৬:৩৭ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের খামার যেভাবে জীবাণুমুক্ত রাখবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার পালন লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমানে আমাদের দেশের অনেকেই মুরগির খামার গড়ে তুলছেন। খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে খামার জীবাণুমুক্ত না করার কারণে অনেক সময় খামারে মারাত্মক রোগের দেখা দেয়।

ব্রয়লার পালনে খামার জীবাণুমুক্ত রাখার কৌশল:

খামারের আগের মুরগি বিক্রি করার পর ফিডার, ড্রিংকার ম্যালাথিয়ন বা সেভিন ১০ মিলি/লিটার পানিতে রাখার পর পর্দা তুলে দিয়ে স্প্রে করতে হবে যাতে সেডের ভিতরে যত পোকা বা বিটল আছে সব মারা যায়। যদি এগুলো যদি বেঁচে থাকে তবে পরবর্তী ফ্লকে জীবানু নিয়ে যেতে পারে। এরপর ৪ লিটার পানিতে ১ লিটার ফরমালিন দিয়ে সম্পূর্ন ঘর স্প্রে করতে হবে।

ব্রয়লার মুরগির খামারে ফরমালিন স্প্রে করার কমপক্ষে ১২ ঘন্টা পর শেডের ভিতরের ফিডার, ড্রিংকার বের করে ফেলতে হবে।
ব্যবহৃত লিটারগুলো বস্তায় ভরে আগের স্থান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যা বিক্রি করা যাবে অথবা সবজি ক্ষেতে সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মেঝেতে নারিকেলের ঝাড়ু, প্লাস্টিক ব্রাশ দিয়ে ধূলিকনা, মাটি, মুরগীর পাখনা, আবর্জনা ইত্যাদি যদি থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ভালোকরে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

জীবাণুমুক্ত করার সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে ফিউমিগেশন করা। ফিউমিগেশন এর জন্য ঘরের আয়তন অনুযায়ী ফরমালিন ও পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে জন্য ৪০ মিলি ফরমালিন এবং ২০ গ্রাম পটাশ ১০০ ঘন ফুট শেডের জন্য প্রয়োগ করতে হবে।

মেঝে থেকে সবকিছু সরানোর পরে পানি দিতে হবে। তবে ঘরে পানি ব্যবহার করার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে ইলেকট্রিক মেইন সুইস অফ করা হয়েছে। অফ করা না থাকলে তা অফ করে তারপর পানি ঢেলে দিতে হবে।

মেঝে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর কস্টিক সোডা ১.২৫ কেজি প্রতি ১০০০ বর্গফুট ফ্লোরে দিয়ে ২৪ ঘন্টা পানি দ্বারা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২৪ ঘন্টা পর কস্টিক সোডার পানি বের করে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ফ্লোর ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

খামারে লিটার ঢুকানোর পূর্বেই ম্যালাথিয়ন ও ফরমালিন স্প্রে করে পরিষ্কার শেডে ঢুকাতে হবে। এতে আরও বেশি জীবাণুমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
শীতে পোলট্রি খামারীদের করণীয়
পোলট্রি

বাংলাদেশে ঋতু পরিক্রমায় আগমন ঘটে শীতের। মানুষের ওপর শীতের প্রভাব ঘটে, হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও তেমনি প্রভাব পরে। তাই শীতের সময় খামার পরিচালনার ক্ষেত্রে খামারি ভাইদের বিশেষ নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। শীতের তীব্রতায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে ডিম পাড়া মুরগীর ডিম উৎপাদনের হার যেমন কমে যায়, তেমনিভাবে কতগুলো রোগের কারণে বাচ্চা মুরগিও মারা যেতে পারে। এ ছাড়া শীতের সময় ডিম দেয়া মুরগীর শরীরে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সরবরাহকৃত খাদ্য হতে প্রাপ্ত এনার্জি বেশি ব্যয় করে থাকে। শীতের সময় ঠাণ্ডার কারণে বিভিন্ন বয়সের মুরগির পীড়ন বেশি হয়।
*শীতের প্রারম্ভেই পোলট্রি শেডের যাবতীয় মেরামত কাজ করতে হবে। যেমন ঘরের জানলায় চটের পর্দা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে মুরগিকে রক্ষা করা যায়।
*হাঁস-মুরগি পালনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পোলট্রি শেডের/ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য লিটার ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। যদি পুরা ৩ লিটার থাকে তাহলে পরিবর্তন করে দেয়া ভালো। লিটারের উচ্চতা বাড়িয়ে ৭-৮ ইঞ্চি পুর করে দিতে হবে। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে পোলট্রি শেডে ধুলোবালি বেশি পরিমাণে জমা হয়। লিটারের আর্দ্রতা শতকরা ২৫% ভাগের চেয়ে নিচে নেমে গেলে লিটার থেকে ধুলা উড়তে থাকে; এতে শেডের পাখির ধকল বেড়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সর্বোপরি শেডে সার্বিক তাপমাত্রা রক্ষা করা।
*শীতকালে দিনের সময় কাল কম থাকায় সূর্যের স্বাভাবিক আলো প্রাপ্তির সময় কম হয়। বিশেষ করে ডিম পাড়া মুরগীর ক্ষেত্রে দিনের আলো হিসাব করে রাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
*পোলট্রি শেডের আশপাশে ডালপালাযুক্ত গাছ থাকলে শীতকালে তা কেটে/ছেঁটে ফেলাই ভালো।
*পোলট্রি ব্যবস্থাপনায় লেয়ার/ব্রয়লার পালনের ক্ষেত্রে খাবার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক মান অনুযায়ী সুষম খাদ্যের ফর্মুলা তৈরি করে সরবরাহ করতে হবে। অথবা কোনো উন্নত খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির খাদ্য খাওয়ানো যেতে পারে। শীতকালে মুরগির দেহে অধিক শক্তি যোগানোর জন্য উপাদানে পরিবর্তন আনতে হবে। খাদ্যে এনার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে এবং রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। লিটার পুরাতন হলে গুণগত মান ঠিক আছে কিনা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
*খামারের বিভিন্ন বয়সের ও ভিন্ন ভিন্ন জাতের মুরগিকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে ভালো কৌশল হলো “অল ইন আউট” বা “একত্র প্রবেশ একত্রে বাহির” পদ্ধতি অনুসরণ করা।
*খামারের প্রতিটি মুরগির জন্য পরিমাণমতো জায়গা রাখতে হবে এবং কম জায়গায় যেন বেশি মুরগি না থাকে সেদিকে খামারীদের লক্ষ রাখতে হবে।
*মুরগির ঘরে শীতের মুক্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চারটি বিষয় বিশেষভাবে বিবেচনায় আনতে হবে।
*মুরগির শেডে/ঘরে সর্বত্র বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা। যথাযথ মাত্রায় আর্দ্রতা রক্ষা করা।
*শেডের থেকে এমোনিয়া ও কার্বন ডাই অক্সাইডসহ খারাপ গন্ধ দূর করা।
*গরমের দিনের তুলনায় একটু বেশি খাবার সরবরাহ করতে হবে।
*খাদ্য দেয়ার পরপরই খুব তীক্ষè দৃষ্টিতে একনজরে সকল মুরগিকে শেডের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত অবলোকন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অসুস্থ মুরগি থাকলে চিহ্নিত করে আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে।
*“পানির অপর নাম জীবন” খামারে বিশুদ্ধ পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোক্রমেই পুকুর, পাতকুয়ার পানি মুরগিকে খাওয়ানো যাবে না বা খাদ্য ও পানির পাত্র ও অন্যান্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এ সব উৎসের পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। পানির পাত্র কমপক্ষে দিনে দু’বার পরিষ্কার করতে হবে।
*খামারের মুরগিকে যথাযথভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে টিকা প্রদান করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রার/খাতায় টিকা দানের তারিখ, শেডের নম্বর, বাচ্চার সংখ্যা, টিকার নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে।
*খামারে কোন মুরগির রোগব্যাধি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ভাবে সেগুলোকে আলাদা করে রাখতে হবে। প্রকৃত রোগ শনাক্ত করে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের জন্য সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
*মৃত মুরগিকে যেখানে, সেখানে না ফেলে মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে।
*খামারে দর্শনার্থী ও বাইরের লোকজন যাতায়াত বন্ধ করতে হবে।
*খামারের প্রতিদিনের কাজের রেকর্ড রাখতে হবে। খাদ্য প্রদান, তাপমাত্রা, ভ্যাকসিনেশন ও রোগের প্রার্দুভাবের রেকর্ডসহ কখন কোন ঔষধ/টিকা প্রদান করা হলো তার রেকর্ড রাখতে হবে।
*প্রতিদিন মুরগির শেড/ঘরে আলগা ময়লা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলে রোগ জীবাণু সহজে প্রবেশ করতে পারবে না।
*প্রতিটি শেড/ঘরের সম্মুখে জীবাণুনাশক পাত্র রাখতে হবে এবং ঘরে প্রবেশের পূর্বে পরিচর্যাকারীকে তা ব্যবহার করতে হবে।
*পরিচর্যাকারী মুরগির শেডে প্রবেশের পূর্বে যেন তার পরিধেয় পোশাক পরিবর্তন করে নেয় সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
*মুরগির শেডে/ঘরে যেন কোনো রকম পাখি, ইঁদুর ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে অবশ্যই খামারিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*শীতে মুরগির দেহে পরজীবীর আবির্ভাব বেশি ঘটে, সে কারণে পরজীবী প্রতিরোধের আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে।
*মুরগির ঝাঁক/দলের মধ্যে দুর্বল, অসুস্থ, ডিম উৎপাদনে অক্ষম, কম ডিম উৎপাদনশীল ও বিকৃত মুরগিকে সবসময় বাঁছাই/ছাঁটাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
*হাঁস/মুরগি পালনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা/জেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিমল চন্দ্র সরকার*
* সাবেক সহকারী তথ্য অফিসার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, আঞ্চলিক অফিস, বরিশাল
শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২৩ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
কোটালীপাড়ায় আমান ফিডের ”আধুনিক খামার গড়ি” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
পোলট্রি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আমান ফিড লিমিটেডের আয়োজনে ও মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজের সহযোগিতায় আধুনিক খামার গড়ি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলা সদরের মোল্লা প্লাজায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনার উদ্বোধন করেন।

আমান ফিড লিমিটেডের পরিবেশক মোঃ হান্নান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমান ফিড লিমিটেডের জিএম ড. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, সিনিয়র এজিএম কাজী শহীদুজ্জামান, উজ্জল কান্তি রাহা, এজিএম মোঃ রইজ উজ্জামান সুমন, ডা. সালাউদ্দিন ভুঁইয়া, খামারী হেমন্ত রায় বক্তব্য রাখেন।সেমিনারে কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫০ জন খামারী অংশ নেন।

আমান ফিড লিমিটেডের জিএম ড. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমান ফিড কোটালীপাড়ায় পোল্ট্রি, মৎস্য ও গবাদি খামার সম্প্রসারণে কাজ করছে। খামারীকে আধুনিক খামার গড়ে দিতে আমরা নিয়োজিত রয়েছি। আধুনিক খামার গড়ে দিয়ে খামারীকে আমরা আর্থিক ভাবে লাভবান করে তুলবো। এতে কোটালীপাড়া উপজেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর সমৃদ্ধ হবে। এ অঞ্চলের মানুষের প্রটিন ও আমিষের চাহিদা পূরণ করে খামারী অতিরিক্ত মাছ, মাংস অন্য জেলায় সরবরাহ করবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২২, ২০২৩ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য এখন বিপুল সংখ্যক পোলট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে খামারে অনেক সময় প্রভাব পড়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে খামারে বাচ্চা আসার সময় বক্স মর্টালিটি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ব্রুডিং অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মুরগির বাচ্চা মারা যায়।

লেয়ার মুরগির খামারের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন কিছুটা কমে যায়। শীতকালের মত কম জায়গায় বেশি মুরগি পালনের ফলে মুরগির ওজন কম আসে।

খামারে পর্দা ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস জমে এবং মুরগির চোখে এ্যামোনিয়া বার্ন হয়, এসসাইটিস দেখা দেয়। খামারে হঠাৎ মুরগির মড়ক দেখা দিতে পারে এবং খামারিদের লোকসান হয়ে থাকে।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বায়োসিকিউরিটিতে।খামারের মুরগি অসুস্থ হলে সব ঔষধ বন্ধ করে পরিস্কার পানি দেয়া এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

সঠিক ভাবে এলাকা উপযোগী ভ্যাকসিনেশন শিডিউল মেনে চলা।ব্রুডিংয়ের সময় মুরগীর অবস্থা বুঝে তাপ দেয়া। যেমন বাচ্চা ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি করলে তাপ বাড়িয়ে দেয়া।

হঠাৎ অনেক বেশী মড়ক দেখা দিলে অতিদ্রুত পার্শ্ববর্তী ল্যাবে পরীক্ষা করানো।মুরগির খামারে সবসময় জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। রাতের বেলা কোন মতেই যেন পানি গ্যাপ না পড়ে তার দিকে খেয়াল রাখা। যদি গ্যাপ পড়ে যায় এবং পাত্র খালি হয়ে যায় তা হলে পরের বার পানি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২৩ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
অধিক লাভ পেতে সোনালি মুরগিকে যা খাওয়াবেন
পোলট্রি

অধিক লাভের আশায় এখন অনেকেই খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি এলাকায় খামাদের দেখা মিলে। পোল্ট্রির পাশাপাশি এখন অধিক লাভের আশায় সোনালি মুরগির খামারের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। সোনালি মুরগি পালনের পাশাপাশি যদি তার যত্ন কিভাবে করতে হয় তা জানা থাকে তাহলে আরো লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে।

সোনালি মুরগির খাদ্য প্রদানে যা রাখবেন:
সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার মুরগির মত সব সময় খাবার দেয়া দরকার বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। মনে রাখা দরকার ব্রয়লার মুরগি খাদ্য রূপান্তরের হার এবং সোনালি মুরগির খাদ্য রূপান্তরের হার এক নয়।

সাধারণত সোনালি মুরগি ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ মুরগিতে ৪০ ব্যাগ হিসেবে সোনালি খাদ্য হিসাব করে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। কিন্তু সোনালি খাদ্যে কখনো কখনও ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ বেশি লাগতে পারে। আবার খুব ভাল হলে ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ কম লাগতে পারে।

যদি সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার খাদ্য খাওয়ানো হয় তবে ১০০০ মুরগিতে সর্বোচ্চ ৩৪-৩৫ ব্যাগ খাদ্যে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। এক্ষেত্রেও আগের মতই ২ থেকে ৩ ব্যাগের যোগ বা বিয়োগ ধরে নেওয়া যেতে পারে।

সারাদিনে খাদ্য দেয়ার নিয়ম:
দিনে ৩ বার খাবার দিতে হবে। বিশেষ করে মনে রাখতে হবে যেন সকালে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টার মধ্যে খাদ্য খাওয়া শেষ হয়ে যায়, দুপুরে যেন সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টার মধ্যে খাদ্য শেষ হয় ও রাতে সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টা যেন খাদ্য খায়।

প্রয়োজনে মুরগি ক্রপ(খাদ্য থলি) পরীক্ষা করে খাদ্য দিতে হবে। যদি খাদ্য থলি ভর্তি থাকে তবে খাদ্য দেয়া কোন দরকার নাই। কারণ মনে রাখবেন, সোনালি মুরগিকে আপনি যতই খেতে দিবেন তারা ততই খাবে। কিন্তু এতে খাদ্য অপচয় হবে আপনাদের। খেয়াল করে দেখবেন ঘরে নিমপাতা বা যেকোন পাতা ঝুলিয়ে রাখলে তারা সেগুলোও খেয়ে শেষ করে। সেজন্য খাবার দেয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

৩য় সপ্তাহ বয়সে পরে মুরগিকে ২০-২২ গ্রাম/ মুরগি হিসেবে খাদ্য পরবর্তী প্রতি সপ্তাহে ৪-৬ গ্রাম/মুরগি হারে খাদ্য বৃদ্ধি করে চলতে হবে। দিনের মোট খাদ্যের পরিমাণকে তিন ভাগে ভাগ করে ৪০%(সকাল)+২০%(দুপুর)+৪০%(রাত) খাদ্য প্রদান করতে হবে সোনালি মুরগিকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ন
ব্রয়লারকে টিকা দেওয়ার আগে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে অনেকেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এসব খামারিদের মধ্যে অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন। তবে, খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতাগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে।

ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতা:
ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুস্থ মুরগিকে টিকা প্রদান করা যাবে না। এতে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি মুরগি আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিকা দেওয়ার জন্য আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেই সময়ে টিকা দিতে হবে। এতে করে টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ও মুরগির রোগের আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যায়।

টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত উপকরণসমূহ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এতে টিকার মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগির শরীরে কোন জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই মুরগি আঘাত না পায়। এতেও টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার আগেই খেয়াল করতে হবে কোন ধকল আছে কিনা। ব্রয়লার মুরগিকে যে কোন ধরনের ধকলমুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।টিকা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। এতে প্রদান করা টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ১০:২৯ অপরাহ্ন
শেকৃবির এএসভিএম অনুষদ ও পিপিবি’র উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত
পোলট্রি

‘স্বাস্থ্যবান ভবিষ্যতের জন্য ডিম’- এ প্রতিপাদ্যে ১৫ অক্টোবর রোজ রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ  এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ (পিপিবি) শেকৃবি ইউনিট এর যৌথ উদ্যোগে পালিত হয় বিশ্ব ডিম দিবস। র‍্যালির উদ্বোধন করেন এএসভিএম অনুষদের ডিন এবং পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের প্রধান উপদেষ্টা পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ, পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের উপদেষ্টা ও এনিম্যাল প্রোডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং উক্ত স্থানে উপস্থিত পথচারী, রিক্সা চালক এবং শিশুদের মধ্যে ডিম বিতরণ  করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এনাটমি, হিস্টলজি এন্ড ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রাসেল, এনাটমি, হিস্টলজি এন্ড ফিজিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল মাসুম, ডেইরি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, ফার্মাকোলজি এন্ড টক্সিকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. শরীফা জাহান, সার্জারি এন্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ রাশেদুল ইসলাম, এনিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স এন্ড ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. আল নুর মোঃ ইফতেখার রহমান, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল মান্নান, এনিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স এন্ড ব্রিডিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: মাহফুজ উল্লাহ পাটোয়ারী। এতে একাত্মতা পোষণ করেন শেকৃবির এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ এবং শেকৃবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দার আলী। এছাড়াও পিপিবি শেকৃবি ইউনিটের সদস্যবৃন্দ এবং এএসভিএম অনুষদের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীবৃন্দ উক্ত র‍্যালিতে অংশ নেন।

র‍্যালি পরবর্তী বক্তব্যে ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ বলেন,”যেহেতু ডিম থেকে একটি সন্তান জন্ম গ্রহন করে তাই শিশুকালে ত বটেই পরবর্তী জীবনেও ডিম এবং দুধ খাওয়া প্রয়োজন। আর ডিমে উপস্থিত এইচডিএল রক্তের  ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ডিসলভ করে দেয়। সয়াবিন  তেলের চেয়ে ডিম এবং দুধের চর্বি  স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো। তাই আমাদের সুস্বাস্থ্য  বর্জায় রাখার জন্য প্রতি অল্টারনেটিভ দিনে একটি করে ডিম খাওয়া প্রয়োজন। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে ১৮৭ টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন।”

সবশেষে শেকৃবির এএসভিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম ডিম দিবসে ডিম বিতরণ, ডিম খাওয়ার সচেতনতায় সহযোগিতার জন্য পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ শেকৃবি ইউনিট, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৩, ২০২৩ ৭:৪০ অপরাহ্ন
বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাকৃবিতে ভেটেরিনারি অনুষদের শোভাযাত্রা, ডিম খাওয়ানো ও সেমিনার
পোলট্রি

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৩ পালন করেছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ভেটেরিনারি অনুষদ কর্তৃক দুপুরে র‌্যালি, সার্বজনীন ডিম বিতরণ এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্র্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি জনাব শামসুল আরেফিন খালেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর, কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. আবু হাদী নূর আলী খান, বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগম, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ড. বিপ্লব কুমার প্রামাণিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্র্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব ডিম দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য ডিম সম্পর্কিত কিছু ভ্রান্ত ধারণাকে ছাপিয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। শরীরের চর্বি কমাতে খাদ্যাভাসে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিনসমৃদ্ধ করতে হবে। ডিম পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা প্রাণীজ প্রোটিন। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ডিম এবং বাচ্চাদের দুটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলে জাতীয় স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এছাড়াও তিনি বিদেশ থেকে ডিম আমদানি না করে দেশীয় খামারিদের প্রণোদনা দিয়ে ডিম উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনার তাগীদ পোষণ করেন।

সেমিনারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ বাহানুর রহমান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. আজিমুন নাহার। অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৩, ২০২৩ ৫:০১ অপরাহ্ন
বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে বিএলআরআইতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
পোলট্রি

বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)তে আয়োজিত হয় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন। বিএলআরআই-এর পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে এবং পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে পালিত হয় বিশ্ব ডিম দিবস।

বেলা ১০.০০ ঘটিকায় বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালি। উক্ত র‌্যালিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ মহোদয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল মহোদয়, ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়সহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণের সাথে বিএলআরআই-এর সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।র‌্যালিটি বিএলআরআই-এর অভ্যন্তরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে বিএলআরআই-এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বকুল তলায় শিশুদের মধ্যে ডিম বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বিএলআরআই এর প্রধান ফটক হতে পথচারী ও দুঃস্থদের মধ্যে ডিম বিতরণ করা হয়।

বেলা ১১.০০ ঘটিকায় বিএলআরআই-এর চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (বিসিএস লাইভস্টক একাডেমি) জনাব শাহজামান খান। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। উক্ত আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং বিএলআরআই-এর বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মধ্য দিয়ে সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএলআরআই এর পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা। তিনি তার বক্তব্যে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান এবং সম্মানিত সচিব উপস্থিত হয়ে সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন বলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আলোচনা সভায় বিশ্ব ডিম দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব, ডিম খাওয়ার গুরুত্ব ও উপকারিতা এবং বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প ও ডিম উৎপাদনের অতীত ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে উপস্থাপনা করেন বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালক এবং পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টারের দপ্তর প্রধান ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার।

উপস্থাপনার পরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষজ্ঞ কর্তৃক আলোচনা।আলোচনায় অংশ নেন পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ও বিএলআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এবং পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ও বিএলআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার। বক্তারা তাদের বক্তব্যে পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নকল্পে পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টার এবং পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পোল্ট্রি রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রণালয়ের সদয় দৃষ্টি আহ্বান করেন।

বিশেষজ্ঞগণের মতামত প্রদানের পরে আমন্ত্রিত অতিথিগণ বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ অতিথিগণ, সভাপতির বক্তব্যের পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপনমূলক বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই এর পোল্ট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শাকিলা ফারুক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, ডিম একটি সুপার ফুড। আমরা অনেকেই জানি না ডিমের গুরুত্ব কতটা। এই ধরনের দিবসগুলোকে কেন্দ্র করে মানুষের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞান, সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। আমি আরও অনুরোধ করবো, মেয়েরা/মায়েরা প্রতিদিন ডিম খাবেন। তাহলেই আমরা সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবো। এছাড়াও ডিম ও পোল্ট্রির উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা ও অবকাঠামোগত সকল উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ আন্তরিকতার কথা ব্যক্ত করে এ বিষয়ে সকল প্রকার সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

এছাড়াও বিকেলে সাভারের গেরুয়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ডিম বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৩, ২০২৩ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের সাডেন ডেথ সিনড্রোম
পোলট্রি

ডাঃ শুভ দত্ত: মাঝে মধ্যে অনেক ব্রয়লার ফার্ম থেকে অভিযোগ আসে যে, ফার্মে প্রায় সব মুরগীই সুস্থ, স্বাভাবিক খাদ্য-পানি গ্রহন করছে, রোগেরও কোন বাহ্যিক লক্ষন নাই, তারপরেও প্রতিদিন ২-১ টা করে সুস্থ, সবল মুরগী মারা যাচ্ছে। এই সমস্যায় পোস্টমর্টেম করেও কোন রোগের প্রোমিনেন্ট লিশন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই সমস্যায় অনেকেই বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন।

আসলে এই সমস্যাটিকে এসডিএস বা সাডেন ড্রেথ সিনড্রম বলে। এটি দ্রুত বর্ধনশীল মুরগী তথা ব্রয়লারের একটি খুবই সাধারন সমস্যা। মুলত সব বয়সের ব্রয়লার মুরগীতেই (১ দিন থেকে বিক্রয় পর্যন্ত) এই সমস্যাটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইদানিং ১-২ সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগীতে এই সমস্যাটি বেশি পাচ্ছি। সারাবছর এই সমস্যাটা কম বেশি দেখা দিলেও গরমকালে সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। সাধারনত পুরুষ ব্রয়লার মুরগী ও বডি স্কোর ভাল এমন ব্রয়লার মুরগীই এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই সমস্যায় ১-৫% পর্যন্ত মুরগী মারা যেতে পারে।

এই সমস্যাটির সঠিক কোন কারন এখন পর্যন্ত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ধারনা করা হয় সম্ভবত নিম্নোক্ত কারনগুলোর কারনেই এই সমস্যাটি দেখা দেয়। যেমন-
১. স্ট্রেস (লাইট, হাই টেম্পারেচার, ওভার স্টোকিং ডেনসিটি ইত্যাদি)
২. হাই ডেনসিটি ফিড
৩. মেটাবলিক ডিসঅর্ডার মেইনলি রিলেটড টু কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম
৪. ল্যাকটিক এসিডোসিস
৫. কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া
৬. ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স
৭. লো ওয়াটার ইনটেক

এই সমস্যায় মর্টালিটি কনট্রোল করতে অনেক ফার্মারই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে থাকেন যাতে মর্টালিটি আরো বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সুতরাং এমন সমস্যায় অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ নিন সেই সাথে ম্যানেজমেন্টাল ত্রুটিগুলো সমাধান করুন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop