৪:৩৫ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২৯, ২০২২ ২:৫৮ অপরাহ্ন
১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ
পাঁচমিশালি

আগামী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুম। এ সময় সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপাশি সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রবেশের পাস-পারমিটও।

জানা গেছে, মৎস্যসম্পদ রক্ষায় প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখে বন বিভাগ। ২০১৯ সাল থেকে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বছর থেকে তা আরও এক মাস বাড়ানো হলো। সেই সঙ্গে সব ধরনের পর্যটকের প্রবেশও বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবনের ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১৮শ’ ৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের আয়তনের ৩১.১৫ ভাগ। সুন্দরবনের জলভাগকে বলা হয় মৎস্যসম্পদের ভান্ডার। এই জলভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার রয়েছে। জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী-খালে থাকা বেশির ভাগ মাছের ডিম থেকে মাছ জন্ম নিয়ে থাকে। এজন্য এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে নদী-খালে যেমন মাছ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

সুন্দরবনে মাছ ধরা ট্রলারপূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। ২০১৯ সাল থেকে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। এবার মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সময় এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করেছে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২২ ১২:১৫ অপরাহ্ন
সিলেটে ১৪ তম ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস পালিত
ক্যাম্পাস

ব্যাঙ সংরক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পালিত হয়েছে ১৪তম ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে ।যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেভ দ্য ফ্রগস ও প্রাধিকার যৌথভাবে ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস পালন করে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নীলৎপল দে এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাধিকার সভাপতি তাজুল ইসলাম মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা ও বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড: মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান । বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা ডঃ তিলক নাথ, ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান, ডাঃ মোঃ মাসুদ পারভেজ এবং ডা: সাইফুল ইসলাম । অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, প্রাধিকারের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ও প্রাধিকার এর সকল সাধারণ সদস্য এবং নির্বাহী সদস্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে আসেন আহাদ মোল্লা । পরে ব্যাঙের হুমকি ও ব্যাঙ সংরক্ষণের উপায় নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন প্রাধিকারের কোষাধ্যক্ষ মাহাদি হাসান ও প্রাধিকারের পরিচিতিমুলক উপস্থাপনা করেন সহকারী কোষাধ্যক্ষ তানভির হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ মেহেদি হাসান খান বলেন,গবেষণায় দেখা যায় ব্যাঙ থেকে আমরা নানা মূল্যবান ওষুধ তৈরি করি। যা আমাদের গবেষণাকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সারাবিশ্বে ব্যাঙের সংখ্যা যেমন কমছে, তেমনি অনেক প্রজাতি হারিয়েও যাচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমগ্র খাদ্য শৃঙ্খলে। ফলে প্রাণীজগতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ব্যাঙের আবাসস্থল ধ্বংস, নগরায়ন, জলাশয় ধ্বংস, কীটনাশকের অতিমাত্রায় ব্যবহার ও জীববিদ্যার ব্যবহারিক অংশে ব্যবচ্ছেদ করণের কারণে এ প্রাণির সংখ্যা প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে।উভচর প্রাণি ব্যাঙ ক্ষতিকর পোকামাকড় ও রোগের বাহককে নাশ করে কৃষক ও মানব স্বাস্থ্যের উপকার করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২২ ১২:০৫ অপরাহ্ন
১০ বছরে ৩০ হাজার কচ্ছপের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কক্সবাজারের বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট-নেকম নামের প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। গত ১০ বছরে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ করে ৩০ হাজার বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করেছে তারা। এতে করে বিলুপ্তির পথে থাকা সামুদ্রিক কাছিম রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্রের তলদেশের ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সামুদ্রিক কচ্ছপ ঝাড়ুদার নামে পরিচিত। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে কচ্ছপ। তবে, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বঙ্গোপসাগরের কচ্ছপ এখন অনেকটাই বিপন্ন। বাংলাদেশে পাঁচ প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপের সবকটি বিশ্বব্যাপী বিপন্ন অবস্থায় আছে। সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে “অলিভ রিডলি” কাছিম। সামুদ্রিক কচ্ছপ রক্ষায় ২০১০ সাল থেকে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আধীনে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বেসরকারি সংগঠন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট- নেকম। এজন্য সংগঠনটি স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিটিও করে।

নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট এর কর্মীরা জানায়, রাতের অন্ধকারে সমুদ্র থেকে উঠে এসে কাছিম ডিম পাড়ার পরপরই সেগুলো দ্রুত তুলে এনে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়। ডিম সংগ্রহের পর সেগুলো নিরাপদ স্থানে হ্যাচারিতে বালির নিচে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়। ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা বের হলে অবমুক্ত করা হয় সাগরে। এভবে গত ১০ বছরে প্রায় ৩০ হাজার সামুদ্রিক কচ্ছপের বাচ্চা বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।

চলতি বছরে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাচ্ছপের সাড়ে ৫ হাজার ডিম সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১৮৫টি বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সারোয়ার আলম বলেন, কচ্ছপ প্রকৃতির ঝাড়ুদার। সমুদ্রের আবর্জনাগুলো খেয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখে। কিন্তু আমাদের অসচেতনতায় নিজের আবাসস্থল হারাচ্ছে এই উপকারী প্রাণীটি। নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকারকালে আটকা পড়ে মারা যায় কচ্ছপ। পর্যটন বিকাশের কারণে কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে অতিরিক্ত আলোর কারণে কুকুরের আক্রমণেও মরছে কচ্ছপ।

স্থানীয়দের অংশগ্রহণে কচ্ছপ সংরক্ষণের উদ্যোগ সফল হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২২ ১২:৪২ অপরাহ্ন
দিনাজপুরে পরিচর্যার পর অবমুক্ত বিরল প্রজাতির ১৯ টি শকুন
প্রাণ ও প্রকৃতি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শকুন পরিচর্যা ও পূর্ণবাসন কেন্দ্র থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও এপ্রিল মাসে অসুস্থ ও উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির ১৯ টি শকুন পরিচর্যার পর প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শকুনগুলো ছেড়ে দেয় বনবিভাগ। বিলুপ্ত প্রায় পাখিগুলো ছেড়ে দেওয়ার খবর শুনে তা দেখতে ছুটে আসেন উৎসাহীরা। মহৎ এ কাজের জন্য বন বিভাগকে সাধুবাদ জানান তারা।

৮ বছর আগে বন বিভাগ ও আইইউসিএন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গড়ে তুলে ‘শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র’। আশপাশের জেলা থেকে অসুস্থ ও মৃতপ্রায় শকুন উদ্ধার করে বীরগঞ্জের সিংড়ায় জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়। পরে এই কেন্দ্রে নিবিড় পরিচর্যার পর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯টি শকুনকে অবমুক্ত করলো বন বিভাগ। এসময় তা দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। বন বিভাগের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তারা।

বিরল প্রজাতির এসব শকুন সুস্থ করে তোলার পর প্রতিবছর এপ্রিলের শুরুতে আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানালেন, আইইউসিএন এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সারোয়ার আলম দীপু।

শীতকালে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক শকুন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানালেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ্ হারুন।

উল্লেখ্য,এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় আহত অবস্থায় শকুন উদ্ধার করে বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। গত বছরের এপ্রিলে ২০টি শকুন সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বীরগঞ্জের এই কেন্দ্রে চিকিৎসা ও পরিচর্যা শেষে প্রায় ১৪৯টি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২২ ১২:৫০ অপরাহ্ন
কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বৃক্ষরোপন
প্রাণ ও প্রকৃতি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষায় কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে পালিত হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। পহেলা এপ্রিল এই কর্মসূচিটি পালিত হয়।

গতকাল বেলা ৩ টায় সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছের চারা রোপন করা হয়। পরে সিলেটের বালুচর এলাকায় অসহায় ও হত-দরিদ্রের মাঝে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়

উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল জনাব আবদুর রউপ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আহমেদ সুমন, যুগ্মসম্পাদক ও আজীবন সদস্য কে.এম আলমগীর হোসাইন, সহসম্পাদক ও উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা নয়ন, সমিতির আজীবন সদস্য ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক বেলাল আহমদ, সহসম্পাদক ও এবি ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ রাফি মিলন এবং আজীবন সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মসূচির বিষয়ে কুমিল্লা জেলা জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি ও হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক জানান, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ৩ টি করে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপদের হাত থেকে গাছ আমাদের রক্ষা করে। এছাড়াও পরিবেশ রক্ষায় যতগুলো কর্মসূচি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে টেকসই কর্মসূচি হচ্ছে বৃক্ষরোপণ।

তিনি আরো বলেন সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরও অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৯, ২০২২ ২:৩৮ অপরাহ্ন
বাগেরহাটে পুকুর থেকে কুমির উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাগেরহাটের রামপালে পুকুর থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে রামপাল উপজেলার শ্রীরম্ভা এলাকার ইসরাফিল গাজীর বাড়ির পুকুর থেকে কুমিরটি উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

স্থানীয় যুবক আশিকুজ্জামান বলেন, সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেল থেকে স্থানীয় এক ব্যক্তির ৬টি হাঁস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে ইস্রাফিল গাজীর পুকুরে হাঁসের পাখনা (পশম) ভাসতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে জাল টেনে কুমিরটি ধরা হয়।

আশিকুজ্জামান আরও বলেন, এই পুকুরটির সঙ্গে ভ্যাকটমারি খালের শাখা কৌচুর খালের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এসব খালে সরাসরি পশুর নদীর পানি প্রবেশ করে। ধারণা করা হচ্ছে পশুর নদী থেকে জোয়ারের সময় কুমিরটি এই খালে প্রবেশ করেছে। সেসময় থেকে কুমিরটি পুকুরেই রয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কুমিরটিকে উদ্ধার করে দুপুরেই সুন্দরবনের করমজল খালে অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ।

আজাদ কবির আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া লবণ পানির প্রজাতির, কুমিরটি লম্বায় ১০ফুট। বয়স হবে ১৪ থেকে ১৫ বছরের মতো। জোয়ারের সময় কুমিরটি পশুর নদী থেকে খাল হয়ে ওই পুকুরে চলে আসে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২২ ১:১৫ অপরাহ্ন
মাদারীপুরে দোকানে মিললো বিষধর ‘রাসেল ভাইপার’
প্রাণ ও প্রকৃতি

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাট এলাকার একটি মুদি দোকান থেকে বিষধর চন্দ্রবোড়া বা রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় এক মুদি ব্যবসায়ী সোমবার (২১ শে মার্চ) সাপটিকে আটক করে গত দু’দিন ধরে একটি প্লাস্টিকের পাত্রে আটকে রেখেছেন।

জানা যায়, উপজেলার বাংলাবাজার ঘাটের অনন্যা মুদি স্টোরের মালিক লিটন মিয়া সোমবার দুপুরে তার দোকানের ফ্রিজের পাশে একটি বিরল প্রজাতির সাপ দেখতে পায়। প্রথমে অজগর সাপের বাচ্চা ভেবে পাশের দোকানিকে ডেকে সাপটি ধরার চেষ্টা করেন। সাপটি শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল থাকায় তারা দু’জন মিলে কৌশলে সাপটি ধরে একটি প্লাস্টিকের জারে আটকে ফেলেন। ।

সাপটি দেখতে অপরিচিত হওয়ায় তারা গুগলে সার্চ দিয়ে সাপটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। গুগল থেকে তারা জানতে পারেন এটি ভয়ংকর চন্দ্রবোড়া বা রাসেল ভাইপার। মুদি দোকানদার লিটন মিয়া বলেন, সাপটি আমার কাছ থেকে তারা যত দ্রুত সম্ভব যেন নিয়ে যায়। কারণ আমি অনেক আতংকে আছি।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আসাদুজামান জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিষয়টি বন বিভাগকে জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, রাসেল ভাইপার বিশ্বব্যাপী কিলিং মেশিন হিসেবে খ্যাত। আক্রমণের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক ক্ষিপ্র। এর কামড়ের পর শরীরের আক্রান্ত স্থানের টিস্যু নষ্ট হয়ে সাথে সাথে পচন শুরু হয়। সময়মতো আক্রান্ত চিকিৎসা না পেলে তার মৃত্যু অবধারিত। অত্যন্ত বিষধর প্রজাতির এই সাপ বাংলাদেশ থেকে বহু আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে মনে করা হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে এর অবাধ বিচরণ দেখা গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে বাঘা পর্যন্ত পদ্মাপারে সাপটি বেশি দেখা যাচ্ছে।

পাবনার রূপপুর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও মাদারীপুরের শিবচরে এ সাপের দেখা পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২২ ১:০৫ অপরাহ্ন
খাবারের সন্ধানে সীমান্ত পেরিয়ে এলো নীলগাই, ধাওয়ায় মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

ভারত সীমান্ত পেরিয়ে আবারো বাংলাদেশে ঢুকে পড়া একটি নীলগাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উৎসুক জনতার ধাওয়ার কারণে হার্ট এ্যাটাকে নীলগাইটির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার বিকেলে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কামদেবপুর সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাবারের সন্ধানে সীমান্ত পেরিয়ে কামদেবপুর এলাকায় প্রবেশ করে নীলগাইটি। সীমান্তঘেঁষা এলাকার শালবাগান ও ধানক্ষেতে নীলগাইটির বিচরণ দেখে সাধারণ জনতা ধাওয়া করে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ওই নীলগাইকে ধাওয়া না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এরপরও বিষয়টিকে কর্ণপাত করেনি উৎসুক জনতা। ধাওয়া দিয়ে নীলগাইটিকে আটক করা হয়। এ সময় নীলগাইটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বন বিভাগের কর্মকর্তারা চিকিৎসা দিতে চাইলেও তাদের তা করতে দেওয়া হয়নি। পরে বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার করে এটিকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান।

দিনাজপুর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে আসা নীলগাইটি অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় আমরা চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানালেও বিজিবি সদস্যরা এই নীলগাইটিকে ক্যাম্পে নিয়ে যান। অসুস্থ অবস্থায় নীলগাইটি মারা যায়। জনতার ধাওয়ার কারণে হার্ট-অ্যাটাকে নীলগাইটি মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
খাবারের খোঁজে এসে সম্বর হরিণের মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

খাবারের খোঁজে এসে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলায় প্রবেশের বেশ কিছুক্ষণ পর উৎসুক জনতার চাপে একটি সম্বর হরিণের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১২ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা সুলতানুল ইসলাম। এর আগে বিকেলে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের শিকটিহারি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, হরিণটির মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ এর সহায়তায় মাটিতে পুঁতে দেয় উপজেলা বন বিভাগ।

পঞ্চগড় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা সুলতানুল ইসলাম জানান, বিকেলে এ বিষয়ে আমাদের কাছে খবর আসে উপজেলা প্রশাসন থেকে। হরিণটি ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে ওই এলাকায় প্রবেশ করেছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম হরিণটিকে বাঁচানোর। কিন্তু হরিণটি উৎসুক জনতার চাপে ও আহত হয়ে রক্তক্ষরণে মারা গেছে। মানুষের অসচেতনতার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুশফিকুল আলম হালিম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে হরিণটি মারা যায়। হরিণটি ডান পায়ে আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায়। এই হরিণটিকে ময়নাতদন্ত শেষে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩, ২০২২ ১০:১৬ অপরাহ্ন
প্রাধিকার এর উদ্যোগে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস পালন
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর বন্যপ্রাণী এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন ‘প্রাধিকার’ এর উদ্যোগে পালিত হলো বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২২। “বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে অাসি” এই স্লোগান কে সামনে রেখে বিকাল পাঁচ টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের  কনফারেন্স রুমে এক  আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তাজুল ইসলাম মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকারের    ও বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান । অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, ভূমিসন্তান বাংলাদেশ-এর প্রধান সমন্বয়ক আশরাফুল কবির, বাঁচাও হাওর আন্দোলন বিশ্বনাথের আহবায়ক সাজিদুর রহমান সোহেল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাপা সিলেটের যুগ্ম-সম্পাদক ছামির মাহমুদ, প্রাধিকার এর সকল সাধারণ সদস্য এবং নির্বাহী সদস্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ মেহেদি হাসান খান বলেন, হরিপুরের রেস্তোরাঁগুলোতে পাখির মাংস প্রতিদিন রান্না করা হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে  থেকেও দল বেঁধে অনেকে ওই রেস্তোরাঁগুলোতে যান পাখির মাংস খেতে। অথচ বন্য প্রাণী আইন অনুযায়ী, পাখির মাংস বেচাকেনা দণ্ডনীয় অপরাধ।তিনি আর বলেন, প্রাণী বলতে কেবল মানুষকে বোঝায় না। আমরা নিজেদের প্রয়োজনে পরিবেশ ধ্বংস করছি, জীববৈচিত্র্য ও তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করছি। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মানুষের আচরণ হতে হবে প্রাণীবান্ধব।

আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, সিলেটে প্রায়শ লোকালয়ে ধরা পড়ছে বন্যপ্রাণী।ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাস। মানুষের সচেতনতার অভাবে বন্যপ্রাণীকে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটছে। তবে, সাম্প্রতিককালে পরিবেশবাদীদের ও সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে লোকালয়ে চলে আসা বন্যপ্রাণী উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনা তৈরি হয়েছে। দেশ ও দেশের প্রকৃতি রক্ষা করতে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করতে হবে। এজন্য বন্যপ্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।

এর আগে সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে  বিকাল চারটায় টিলাগড় ইকো পার্কের সম্মুখে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন চলে। এতে অংশ নেন পরিবেশ ও প্রাণীপ্রেমি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এ সময় লাঠিটিলা সাফারী পার্ক নির্মাণ বন্ধের দাবি জানানো হয়।

সমাপনী বক্তব্যে প্রাধিকারের সভাপতি তাজুল ইসলাম মামুন বলেন,বাংলাদেশে মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকা দির্ঘ হচ্ছে। প্রাধিকার প্রতি বছর বিভিন্ন দিবসে এরকম সচেতনতা বিষয়ক অনুষ্ঠান গুলো করে থাকে যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সচেতন হয়ে অন্যদেরকে সচেতন করে তুলতে পারে।

প্রাধিকারের  সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল দে এর সঞ্চালনায় শুরুতে প্রাধিকারের উপর প্রেজেনটেশন করেন সহকারী  কোষাধ্যক্ষ তানভির হাসান ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ে  প্রেজেনটেশন করেন প্রাধিকারের  সহ-সভাপতি তিলোত্তম ভট্টাচার্য্য তূর্য। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop