নাজিরশাইল, টিলডা (বাসমতী), ফরচুন (বাসমতী), কোহিনুর (বাসমতী) ও বিরুই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণাটিতে কোনো কোনো নমুনায় চালে আর্সেনিক পাওয়া গেলেও ৯৮ ভাগই পাওয়া গেছে জৈব অবস্থায়, যা খেলে মানুষের কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে না। সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণে একমাত্র আমদানি করা কোহিনুর বাসমতী চাল ছাড়া অন্য কোনো নমুনায় ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। কোহিনুর বাসমতী চালের পরীক্ষাকৃত নমুনায় প্রতি কেজি চালের ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৪৮ মিলিগ্রাম (পিপিএম) সিসার উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা মানবদেহের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ গ্রহণ মাত্রার চেয়ে বেশি। প্রতি কেজি চালের নমুনায় সর্বনিম্ন শনাক্তকরণ মাত্রা শূন্য দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম (পিপিএম)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গবেষণা এবং ইউরোপীয় কমিশনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের চালে ক্যাডমিয়াম ও সিসার ক্ষেত্রে মানবদেহের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ নিরাপদ গ্রহণমাত্রা শূন্য দশমিক ২ পিপিএম, আর্সেনিকের ক্ষেত্রে ১ পিপিএম এবং ক্রোমিয়ামের ক্ষেত্রে ১ পিপিএম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রায় প্রতিবছর দেশে বাসমতীর মতো দামি চালের পাশাপাশি মাঝারি ও সরু চাল আমদানি হয়। এসব চালে ভারী ধাতুর উপস্থিতি আছে কি না, তা পরীক্ষা ছাড়া আমদানি করতে দেওয়া উচিত নয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ১২:৩৭ অপরাহ্ন
ফলন কম হওয়ায় শতবর্ষী আম গাছ কাটছে চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুরনো গাছ কেটে, নতুন আম বাগান করা হচ্ছে। পুরনো গাছে ফলন ভালো না হওয়ায় এমন উদ্যোগ, বলছেন চাষিরা।  

আবার কেউ কেউ, ফলন কম হওয়ায় গাছ কেটে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন জমি। তবে, ঢালাওভাবে শতবর্ষী আম গাছ কাটায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভারের শঙ্কায় অনেকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ আম নির্ভর অর্থনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু গেল কয়েকবছর ধরে বাগানের পরিচর্যা খরচ বৃদ্ধি ও শতবর্ষী গাছগুলোতে আম না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

অনেক বাগান মালিক কেটে ফেলছেন গাছ। আবার কেউ গাছ কেটে জমি প্লট আকারে বিক্রিও করছেন। তবে কিছু বাগান মালিক শতবর্ষী গাছগুলো কেটে ফেলে তৈরি করছে নতুন নাবি জাতের আম বাগান।

আম ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, কৃষকদের ক্ষতি হলেও গণহারে গাছ কাটায় ক্ষতি হতে পারে পরিবেশের।

ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, ‘এইভাবে গাছ কাটলে ক্ষতি কিনা তা পরিবেশ অধিদপ্তরের দেখা উচিৎ। গনহারে গাছ কাটাটা ঠিক বলে মনে করছি না। আমাদের বুঝেশুনে কাজকরতে হবে।’

কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শতবর্ষী গাছ কেটে নতুন প্রজাতির আম চাষে লাভের সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া একটা গাছ কেটে নতুন ১০-১২টি গাছ লাগানো হচ্ছে।’

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ আম গাছ রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২২ ৩:৪২ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জের খিরা যাচ্ছে সারাদেশে
এগ্রিবিজনেস

সিরাজগঞ্জে এ বছর খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে খিরার দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে খিরা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার সবচেয়ে বেশি খিরা আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত খিরা বিক্রির জন্য তাড়াশ উপজেলার দিঘরিয়া এলাকা ও উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে খিরা বিক্রির আড়ৎ। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা খিরা বিক্রি করার জন্য এই আড়তে ভিড় করছেন। এখান থেকে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা ট্রাক নিয়ে খিরা কিনতে আসেন। এই এলাকার খিরা সাধারণত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরিয়া, কুশম্বি, বিনসাড়া, তালম ইউনিয়নের তালম, নামা সিলোট, উপর সিলোট, রানীহাট, সগুনা ইউনিয়নের কাটা বাড়ী, নাদোসৈয়দপুর, বিন্যাবাড়ী ও মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে খিরার চাষ তুলনামূলক ভাবে এবার অনেক বেশি হয়েছে। এছাড়া উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার মোহনপুর, উধুনিয়া ও রড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে খিরা চাষ হয়েছে ।

খিরা চাষি রফিক বলেন, এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। আমার মোট ৫০ /৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চলমান বাজার দর ঠিক থাকলে আমার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে।

গুলটা গ্রামের কৃষক হরেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ধান চাষের পাশাপাশি এ বছর আমি আড়াই বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১ শত থেকে ১২০ মন খিরা উৎপাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

খিরা আড়ত্দার সালাম জানান, প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন খিরা বেচা-কেনা হচ্ছে। তাড়াশের উৎপাদিত খিরা রাজধানীসহ সারাদেশে যাচ্ছে।

দিঘরিয়ার হাটে ঢাকা থেকে আসা খিরার পাইকার সোহবার আলী জানান, প্রতি বছরই এই এলাকায় এসে খিরা নিয়ে ঢাকা শহরের বিক্রি করি। তবে এ বছর খিরার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি। তারপরও এ এলাকার খিরার চাহিদা বেশি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুত্ফুন নাহার লুনা জানান, গত বছর খিরা চাষ হয়েছিলো ৩৫২ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪২৮ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে এবং ফলনও আগের তুলনায় অনেক ভালো। বোর ধান আবাদের চেয়ে খিরা আবাদ লাভজনক হওয়ায় খিরা চাষ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২২ ১:৩৪ অপরাহ্ন
ধানের বাজার চড়া, সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা
এগ্রিবিজনেস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বিওসি ঘাটে অবস্থিত পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের হাট। এ হাটে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে ধান। মূলত হাটে ধানের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। এর ফলে বেচাকেনাও কমেছে। এতে করে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কারণ ধানের দাম বাড়লেও যে দরে সরকার চাল কিনছে তাতে করে চালকল মালিকরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। ফলে চাল সরবরাহ কম করছেন তারা। এছাড়া কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত ধান না থাকায় তারাও সরকারের কাছে ধান বিক্রি করছেন কম। হাটে নতুন মৌসুমের ধান না আসা পর্যন্ত ধানের বাজার চড়া থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চালকল মালিকরা বলছেন, হাটে ধানের দাম মণ প্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে করে ধান থেকে চাল তৈরিতেও খরচ বাড়ছে। ফলে সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করতে গিয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে বিওসি ঘাটে নিয়ে আসেন বেপারিরা। এই হাটকে ধানের মোকামও বলা হয়ে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিন শতাধিক চালকলে ধানের যোগান দেয় এই মোকাম। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোকামে ধান বেচাকেনা চলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান বেচাকেনা হয় বিওসি ঘাটে।

বর্তমানে হাটে গড়ে প্রতিদিন ২০ হাজার মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বিআর-২৮ জাতের ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১৩৬০ থেকে ১৩৭০ টাকায়, বিআর-২৯ জাতের ধান প্রতি মণ ১২১০ থেকে ১২২০ টাকা এবং বিআর-৩৯ ও বিআর-৪৯ জাতের ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১০৮০ থেকে ১১০০ টাকা দামে। প্রত্যেক জাতের ধানেই মণ প্রতি গড়ে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ধানের বাজার চড়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে প্রতি অর্থবছরে জেলার চালকলগুলোর সঙ্গে চাল সংগ্রহের জন্য চুক্তি করে খাদ্য বিভাগ। এবারও জেলার ১৭৪টি চালকলের সঙ্গে ১৪,২৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। আর জেলার সবকটি উপজেলার ১ হাজারেরও বেশি কৃষকের কাছ থেকে ২,৭৩৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি চাল নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। আর ধান কেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭ টাকায়।

গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১,৩৬৪ মেট্রিক টন ধান এবং ৯,১৮৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। এখন ধানের মৌসুম না হওয়ায় কৃষকের কাছেও পর্যাপ্ত ধান নেই। এর ফলে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। এছাড়া হাটে ধানের দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চালকল মালিকরা। বেশি দামে ধান কিনে চাল তৈরিতেও খরচ পড়ছে বেশি। সেজন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহ করতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আশুগঞ্জ উপজেলার হাজী দানা মিয়া চালকলের ধানের ক্রেতা চাঁন মিয়া জানান, জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে ধানের দাম বেড়েছে। মোকামে ধানের আমদানি কম। এ কারণে কোনো ধানে মণ প্রতি ৩০ টাকা আবার কোনো ধানে ৪০ টাকা দাম বেড়েছে। নতুন মৌসুমের ধান হাটে আসার পর বাজারদর স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব বলেন, ‘ইতোমধ্যে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৬৫ শতাংশ আর ধান সংগ্রহ হয়েছে ৫০ শতাংশ। কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত ধান না থাকায় তারা আমাদের কম ধান দিচ্ছেন। কারণ এখন ধানের মৌসুম নয়, সেজন্য ধানের দামও ঊর্ধ্বগতি। তবে অন্তত ৮০ শতাংশ ধান সংগ্রহ হবে বলে আশা করছি। আর চালকল মালিকরা যেহেতু আমাদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন, তাই তাদের লাভ-লোকসান যাই হোক চাল দিতে হবেই। আশা করছি আমাদের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে’।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২ ২:৫৮ অপরাহ্ন
পেঁয়াজ রসুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে
এগ্রিবিজনেস

রংপুরের বাজারগুলোতে পেঁয়াজ রসুনের দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমেছে।

রংপুর নগরীর সিটি বাজার, স্টেশন বাজার, শঠিবাড়ী বাজার ঘুরে দেখা গেছে খুচরা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কৃষকদের দেশিয় পেঁয়াজ রসুন নামায় দাম হঠাৎ করে অর্ধেকে নেমেছে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শঠিবাড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ (কাঁচা) পাইকারি দরে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৫ থেকে ১৮ টাকা দরে। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা।

ওই বাজারের সামছুল হক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ দিন‌ ধরে বাজারে পেঁয়াজ রসুনের চাহিদা কিছুটা কমেছে। কারণ এই সময়ে প্রত্যেক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ উত্তোলন করেন। এছাড়া শীত মৌসুমে দাম কিছুটা কম থাকে তবে এবারের দামটা একটু বেশি কমেছে। আগের ক্রয়কৃত মজুদ পেঁয়াজ রসুন অনেক লোকসান দিয়ে বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে দাম কম থাকায় অনেক খুচরা ক্রেতা কয়েক মাসের চাহিদা অনুযায়ী একবারে বেশি করে পেঁয়াজ রসুন ক্রয় করতেও দেখা গেছে। আজগর আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক কমেছে এই সময়ে। তাই কয়েক মাসের জন্য একবারে কিনে রাখলাম।

শঠিবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রাসেল খন্দকার জানান, পেঁয়াজ রসুনসহ অনেক কাঁচামালের দামই কমে এসেছে। কারণ এই সময়ে এসব কাঁচামাল কৃষকদের জমি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন হয়ে বাজারে আসে। হয়তো আরও একমাস এই মূল্য থাকতে পারে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে দাম বাড়বে‌‌।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop