২:০০ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২২ ২:৩১ অপরাহ্ন
গবাদিপশুকে কৃমি মুক্ত রাখার উপায়
এগ্রিবিজনেস

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবাদিপশু পালন লাভজনক ও বেকার সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আমাদের খামারিরা গবাদিপশু পালন করতে গিয়ে একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা হলো পরজীবী বা কৃমি। কৃমি এক ধরনের পরজীবী যা পশুর ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করে। তারা পশুর অন্ত্রে, ফুসফুসে, লিভারে, চোখে, চামড়ায় বাস করে ও পশুর হজমকৃত খাবারে ভাগ বসিয়ে পশুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অনেক কৃমি পশুর রক্ত চুষে ও আমিষ খেয়ে পশুকে দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন করে ফেলে।

পরজীবী সাধারণত দুই ধরনের-
১. দেহের ভেতরের পরজীবী
২. দেহের বাইরের পরজীবী।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের প্রাণিসম্পদ হাসপাতালগুলোতে গত বছর (২০১০) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর (গরু, ছাগল, ভেড়া) মধ্যে ৫১.৩৬ ভাগ কৃমি বা পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত। এর মধ্যে আক্রান্ত গরুর মধ্যে ৬৮.৯২ ভাগ, আক্রান্ত গাভীর মধ্যে ৪৫.১৬ ভাগ, বাছুরের মধ্যে ৫০.০৭ ভাগ, ভেড়ার মধ্যে ৬১.৬৬ ভাগ এবং আক্রান্ত ছাগলের মধ্যে ৩৪.৭৯ ভাগ বিভিন্ন কৃমি বা পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়। সুতরাং কৃমি বা পরজীবী আমাদের গবাদিপশু পালনের প্রধান শত্রু। কৃমি বা পরজীবীগুলো হচ্ছে কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি, প্রটোজয়া ও বিভিন্ন ধরনের বহিঃপরজীবী উকুন, আঠালী, মাইট ইত্যাদি গবাদিপশুকে আক্রান্ত করে। কৃমির কারণে গাভীর দুগ্ধ উত্পাদন ক্ষমতা কমে যায় অস্বাভাবিকভাবে এবং বাছুরগুলো পেট ফুলে গিয়ে স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে দুগ্ধ ও মাংস উত্পাদন ক্ষমতা মারাক্তকভাবে ব্যাহত হয়। এর কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস গবাদিপশুকে আক্রান্ত করার পরিবেশ তৈরি করে।

গবাদিপশুকে কৃমি বা পরজীবী থেকে মুক্ত রাখার উপায়গুলো হচ্ছে-
১) গবাদিপশুর বাসস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটি শুষ্ক ও আশপাশের জমি থেকে উঁচু হওয়া প্রয়োজন। সম্ভব হলে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাঁওড় থেকে দূরে করতে হবে।
২) গবাদিপশুর খামারের আশপাশে যেন বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য বর্জ্য জমে না থাকে ।
৩) খামারের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়া প্রয়োজন যেন বর্ষাকালে খামারের মেঝে কর্দমাক্ত না হয় ।
৪) পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা অল্প সময় পরপর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে।
৫) খামারের অনেক দূরে পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা পুঁতে রাখতে হবে।
৬) গবাদিপশুর বাসস্থান প্রতিদিন আদর্শ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এবং জীবাণুনাশক মেশানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৭) তিন মাস অন্তর গবাদিপশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি দ্বারা আক্রান্ত পশুকে অ্যালবেনডাজল ইউএসপি ৬০০ মি.গ্রা., হেক্সাক্লোরোফেন ইউএসপি ১ গ্রাম, লিভামিসোল হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৬০০ মি.গ্রা. এবং ট্রাইক্লাবেন্ডাজল আইএনএস ৯০০ মি.গ্রা. জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করে। কর্কসিডিয়াতে সালফোনামাইডস, স্ট্রেপটোমাইসিন ও মেট্রোনিডাজল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।ট্রিপানোসোমা ও ব্যাবেসিওসিস তে ব্যাবকপ খাওয়ালে রোগ ভালো হয়। উঁকুন, আঠালী ও মাইটে আক্রান্ত গবাদিপশুর শরীরে আইভারমেকটিন, সেভিন, নেগুভান ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করলে ওইসব পরজীবী থেকে গবাদিপশুকে রক্ষা করা যায়।পরিশেষে আমাদের গবাদিপশুকে কৃমি বা পরজীবীমুক্ত রাখতে পারলে আমরা দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে পৌঁছাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ ২:৪০ অপরাহ্ন
নাটোরে পেঁয়াজে লাভ হচ্ছে না কৃষকের
এগ্রিবিজনেস

নাটোরে কন্দ জাতের নতুন পেঁয়াজের দাম বর্তমানে কেজিতে ৫-৭ টাকা  বেড়ে ২২-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান দামে উৎপাদন খরচ উঠলেও লাভবান হতে পারছেন না বলে দাবি কৃষকদের।

পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি তাঁদের।

নাটোরের বৃহত্তম নলডাঙ্গায় পেঁয়াজর হাটে পেঁয়াজ নিয়ে হাজির হয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। দুই সপ্তাহ ধরে নাটোরের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫-১৮ টাকায় বিক্রি হলেও তিন দিন ধরে বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকায়।

দাম বাঁড়লেও কন্দ জাতের পেঁয়াজের বীজ কেনাসহ খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ টাকা। বর্তমান দামে উৎপাদন খরচ উঠলেও লাভের মুখ দেখছেন না তাঁরা। কৃষকরা জানান, বাজারে যে হারে পেঁয়াজ বেচাকেনা হচ্ছে, তাতে তাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। শুধু উৎপাদন খরচই উঠে আসছে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা সেলিম ব্যাপারী জানান, এক মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে ৯০০-৯৫০ টাকা খরচ হয়েছে। তবে মণ বিক্রি করতে হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। তাহলে আমাদের লাভ হবে কী করে?

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি আড়তদারদের। এ বিষয়ে আড়তদাররা বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা বেশি আসায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি হলেও ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে নাটোর জেলায় চলবে চারা জাতের পেঁয়াজ রোপণ।জেলা কৃষি বিভাগ তথ্যসূএে জানা যায়, জেলায় এবার ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ ১:৪৮ অপরাহ্ন
ব্রকলি চাষে সফল জয়পুরহাটের চাষি নুরুল আমিন
এগ্রিবিজনেস

অত্যধিক পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ গ্রিন জায়েন্ট জাতের ব্রকলি চাষ করে সফলতা পাওয়ায় খুশি জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্রকলি চাষি নুরুল আমিন।

সরেজমিনে সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের লকমা গ্রাম এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খেত জুড়ে সবুজ ব্রকলি। ব্রকলী চাষি নুরুল আমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথমে তিনি অল্প জমিতে ব্রকলী চাষে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবার ২৫ শতাংশ জমিতে ব্রকলি চাষ করেছেন। ব্রকলি দেখতে সাধারণ ফুলকপির মতো হলেও পাতা ও ফুলের রং সবুজ। চাষপদ্ধতি বাঁধাকপি বা ফুলকপির মতোই। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার টাকার ব্রকলি বিক্রি করেছি। ব্রকলিতে সেলেনিয়াম নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অক্সিজেনের মাত্রা সক্রিয় থাকায় দেহকে টক্সিন মুক্ত রাখে।

তিনি বলেন, সাধারণ ফুল কপি বা বাধা কপি দামের চেয়ে বাজারে ব্রকলির দাম একটু বেশি থাকে। ফুল কপি বা বাঁধা কপি ১৫-২০ টাকা পিস বিক্রি হলেও ব্রকলি বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা পিস।

ব্রকলী চাষি নুরুল আমিন জানান, এবার ২৫ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার টি ব্রকলীর চারা রোপণ করেছেন। ফুলকপির মতো চারা লাগানো থেকে ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ব্রকলি সংগ্রহ করা যায়। ফলে কৃষকরা অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারেন। নুরুল আমিন আরও জানান, ২৫ শতাংশ জমিতে ব্রকলী চাষে চারা, লেবার, সেচসহ এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। একেকটি ব্রকলী ২৫/৩০ টাকা পিস বিক্রি করলেও ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান তিনি’। স্বল্প সময়ের ফসল হিসেবে ব্রকলী চাষ লাভজনক হওয়ায় ওই এলাকার অনেক কৃষক ব্রকলী চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও জানান, ব্রকলি চাষে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’।

জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ( পিকেএসএফ) কৃষি ইউনিটের অধীন বিভিন্ন উন্নত জাতের ফসল চাষে কৃষকদের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অত্যধিক পুষ্টি গুণাগুণসমৃদ্ধ ব্রকলি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
ফেব্রুয়ারি মাসকে ঘিরে ফুল পরিচর্যায় ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

যে কোনো দিবস কিংবা উৎসবে ফুল ছাড়া যেন কিছু ভাবাই যায় না। তা যদি হয় পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে ফুলের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফুলচাষিরা। করোনাভাইরাসের অতিমারির কারণে ব্যবসায় মন্দাভাব থাকলেও সামনের কিছু দিনে বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা চাষিদের।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দশটি গ্রামের মানুষ জড়িত ফুল চাষের সাথে। বাণিজ্যিকভাবে আবাদি জমিতে ফুল চাষ  করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এ উপজেলার অন্তত ১০ হাজার চাষি। ফুলের চাষ লাভবান হওয়ায় নতুন করে অনেকে ঝুঁকছেন এ ব্যবসার দিকে।

সরেজমিনে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফুল। দেশীয় প্রজাতির ফুলের চাষ যেমন হচ্ছে তেমনি আছে বিদেশী প্রজাতির ফুলও। এর মধ্যে গাধা, কসমস, জারবেরা, রজনীগণ্ধা, গোলাপ উল্লেখ্যযোগ্য। এসব ফুলের বাগান দেখতে রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় করছেন র্দশর্নাথীরা।

কৃষক সালাম, ফোরকান ও রহিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই উপজেলার দশটি গ্রামের মানুষ জড়িত ফুল চাষের সাথে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফুল চাষের ফলে স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। পুরুষের পাশাপাশি ফুল তুলে ও মালা গেঁথে নারীরাও বাড়তি আয় করছেন।

তবে করোনার কারণে কয়েক মাস ধরে কিছুটা মন্দা দেখা দিয়েছে ব্যবসায়। সামাজিক অনুষ্ঠান কম হওয়ায় আসছেন না পাইকাররা, ফলে কমে গেছে ফুুল বিক্রিও। তবে আসছে পহেলা ফাল্গুন, ভালবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সে মন্দাভাব কেটে যাবে এমন প্রত্যাশা তাদের।

বন্দর উপজেলা ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাওলাদ হোসেন বলেন, ফুলের ব্যবসা বছরজুড়ে হলেও, বিশেষ দিবসকে ঘিরে বিক্রি ও লাভ বেশী হয়। ফুল চাষ ও ব্যবসার প্রসারে কৃত্রিম ফুল আমদানি ও তৈরি বন্ধ করতে হবে।

এদিকে, এখানকার উৎপাদিত ফুল বিদেশে রপ্তানি সম্ভব বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা। এজন্য ফুল সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বন্দর উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা ফারহানা সুলতানা বলেন, করোনার কারণে এ বছর ফুল চাষে অনেকটাই মন্দাভাব। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফুল চাষিদের ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বেশ কিছু কৃষক প্রণোদনা পেয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্বপ্ন বুনছেন ফরিদপুরের ফুল চাষীরা
এগ্রিবিজনেস

ফেব্রুয়ারী মাসের বিশেষ তিনটি দিন পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেকে ঘিরে ফুল সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের ফুল চাষিরা।

গত দুই বছরে করোনা অতিমারি, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ও আমফানের প্রভাবে ফুল চাষে ব্যাপক লোকশান হয় চষীদের। চাষীরা বলছেন, এবার বিধি নিষেধ না থাকলে আর দাম ভালো পেলে ক্ষতি পুষিয়ে লাভ করতে পারবেন তারা।

একসময় ফুল চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল যশোর। এখন দেশের অনেকস্থানে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। ফরিদপুরে ফুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। বছরের এই সময়ে বাগানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রংঙের নানা জাতের ফুল। পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরবরাহ করতে ফুলের বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

চাষীরা জানালেন, করোনার কারণে গত দুই বছরে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবার বিধিনিষেধ না থাকলে, ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী চাষীরা।

এদিকে, চলতি মৌসুমে এক কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

ফরিদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর উপ-পরিচালক হজরত আলী বলেন, আমরা  প্রযুক্তিগত সহয়তার পাশাপাশি চাষীরা এবার যাতে ফুল বিক্রি করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য জেলা কৃষিবিভাগ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ৪:৪৩ অপরাহ্ন
আশায় বুক বাঁধছেন ঝিনাইদহের ফুল চাষীরা
এগ্রিবিজনেস

করোনা অতিমারিতে গত দুই বছরে ফুলের ব্যবসায় ধস নেমে আসে। লকডাউনের কারণে দেশের কোথাও ফুল পাঠানো সম্ভব না হওযায় লোকসানে পড়েন তাঁরা। ফুল সম্পৃক্ত সব ধরনের উৎসব ও ইভেন্ট বন্ধ থাকায় ফুলের চাহিদাও ছিল না।

লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে আসতে আসতে ফুলের চাহিদা বাড়তে থাকে।চরম হতাশা থেকে আশায় বুক বাঁধছেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

লকডাউনের পর থেকে ভালো দামও পাচ্ছেন ফুল চাষীরা। তাই ফেব্রুয়ারি মাসের তিনটি বিশেষ দিবসকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের ফুল চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফুলচাষীরা জানালেন, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝিনাইদহ ও যশোরে ফুল চাষ বেশি হয়। এই দুই জেলার ফুল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যশোরের গদখালী ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ও সদরের গান্না বাজারে ফুলের বাজার বসে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় প্রায় ১২২ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। সদরে ২২ হেক্টর, কালীগঞ্জে ২৫ হেক্টর, মহেশপুরে ৩৮ ও কোটচাঁদপুরে ১৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গাঁদা, জারবেরা, মল্লিকা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস উল্লেখযোগ্য। ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে।

এই মাসে একুশে ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন রয়েছে। এই তিনটি দিবসে ফুলের বিক্রি বেশি হয়।

ঝিনাইদহে প্রায় ১০৫০ ফুল চাষী রয়েছেন এবং ফুল তোলা, প্যাকেজিং, বিক্রেতা ও বিপননের সঙ্গে প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার মানুষ জড়িত।

ফুল চাষী হাফিজুর রহমান জানান, মহামারি করোনাকালে লকডাউনে ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। লকডাউন পর ফুলের চাহিদা বেড়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন চাষীরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ভালো ব্যবসা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

আরেক কৃষক রউফ মিয়া জানান, লকডাউনের সময় অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা চেষ্টা করছেন। সামাজিক অনুষ্ঠান চললে ফুলের চাহিদা থাকবে। বর্তমানে বাজারও ভালো যাচ্ছে। এভাবে চললে তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মো. মোহায়মেন আক্তার বলেন, করোনা মহামারিতে ফুলচাষিরা চরম বিপদে পড়েছিল। ফুলচাষ দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখলেও দ্রুত পচনশীল হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা কেউ সহজ শর্তে ঋণ নিতে চাইলে কৃষি অফিস তাদের সহযোগিতা করবে। বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ৪:০২ অপরাহ্ন
ফেনীতে কুল চাষ করে লাভবান কৃষক আছমত আলী
এগ্রিবিজনেস

ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে নানা রকমের স্বাদের কুল চাষ। ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগে ৪০ শতক জমিতে কাশ্মীরী, বল সুন্দরী, বাউকুল, আপেল কুলসহ নানা জাতের কুল চাষ করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক আছমত আলী।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, আসমত আলীর দেখা-দেখি জেলার অন্য কৃষকরাও কুল চাষাবাদে ঝুঁকবেন। ফেনীর মাটি ও জলবায়ু কুল চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী।

কৃষক আছমত আলীর কুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ফলে নুয়ে পড়ছে গাছগুলো। সবুজ কুল গাছগুলো ভরপুর হয়ে আছে নানা রঙের কুলে। তিনি জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় তার বাড়ি। সব হারিয়ে বেশ কয়েক বছর আগে চলে আসেন ফেনীতে। ফেনী সদর উপজেলার কাজির বাগ ইউনিয়নের হানিফ মজুমদার বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকেন। দীর্ঘদিন রিকশা, ভ্যান চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঝুঁকেছেন কৃষিতে। বন্যা, রোদ ও কুয়াশায় সেখানেও গুণছিলেন লোকসান।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের পরামর্শে নামেন কুল চাষে। অবশেষে বন্যা, রোধ সহিষ্ণু কুল চাষে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ ফল চাষাবাদকে অনেক সম্ভাবনা বলেও মনে করছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাগানে ৪০ শতক জায়গায় ১০০টি চারা লাগানো হয়েছে। কৃষক একবছরে যে লাভ পাচ্ছে, তাতে তিনি যেমন লাভবান হবেন তেমনি দেশও লাভবান হবে। পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি দেশ বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে যাবে। এ বছরের চাইতে পরের বছরগুলোতে দ্বিগুণ লাভবান হবেন। কারণ প্রথম বছর কিছু স্থায়ী খরচ হয়। যা পরের বছরগুলোতে হবে না।

চাষী আছমত আলী জানান, গত বছরের মার্চ মাসে পাবনা থেকে বলসুন্দরী, কাশ্মিরী, আপেল কুল ও বাউকুল জাতের ১০০ চারা এনে রোপণ করেছিলাম। এর মধ্যে বল সুন্দরী ও কাশ্মিরী প্রতি পিচ চারা ৮০ টাকা, আপেল কুল প্রতি পিচ চারা ১৫ টাকা, বাউকুল প্রতি পিচ চারা ১২ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

প্রতি গাছে ৯ থেকে ১২ কেজি ফলন হয়েছে। প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বাগান থেকে অনেকে এসে কুল কিনে নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। চলতি মৌসুমে বাগান থেকে ১ লাখ টাকার বেশি কুল বিক্রি করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি জানান, চারা, চার পাশের বেড়া, উপরের বিশেষ নেট ও জমি তৈরিসহ আনুষাঙ্গিক কাজে ৭০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্থায়ী খরচ রয়েছে, যা পরের বছরগুলোতে আর লাগবে না।লাভের পরিমাণ পরের বছরগুলোতে আরো বৃদ্ধি পাবে।

কৃষক আছমত আলীর এ কুল বাগান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল-হাসান। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, এ ধরনের ফল চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছে। আবার তার দেখাদেখি অন্য কৃষকও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এতে কৃষি বিভাগের উৎপাদন ও সমৃদ্ধ কৃষির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি বড় লক্ষ্য পুষ্টি নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে এবং সরকার কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ করার লক্ষ্যে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার উচ্চ মূল্যের ফল, বিভিন্ন শাক-সবজি এবং ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষ্য সফল করতে কাজিরবাগে এ বড়ই চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

জালাল ভূঁইয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, ভেজালমুক্ত কুল কিনতে এখানে এসেছি। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কুল কিনতে মানুষের আগ্রহ বেশি। সচরাচর এভাবে সরাসরি বাগান থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই এখানে এসেছি।

আছমত আলী বলেন, তার নিজের কোন জমি না থাকলেও স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ থেকে জমি বর্গা ও ইজারা নিয়ে প্রায় ৩০০ শতক জমিতে তিনি কুল চাষের পাশাপাশি সিম, টমেটো, বেগুন, আলু, করলা, মেটে আলু, ,লাল শাক, পালং শাক, মুলা ও মুলার শাকসহ বিভিন্ন শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজিরও আবাদ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ২:৩৮ অপরাহ্ন
লোকসানের মুখে দিনাজপুরের আলু চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

আলুর দরপতনের কারনে লোকসানের মুখে দিনাজপুরের চাষিরা। বাজারে আলুর বিক্রি করে উৎপাদন খরচই উঠছে না চাষীদের। এ অবস্থায় আলু রফতানির দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, গত বছর দাম কমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এবার কম আলু আবাদ হয়েছে।

চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে প্রতি বিঘা জমিতে আলুর গড় উৎপাদন হয়েছে ৭৫ মণ। উৎপাদন ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছিলেন চাষিরা। কিন্তু বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসান আশঙ্কা করছেন তারা।

কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকা কেজি। তাই লোকসান কমাতে সরকারি উদ্যোগে আলু রফতানির দাবি তাঁদের।

আলু দাম নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে কৃষক রহমান বলেন, আলুর বাজার অনেক খারাপ। আলু বেচা যায় না। আলু ৩ থেকে ৪ টাকা কেজি বিক্রি হলে কৃষকের কোনো লাভ হবে না। এক বিঘা জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলু বিক্রি করে আমাদের কি লাভ হবে।

আলুতে গত বছর লোকসান হওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যুগ্ম পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, এবারের আবহাওয়া আলু চাষের জন্য অনুকূলে রয়েছে। অন্যান্য সময়ে আগাম আলুর বাজারমূল্য কৃষকরা ন্যায্য দাম পেয়েছেন। তবে এবার তা নিশ্চিত হয়নি।

উল্লেখ্য, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে ৪৭ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আলুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ১:১৭ অপরাহ্ন
অসময়ের বৃষ্টিতে হিলিতে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ
এগ্রিবিজনেস

অসময়ের বৃষ্টির কারণে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে সবজির দাম।টানা বৃষ্টির ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।হঠাৎ এমন দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে হিলি সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহে আগে দুইদিনের বৃষ্টির প্রভাবে দফায় দফায় বেড়েছে শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ২০ টাকার বেগুন আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। ২৫ টাকার শিম এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ২০ টাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, ২০ টাকার ফুলকপি ৩০ টাকা, ২৫ টাকার শসা ৪০ টাকা, ২০ টাকার কাঁচামরিচের দাম এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের শাক-সবজির দামও দ্বিগুণ বেড়েছে।

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা ইসমাঈল হেসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই।সব তরকারির দাম যেমনে বাড়ছে তা আমার ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।

হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে সব সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

আরেক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ বলেন, গত সপ্তাহে দুইদিন বৃষ্টির জন্য সবজির দাম  খুব বেড়ে গেছে। টানা বৃষ্টিতে কৃষকের সব সবজির আবাদ পানিতে ডুবে গেছে। যে কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম আর দামও অনেক বেশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সাভারের গোলাপ গ্রামে ছত্রাকের আক্রমণে বিপাকে গোলাপ চাষীরা
এগ্রিবিজনেস

সাভারের গোলাপ গ্রাম খ্যাত বিরুলিয়ার গোলাপের ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে গোলাপ ফুলের বাগান। ছত্রাকের প্রাদুর্ভাবে ফুলের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গাছও। ফেব্রুয়ারী মাসের বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে চাষীরা গোলাপ ফুল ব্রিকি করে লাভবান হয়ে থাকেন, কিন্তু ছত্রাকের আক্রমনের কারনে বিক্রি হচ্ছে না গোলাপ। ভরা মৌসুমে এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ফুল চাষীয়রা।

এদিকে, কৃষি বিভাগ বলছে, গরম না আসা পর্যন্ত ছত্রাকের আক্রমণ রোধ করা যাবে না।

রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলার ২২০ হেক্টর জমিতে সারা বছরজুড়েই বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় গোলাপ ফুল। এরমধ্যে সিংহভাগ ফুল চাষ হয় বিরুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। লাল টকটকে ফুটে থাকা গোলাপ থেকে প্রতি মৌসুমে আয় হয় কোটি কোটি টাকা।

তবে এবারের মৌসুমের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে গোলাপ ফুল ফোটার মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণ ফুল ফোটার আগেই নষ্ট হচ্ছে গাছ ও ফুল। অজ্ঞাত ছত্রাকের আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে গাছ ও ফুল।

বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রাম দেখতে প্রতিদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান অসংখ্য পর্যটক। তবে এবার ফুল বাগানের করুণ দৃশ্য দেখে হতাশ তাঁরাও।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, অসময়ের বৃষ্টি ও বেশি শীত পড়ার কারণে ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

ক্ষতি পোষাতে সরকারি আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন গোলাপ চাষীরা।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop