৪:৩৭ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৪ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
যশোরের ছাতিয়ানতলার জনপ্রতিনিধি তৌহিদুল ‘টক কুল’ চাষেও সফল
কৃষি বিভাগ

‘টক কুল’ চাষে সফলতা পেয়েছেন যশোর জেলা সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাতিয়ানতলা গ্রামের মেম্বার তৌহিদুল ইসলাম। এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জমিতে উৎপাদিত কুল যাচ্ছে খুলনা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। এক বিঘা কুল চাষে খরচ করেছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি কুল পেয়েছেন দেড় লাখ টাকার বেশি। এতে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে তিনি চার বিঘা জমিতে কুলের চাষ করেছেন। জনগণের খেদমত আর কুল গাছ পরিচর্যা করে এখন সময় কাটে এই জনপ্রতিনিধির।

ছাতিয়ানতলা গ্রামের তরফদার পাড়ার মৃত আজহার আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম। তিনি এলাকার নির্বাচিত মেম্বার হিসেবে জনগণের খেদমত করার পাশাপাশি তিনি কুল চাষের পরিকল্পনা নেন। প্রথমবার তিনি এক বিঘা জমিতে টক কুল চাষ শুরু করেন। তখন থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কারণে চার বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে কুলের চারা, সেচ, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ মোট খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বাম্পার ফলন হওয়ার কারণে বিঘা প্রতি দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রি করার আশা করছেন। এখন প্রায় দিন কুল তোলা হচ্ছে। যশোর, খুলনা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা জমি থেকে কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেকে কুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। অনেক কৃষি উদ্যোক্তা জমি ও চাষ দেখতে আসছেন। তিনি হাসিমুখে তাদের কুল চাষের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, উচ্চ ফলনশীল সেকেন্ড টক কুল চাষে খরচ কম লাভ বেশি। এই কুল চাষ করে মেম্বার তৌহিদুল ইসলাম আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তাকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৪ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশীয় কারিগরি জ্ঞান [Indigenous Technical Knowledge (ITK)] সম্পর্কিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল  [৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.] অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের দেশীয় কারিগরি জ্ঞান সম্পর্কিত কর্মশালা। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে অবস্থিত সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান। গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বক্তা হিসেবে তথ্য পরিবেশন করেন ‘Identification and Efficacy Assessment of Indigenous Technical Knowledges (ITKs) as Climate Smart Agriculture (CSA) Technology’ শীর্ষক গবেষণা প্রকলপের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ মতিউল ইসলাম এবং সহযোগী হিসেবে ছিলেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের গ্রাজুয়েট  চঞ্চল বিশ্বাস, সাবরিনা ইমরোজ,  সুমনা সরকার এবং মো. আমিনুল খান। গবেষণা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় প্রাচীন কারিগরি জ্ঞান খুঁজে বের করা এবং এর ব্যবহার ও উপযোগিতাসমূহ বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যালোচনা করা। গবেষণা প্রকল্পের জন্য তথ্য ৫টি জেলার ৫টি উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলাগুলোর দেড় ডজনের অধিক ইউনিয়নকে নির্বাচন করা হয়েছিল । এগুলো হচ্ছে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর , চিতলমারী ও চরবানিয়াড়ী ইউনিয়ন; সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী ও শ্যামনগর ইউনিয়ন; খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ও চাঁদখালী ইউনিয়ন; গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার  আমতলী ও কোটালীপাড়া ইউনিয়ন; যশোর জেলার সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠী ও হৈবতপুর ইউনিয়ন। গবেষণা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকবৃন্দের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। গবেষণা প্রকল্পটির প্রথম অংশটির তথ্য সংগ্রহ পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রত্যেক উপজেলা থেকে ১০০ জন করে মোট ৫০০ জন সম্মানিত কৃষকদের বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম বলেন এটি খুবই চমৎকার উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে দেশব্যাপী এই প্রকল্পের কাজ বিস্তৃত করার অনুরোধ করেন এবং প্রাপ্ত দেশীয় প্রাচীন কারিগরি জ্ঞানসমূহকে বই আকারে প্রকাশিত হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন । প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান বলেন এগুলো খুবই পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি এবং ভবিষ্যতে এ গবেষণা কাজে সম্ভব সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে খুলনার নিকটস্থ স্থানসমূহের কৃষকসহ মোট ৬৫ জন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৪ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিরাপদ সবজিউৎপাদনে যুক্ত ঝিকরগাছার ৮ হাজার কৃষক-কৃষাণী
কৃষি বিভাগ

মিঠুন সরকারঃ ফসলের মাঠের পরিবেশ ঠিক রাখতে ও ফসলকে মানব স্বাস্থ্যের পক্ষে নিরাপদ করতে জৈব প্রযুক্তির বিকল্প নেই। যশোরের ঝিকরগাছায় প্রায় ৮ হাজার কৃষক কৃষাণী জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের সাথে যুক্ত হয়েছেন। ঝিকরগাছা কৃষি অফিস বলছে, সবজির এমন কিছু জাত আছে যেগুলো কম উপকরণ ব্যবহার করলেও ভালো ফল দেয় ও রোগ-পোকার আক্রমণ কম হয়। বিশেষ করে স্থানীয় বা দেশি জাতগুলোর এরূপ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এরূপ জাত খুঁজে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করতে হবে।

নেটহাউস তৈরি করে তার ভেতরে শাকসবজি চাষ করে কীটনাশক ছাড়াই অনেক পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার, সবুজ সার, খামারজাত সার ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
বায়োফার্টিলাইজার (রাইজোবিয়াম, অ্যাজোটোব্যাকটার) ও বালাই দমনে বায়ো এজেন্টসমূহকে (ট্রাইকোগ্রামা, ব্রাকন) ব্যবহার করতে হবে। বালাই দমনে বিভিন্ন গাছ-গাছড়া থেকে তৈরি করা বালাইনাশক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিছু জৈব কীটনাশককে জৈব কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে যাদের নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্রিন পেস্টিসাইড’। যেমন- নিমবিসিডিন, নিমিন এবং স্পিনোসাড। সাধারণভাবে জৈব কীটনাশকসমূহ অজৈব কীটনাশকের চেয়ে কম বিষাক্ত এবংপরিবেশবান্ধব। যে তিনটি প্রধান জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা হয় তারা হলো- বি টি (একটিব্যাক্টেরিয়ালটক্সিন), পাইরিথ্রাম এবং রোটেনন।


অল্প বিষাক্ত জৈব বালাইনাশকসমূহের মধ্যে রয়েছে নিম, সাবান, রসুন, সাইট্রাসওয়েল, ক্যাপসেসিন (বিতারক), বেসিলাস পোপিলা, বিউভেরিয়া বেসিয়ানাইত্যাদি। বালাইনাশকের প্রতি পোকার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার আশঙ্কা থাকায় এসব জৈব বালাইনাশক পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করা উচিত।
এগুলোর পাশাপাশি- আগাছা দমনে কোন আগাছানাশক ব্যবহার না করে নিড়ানি ও হাত দিয়ে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আন্তঃফসল ও মিশ্র ফসলের চাষ করতে হবে। শস্য বহুমুখীকরণ করতে হবে। হিসাব করে সবজির বপন বা রোপণ সময় আগাম বা নাবিক রতে হবে। যুক্তিসঙ্গতভাবে সেচব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্লাবন সেচ না দিয়ে ঝাঝরি দিয়ে বাকলসিভরে পানি গাছের গোড়ায় ঢেলে সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে খরার সময় মালচিং করতে হবে। পরিণত হওয়ার সূচক মেনে অর্থাৎ উপযুক্ত সময়ে সবজি তুলতে হবে। শাকসবজি তোলার পর তা ধোয়া বা পরিষ্কার করার জন্য জীবাণুমুক্ত পানি ব্যবহার করতে হবে। বাছাই করে জীবাণুযুক্ত বা পচন ধরা শাকসবজি আলাদা করে বাদ দিয়ে প্যাকিং করতে হবে। প্যাকিং সামগ্রী জীবাণুমুক্ত হতে হবে। যতটা সম্ভব ক্ষেত থেকে শাকসবজি সংগ্রহের পর দ্রুত বাজারজাত করতে হবে। শাকসবজি খাওয়ার আগে জীবাণুমুক্ত পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে কাটতে হবে।

ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের কৃষক আব্দুল বারেক জানান, বিভিন্ন ধরনের ফেরেমন ফাঁদ ও হলুদ আঠা যুক্ত কাগজ ক্ষেতে ঝুলিয়ে রেখেছি। তার পর থেকে আমার আর দামী দামীকীটনাশক স্প্রে করা লাগেনা। আমাদের ফসল ৯০ ভাগ নিরাপদ বলা যায় । ৫ নং পানিসারা ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়া জানান, আমরা নিরাপদ পেপে উৎপাদন করি। কোন রকম বিষ ছাড়াই। বিভিন্ন গাছের ফল, সাবান ইত্যাদি ব্যবহার করে।
ঝিকরগাছা উপজেলার উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান বলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে আমাদের একটি নিরাপদ সবজী উৎপাদনের মডেল প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেখান থেকে দেখে আশে পাশের কৃষক উদবুদ্ধ হচ্ছে ও আমাদের থেকে পরামর্শ নিচ্ছে, লাভবান ও হচ্ছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ’কম খরচে ও নিরাপদে ফসল উৎপাদনে জৈব কৃষি প্রযুক্তির বিকল্প নেই। বর্তমানে আ্মরা প্রায় ৮ হাজার কৃষক-কৃষাণীর মাঝে জৈব প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সফল হয়েছি। এ সংখ্যা ধীরে ধীরে আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪ ৩:২৭ অপরাহ্ন
পীরগঞ্জে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শিম চাষ
কৃষি বিভাগ

রংপুরের পীরগঞ্জে বিগত কয়েক বছর ধরে বানিজ্যিক ভিত্তিতে শিম চাষ করছেন চাষিরা। এ মৌসুমে শিমের ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি চাষিরা। পাইকারিতে শিমের কেজি ৫৫/৬০ বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে এবছর শিমের দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা।
চাষিরা জানান, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য কৃষি পণ্যের সাথে তাল মিলিয়ে এবার শিমের দাম একটু বেশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে হাইব্রিডসহ কয়েকটি জাতের শিম চাষ হয়েছে প্রায় ৩’শ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে অধিক হারে শিম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। চাষিরা বলছেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম। কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। তবে ফলন ও বাজার পেয়ে অনেক খুশি তারা।
কাবিলপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের শিম চাষি আনিছার রহমান জানান, এখন আমার শিম চাষের মাঝামাঝি সময়ে এসেছি। বর্তমানে পুরো দমে শিম বিক্রি করছি। শিম ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর গ্রাম থেকে কিনে বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বিকেলে জয়পুর গ্রামের তিন মাথায় থেকে শিম কিনে ট্রাকযোগে বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে বিক্রি করে তাদের অনেক সুবিধা। তিনি আরও জানান, ১০ শতাংশ জমিতে প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দেড় মণ শিম উঠানো সম্ভব হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। হয়তো বা শিম চাষের শেষ সময়েও একই পরিমান বিক্রি হতে পারে।

জামালপুর গ্রামের আবু তাহের মিয়া জানান, বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে জমি চাষ করে বরবটি লাগানো হয়। বরবটির আবাদ শেষ হলেই শ্রাবণ মাসে শিমের বীজ রোপণ করা হয়েছে। কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশি জাতের চিকন শিম ক্ষেতে ফলন শুরু হয়। এবছর শিম চাষের রোগ বালাই কম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এবছর বাজারও অনেক ভালো। এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। এছাড়াও এলাকার অধিকাংশ চাষিরা বলছেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পরিবেশ বান্ধব কৌশলে শাকসবজি উৎপাদন বেড়েছে। সেই সাথে বিষ মুক্ত নিরাপদ সবজির উৎপাদনও বেড়েছে। যে কারণে সবজি ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে শিম সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষের উপযোগী। এ অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় কম খরচে বেশি শাকসবজি উৎপাদন সম্ভব। এ উপজেলার চাষিরা এখন নানা প্রযুক্তির মাধ্যমে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন সবসময় চাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৪ ২:০৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে নারীদের জলবায়ু সহনশীল জলজ খাদ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশে কম বয়সী নারী ও বালিকাদের স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য জলবায়ু-সহনশীল জলজ খাদ্য ব্যবস্থা’ (অ্যাকোয়াফুড) শীর্ষক প্রকল্পের স্টেকহোল্ডার মত বিনিময় এবং উদ্বোধনী কর্মশালা রবিবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হোটেল লেক ক্যাসেলে
এই স্টেকহোল্ডার উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোঃ আব্দুর রহমান এমপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিরেক্টর ফর নিউট্রিশন, সিজিআইএআর ড. শকুন্তলা থিলস্টেড। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।


কর্মশালায় বিদেশী অতিথি, ড. নান্না রুস, অ্যাকুয়াফুড প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং সমন্বয়কারী, প্রফেসর ড. ডেভিড লিটিল, ইউনিভার্সিটি অফ স্টার্লিং, যুক্তরাজ্য, প্রফেসর ড. বাউকি ডি রুস, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবারডিন, যুক্তরাজ্য; বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ, উদ্যোক্তাবৃন্দ, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক এবং একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি পার্টের পিআই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক ।বক্তব্য রাখেন একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি একোয়াকালচার বিভাগের কো-পিআই প্রফেসর ড. এম. এ. সালাম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পার্টের পিআই প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন, আইসিডিডিআরবির পার্টের পিআই ড. গুলশান আরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোঃ আব্দুর রহমান এমপি বলেন , জলজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে, একোয়াকালচারে ৫ম এবং সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদনে ১১তম স্থান অর্জন করেছে। এ কারণে আমরা মৎস্য খাতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি।বাকৃবি ভিসি বলেন ,প্রকল্পের মাধ্যমে ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণার মাধ্যমে তথ্য ও জ্ঞানের ঘাটতিগুলো পূরণ করবে। স্টেকহোল্ডার এবং নীতিনির্ধারকদের অবগত করার জন্য আরও নতুন জ্ঞান তৈরি করবে। চিংড়ি এবং চিংড়ির মতো মূল্যবান প্রজাতিগুলি মূলত রপ্তানির জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ঘেরে চাষ করা হয়। মজার বিষয় হল, এই উচ্চ-মূল্যের সীফুড আইটেমগুলো অভ্যন্তরীণ বাজার এবং স্থানীয় ব্যবহারের জন্য মাছের মিশ্রচাষ পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক এবং একোয়াফুড প্রজেক্ট এর বাকৃবি পার্টের পিআই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন , বাংলাদেশে মৎস্য খাতে তিনটি মূল উপাদান রয়েছে, যেমন: অভ্যন্তরীণ ক্যাপচার ফিশারিজ, একোয়াকালচার এবং সামুদ্রিক ক্যাপচার ফিশারিজ। ২০২১-২২ অর্থবছরে সমগ্র মৎস্য খাত থেকে মোট মাছের উৎপাদন ৪.৭৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন ছুঁয়েছে, যা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৪.৫৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপাদনের ভিশন ২০২১ লক্ষ্যকে অতিক্রম করেছে। অধিকন্তু, একাধিক উন্নয়ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে ৬.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৮.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। মৎস্য খাত জাতীয় জিডিপিতে ২.০৮% এবং কৃষি জিডিপিতে প্রায় ২১.৮৩% অবদান রাখে। গত এক দশকে গড় বৃদ্ধির হার ৫.৪৩%।

একোয়াফুড প্রকল্প যে বিষয়টিকে গুরুত্ত্ব দিয়েছে তা হলো জলজ খাবার বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের সমৃদ্ধ উপকূলীয় এবং নদীমাতৃক ইকোসিস্টেম ঐতিহ্যগতভাবে মৎস্য আহরণের ব্যাপক সূযোগ করে দিয়েছে, এবং মৎস্য চাষকে দ্রুত সম্প্রসারনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।।তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য, সামাজিক পক্ষপাত, বাল্যবিবাহ এবং কম বয়সে গর্ভাবস্থার সম্মুখীন কিশোরী ও যুবতীরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কার্যকর স্থানীয় পদক্ষেপ এবং নীতি বাস্তবায়নের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলজ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে খাতগত বৈষম্য সমন্বিত নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে আরও বাধা দেয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সীমিত করে তোলে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং আইসিডিডিআরবির যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ড্যানিডা অর্থায়ন করেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৪ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
কৃষি বিভাগ

ভোলা জেলায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আবাদ কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রার চাইতে ৪৬১ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে।  জেলার সাত উপজেলায় তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ১৮ হাজার ৯৬১ হেক্টর। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনকূলে থাকলে জেলায় তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
জেলায় প্রতিবছরই তরমুজের ব্যাপক আকারে আবাদ হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বরিশাল-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোলার তরমুজ যায়। আর গত কয়েক বছর ধরে তরমুজ’র দাম ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষকই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ সেবা। বর্তমানে মাঠে তরমুজের অবস্থাও বেশ ভালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. হুমায়ন কবির বাসস’কে বলেন, জেলায় তরমুজ আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় হয়েছে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর, দৌলতখানে ২২০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে দেড় হাজার হেক্টর, তজুমদ্দিনে ১৩০, লালমোহনে ৩৫০, চরফ্যাশনে ১৫ হাজার হেক্টর ও মনপুরায় ৬১ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব তরমুজের মধ্যে গ্লরী, এসইআই সুপার, ড্রাগন, হানি কুইন, পাকিজা, লেনফাই, সুইট এমপিআর জাত বেশি আবাদ হয়েছে। সাধারণত আমাদের বিভিন্ন চরাঞ্চলগুলোতে তরমুজের চাষ বেশি হয়।

উপজেলা সদরের মাঝের চরের তরমুজ চাষি ফরিদ হোসেন, আবু তাহের ও তৈয়ব আলী জানান, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই এখানে তরমুজের চাষ শুরু হয়। গত কয়েক বছর ধরে রোজার মধ্যে তরমুজের সিজন থাকে। এতে দাম ভালো পওয়া যায়। এবারো আশা করছেন প্রথম দিকের কিছু তরমুজ রোজায় বিক্রি হবে। চাষিরা হবে লাভবান। অপর চাষি হেলালউদ্দিন ও সেলিম বলেন, তারা ৪ একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। বর্তানে মাঠে তরমুজের অবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। আশা করছেন মার্চে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। বড় ধরনের বিপর্যয় না হলে তারা লাভবান হবেন বলে আশা করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বাসস’কে জানান, জেলায় চলতি বছর তরমুজের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। রোগ-বালাইরও তেমন আক্রমণ নেই। যদি শিলা বৃষ্টি না হয় তাহলে কৃষকরা লাভবান হবেন। বিশেষ করে প্রথম দিকে যারা তরমুজের আবাদ করেছে তারা বেশি দাম পাবে। গত কয়েকবছর ধরে ভোলায় তরমুজের চাহিদা বাড়ায় অনেক কৃষকরাই উদ্বোদ্ধ হচ্ছে তরমুজ চাষে।
তিনি জানান, এখানকার রসালো মিষ্টি তরমুজ খেতে বেশ চমৎকার। এসব তরমুজ এক-দুই কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। আগামী এক মাস পর থেকেই তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৪ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
যশোরে বিষমুক্ত বাঁধাকপি চাষে ভাগ্যবদল
কৃষি বিভাগ

যশোর জেলার সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ও হৈবতপুর ইউনিয়নে মাঠে বিষমুক্ত শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি চাষ করে অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের বাজারেও এসব বাঁধাকপি ছড়িয়ে পড়ায় প্রতি মৌসুমেই আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। উপযুক্ত মূল্য পেয়ে দারুণ খুশি তারা। যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবজির একটি বড় অংশ উৎপাদিত হয় যশোর জেলায়। গ্রীষ্মকালিন, আগাম শীতকালীন ও শীতকালীন এই তিন ভাগে বছরজুড়ে (১২ মাস) সবজির চাষ করেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর। শুধুমাত্র হৈবতপুর ইউনিয়নে ২১০ হেক্টর, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে ১৬৫ হেক্টর জমিতে বাঁধা কপির চাষ হয়েছে।

 

সূত্র জানায়, চুড়ামনকাটি ও হৈবতপুর ইউনিয়নে উৎপাদিত বাঁধাকপির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া, বিদেশে বাঁধাকপি রফতানির কাজে কৃষকদের সাহায্য করছে। কৃষকদের সুবিধার্থে চুড়মনকাটির আব্দুলপুর ও হৈবতপুরের শাহাবাজপুরে সবজি প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সেখানে বাঁধাকপি প্যাকেটজাত করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া তাইওয়ানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে পাঠানো হচ্ছে।
সূত্রটি আরো জানায়, ২০১৮ সাল থেকে যশোরে বাঁধাকপি রপ্তানি শুরু হয়। সেবার ১৮৮ মেট্রিক টন বাঁধাকপি রপ্তানি করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে ৩৩০ মেট্রিক টন, ২০২০ সালে ৪২৫ মেট্রিক টন, ২০২১ সালে ৫৯০.৭২৪ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ৫৭০ মেট্রিক টন ও ২০২৩ সালে ৬১০,৩৪২ মেট্রিক টন বাঁধাকপি রপ্তানি করা হয়।
চুড়ামনকাটি ও হৈবতপুর ইউনিয়নের সবজি চাষি শফিয়ার রহমান ও শান্তি মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার মূল্য বেশি থাকায় তারা লাভবান হচ্ছেন। পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আমিন উদ্দিন জানান, তিনি বারো মাস বিভিন্ন সবজির চাষ করেন। তবে বেশির ভাগ জমিতে আবাদ করে থাকেন বাঁধাকপির। এবারও দেড় বিঘা জমিতে শীতকালীন বাঁধা কপির চাষ করেছেন।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর, পোলতাডাঙ্গা, বাগডাঙ্গা ও চুড়ামনকাটির উত্তরপাড়া, হৈবতপুর ইউনিয়নের হৈবতপুর, শাহবাজপুরের মাঠে সবচেয়ে বেশি বাঁধা কপির চাষ হয়। এখানকার অধিকাংশ চাষি বিদেশে কপি রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছেন। ফলে বাঁধা কপি চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, যশোরকে সবজির রাজ্য বলা হয়ে থাকে। এখানকার সবজির মান উন্নত। বিশ্বের বাজার দখলে করে নিয়েছে যশোরের বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি। বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হয় বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২৪ ১:২৭ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে বিনা সরিষা-১১ চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা-১১ জাতের পরিচিতি ও চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় াশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রমে গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে।  মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডঃ মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও এবং উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ড. শামসুন্নাহার বেগম, গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আঃ কাদের সরদার, অতিরিক্ত উপ পরিচালক (শস্য) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী এজাজুল করিম, গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: রবিউল ইসলাম আকন্দ, ফার্ম ম্যানেজার আলমগীর কবির বক্তব্য রাখেন। এ মাঠ দিবসের শতাধিক কিষাণ কৃষাণী অংশ নেন। অনুষ্টানটি সঞ্চলনা করেন গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী।

বক্তারা বলেন, বিনা উদ্ভাবিত বিনাসরিষা-১১ জাতের জীবনকাল মাত্র ৮৫ দিন। এর গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ৮ থেকে ২.১ টন। সরিষা কাটার পর কৃষক একই মাঠে বোরা আবাদ করতে পারেন। এ সময় তারা লাভজনক বিনা সরিষা-১১ আবাদের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২৪ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
যশোরের ঝিকরগাছায় স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষাবাদ শুরু
কৃষি বিভাগ

মিঠুন সরকারঃ গতানুগতিক কৃষিকে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করতে নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। প্রযুক্তি ব্যবহারের একেবারে তলানিতে আছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। ফলে আধুনিক চাষের অনেক রীতিনীতি তাদের ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছিল।
কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে আবহাওয়াবিদদের সমন্বয়ে কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি মৌসুমি পূর্বাভাস, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পরামর্শ সেবার মান বৃদ্ধি করা এবং এই সেবা প্রান্তিকপর্যায়েনিয়মিত ও দ্রত পৌঁছে দেয়ার জন্য স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত একটি দ্রত ও কার্যকর যোগাযোগ ও বিতরণ ব্যবস্থ করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিস প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নেয় সরকার।
দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে সাফল্য পাওয়ায় এবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত ও সীমান্তবর্তী গঙ্গানন্দপুর ও শিমুলিয়া ইউনিয়নে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করছে উপজেলা কৃষি অফিস।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ‘স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য গঙ্গানন্দপুর ও শিমুলিয়া ইউনিয়নে ৮ টি কৃষক গ্রপের মাধ্যমে মোট ১৪৬ টি প্রদর্শণী বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য ভার্মি কম্পোস্ট ২০ টি, ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে শাক-সবজি উৎপাদন ১০ টি , স্বল্প জীবন দৈর্ঘ ফসল, সরিষা ও গম -৩০ টি, উচ্চমূল্য ফসল উৎপাদন আদা/ হলুদ/পেঁয়াজ/রসুন- মূখী কচু (স্থানীয় উচ্চমূল্য)-২০ টি, কমিউনিটি বীজতলা -৪টি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন- ১০ টি, পাইপ পদ্ধতিতে সেচ প্রদান-২০ টি, গুনগন মানসম্পন্ন দানা জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন -৭ টি, ডাল জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন -৯ টি, তেল জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন -৯ টি প্রকল্প রয়েছে।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘ আমরা প্রান্তিক কৃষকের মাঝে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পেরেছি। স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত চাষের বড় সুবিধা হলো এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মূলত এসএমএস পাঠিয়ে কৃষকদের নানা বিষয়ে অবহিত করা হবে। বিশেষ করে ধানক্ষেতের যেকোনো সমস্যা কিংবা জমিতে কোন সময়ে সেচ প্রয়োজন, এমনকি কী পরিমাণ পানি দরকার-সেটিও জানিয়ে দেয়া হবে। এটি সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় তৎক্ষণাৎ সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২৪ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরে আমন চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম
কৃষি বিভাগ

পিরোজপুর জেলায় এবার আমন চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। চলতি বছরে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৯ শত ৩১ মেঃ টন নির্ধারণ করা হলেও উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫ শত ০৭ মেঃ টন যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৫৭৬ মেঃ টন বেশি।
পিরোজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে ২০২৩-২৪ খরিপ- ২ মৌসুমে হাইব্রীড, উফশী, স্থানীয় রোপা, স্থানীয় বোনা আমন মিলিয়ে ৬৫ হাজার ৬শত ১৪ হেক্টরে চূড়ান্ত চাষ হয়। ধান কর্তন এবং মাড়াই শেষে হাইব্রীড ৬৪৩ হেক্টরে চাল উৎপাদন হয় ২ হাজার ৩শত ৬৮ মে: টন। অনুরূপভাবে ১৩ হাজার ৩শত ১৩ হেক্টরে উফশী চাষ করে চাল পাওয়া গেছে ৩৭ হাজার ২০৩ মে: টন। স্থানীয় জাতের আমন ৪৯ হাজার ৮০৩ হেক্টরে চাষ করে চাল উৎপাদন হয়েছে ৯৫ হাজার ৬১৭ মে:টন। রোপা এবং বোনা আমন ১৮৫৫ হেক্টরে চাষ করে চাল পাওয়া গেছে ২ হাজার ৩১৯ মে:টন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম সিকদার বাসসকে জানান কৃষি উপকরণ কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছে যাওয়ায় এবং সহজলভ্য হওয়ায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপদেশ অনুযায়ী কৃষকরা ব্যবস্থা নেওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানান, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন মাঠে-মাঠে ঘুরে পাতামোড়ানো এবং পামরী পোকার দমনে আলোক ফাঁদ এবং পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী চাষীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সহজেই পোকা দমন ও বিস্তার রোধ সম্ভব হয়। এছাড়া বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় কৃষিতে শতভাগের কাছাকাছি যান্ত্রিকীকরণ হওয়ার ফলে কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরাও পূর্বের চেয়ে কৃষি কাজে উৎসাহিত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop