৭:৫০ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার – মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারে বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)-এর সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সুনীল অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ: গবেষণা অর্জন ও সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আইন করেছিলেন। সেই আইনের উপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রসীমায় অধিকার অর্জনের কাজ শুরু করেন। সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া আর কোন সরকার কোন পদক্ষেপ নেয় নি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেরা কুটনৈতিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ আয়তনের সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি। সে সমুদ্রসীমায় সম্পদ আহরণ ও তার গুণগত ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এ বিষয় নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে বিএফআরআই।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গবেষণায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিচ্ছেন, সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। দেশের সর্বত্র গবেষণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে মৎস্যসম্পদে আমূল পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত ও পৃষ্ঠপোষকতায় এটা সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৫২ টি দেশে আমাদের মৎস্য রপ্তানি হয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। মৎস্য রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ক্রমান্বয়ে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, সরকার চায় সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাত সমন্বিতভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাক। বেসরকারি খাতকে সহায়তা করার জন্য সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মৎস্য খাতে বিএফআরআইয়ের গবেষণা সাফল্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নতুন নতুন কার্যক্রম সংযোজন করছে। সমুদ্রে মাছের মজুদ নিরূপণে গবেষণা জাহাজ আরভি মীন সন্ধানী জরিপ পরিচালনা করছে। প্রচলিত ও অপ্রচলিত সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে বিএফআরআই গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ আহরণের সরকারের উদ্যোগে জাহাজ আনা হচ্ছে। এভাবে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকার যে পর্যায়ে যা কিছু সহযোগিতা দরকার তা সম্প্রসারণ করছে।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, সমুদ্রসম্পদ আহরণে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতের কাজের মধ্যে সুসমন্বয় থাকা দরকার। পাশাপাশি এ খাতে গবেষণা ফলাফল ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে গবেষণার সাফল্য ছড়িয়ে দিতে হবে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিই শুধু নয়, বরং গুণগতমানের মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও জানান, আমাদের সমুদ্রে সীউইডসহ যে অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ রয়েছে তার আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে। এর ব্যবহার ও বিপণন কিভাবে করা যায় সেটাকে গবেষণার অংশে পরিণত করতে হবে। গবেষণার অর্জন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এহসানুল করিম।

এদিন বিকালে কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক কক্সবাজার জেলায় বাস্তবায়নাধীন শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্পের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩ ১:২১ অপরাহ্ন
গোয়ালঘরে আগুন, তিন বিদেশি গরু পুড়ে ছাই!
প্রাণিসম্পদ

গোয়ালঘরে তিনটি বিদেশি উন্নত জাতের গরু ছিল। আগুনে তা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসব গরুর দুধ বিক্রি করেই আমার সংসার চলত। কিন্তু এক আগুনেই সব শেষ হয়ে গেল। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও তারা সময়মত না আসায় এতো ক্ষতি হলো আমার। ’

কথাগুলো বলছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের মো. খাইরুল ইসলাম।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে বাগবাড়ি গ্রামের মো. খাইরুল ইসলামের বসতবাড়ির গোয়ালঘরে আগুন লেগে বাড়ির সব গৃহপালিত পশু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

জানা যায়, আগুনে পুড়ে তিনটি উন্নত জাতের গরু, তিনটি ছাগল ও সাতটি হাঁস এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ভোরে গোয়ালঘরে আগুন দেখে মসজিদের মাইকে জানালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু তার আগেই আগুনে বাড়ির সব গবাদিপশুসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা কাদেরী কিবরিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ যে সময় পেয়েছিলাম, সে সময় তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তাতে সাড়া দিতে পারিনি। কারণ আমাদের ইউনিট অন্য আরেকটি জায়গায় আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিল।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ২:৫২ অপরাহ্ন
বরিশালে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে তিন গরু হত্যার অভিযোগ
প্রাণিসম্পদ

বরিশালের গৌরনদীতে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে পশুগুলোর মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু খান জানান।

এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অভিযোগকারী রাজু খান উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উত্তর শরিকল গ্রামের নুরে আলম খানের ছেলে।

তিনি জানান, “শনিবার সকালে গরুগুলোকে গোয়াল ঘর থেকে বের করে পাশের খোলা জায়গায় চাড়ির (গরুকে খাবার দেওয়ার কনক্রিটের বড় পাত্র) সামনে বেঁধে খাবার দেওয়া হয়। চাড়িতে আগেই কিছু পানি ছিল। আমার বাবা সেই পানির সঙ্গে খৈল, ভূসি ও কুড়া মিশিয়ে গরুকে খেতে দেন।”

রাজু খান আরও বলেন, ওই খাবার খেয়ে বেলা ১১টার দিকে চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে একটি গর্ভবতী গাভি মারা গেলে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে চিকিৎসা দেওয়ার পরও একটি গর্ভবতী গাভি ও একটি বাছুর মারা যায়।

তার অভিযোগ, রাতের আঁধারে কে বা কারা শত্রুতা করে গরুর চাড়িতে বিষ ঢেলে রেখেছে। যা খেয়ে গরু তিনটি মারা গেছে। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গৌরনদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই একটি গাভি মারা যায়। পরে একটি বাছুর ও অপর গাভিটি মারা যায়।

একটি বাছুরকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ায় গরু তিনটি মারা গেছে। বিষের ধরন জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে; ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রতিবেদন এলে বলতে পারবো।”

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, “এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রাজু খান থানায় জিডি করেছেন। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩ ৯:৪৩ অপরাহ্ন
রাজধানীতে বিএসএসএফ এর আর্ন্তজাতিক সায়েন্টিফিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

রাজধানীতে বাংলাদেশ সোসইটি ফর সেইফ ফুড (বিএসএসএফ) এর ৫ম আর্ন্তজাতিক সায়েন্টিফিক কনফারেন্স ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে । শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসইটি ফর সেইফ ফুড (বিএসএসএফ), এফএও বাংলাদেশ ও নিউট্রিশন ইউনিট, বিএআরসি’র সহযোগীতায় দিনব্যাপী এই সায়েন্টিফিক কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয় । বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর মিলনায়তনে এই কনফেরেন্স এর আয়োজন করা হয় । কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য ছিল “Safe and Nutritious Foods through One Health Approach” ।

উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এবং ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মশিউর রহমান, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিস সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)। কনফারেন্সে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এরিক ব্রাম, কান্ট্রি টিম লিডার, একটাড, এফএও বাংলাদেশ। উক্ত কনফারেন্সে সঞ্চালনায় ছিলেন ড. কেএইচএম নাজমুল হোসাইন নাজির, জেনারেল সেক্রেটারী এবং সভাপতিত্ব করেন ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুড।


উক্ত কনফারেন্সে ভারত, চীন, ফিলিপাইনসহ দেশী বিদেশী গবেষকগন ৩টি প্লেনারি, ১৫ টি ওরাল ও ৩৬ টি পোস্টার উপস্থাপিত হয়। কনফারেন্সে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও প্রাইভেট কোম্পানি হতে দুইশতাধিক গবেষক অংশগ্রহন করেন। গবেষকগন বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। আয়োজকগন মনে করেন কনফারেন্সে উপস্থাপিত গবেষণালব্দ ফলাফল বাংলাদেশের জনগনের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। কনফারেন্সে শেষে দুই ক্যাটাগরিতে মোট ছয়জন গবেষককে পুরষ্কৃত করা হয়। সবশেষে সোসাইটির এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
ছোট আকারের ছাগলের খামার থেকে লাভ করার উপায়
প্রাণিসম্পদ

ছোট আকারের ছাগলের খামার হওয়ার কারণে দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল পালনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ কেউ ছাগলের খামার গড়ে তুলছেন।

ছোট আকারের ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার উপায়:
সঠিক পদ্ধতি জেনে ছাগল পালন করলে ছোট খামার থেকেও সহজেই লাভবান হওয়ার যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার জন্য প্রথমেই উচ্চমানের ও ভালো জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। এজন্য খামারের ছাগল কেনার সময় জাত সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ছোট খামারে ছাগল পালন করা হলে প্রত্যেকটি খরচের হিসাব রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে খামারে আয়ের তুলনায় যাতে ব্যয় বেশি না হয়। খামারে কোন কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে খরচ কমিয়ে আনতে হবে। খামারে ছাগল পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য ভালো খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। ছাগলকে দৈনন্দিন সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে খামারের আশপাশে পতিত জমিতে ঘাসের চাষ করতে হবে।

ছাগলের খামার ছোট হলেও নিয়মিত খামারকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পালন করা ছাগলকে রোগমুক্ত রাখতে হবে প্রয়োজনে খামারে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। লাভবান হওয়ার জন্য ছাগলের বাজার দর সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে। দাম কমার সময়ে ছাগল কিনতে হবে আর দাম বৃদ্ধি পেলে ছাগল বিক্রি করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
ড্রীম স্কয়ার রিসোর্টে ফার্মা এন্ড ফার্ম এর “বাৎসরিক পিকনিক ২০২৩” অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

সিনিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং দেশের ভেটেরিনারি মেডিসিন জগতের অন্যতম স্বনামধন্য ও শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ফার্মা এন্ড ফার্ম কর্তৃক বাৎসরিক পিকনিক ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গাজিপুরের ড্রীম স্কয়ার রিসোর্টে এই পিকিনিকিটি অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিল গ্রুপের চেয়ারম্যান নিহারুন নাহার বিলকিস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্মা এণ্ড ফার্ম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হাসান আনসারী। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার ডাঃ খন্দকার হেলাল উদ্দীন, জেনারেল ম্যানেজার (সেলস এন্ড মার্কেটিং) ডাঃ তাপস কুমার ঘোষ, রুপালী ব্যাংকের জিএম ও প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিল গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব নিহারুন নাহার বিলকিস বলেন, দেশের প্রাণীসম্পদ সেক্টরের উত্তরোত্তর অগ্রগতিতে ফার্মা এণ্ড ফার্ম খামারিদের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য বাজারজাত করছে আর প্রতিষ্ঠানটির সুদক্ষ টেকনিক্যাল ও সেলস টিমের মাধ্যমে খামারীদের লাভবান করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে; সবাইকে নিয়ে আজকের এই পিকনিকটি বিগত দিনের সাফল্যের স্বীকৃতি এবং আমাদের আগামী দিনে কর্মস্পৃহা জোগাবে ।

ফার্মা এণ্ড ফার্ম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হাসান আনসারী বলেন, প্রান্তিক খামারিদের কাছে আমাদের পণ্যের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সর্বোচ্চ গুনগতমান বজায় রেখে আগামী দিনেও খামারীদের সাফল্যে অংশীদার হতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দিনব্যাপী এই আয়োজনে ভলিবল, দড়ি টানা, বেলুন ফাটানোসহ বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় । মূল আকর্ষণ ছিল র‍্যাফেল ড্র ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
কোয়েল পালনে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে লিটনের
পোলট্রি

দিনাজপুরে কোয়েল পাখির খামার করে আর্থিকভাব স্বচ্ছল হচ্ছেন অনেকেই। কম পরিশ্রম, স্বল্প জায়গায় ও কম খাদ্যেই এই পাখির খামার করা যায়। তাই দিন দিন কোয়েল পাখির খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ডিম ছাড়াও মাংসের জন্যও বিক্রি করে আয় করা যায়। এছাড়াও রোগ বালাই কম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্য পোল্ট্রির চেয়ে বেশি।

জানা যায়, গত ৪ মাস আগে প্রথম ৪০টি পাখি নিয়ে খামার গড়ে তোলেন দিনাজপুর সদরের উলিপুরের আসাদুজ্জামান লিটন। বর্তমানে তার খামারে ছোট-বড় নিয়ে ৩৬০টি কোয়েল রয়েছে। এখন প্রতিদিন ডিম পাওয়া যায় ১৬০-১৭০টি। ১ হাজার খামার গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

বাজারে পাখি বড়গুলো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ টাকা এবং ডিম পাইকারী ২৫০ টাকা ‘শ’। আর খুচরা বিক্রি প্রতি হালি ১২ টাকা। একটি পাখি প্রকারভেদে ৩৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়। একটি পাখি ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে ডিম পাড়ে।

খামারি আসাদুজ্জামান লিটন জানান, গত ৪ মাস আগে বাজার থেকে প্রথম ৪০টি পাখি কিনে আনি। বর্তমানে ছোট ১১০টি এবং বড় ২৫০টি পাখি রয়েছে। এখন বড় পাখিগুলো থেকে প্রতিদিন ১৬০ থেকে ১৭০টি ডিম পাওয়া যায়। প্রতি মাসে এসব কোয়েল পাখির খাবারে খরচ হয় সাড়ে ৬ হাজার টাকা। শুধুমাত্র ডিম বিক্রি থেকেই পাওয়া যায় ১২ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, এই পাখির রোগ বালাই কম। যে কেউ একটু যত্ন নিলে কোয়েল পাখি বা তার ডিম বিক্রি করে অনায়াসে লাভ করা সম্ভব। তাছাড়া মুরগির তুলনায় কোয়েলের দেহের মাংসের ওজন আনুপাতিকহারে বেশি হয়। কোয়েলের বেঁচে থাকার হার মুরগির তুলনায় বেশি। তাই কোয়েল পালনে যে কেউ স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৩ ৮:২৪ অপরাহ্ন
বিএসএসএফ এর সম্মেলন ১৮ ফেব্রুয়ারি, রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে
পোলট্রি

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুড (বিএসএসএফ) আয়োজিত “খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পঞ্চম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন (ISCFSH)”

সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে। উদ্বোধন করবেন মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সম্মেলনে যোগ দিতে চলছে রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। আসন সংখ্যা সীমিত।

রেজিস্ট্রেশন করুন এখান থেকে : বিএসএসএফ এর সম্মেলন ১৮ ফেব্রুয়ারি,আসন সংখ্যা সীমিত

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
AHCAB এর ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি
প্রাণিসম্পদ

Animal Health Companies Association of Bangladesh (AHCAB) এর দুই বছর (২০২৩-২০২৫) মেয়াদি কার্যনির্বাহী কমিটি (১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি) পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত আহকাব ফেব্রুয়ারী) এর বোর্ড রুমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের জন্য কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষনা করা হয়।  এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন নোভিভো এনিমেল হেলথ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম উল হক এবং মহাসচিব পদে পুন:নির্বাচিত হন ইমপেক্স মার্কেটিং লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আফতাব আলম।

আহকাব এর নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. হামিদুর রহমান (যুগ্ম সচিব – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়) বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৩০ জন থেকে সমঝোতার ভিত্তিতে ১৫ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বাকি ১৫ জন জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

নতুন কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে এফটিডিসি ট্রেড অ্যান্ড কনসালটেশন এর ডা. আবদুস সবুর, যুগ্ম সচিব হিসেবে সেইফ বায়ো প্রোডাক্টস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার জাহান,  কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আদিয়ান এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জামিল হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ইসলাম এন্টারপ্রাইজ এর এ এম আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত সদস্যদের পুরো লিস্টঃ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ৬:৪৪ অপরাহ্ন
দেশে ছাগলের সংখ্যা দুই কোটি ৬৭ লাখ, গরু আড়াই কোটি
প্রাণিসম্পদ

দেশে দুই কোটি ৬৭ লাখ ৭৪ হাজার ছাগল রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে তিনি এতথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, সর্বশেষ প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী দেশে দুই কোটি ৪৭ লাখ গরু এবং ১৫ লাখ ৮ হাজার মহিষ আছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জনপ্রতি নূন্যতম ১২০ গ্রাম হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মাংসের চাহিদা ৭৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। তিনি বলেন, দেশি উৎস থেকে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের তাগিদ, আধুনিক রুষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ূষ্টপুষ্টকরণ খামারের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটায় আমদানি নির্ভর কোরবানির পশুর বাজার স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop