৫:৪৪ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৯, ২০২১ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
শেরেবাংলা ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত নামে বিভ্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একই সংক্ষিপ্ত নাম SAU ব্যাবহার করায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

যদিও গুচ্ছ ভর্তির আগে থেকেই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে SBAU ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে SAU হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তারপরও ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে SAU ব্যবহার করায় দ্বিধায় পড়েন ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূচনালগ্ন থেকেই SAU সংক্ষিপ্ত নামটি ব্যবহার করে আসছিল। ইউজিসি বরাবর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়াল ডোমেইন হিসেবে sau.ac.bd ব্যবহারের আবেদন করায় আবেদনের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা ব্যবহারের অনুমোদন পায়। এতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য SBAU নামটি অনুমোদিত হয়।

তবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা এর অভ্যন্তরীণ সকল সংগঠন এ SBAU নাম টির পরিবর্তে SAU নামটিই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যার ফলে বিভ্রান্ততে পড়ছেন নতুন ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা।

ভর্তির সময় বিভ্রান্তিতে পড়া শিক্ষার্থী মো. চয়ন মুন্সি বলেন, ভর্তির সুযোগ পাবার পর দ্বিধায় পড়ে গেছিলাম, ঢাকায় চান্স পেলাম নাকি সিলেটে! পরবর্তী সময়ে জানতে পারি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। তবে কেউ কেউ সিলেটে চান্স পেলেও ঢাকায় চলে এসেছিল। শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি দূর করতে পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষার আগেই একটা স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেব। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার জন্য দুইটি একই সংক্ষিপ্ত নামের বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে পারবে না। তবে সাউ ঢাকা এবং সাউ সিলেট এভাবে নামকরণ করা যায়। তবে ডোমেইন সিকৃবি আগে পাওয়ায় আমরা sau.edu.bd ব্যবহার করি।

সিকৃবি রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম জানান, যেহেতু আমরা আবেদনের ভিত্তিতে আগে পেয়েছি তাই আমরা sau.ac.bd ব্যবহার করে আসছি। এখানে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহাদয় শিক্ষার্থীদের বিষয় বিবেচনায় কোনো উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত নামের ক্ষেত্রে ইউজিসি হস্তক্ষেপ করে না। আমরা সবক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ নাম ব্যবহার করি। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানোর জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে SBAU এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় SAU হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে আসছে।-সূত্র: সারাবাংলা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২১ ৯:৫৪ অপরাহ্ন
সিসভেক‘র আয়োজনে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

দিগন্ত ইসলাম শিমুল: স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ কর্তৃক আয়োজিত গবাদি পশু ও হাঁস মুরগীর বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. লিয়াকত হোসেন।

এসময় এলাকার শতশত অসুস্থ গবাদী পশুর মধ্যে জীবাণু প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়। এর আগে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের পক্ষ থেকে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এছাড়া বাদ যোহর কলেজ মসজিদে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড.হুজ্জাত উল্যাহ, ড. সৈয়দ আলী আজমল, ডাঃ শেখ এম এ মতিন, প্রভাষক ডাঃ নাজমুল হক, ড. মোঃ আব্দুল ওয়ারেছ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২১ ৮:০৬ অপরাহ্ন
বর্ণিল আয়োজনে সিভাসু’তে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
ক্যাম্পাস

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ পালিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও সিভাসু পরিবারের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করেন।

শোভাযাত্রা শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। এরপর শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, হল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপাচার্য শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল প্রাঙ্গণে কেক কাটেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও শিশু-কিশোরদের ‘৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, খত্মে কোরআন, মিলাদ এবং বিশেষ মোনাজাত।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, পরিচালক (পিআরটিসি) প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চেীধুরী, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন, পরিচালক (আইকিউএসি) প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান, প্রক্টর ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ডা. ওমর ফারুক মিয়াজী, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. আশরাফ বিশ্বাস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. বিবেক চন্দ্র সূত্রধর ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ডা. কাজী রোখসানা সুলতানা ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মোহাম্মদ আরিফ এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অলক দে।

উল্লেখ্য, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে সিভাসু ক্যাম্পাসকে। করা হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। অসংখ্য অমর বাণী ও উক্তিসহ বঙ্গবন্ধুর ছবি শোভা পাচ্ছে ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু করে সর্বত্র। ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আলোচনা সভা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৬, ২০২১ ১১:৩৬ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণিল সাজে সিভাসু
ক্যাম্পাস

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ক্যাম্পাস।

“যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান; ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান” কিংবা “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”-এরকম অসংখ্য অমর বাণী ও উক্তিসহ বঙ্গবন্ধুর ছবি শোভা পাচ্ছে ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু করে সর্বত্র।

একদিকে বৈচিত্র্যময় ব্যানার, ফেস্টুন আর ডিসপ্লে’তে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও জীবনসংগ্রামের ছবি। অন্যদিকে নানা রঙের ফুলের সমাহার। সেই সাথে আলোকসজ্জা তো আছেই। সবকিছু মিলে সিভাসু ক্যাম্পাস ধারণ করেছে এক বর্ণিল রূপ। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সিভাসু পরিবারের সবার মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

এই দিকে আমাগীকাল বুধবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কেক কাটা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে সিভাসু পরিবারের শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কবিতা আবৃত্তি, শিশু-কিশোরদের ‘৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, খত্মে কোরআন, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত এবং আলোকসজ্জা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৬, ২০২১ ৭:৪০ অপরাহ্ন
বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় তৃতীয় স্থানে শেকৃবি
ক্যাম্পাস

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এখন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৫১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি)।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে (২০১৯) এ তথ্য উঠে আসা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮০৪ জন। বর্তমানে যা অর্ধেক হ্রাস পেয়ে ৪৮২ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।

এর মধ্যে শুধু গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবিতে আছেন ২২১ জন। ১৬৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তালিকার ২য় স্থানে রয়েছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। ৫১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অবস্থান ৩য়।

আর ৩৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪র্থ।

তালিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো যথাক্রমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৭), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (৩৭), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৩৭) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৪)।

এদিকে, দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও বিদেশি শিক্ষার্থী কম থাকার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগ না থাকা, ভর্তির ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক বিভাগে শুধু বাংলায় পাঠদান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের অভাব, অপ্রতুল স্কলারশিপ ও সেশনজটকে কারণ হিসেবে মনে করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২১ ৯:৫২ অপরাহ্ন
সিভাসু’তে কর্মচারীদের দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) কর্মচারীদের জন্য অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সিভাসু’র ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) সিভাসু’তে কর্মরত ১১ হতে ১৬ তম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ৫৫ জন কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো: রায়হান ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মো: কবিরুল ইসলাম খান।

অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে আয়োজিত উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো: আবুল কালাম এবং আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম-এর সহকারী পরিচালক জোবাইদা আক্তার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২১ ১:৫১ অপরাহ্ন
মালচিং ও জৈব প্রযুক্তি অনুসরণে খুবিতে বেগুনি ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য
কৃষি গবেষনা

বেগুনি ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে এক নতুন সংযোজন যা বৈদেশিক রপ্তানিতে সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ গবেষণা কেন্দ্রে চলতি মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে কম খরচে পোকা ও ভাইরাসমুক্ত নিরাপদ রঙিন ক্যাপসিকাম চাষের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। মালচিং ও জৈব প্রযুক্তি অনুসরণে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে একবার ফল তোলা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবারও ফল ধরেছে। এই গবেষণা প্রকল্পের মাঠে এখন ক্যাপসিকাম গাছে বেগুনি, হলুদ ও সবুজ তিন ধরনের ফল শোভা যাচ্ছে। প্রতিটি গাছে ৪-১০টি পর্যন্ত ক্যাপসিকাম ঝুলে আছে। চলতি সপ্তাহেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল সংগ্রহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় বেগুনি ক্যাপসিকাম দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে এবারই প্রথম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা মাঠে চাষ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে থ্রিপস বাহিত ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করে ক্যাপসিকাম উৎপাদন। গবেষণার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার দাশ। একই ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের ১ম বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আলম এ কাজের গবেষণা সহায়ক হিসাবে কাজ করছেন।

খুবিতে বেগুনি ক্যাপসিকাম
প্রধান গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক বলেন, “মাঠ পর্যায়ে ক্যাপসিকাম চাষের প্রধান অন্তরায় হল থ্রিপস পোকার আক্রমণ। এই থ্রিপস মরিচ গোত্রের সবজির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। এই পোকা পাতার নীচে থাকে ও ঈযরখঈঠ ভাইরাসের বাহক হিসাবে কাজ করে। এই ভাইরাসের আক্রমণ হলে গাছের কচিপাতা হলুদ হয়ে কুকঁড়ে যায় ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এই ভাইরাস দ্বারা এটি ছড়ায় ও অতি অল্প সময়ে এটি সমস্ত মাঠে ছড়িয়ে পড়ার খুবই সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ভাইরাস রোগের কোন প্রতিশোধক নেই ও ভাইরাস প্রতিরোধী ক্যাপসিকামের জাত বিশ্বে এখনো উদ্ভাবন হয়নি। কিন্তু আগাম সতর্কতা হিসাবে মাটি ও বীজ শোধন এবং পরিষ্কার চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। এছাড়া অল্পসংখ্যক গাছে রোগের লক্ষণ দেখা দিলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে মাটিসহ গাছ তুলে ফেলে দূরে কোন গর্তে মাটি চাপা দিয়ে রাখতে হয়। মাঠ পর্যায়ে জৈব উপায়ে কার্যকরী থ্রিপস দমনের পদ্ধতি নির্বাচনই ছিল এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। এই গবেষণায় থ্রিপস পোকা দমনের জন্য ক্যায়োলিন ক্লে ও নিমের তৈল জৈব বালাইনাশক হিসাবে ১০ দিন পর পর ছিটানো হয়। ক্যায়োলিন ক্লে, একটি অর্গানিক ক্লে পার্টিকেল যা এ্যালোমিনিয়াম ও সিলিকন সমৃদ্ধ। এই দ্রব্যের বাণিজ্যিক নাম সারাউন্ড। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় এই ক্লে পাউডার ব্যবহার করেছেন – যেমন গাছের তাপ নিয়ন্ত্রণ, ফলকে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা ও বিভিন্ন পোকা (থ্রিপস, মাইটস) দমন ইত্যাদি যেখানে বিজ্ঞানীরা খুবই ভালো ফল পেয়েছেন। যদিও বাংলাদেশের গবেষণায় ইতোপূর্বে এটি ব্যবহৃত হয়নি। এটি অর্গানিক পাউডার হওয়ায় বাণিজ্যিক চাহিদা ও খুব বেশি। এটি পানিতে দ্রবণীয় এবং সাধারণ ব্যাকপ্যাক স্প্রেয়ার দিয়ে ছিটানো যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন সোর্স ও সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে এই পাউডার পাওয়া যায়। এটি ছিটালে গাছ ও প্লাস্টিক মাল্চ পেপার সাদা হয়ে যায়। ক্যায়োলিন ক্লের সাদা রং সূর্য়ের তাপে প্রতিফলনের প্রভাব কাজে লাগিয়ে গাছকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া গাছের কান্ডে আলোর তীব্রতা বাড়ায় যা গাছের সালোক- সংশ্লেষণ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এ গবেষণায় নিমের তেলের ব্যবহার করা হয়েছে যার জৈব চাষ পদ্ধতিতে বাংলাদেশে বহুদিন ধরে ব্যবহারিত হয়ে আসছে। যেহেতু ক্যাপসিকামের সম্পূর্ণ অংশ খাওয়া হয় সেহেতু রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করলে সাধারণ মানুষ এই সবজিটি বেশি পছন্দ করে থাকে।” এ বিষয়টি মাথায় রেখেই মাঠ পর্যায়ে নতুন এই জৈব ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতির কথা চিন্তা করেন প্রধান গবেষক। এই মাঠে তিন রং এর (সবুজ, বেগুনি, ও হলুদ-বেগুনি) ক্যাপসিকাম গাছের বৃদ্ধি ও ফলনের তুলনামূলক গবেষণা চালানো হয়। বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম এই তিন রং এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলন দেয়। যার বাজার মূল্য অন্যান্য সবজির চেয়ে অনেক বেশি (প্রতি কেজির দাম প্রায় ২৫০-৩০০ টাকা)।
বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম
গবেষক বলেন, “এই মাঠে একটি গাছে সর্বোচ্চ ২০-২৫ টি ফল হয় এবং একটি ফলের ওজন প্রায় ৮০-১৪০ গ্রাম যা মানসম্মত ওজন।” তিনি বলেন, “বাজারে সবুজ, লাল ও হলুদ ক্যাপসিকাম দেখা মিললেও বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম তেমন চোখে পড়েনা। এজন্য আর্কষণীয় রঙিন সবজি হিসাবে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা আছে। ক্যাপসিকাম সাধারণত সালাদ, মিক্সিড সবজি ও চাইনিজ রান্নায় এর বহুবিধ ব্যবহার হয়। দাম বেশি হওয়ায় বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম চাষ করার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের সবজি চাষিরা খুবই আগ্রহী হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ” কিন্তু চাষিদেরকে সঠিক চাষ পদ্ধতি জানানো খুবই প্রয়োজন বলে গবেষক মনে করেন।
ড. প্রশান্ত কুমার দাশ বলেন, “ক্যাপসিকাম ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে এই জন্য শীতকালে গাছের বৃদ্ধি, ফুলধারণ ও ফলন ভাল হয়ে থাকে। তিনি উল্লেখ করেন ক্যাপসিকামের জাত নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”  তিনি বীজ শোধন করে প্লাস্টিক সেল ট্রেতে কোকোডাস্টসহ চারা উৎপাদন করলে ভালো সতেজ চারা পাওয়া যাবে বলে আশা করেন। গবেষক বলেন,”৩মিটার দৈর্ঘ্যরে, ১ মিটার প্রস্থ ও ০.২ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন বেড তৈরি করে ০.২৫ মিলিমিটার পূরত্বের উপরে সাদা ও নিচে কালো রং এর প্লাস্টিক মাল্চ বেডের উপরে ব্যবহার করলে গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও পরিষ্কার চাষ পদ্ধতির নিশ্চয়তা দেওয়া যেতে পারে। ” রোপনের সময় সারি থেকে সারির দূরত্ব ০.৮ মিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ০.৫ মিটার অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। প্লাস্টিক মালচ ব্যবহার করলে বহুবিধ উপকার পাওয়া যেতে পারে যেমন আগাছা দমন, মাটির সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখা ও গাছের ডগায় আলোর তীব্রতা বাড়ানো ইত্যাদি।
প্রধান গবেষক আশা করেন, “জৈব প্রযুক্তি অনুসরণ করে মাঠ পর্যায়ে বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম চাষ করলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে এক নতুন সম্ভাবনা হতে পারে। এছাড়া চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান এবং পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণে অনেকাংশেই সক্ষম হবেন।” ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বেগুনি ক্যাপসিকাম জৈব সবজি হিসাবে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্রঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেইসবুক পেইজ।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২১ ১০:১১ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে এএসভিএম ৫ম ব্যাচের ইন্টার্নশিপের উদ্বোধন
ক্যাম্পাস

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ৫ম ব্যাচের ইন্টার্নশিপ ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনের এএসভিএম ডীন কনফারেন্স কক্ষে ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন- ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়।

ছয় মাসব্যাপী এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে ভেটেরিনারি অনুষদের ৬৫ জন শিক্ষার্থী ১৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন।

এএসভিএম অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম। এসময় এএসভিএম অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মোশারফ হোসাইনের সঞ্চালনায় ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম-২০২০ এর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন উক্ত প্রোগ্রামের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর ও এনিম্যাল প্রোডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন অত্র অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসাইন। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রতন রহমান, শেকৃবি’র ভেট সায়েন্স এন্ড এ এইচ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর ভিপি মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও ইন্টার্ন শিক্ষার্থী মোঃ তানভীরুল ইসলাম অপু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া বলেন, ইন্টার্নশিপ যেহেতু হাতে কলমে এবং মাঠে থেকে শেখার সুযোগ তাই সেটাকে কাজে লাগিয়ে একজন দক্ষ প্রাণিসম্পদ কর্মী হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। সাড়ে চার বছরের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক শিক্ষার পর সরাসরি হাতে কলমে শেখার জন্যই এই আয়োজন। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে শেখার বিষয়ে কোনো রকম শৈথিল্যতা প্রদর্শন না করে কোর্স সম্পন্ন করে দেশের প্রাণি সম্পদের উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২১ ১০:০০ অপরাহ্ন
তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতায় যাচাইয়ে খুবিতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত-Agriview24.com
কৃষি গবেষনা

আজ ১৪ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারে তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) উদ্ভাবিত এই জাতের আলু চাষের মূল উদ্দেশ্য খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা প্রভাবিত এলাকায় আমন ধান কর্তনের পর নাবি জাতের এই আলু চাষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন এই প্রকল্পের গবেষণা প্লট বাস্তবায়ন করছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন খুবির চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জিএমএ গফুর, প্রকল্প পরিচালক ও গোপালগঞ্জস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এম কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনাস্থ বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুনর রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম।

গবেষণা কাজটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান কর্তৃক পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে BARI উদ্ভাবিত উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু বারি জাতের আলুর নতুন ১৫টি জাতের ৪৫টি গবেষণা প্লট প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে বারি-৬৩, বারি-৭২, বারি-৭৩ ও বারি-৭৮ এই চারটি জাত অধিকতর তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু হওয়ায় খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে নাবি জাত হিসেবে চাষের জন্য সুপারিশ করা হয়। এর ফলে এই উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান কাটার পর ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির প্রথমার্ধে চাষ এবং বিনা চাষ এই উভয় পদ্ধতিতেই এ আলু উৎপাদন করতে পারবেন। আবার আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর নভেম্বরে এই আলুর চাষ করতে পারলে তা কর্তনের পর বোরো বা অন্য ফসলের চাষও করতে পারবেন। তবে কৃষিবিদ, গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তাহলে কৃষক উৎপাদিত আলু সরংক্ষণ করে পরবর্তীতে বিক্রি করতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং তারা আরও বেশি করে আলু চাষে আগ্রহী হবে। পরে অতিথি ও গবেষকবৃন্দ সরেজমিন আলুর গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে খুবির সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বটিয়াঘাটা থেকে আগত কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা দাবি করেন এই এলাকার কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য ।

তথ্যসূত্রঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেইজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২১ ১০:৪৬ অপরাহ্ন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ওয়েসিস হাসপাতালের সমঝোতা চুক্তি
ক্যাম্পাস

তাজুল ইসলাম মামুন ,সহকারি প্রকাশকঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সিলেটস্থ ওয়েসিস হাসপাতালের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। সিকৃবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব, সিকৃবি হেলথ কেয়ার সেন্টারের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ অসীম রন্জন রায়। ওয়েসিস হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ সোলাইমান আহমদ এবং ফিন্যান্স ডিরেক্টর ডাঃ নূরুল হাসান সিদ্দিকী।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার সেলিনা বেগম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ গোলাম রসুল, ভাইস চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. ফখর উদ্দিন, ওয়েসিস হাসপাতালের মার্কেটিং ডিরেক্টর ডাঃ মুইজউদ্দিন, সহকারী ম্যানেজার ও হেড অব মার্কেটিং মোঃ জহুরুল ইসলাম, সিনিয়র কর্পোরেট অফিসার মোঃ মাসুম আহমদ প্রমুখ। ভাইস চ্যান্সেলর তার বক্তৃতায় ওয়েসিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব আর্থিক বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরো মানবিক হবার ব্যাপারে পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর সিলেটের সোবহানীঘাটে অবস্থিত ওয়েসিস হাসপাতালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা কমমূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকবেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop