৪:২৯ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৯, ২০২৩ ১০:২২ পূর্বাহ্ন
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য এখন বিপুল সংখ্যক পোলট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে খামারে অনেক সময় প্রভাব পড়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে খামারে বাচ্চা আসার সময় বক্স মর্টালিটি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ব্রুডিং অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মুরগির বাচ্চা মারা যায়।

লেয়ার মুরগির খামারের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন কিছুটা কমে যায়। শীতকালের মত কম জায়গায় বেশি মুরগি পালনের ফলে মুরগির ওজন কম আসে।

খামারে পর্দা ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস জমে এবং মুরগির চোখে এ্যামোনিয়া বার্ন হয়, এসসাইটিস দেখা দেয়। খামারে হঠাৎ মুরগির মড়ক দেখা দিতে পারে এবং খামারিদের লোকসান হয়ে থাকে।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বায়োসিকিউরিটিতে।খামারের মুরগি অসুস্থ হলে সব ঔষধ বন্ধ করে পরিস্কার পানি দেয়া এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

সঠিক ভাবে এলাকা উপযোগী ভ্যাকসিনেশন শিডিউল মেনে চলা।ব্রুডিংয়ের সময় মুরগীর অবস্থা বুঝে তাপ দেয়া। যেমন বাচ্চা ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি করলে তাপ বাড়িয়ে দেয়া।

হঠাৎ অনেক বেশী মড়ক দেখা দিলে অতিদ্রুত পার্শ্ববর্তী ল্যাবে পরীক্ষা করানো।মুরগির খামারে সবসময় জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। রাতের বেলা কোন মতেই যেন পানি গ্যাপ না পড়ে তার দিকে খেয়াল রাখা। যদি গ্যাপ পড়ে যায় এবং পাত্র খালি হয়ে যায় তা হলে পরের বার পানি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২৩ ১২:৩১ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে ডিম সিন্ডিকেট ও কারসাজির হোতাদের ব্যবসা বন্ধ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি
পোলট্রি

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন ডিমের দামে কারসাজির বিভিন্ন  অনিয়মের প্রমান পেয়ে জরিমানা করেছেন। আর এ জরিমানাকে ব্যবসায়ীরা হয়রানি বলে দাবি করে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিম বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের এই ঘোষনার প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকান্ড নিষিদ্ধসহ তাদের সদস্যদের দোকানগুলো সিলগালা করার এবং প্রয়োজনে সিন্ডিকেটের হোতাদেরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির অনিদিষ্ঠ কালের জন্য ডিম বিক্রি বন্ধের ঘোষনার প্রতিবাদে ২৮ আগষ্ঠ ২০২৩ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, আকবরশাহ থানার সভাপতি ডাঃ মাসবাহ উদ্দীন তুহিন ও পাহাড়তলী থানার হারুন গফুর ভুইয়া প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই সরবরাহ জনিত জটিলতা না থাকা সত্তে¡ও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ডিমের বাজার অস্থির করে তুলেছেন মধ্যসত্ত¡ভোগী ডিমব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলো। ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসন সুনির্দিষ্ঠ প্রমানসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই পাহাড়তলী বাজারের পাইকারি ডিমব্যবসায়ী ও আড়তদাররা ‘হয়রানি’র শিকার হচ্ছেন, এমন ভুঁয়া দাবি তুলে ডিম বেচাকেনা বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছেন। তাদের এই ঘোষনাই প্রমাণ করে অসাধু চক্র ডিম ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ও অধিক মুনাফা আশায় কারসাজি করে ডিমের দাম বাড়িয়েছেন। এখন যখন প্রশাসন সেই কারসাজির প্রমান পেয়েছেন তারা এটা ঠেকাতে নিজেরা বেচাকেনা বন্ধের ঘোষনা দিয়ে “শাকদিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন”।

নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন রাখেন, ব্যবসায়ীরা পাকা রশিদ, মূল্য তালিকা টাঙ্গানোসহ সরকারি নিয়মকানুন মেনে, কোন প্রকার কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি না করে ব্যবসা করেন তাহলে তাদের ভয় পাবার কি আছে? তারা একদিকে অপরাধ করবে, অপর দিকে সরকারি আইনের প্রতি বৃদ্ধাগুলি প্রদর্শন করবে। আর প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নেন তখন আবার হয়রানী ধুঁয়া তুলেন। একটি সভ্য সমাজে এর চেয়ে ঘৃণিত কাজ আর হতে পারে না। বিষয়টি অনেকটাই “চোরের মা’র বড় গলার মতো”।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের এখন সর্বত্র অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর সংস্কৃতি। কিছু হলেই তাঁরা এজন্য দায়ী নয়, দায়ী করপোরেট গ্রুপ, আমদানি কারক ইত্যাদি বলে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ঘটনার মোর অন্যদিকে কিভাবে ফেরানো যায় সে চেষ্টাই করা থাকেন। আর ধরা পড়লেই আমাদেরকে নীতিমালা দেয়া হোক ইত্যাদি নানা প্রস্তাবনা দেন। অথচ ব্যবসা কিভাবে করবে, সে বিষয়ে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ এ বিস্তারিত বর্ননা থাকলেও তাদের সেই খুড়া যুক্তি “আমরা জানি না”, “আমাদেরকে নতুন নির্দেশনা প্রদান করা হোক”।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সপ্তাহ দু’এক আগে যে ডিম প্রতি শত ১ হাজার ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত, সেখানে কোনো কারণ ছাড়াই ব্যবসায়ীরা ১ হাজার ২৫০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করছেন। সরবরাহে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ও সিন্ডিকেট করে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কখনো মসলা, কখনো চিনি, কখনো তেল, কখনো ডিম এভাবে একেকদিন তাঁরা একেক পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। যখন প্রশাসন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন, তখন ক্রয়মূল্যের কোনো পাকা রশিদ থাকে না, মূল্য তালিকা বা সরকারি নিয়ম নীতি পালনের বালাই থাকে না। আর জনস্বার্থে এসব অস্থিরতা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলেই তারা নানা টালবাহানা তুলে আইন প্রয়োগকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য নানা ফঁন্দি ফিকির ও ষড়যন্ত্রে মাতোয়ারা হন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২৩ ৭:০২ অপরাহ্ন
ডিম, মুরগি ও ১ দিনের বাচ্চার রবিবারের পাইকারি দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:২৭/০৮/২০২৩ ইং
সময়ঃসন্ধ্যা ৬.৪২ Pm

★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম= ১১.৮০
সাদা ডিম=১১.৪০

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.১০
সাদা ডিম=১০.৭০

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.০০
সাদা ডিম=১০.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজি
কালবার্ড সাদা=২২০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫৫/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫৮-৬০
লেয়ার সাদা=৬২-৬৪
ব্রয়লার=৩৭-৩৮

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=৩১০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫৫-৫৮
লেয়ার সাদা=৫৩-৫৬
ব্রয়লার=৩৮-৪০

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৬০
সাদা ডিম=১০.২০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.১০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬৫/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৫৮-৬০
ব্রয়লার=৩৬-৩৯
সোনালী =৩৪-৩৮

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৯০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৮/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৭০
সাদা ডিম=১১.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৫৮-৬০
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৩২-৩৫

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড=

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
সোনালী মুরগী =২৫০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.১০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজ
সোনালী মুরগী=/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৭০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৬০
সাদা ডিম=১০.১০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.০০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৬/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৪০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৪০
সাদা ডিম=১১.০০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৫০

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১১.০০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১১.১০
সাদা ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=১০.৯০
সাদা ডিম=১০.৬০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A) এবং
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P).

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রুডিং এ আর্দ্রতা যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন খামারী
পোলট্রি

পোল্ট্রি পালনে ব্রুডিং ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ব্রুডিং ব্যবস্থায় আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খামারিদের বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ব্রুডিং এ আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খামারিদের করণীয় কি তা আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না।

ব্রুডিং এ আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খামারিদের করণীয়:
বাচ্চার গ্রোথ ঠিক রাখা এবং অসুস্থতা হতে রক্ষার ক্ষেত্রে আর্দ্রতা অন্যতম বড় ভূমিকা রাখে। ব্রুডিং এ আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দুইটি বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হয়- ১। ব্রুডিং ঘরের আর্দ্রতা ২। মুরগির বিছানা বা লিটারের আর্দ্রতা।

ব্রুডিং এ আমরা কি পরিমাণ আর্দ্রতা রাখবো-
ব্রুডিং ঘরের আদ্রতাঃ বাচ্চা রাখার ঘরকেই ব্রুডিং ঘর বলে। সাধারণত ব্রুডিং ঘরে ১ম সপ্তাহে ৪০-৫০%, ২য় সপ্তাহে ৫০-৬০% এবং পরবর্তী সময়ে ৬০-৭০% আর্দ্রতা রাখতে হয়।

ব্রুডিং ঘরে আর্দ্রতা সঠিক রাখা কেন প্রয়োজন:
ব্রডিং ঘরের আর্দ্রতা সঠিক পরিমাণে হলে বাচ্চার খাদ্য গ্রহণ স্বাভাবিক থাকে, ফলে গ্রোথ ভাল হয়।ব্রুডিং ঘরের সঠিক আর্দ্রতা বাচ্চার পালক গজাতে এবং দৈহিক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মুরগির বিছানা বা লিটারের আদ্রতাঃ শুধুমাত্র ব্রুডিং এ বাচ্চার লিটারে নয় বরং সব বয়সের মুরগির জন্যই লিটারে আর্দ্রতা রাখতে হয় ২০-২৫%। লিটারে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ পোল্ট্রির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়। সাধারণত মুরগির যেসকল রোগ ব্যাধি হয়, তার অধিকাংশই লিটারে আর্দ্রতার তারতম্যের কারনে হয়।

লিটারে আর্দ্রতা কম হলে কি হয়:
লিটারের আর্দ্রতা কম হলে বাচ্চা ডিহাইড্রেশনে বা পানি শূণ্যতায় ভোগে।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিটারে আর্দ্রতা কম থাকলে বাচ্চার পা শুকিয়ে প্যারালাইজড হয়। লিটারে আর্দ্রতা কম থাকলে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা হয় তাহচ্ছে- ধুলি কণা উড়তে থাকে, ফলে বাচ্চার সর্দিসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ হয়।

লিটারে আর্দ্রতা বেশী হলে কি হয়:
লিটারে আর্দ্রতা বেশী থাকলে লিটার ভেজা বা স্যাতস্যাতে হয়ে যায়। ফলে সহজেই এমোনিয়া গ্যাস ফর্ম করে। বাচ্চার চোখ ফুলে যায়, চোখে পানি আসে এবং সর্দিসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। লিটারে আর্দ্রতা বেশী হলে রক্ত আমাশয়সহ লিটার ঘটিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। ব্রুডিং এ বাচ্চার মৃত্যুহার বেশী হওয়ার অন্যতম বড় কারন হচ্ছে লিটারে আর্দ্রতা বেশী হওয়া।

ব্রুডিং এ আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করার উপায়:
ব্রুডিং ঘরের আর্দ্রতা প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভর করে লিটারের উপর। লিটারের আর্দ্রতা বেড়ে গেলে ঘরের সামগ্রীক আর্দ্রতাও বেড়ে যায়। আবার লিটারের আর্দ্রতা স্বাভাবিক থাকলে ঘরের আর্দ্রতাও মোটামুটি ভাবে স্বাভাবিক থাকে। লিটারে আর্দ্রতা বেশী হলে বা ভিজে গেলে তা পরিবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে। আবার আর্দ্রতা কমে গেলে লিটারে পানি স্প্রে করে আর্দ্রতা স্বাভাবিকে রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২৩ ৭:২৫ অপরাহ্ন
ডিম, মুরগি ও ১ দিনের বাচ্চার শনিবারের পাইকারি দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:২৬/০৮/২০২৩ ইং
সময়ঃসন্ধ্যা ৬.২৪ Pm

★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম= ১২.০০
সাদা ডিম=১১.৫০

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
সাদা ডিম=১০.৯০

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮৫/কেজি
কালবার্ড সাদা=/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫৫/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫৮-৬০
লেয়ার সাদা=৬২-৬৪
ব্রয়লার=৩৭-৩৮

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১২.০০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৪৩/কেজি
কালবার্ড লাল=৩১০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫৫-৫৮
লেয়ার সাদা=৫৩-৫৬
ব্রয়লার=৩৮-৪০

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮০
সাদা ডিম=১০.৪০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৮০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬৫/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৫৮-৬০
ব্রয়লার=৩৬-৩৯
সোনালী =৩৪-৩৮

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৮/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৮০
সাদা ডিম=১১.৭০
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৪০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড=

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৪০/কেজি
সোনালী মুরগী =২৫০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯০/কেজ
সোনালী মুরগী=২৫৫/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৩০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৭০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৯০
সাদা ডিম=১০.৪০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.২০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৭/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৭০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৬০
সাদা ডিম=১১.১০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৬০

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১১.৩০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=১০.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১২.০০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=১০.৯০
সাদা ডিম=১০.৬০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A) এবং
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P).

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:২২ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির ওজন বৃদ্ধিতে খামারীদের করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে।এতে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন, সেইসাথে অবদান রাখছেন জাতীয় উন্নয়নে। তবে, ব্রয়লার মুরগি পালনে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। মুরগি পালনে দ্রুত বৃদ্ধি একটি কাঙ্খিত আশা থাকে।

ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর কয়েকটি কৌশল
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে।

বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে। খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২৩ ৬:৫৩ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের সাডেন ডেথ সিনড্রোম রোগের সমাধান
পোলট্রি

ডাঃ শুভ দত্ত: মাঝে মধ্যে অনেক ব্রয়লার ফার্ম থেকে অভিযোগ আসে যে, ফার্মে প্রায় সব মুরগীই সুস্থ, স্বাভাবিক খাদ্য-পানি গ্রহন করছে, রোগেরও কোন বাহ্যিক লক্ষন নাই, তারপরেও প্রতিদিন ২-১ টা করে সুস্থ, সবল মুরগী মারা যাচ্ছে। এই সমস্যায় পোস্টমর্টেম করেও কোন রোগের প্রোমিনেন্ট লিশন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই সমস্যায় অনেকেই বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন।

আসলে এই সমস্যাটিকে এসডিএস বা সাডেন ড্রেথ সিনড্রম বলে। এটি দ্রুত বর্ধনশীল মুরগী তথা ব্রয়লারের একটি খুবই সাধারন সমস্যা। মুলত সব বয়সের ব্রয়লার মুরগীতেই (১ দিন থেকে বিক্রয় পর্যন্ত) এই সমস্যাটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইদানিং ১-২ সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগীতে এই সমস্যাটি বেশি পাচ্ছি। সারাবছর এই সমস্যাটা কম বেশি দেখা দিলেও গরমকালে সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। সাধারনত পুরুষ ব্রয়লার মুরগী ও বডি স্কোর ভাল এমন ব্রয়লার মুরগীই এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই সমস্যায় ১-৫% পর্যন্ত মুরগী মারা যেতে পারে।

এই সমস্যাটির সঠিক কোন কারন এখন পর্যন্ত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ধারনা করা হয় সম্ভবত নিম্নোক্ত কারনগুলোর কারনেই এই সমস্যাটি দেখা দেয়। যেমন-
১. স্ট্রেস (লাইট, হাই টেম্পারেচার, ওভার স্টোকিং ডেনসিটি ইত্যাদি)
২. হাই ডেনসিটি ফিড
৩. মেটাবলিক ডিসঅর্ডার মেইনলি রিলেটড টু কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম
৪. ল্যাকটিক এসিডোসিস
৫. কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া
৬. ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স
৭. লো ওয়াটার ইনটেক

এই সমস্যায় মর্টালিটি কনট্রোল করতে অনেক ফার্মারই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে থাকেন যাতে মর্টালিটি আরো বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সুতরাং এমন সমস্যায় অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ নিন সেই সাথে ম্যানেজমেন্টাল ত্রুটিগুলো সমাধান করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২৩ ৯:০৫ অপরাহ্ন
মুরগির বদঅভ্যাস রোধে খামারিদের করণীয় 
পোলট্রি

দেশে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণে বর্তমানে ব্যাপকহারে মুরগি পালন করা হচ্ছে। খামারে মুরগি পালনের সময়ে কিছু বদঅভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। মুরগির বদঅভ্যাস রোধে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থাপনা খামারিদের জেনে রাখা দরকার। 

মুরগির বদঅভ্যাস রোধে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থাপনা:

খামারের তাপের প্রভাব:
মুরগির খামারে অতিরিক্ত গরম দেখা দিলে মুরগির মধ্যে বদঅভ্যাস মারাত্মক আকারে লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত তাপের ফলে মুরগির বিপাকক্রিয়া ভালো হয় না। যার ফলে মুরগির খাদ্যের প্রতি অনীহা দেখা যায়। গরমে একে অপরের সঙ্গে হিংসাত্মক ভাব প্রদর্শন করে। যার ফলে এক মুরগি অন্য মুরগিকে ঠোকর মারতে থাকে।

খাদ্য ও খাদ্যের পাত্র:
মুরগির জন্য সর্বদা পানির সরবরাহ রাখতে হয়। মুরগি তার প্রয়োজন মতো পানি পান করতে থাকে। পানিপাত্রের অভাব হলে মুরগির মধ্যে হিংসাত্মক ভাব প্রকাশ পায়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পানি ও খাদ্য গ্রহণ করে। আর এসব অবস্থার জন্য মুরগির মধ্যে ক্যানাবলিজমের প্রভাব বেড়ে যায়।

মুরগির ঘনত্ব:
মুরগিকে তার প্রয়োজন মতো জায়গা দিতে হয়। সেক্ষত্রে যদি তার জায়গার ঘাটতি হয় সেক্ষেত্রে এ বদঅভ্যাস শুরু হয়ে যেতে পারে। এজন্য খামারে বাচ্চার জন্য নির্ধারিত জায়গা রাখা জরুরী।

আলোর তীব্রতা:
প্রয়োজনীয় আলো মুরগির জন্য খুবই জরুরী। এর চেয়ে মাত্রা বেশি হলে তা ক্ষতিতে রূপ নিতে থাকে। এজন্য খামারের প্রয়োজন অনুযায়ী আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিৎসার অভাব:
মুরগি কোনো জীবাণু বা কোনোভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসার প্রয়োজন। অন্তত তাকে আলাদাকরণ খুব প্রয়োজন। আর এ চিকিৎসার যদি কোনো ঘাটতি হয় এবং যদি দেরি হয় তাহলে অন্য মুরগি সেই আক্রান্ত মুরগিকে নতুন করে ঠোকরানো শুরু করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২৩ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
দেশ বিদেশের বড় চাকরি ছেড়ে গ্রামে গড়েছেন এন্টিবায়োটিকমুক্ত মুরগির খামার
পোলট্রি

বুয়েট থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলে পড়াশোনা করে বড় বড় মাল্টিমিডিয়া, টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির চাকরি আর ইউরোপের চাকচিক্যের জীবন ছেড়ে, দেশে এসে মুরগির খামার করেছেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরইতলী গ্রামের প্রকৌশলী ইমরুল হাসান। নিজ গ্রামেই প্রতিষ্ঠা করেছেন ভিন্ন এক মুরগির খামার, যার নাম ‘অর্গানিক চিকেন’। বর্তমানে ইমরুলের ফার্মে প্রায় দেড় হাজারের মুরগি রয়েছে। ক্রেতাদের ঘরে ঘরে এন্টিবায়োটিকমুক্ত মুরগি পৌঁছে দেয়ার জন্য ইমরুলের রয়েছে নিজস্ব ফ্রিজিং ভ্যান।

জানা যায়, ইমরুল ২০০৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশোনা শেষ করে যোগ দেন শিক্ষকতায়। অল্প কিছুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার পর যুক্ত হন টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে। দেশে তিন বছর কাজ করে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কিছুদিন কাজ করে আবার মিসর, ফিলিপাইন, আবুধাবি প্রভৃতি দেশে ছয় বছর কাজ করেন; পেয়েছেন যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্বও। কিন্তু সেই মোহ ইমরুলকে আটকাতে পারেনি। নাড়ির টানে ফিরে আসেন পৈতৃক বাড়িতে।

কিছুদিন আগেই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে ইমরুল জানিয়েছেন আভিজাত্য চাকরি আর নাগরিকত্বের হাতছানি ছেড়ে তার দেশে ফিরে আসার কারণ।

ইমরুল বলেন, ‘দু’টি কারণে দেশে ফেরার তাগিদ অনুভব করলাম। আমার বড় ভাই ডাক্তার। তাঁর পক্ষে বাবা-মা’কে দেখাশোনা করা সম্ভব হচ্ছিলো না, তাই বৃদ্ধ বাবা-মার পাশে থাকা প্রয়োজন তাঁদের দেখাশোনার। অন্যদিকে আমার মেয়েটা ক্লাস টু-তে পড়ে। এই সময়ে তাকে ছয়বার স্কুল পাল্টাতে হয়েছে। তাই সেসব চিন্তা করে ২০১৪ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরলাম।’

দেশে ফিরে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে ভালোই চলছিল ইমরুলের দিনকাল। কিন্তু এরমধ্যে সারা পৃথিবীব্যাপি হানা দিল করোনা ভাইরাস। সেসময় ইমরুল ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করেন।

যে চিন্তা সেই কাজ— গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিজের গ্রামের বাড়িতেই শুরু করে দিলেন গরু-ছাগলের ফার্ম। কীভাবে ফার্মের গরু-ছাগলদের মান ভাল রাখা যায়, সেটার জন্য রীতিমত রিসার্চ করে বের করলেন সব ফন্দি; নিজেই যেহেতু প্রকৌশলী তাই তাকে এর জন্য বেশি বেগ পোহাতে হয়নি। কিন্তু এরমাঝে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতালে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন কোনোমতে। তারপর আবার পুরোদমে শুরু করলেন ‘অর্গানিক চিকেন’ খামার নামে মুরগির ব্যতিক্রমি এক খামার। তবে তা গৎবাঁধা কোন খামার নয়, আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৃতির সমন্বয়ে স্মার্ট ফার্মিং। খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে আলো-বাতাসের পর্যাপ্ততা নির্ণয়, পানি ব্যবস্থাপনা, সবই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। ইমরুলের নিজের হাতে তৈরি এসব প্রযুক্তি।

অর্গানিক চিকেন এমন ফার্ম তৈরির চিন্তার ব্যাপারে ইমরুল হাসান জানান, ‘গতবছর আমি করোনায় আক্রান্ত হলাম। হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো। ভয়াবহ অবস্থা। হাসপাতালে শুয়েই চিন্তা করছিলাম আমাদের ইমিউন সিস্টেম নিয়ে। অর্থাৎ আমাদের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিচ্ছে না। খাদ্যের ভেজাল আমাদের সর্বনাশ করে দিচ্ছে। তখনই চিন্তা করলাম বেঁচে থাকলে অর্গানিক খাদ্য উৎপাদন করব। আল্লাহর অশেষ রহমতে এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম। বেঁচে ফিরে চিন্তা করতে থাকলাম কীভাবে শুরু করা যায়। এবার পড়াশোনা শুরু করলাম অর্গানিক উপায়ে মুরগি উৎপাদনের।

বর্তমানে ইমরুলের ‘অর্গানিক চিকেন’ ফার্মের বয়স বছরখানেক হয়েছে, এর মাঝেই তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তবে সচরাচর বাজারে পাওয়া ফার্মের মুরগির চাইতে দরে কিছুটা বেশি শিমুলের অর্গানিক চিকেন খামারের মুগির দাম। দামে কিছুটা বেশি রাখার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা অর্গানিক মুরগি কেজি দরে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। যদিও বাজারের ফার্মের মুরগি ১৬০-১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু টাকা বেশি নিচ্ছি, কারণ আমরা অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ও প্রাকৃতিকভাবে মুরগি বড় করছি বলে খরচ অন্যদের চেয়ে বেশি।

মুরগিকে অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সুস্থ রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হয়। অর্গানিক গাইডলাইন মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করতে খরচটা বেশি হয়। এর সাথে যোগ হয় বিদ্যুৎ খরচ। তবে আমরা চেষ্টা করছি খরচটা আরও কীভাবে কমিয়ে আনা যায়।’

কোনরকম অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার ফলে বিভিন্ন ঋতু পরিবর্তনে মুরগি বাঁচিয়ে রাখা অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও ইমরুল কোনোরকমের কৃত্রিম অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন না। ফলে লোকসানের মুখেও পড়তে হয়েছে। একবার পুরো খামারের প্রায় ৪০ শতাংশ মুরগি মারা পড়ল। সে যাত্রায় লোকসান হলো ৬ লাখ টাকা। আরেকবার মারা গেল ৬০ শতাংশ মুরগি। তবে সেগুলো ছোট হওয়ায় লোকসান কিছুটা কম ছিল। ইমরুল বলেন, ‘এখনো ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মাধ্যমে এগোচ্ছি। লাভ-লোকসানের ঝুঁকির মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ব্যবসা এমনি।’

বর্তমানে ইমরুলের ফার্মে প্রায় দেড় হাজারের মুরগি রয়েছে। ক্রেতাদের ঘরে ঘরে এন্টিবায়োটিকমুক্ত মুরগি পৌঁছে দেয়ার জন্য ইমরুলের রয়েছে নিজস্ব ফ্রিজিং ভ্যান। অর্ডার করলেই সেই ভ্যানের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি মুরগি পৌঁছে দেন। ইমরুল স্বপ্ন দেখেন, একদিন শিক্ষিত যুবকেরা চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরাই হয়ে উঠবেন উদ্যোক্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২৩ ৮:২০ অপরাহ্ন
ডিম, মুরগি ও ১ দিনের বাচ্চার শুক্রবারের পাইকারি দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:১১/০৮/২০২৩ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=৫০ টাকা হালি
সাদা ডিম=৫০ টাকা হালি

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=
সাদা ডিম=

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজি
কালবার্ড সাদা=২১০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
লেয়ার সাদা=
ব্রয়লার=

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১৩.০০
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
লেয়ার সাদা=
ব্রয়লার=

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৯০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৯০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৮/কেজি
কালবার্ড লাল=২৯৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৫০-৫৫
ব্রয়লার=৩৮-৪২
সোনালী =৩৫-৪০

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১২.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৪/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১২.৭০
সাদা ডিম=১২.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৫৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৫০
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৩৫

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৭০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড=

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
সোনালী মুরগী =২৫০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=
সাদা ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১২.৩০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১২.৪০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=১২.১০
ব্রয়লার মুরগী=১৭৫/কেজি
কালবার্ড লাল=৩০০/কেজ
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=১৫০/কেজি
লেয়ার মুরগী=২৮০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=
সোনালী হাইব্রিড =

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৮০
সাদা ডিম=১১.৩০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১২.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৪২/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৭০
সাদা ডিম=১১.০০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১২.৩০

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১২.৩০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১২.১০
সাদা ডিম=১১.৭০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১৩.০০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=১১.৮০
সাদা ডিম=১১.৪০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A) এবং
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P).

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭০

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop