১১:২৮ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২২ ১২:৪২ অপরাহ্ন
বিএলআরআই এর ‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএলআরআই কর্তৃক ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে ‘বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ-২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে

গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে নিজস্ব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়

প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির সমাপনী ঘোষণা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জনাব সুবোল বোস মনি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ও একুশে পদক বিজয়ী ড. জাহাঙ্গীর আলম খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. তালুকদার নূরুন্নাহার ও ড. নাথু রাম সরকার।অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুইদিনব্যাপী চলা এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব সুবোল বোস মনি বলেন, বর্তমানে কৃষির কেবল অভ্যন্তরীন বাজার বিদ্যমান। আমাদের কৃষির বৈদেশিক বাজার তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞানীদের কেবল ২০৩০ বা ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে কাজ করলে হবে না, নিজেদের সময়কে অতিক্রম করে ভাবতে হবে। সকল বিজ্ঞানী একই রকমভাবে ভাবলে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে না। এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন চাকুরি জীবনের শেষে এই বেদনায় ভুগতে না হয় যে এই জাতিকে আরও অনেক কিছু দেবার ছিলো।

সভাপতির বক্তব্যে ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে যেনো তা দেশের প্রান্তিক খামারিদের প্রয়োজনে লাগে। একই সাথে তরুণ ও আধুনিক খামারিদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়েও আমাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। আগামী দিনের গবেষণা প্রকল্পসমূহকে ঢেলে সাজানো হবে, যেন তা টার্গেট পূরণে সহায়তা করে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তা নেওয়া হবে। দুইটি প্রতিষ্ঠান এক হয়ে কাজ করলে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দুইদিনব্যাপী চলমান এই কর্মশালায় মৌখিক উপস্থাপনা ও পোস্টার উপস্থাপনার মাধ্যমে উপস্থাপিত গবেষণা প্রকল্পসমূহকে পুরষ্কৃত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২২ ৩:১৫ অপরাহ্ন
বগুড়ার শেরপুরে শৌখিন পাখির বাণিজ্যিক খামার
প্রাণিসম্পদ

ছোটবেলা থেকেই পাখি পালনের শখ ছিল হুমায়ুন কবিরের। সেই শখ থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি শুরু করেন পাখি পালন। এমনকি শিক্ষাজীবন শেষ হলেও চাকরির পিছে না ঘুরে পাখির খামার গড়ার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী শিক্ষক বাবার নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতেই শৌখিন খামার বানিয়ে দুই জোড়া বাজরিগার ও কিছু ফিঞ্চ পাখি কেনেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি হুমায়ুন কবিরকে।

ধীরে ধীরে শৌখিন পাখির খামারটি বাণিজ্যিক খামারে পরিণত হয়। বর্তমানে তার খামারে সহস্রাধিক বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। শখের এই খামার থেকেই সব খরচ বাদে প্রতি মাসে আয় করছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তার খামার দেখে এবং পরামর্শ নিয়ে অনেকেই পাখির বাণিজ্যিক খামার গড়ছেন। তাই পাখির রাজ্যে হুমায়ুন কবিরের নাম বার্ডস কিং হিমু। বিশেষ করে ইউটিউব ও অনলাইন জগতে এই নামেই তাকে চেনেন সবাই।

সরেজমিনে সাধুবাড়ী গ্রামে গিয়ে হুমায়ুন কবিরের পাখির খামারের কথা বলতেই একবাক্যে সবাই চেনেন। বাড়িতে ঢুকতেই পাখির কলরব শোনা যাচ্ছিল। তখন হুমায়ুন কবির পাখিদের পরিচর্যা করছিলেন। বাড়ির মধ্যে একাধিক বড় বড় শেডে বিশাল পাখির খামার। সেখানে লাভবার্ড, বাজরিগার, ককাটেল, জাভা, বিদেশি ঘুঘু, ফিঞ্চ, ডায়মন্ড, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ হাজার পাখি রয়েছে। ২৬ বছর বয়সি যুবক হুমায়ুন কবির বলেন, বিগত ২০১০ সালে তার শখের পাখির খামারটি বাণিজ্যিক খামারে পরিণত হয়। এসব পাখি তিনি অনলাইন ও মুঠোফোনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্রি করে থাকে।

হুমায়ুনের সাফল্য দেখে এলাকার আরো অন্তত দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ বাণিজ্যিক পাখির খামার গড়ে তুলেছেন। সরকারি-বেসরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়া ব্যক্তিরাও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শৌখিন পাখির খামার গড়ে তুলেছেন। অবসর সময় কাটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে এটিকে বেছে নিয়েছেন। তাদেরই এক জনের নাম মাহফুজার রহমান। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাসার ছাদেই গড়ে তুলেছেন সৌখিন পাখির খামার। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই সেটি বাণিজ্যিক খামারে পরিণত হয়েছে। তার খামারেও রয়েছে অন্তত ১৫ প্রজাতির বিভিন্ন বিদেশি পাখি। প্রতি মাসে নব্বই থেকে ১ লাখ টাকার পাখি বিক্রি করে থাকেন। তিনিও মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন ঐ খামার থেকে।

একইভাবে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকোরকোলা গ্রামের মাহবুব হোসেন, পৌরশহরের স্যান্যালপাড়ার স্কুলছাত্র লাবিব হাসান, বিকাল বাজারের কলেজছাত্র আবু রায়হান রনি, খন্দকারটোলার ফাহিমসহ আরো অনেকেই পাখির খামার গড়ে ইতিমধ্যে সফলতা পেয়েছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান এই প্রসঙ্গে বলেন, এই উপজেলায় শৌখিন পাখির খামার গড়ায় অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বেকার তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও এই খামার গড়ে তুলেছেন। এটি একটি লাভজনক খাত। তাই তার দপ্তরের থেকে এসব পাখি পালনে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

সেই সঙ্গে খামারের পাখিরা অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার ওষুধও বিনা মূল্যে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় বলে জানান এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৭, ২০২২ ৫:৫৯ অপরাহ্ন
বিএলআরআই এর অনেক গবেষণালব্ধ সৃষ্টি রয়েছে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি এখন রাষ্ট্রের বিরোধিতা শুরু করেছে। তারা বিশ্বে ৮টি ফার্ম নিয়োগ করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য টাকা বিনিয়োগ করেছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করছে। তারা সবকিছুর ভেতরে নেতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছে। তারা প্রথম বলেছে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করতে হবে। এখন যখন আইন পাস করা হয়েছে, তখন তারা বলছে এতো তড়িঘড়ি করা ঠিক না। যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা, বিএনপি’র অবস্থা এখন সেরকম হয়েছে। ভালো কাজকে ভালো বলার মানসিক অবস্থা এখন তাদের নেই। এর দ্বারা মানুষের কাছে বিএনপি অস্তিত্বহীনতার জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে”।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর কনফারেন্স হলে ইনস্টিটিউটের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সমসাময়িক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “করোনা সংকটের মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা, গবেষণা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কারণ দেশের ১৭ কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশে নতুন নতুন গবেষণার সৃষ্টি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে”।

এ সময় বিএলআরআই এর গবেষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “গবেষণা ক্ষেত্রে সবটুকু মেধা ও যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে হবে। নিজের মেধা দিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশের জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাজ করতে হবে। গবেষকদের মধ্যে সৃষ্টির তৃষ্ণা থাকতে হবে”।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণা খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছেন। তিনি সব সময় গবেষণাকে সমৃদ্ধ করার কথা বলেন। বিএলআরআই এর অনেক গবেষণালব্ধ সৃষ্টি রয়েছে। তবে এ সৃষ্টিতেই থমকে যাওয়া যাবে না। সৃষ্টির উল্লাস যেমন নিজেকে গর্বিত করে, তেমনি জাতিকে গৌরবান্বিত করে। সে সৃষ্টির কারিগর হচ্ছেন গবেষকরা”।

তিনি আরো বলেন, “প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন এখন বিশ্বের বিস্ময়। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে বর্তমানে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। এ সাফল্যের সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন খাবারের অন্যতম উপাদান মাছ, মাংস, দুধ, ডিম। মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের অন্যতম খাত প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতকে বিকশিত করার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিএলআরআই”।

বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব  ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএলআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিএলআরআই-এর প্রাক্তন ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “সরকার নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে। তবে কখনো কখনো শিক্ষার্থীদের উপর ভর করে বিরোধী রাজনৈতিক দল বা কিছু কিছু লোক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে। এ জাতীয় সুযোগসন্ধানী কেউ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক চাওয়া পূরণ করবে বলে আমার বিশ্বাস”।

পরে মন্ত্রী ৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধের পোস্টার উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মোট ৬২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৬, ২০২২ ৩:১১ অপরাহ্ন
গঙ্গাচড়ায় “বিজ্ঞান ভিত্তিক মহিষ পালন এবং খামার ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক খামারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
প্রাণিসম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিজ্ঞান ভিত্তিক মহিষ পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা শীর্ষক খামারী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে । ৩ দিনব্যাপী (১৮ জানুয়ারি-২০ জানুয়ারি, ২০২২) এই প্রশিক্ষণ গত বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয় যেখানে সুবিধাভোগী ৫০ জন খামারী অংশগ্রহণ করেন ।

খামারি প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ সিরাজুল হক । উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (গঙ্গাচড়া, রংপুর) মোঃ নুরুল আজিজ এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব এবং অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (রংপুর) ডা. মোঃ জোবাইদুল কবীর ।

ড. গৌতম কুমার দেব খামারীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক মহিষ পালন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং খামারীদের আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন । প্রধান অতিথি ডা. মোঃ সিরাজুল হক তাঁর বক্তব্যে মহিষ পালনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খামারীগন কিভাবে লাভবান হতে পারেন তা সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং সনাতনী ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে বিজ্ঞান  ভিত্তিক আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করেন । 

৩ দিনের এর প্রশিক্ষণে খামারীদের মহিষ মোটাতাজাকরণে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউরিয়া ও চিটাগুড় দ্বারা খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ), নিজ হাতে ঘাস প্রক্রিয়াজাতকরণ, সুষম দানাদার খাদ্য মিশ্রণ পদ্ধতি ব্যাপারে হাতে কলমে ট্রেনিং দেওয়া  হয় । এছাড়া খাদ্য ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা, জীব নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষিনাশক, টিকা প্রদান ইত্যাদি ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।

খামারীবান্ধব এইসব কর্মশালার মাধ্যমে খামারীগণ আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মহিষ পালন সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করছেন তা ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে, সনাতন পদ্ধতি পরিত্যাগ করে আধুনিক পদ্ধতিতে মহিষ পালন করে খামারীগণ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৬, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
সবাইকে ছাপিয়ে খর্বাকৃতি গরুর বিশ্ব রেকর্ড চারুর
প্রাণিসম্পদ

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর কথা বললেই সাভারের রানির নাম আসে। খর্বাকৃতির গরুটি বিশ্ব মিডিয়ায়ও জায়গা করে নেয়। অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতি গরুর স্বীকৃতি পায় রানি।

সেই রানির মতোই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে জায়গা করে নিয়েছে সাভারের আরও একটি গরু, এটির নাম চারু। রেকর্ড বই অনুযায়ী চারু বিশ্বের জীবিত গরুর মধ্যে সবচেয়ে ছোট।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সাভারের আশুলিয়ার চারিগ্রাম এলাকায় শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সুফিয়ান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গিনেস কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার চারুকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট জীবিত গরুর স্বীকৃতি দিয়ে ইমেইল পাঠিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শিকড় অ্যাগ্রো থেকে চারুর বিষয়ে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছিল।

খামার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে চারু নামের গরুটির জন্ম। বর্তমানে তার বয়স আড়াই বছর। চারুর এখন চার দাঁত। উচ্চতা ২৩.৫০ ইঞ্চি, লম্বায় ২৭ ইঞ্চি ও ওজন ৩৯ কেজি।

২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর গিনেস বুকে মৃত গরু হিসেবে রেকর্ড গড়া রানির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি, লম্বা ২৪ ইঞ্চি ও ওজন ২৬ কেজি।

চারু হেলে দুলে পুরো খামারে হেঁটে বেড়ায়। খামারটিতে আরও বেশ কয়েকটি ভুট্টি জাতের ছোট গরু থাকলেও চারু কিছুটা আলাদা। লালচে রঙের চারুর কান দুটো খাড়া, পা দুটো খাটো ও মোটা।

খুব দ্রুত সময়ে লেজ নাড়তে নাড়তে আয়েশ করে খাবার খায় চারু। পুরো খামারজুড়েই ঘাস, পাতা এসব খেতে বেশ ব্যস্ত সে। ছবি তুলতে গেলে মুখ ফিরিয়ে নেয়, ফিরে যায় ক্যামেরার উল্টো দিকে।

প্রাণি চিকিৎসক প্রতি দু সপ্তাহ পর পর চারুকে দেখতে আসেন এবং চারুর ওজন, শরীর চকচকে আছে কি না, গঠন বাড়ছে কি না এসব দেখে যান।

রানির পর চারুকে খুঁজে পাওয়া প্রসঙ্গে শিকড় অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সুফিয়ান বলেন, রানি বেঁচে থাকতেই আমাদের সংগ্রহশালায় যুক্ত হয় ৪ দাঁতের প্রাপ্তবয়স্ক দেশীয় প্রজাতির বামন গরু চারু। এটিকে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জীবিত ছোট গরু হিসেবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতি দিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৫, ২০২২ ১০:০০ অপরাহ্ন
প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের এগ্রো বিজনেস প্ল্যানিং, টেকনোলজিস অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন সাপোর্ট বিষয়ক ইনসেপশন কর্মশালায় এসব কথা জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জার্মানিভিত্তক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এএফসি এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিন্যান্স কনসালটেন্টস এবং তাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সার্ভিসেস অ্যান্ড সলিউশনস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও উল্লিখিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মানব চক্রবর্তী।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালে খামারিদের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে মুখ থুবড়ে না পরে সেজন্য দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থার মাধ্যমে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। বিদেশ থেকে যাতে মাংস আমদানি না হয় সেক্ষেত্রে আমরা কৌশলগত নীতি নির্ধারণ করেছি। কারণ আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে। দেশেই পর্যাপ্ত মাংস উৎপাদন হচ্ছে। বেসরকারি খাতকে উদ্বুদ্ধ করছে, উৎসাহিত করছে, সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার বলে জানান মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত বাবিসাস অ্যাওয়ার্ড ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, নাগরিক ঢাকার সভাপতি এম নাঈম হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তাশিক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দুলাল খান।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “যে জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে না, কৃষ্টি থাকে না, যে জাতি ইতিহাস, ঐতিহ্য ধারণ করে না সে জাতি অস্তিত্বহীন হয়ে যায়। এ জন্য আমাদের বাঙালিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হবে। বাঙালির অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে। যদিও তথাকথিত আকাশ সংস্কৃতি আমাদের অনেক জায়গা বিপন্ন করে দিচ্ছে। সে জায়গা আমাদের শিল্পীদের অভিনয়, গানসহ অন্যান্য নৈপুণ্য দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুণীজনদের সম্মানিত করা, সমৃদ্ধ করা আমাদের দায়িত্ব”।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “যিনি বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে আকৃষ্ট থাকেন না তার স্বকীয়তা বিপন্ন হয়। বাংলাদেশি নাটক-চলচ্চিত্র অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে বিশ্ব পরিমণ্ডলে। তবে একথাও সত্য হঠাৎ করে ব্যবসায়ের নামে, দ্রুততার সাথে জনপ্রিয়তার নামে কিছু অনাকাঙ্খিত শিষ্টাচারবর্জিত সৃষ্টিও দেখা যায়। যদিও এগুলোর আয়ুস্কাল স্বল্পসময়ের। বাঙালিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশেষ করে হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বাংলাদেশ টিকিয়ে রাখতে গেলে সংস্কৃতি বিকাশের, সংস্কৃতির বিপ্লবের কোন বিকল্প নেই। যখনই সংস্কৃতি মুখ থুবড়ে পড়ে তখনই উগ্রতা, জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই দৃশ্যমান শক্তি প্রয়োগ না করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে হবে”।

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রসহ সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছেন। যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন শেখ হাসিনা দেশে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন সংস্কৃতি চর্চার জন্য রাষ্ট্রের সকল পৃষ্ঠপোষকতা থাকবে”-যোগ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও কাহিনীকার ছটকু আহমেদ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে। এছাড়া সংগীতে অনন্য অবদানের জন্য সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২২, ২০২২ ১২:১৫ অপরাহ্ন
রাজবাড়ীতে ৫৫ কেজি ওজনের বাছুরের জন্ম
প্রাণিসম্পদ

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় জন্ম নিয়েছে ৫৫ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় বাছুর। গাভী থেকে এত বড় বাছুর জন্ম নেয়ার ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের আহলাদিপুর গ্রামে একটি খামারে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী জন্ম দেয় বাছুরটির।

বাছুরটিকে দেখতে ভিড় করছেন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষেরা। বাছুরটিকে জন্ম দিতে সহায়তা করেছে খামারের ১৫ জন শ্রমিক। জন্মের পর সুস্থ রয়েছে বাছুর ও তার মা। বাছুরটি প্রতিদিন ৮-১০ লিটার দুধ পান করছে।

খামারের শ্রমিকরা জানায়, আমাদের খামারে কয়েকশ’ গাভী রয়েছে। এর মধ্যে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী বিশাল আকারের এই বাছুরের জন্ম দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ৭টার দিকে গাভী চিৎকার শুরু করে। তখন আমারা বুঝতে পারি যে বাছুরের জন্ম হবে। আমরা খামারে থাকা ১৫ জনের বেশি শ্রমিক প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বাছুরের জন্ম দেই। সুন্দর এই ষাঁড় বাছুরটিকে পেয়ে আমারা অনেক আনন্দিত।

এলাকাবাসী বলছেন, গাভী থেকে এত বড় বাছুর জন্ম নেয়ার ঘটনা বিরল। বাছুরটি দেখলে মনে হয় তার বয়স সাত থেকে আট মাস।

এটি একটি বড় সাফল্য জানিয়েছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, গত ৯ মাস আগে কৃত্রিম উপায়ে খামারের একটি হোলস্টাইন প্রিজিয়ান গাভীকে প্রজনন করা হয়। সেই গাভী এই বিশাল আকারের বাছুরের জন্ম দিয়েছে। বাছুরটি সাধারণ বাছুরের তুলনায় অনেক বেশি বড় হয়েছে। আসলে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২০, ২০২২ ১:৫০ অপরাহ্ন
পশুখাদ্যে ভেজাল রোধে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

পশুখাদ্যে ভেজাল রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, জেলা প্রশাসকদের আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর সংস্থা সমূহে তদারকির সহযোগিতার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রান্তিক সীমা থেকে শুরু করে ক্যাপিটাল পর্যন্ত মাছ-মাংস, দুধ-ডিম উৎপাদন, বিপণন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যতো কার্যক্রম আছে সেই কার্যক্রমে তাদের দেখভাল ও তদারকি করার অনুরোধ করেছি। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, কোনো প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার না হয় সে জন্য তাদের অনুরোধ করেছি।

এছাড়া পশুখাদ্যে ভেজাল যাতে কেউ দিতে না পারে, মৎস্য উৎপাদন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের যেসব পরিকল্পনা আছে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সে বিষয়ে ডিসিদের নজর রাখতে বলেছেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মাছ-মাংস ও দুধ-ডিম উৎপাদনে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই ধারাবাহিকতা যাতে অব্যাহত রাখা যায় সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে সব প্রকার সহযোগিতার জন্য আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে মিঠাপানির মাছে তৃতীয় স্থানে, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের বিস্ময় সৃষ্টি করে সর্বোচ্চ উৎপাদনে। যেসব মাছগুলো হারিয়ে গিয়েছিলে আমরা কৃত্রিম প্রজননের প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে সেই মাছগুলোকে ফিরিয়ে এনেছি। এই বিস্ময়কর সাফল্যের জায়গাটা যাতে আমরা ধরে রাখতে পারি সেক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সে বিষয়গুলো আমরা তাদের দৃষ্টিতে এনেছি।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের কিছু প্রস্তাব ছিলো। কোনো কোনো এলাকায় আধুনিক শুটকি পল্লী করা যায় কি না সে প্রস্তাব ছিলো। আমরা বলেছি অবশ্যই করা যাবে। এছাড়া তারা যেটা এক্সপেক্ট করেছে তার অধিকাংশগুলো আমাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আইনে নয়, একটা প্রস্তাব ছিলো সব নৌযানকে লাইসেন্স দেওয়া যায় কি না। এখন সব নৌযান বলতে কিন্তু ছোট ছোট নৌযান আছে, তাদের লাইসেন্স দেওয়ার বিধান নাই। আমাদের মৎস্য আইন রয়েছে, সমুদ্র আইন রয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করবো না। তবে আইনে না থাকলেও নীতিগতভাবে, প্রশাসনিকভাবে যেসব বিষয়গুলো প্রয়োজনীয় সে বিষয়গুলো তারা যাতে গ্রহণ করতে পারেন সে বিষয়ে আরা মতামত দিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকার সময় যেসব জেলেরা অসুবিধায় পড়তে পারে তাদের জন্য ভিজিএফের ব্যবস্থা করা হয়েছে, টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতীতে গতানুগতিক অবস্থা ছিলো। আমি মন্ত্রণালয়ে আসার পর সব কার্ড আপডেট করেছি, এখন থেকে ২০ বছর আগে যিনি মৎস্যজীবী ছিলেন তার মধ্যে অনেকে গার্মেন্টসের মালিক হয়ে গেছে। আবার অনেক অসহায় মৎস্যজীবীর নামটাই তালিকাভুক্ত হয়নি। কন্টিনিউয়াস একটা প্রসেস করেছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৯, ২০২২ ২:০০ অপরাহ্ন
কবুতর পালন করে যুবকের ভাগ্য বদল
প্রাণিসম্পদ

কবুতর পালন করে ভাগ্য ফিরেছে বাগেরহাটের যাত্রাপুরের যুবক আইয়ুব আলীর। দেশী-বিদেশি এক হাজার কবুতর নিয়ে গড়ে তোলা তার খামার থেকে বছরে আয় হয় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। কবুতর পালনে তার এই সাফল্য দেখে এখন আগ্রহী হচ্ছেন আরও অনেকে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে প্রাণীসম্পদ বিভাগ। 

বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মশিদপুর গ্রামের যুবক আইয়ুব আলী শেখ। ১৫ বছর আগে মাসে ১৩ হাজার টাকার চাকরী ছেড়ে দুই জোড়া বিদেশি কবুতর দিয়ে শুরু করেন কবুতর পালন। কিছুদিন যেতেই সাফল্যের দেখা পান। বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেন কবুতর।

এখন তার খামারে ৮শ’ বিদেশী কবুতরের পাশাপাশি ২শ’ দেশী জাতের কবুতর রয়েছে। বিদেশী জাতের এক জোড়া কবুতরের ছানা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আইয়ুব আলী জানান, বছর শেষে সব খরচ খরচ বাদ দিয়ে তার ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাভ থাকে।

আইয়ুব আলীর এমন সাফল্য দেখে স্থানীয় অনেকেই এখন কবুতর পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।

কবুতর পালনে প্রয়োজনীয় সহযোগীতার কথা জানালেন জেলা প্রাণী বাগেরহাট সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান।

কবুতরের খামার করে অনেক লাভ হতে পারে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop