২:৩১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ১০:৫৬ অপরাহ্ন
কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কুমিল্লার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কুমিল্লার চাষিদের। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কুমিল্লায় কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। দিন দিন এ অঞ্চলে কুলের চাষ বেড়েই চলেছে। এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি জেলার কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ অঞ্চলে বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারকেলিসহ বিভিন্ন জাতের কুলের চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে কুমিল্লা ৫৮০ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ হয়েছে। প্রতি কেজি কুলের পাইকারী মূল্য ৪০-৫০ টাকা। খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। এখানকার উৎপাদিত কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলায় উৎপাদিত কুল বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। কুল বাগানে কর্মরত আমিরুল ইসলাম বলেন এ রকম বাগানে কাজ করে তিনি বেশ খুশি। বেতনও ভালো পান। বিপদের সময় অতিরিক্ত অর্থের চাহিদা থাকলে তিনি তা পান। পাইকারী ফল বিক্রেতা শাহআলম বলেন আপেলকুল স্বাদে মিষ্টি, আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বাজারে এর চাহিদা বেশি হওয়ায় অন্যান্য কুলের চেয়ে এর বিক্রি বেশি। লাভও বেশি।

কুল চাষি মোস্তফা জানান, কুমিল্লার বাজারে এক কেজি কুলের দাম ৭০-৯০ টাকা। অন্য মৌসুমের তুলনায় এ বছর কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জাত উন্নয়ন করে উৎপাদিত কুল চাষে অধিক লাভের জন্য কুমিল্লায় কুল চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ফলে চাষিরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাভবান হচ্ছে বেশি। এতে করে কুমিল্লায় কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে কুমিল্লায় কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
‘লাউ বেগুন’ চাষে কুমিল্লার চাষিদের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুমিল্লার ‘লাউ বেগুন’ চাষ। দূর থেকে প্রথমে কেউ দেখলে মনে হবে লাউ। কিন্তু কাছে গেল ভুল ভাঙে। মাঝারি আকারের লাউয়ের মতো সবজিটি অতি পরিচিত বেগুন। জাতের নাম বারি-১২।

কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে লাউবেগুন চাষ করছেন কৃষকরা। প্রতিটি বেগুনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। এই বেগুন দেখতে ও কিনতে মানুষ ভিড় করছেন। স্বাদ ভালো ও ওজন বেশি হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। দাম পেয়ে খুশি কৃষক।

সরেজমিন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড় গোবিন্দপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমির কোনোটিতে বেগুন, কোনোটিতে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। কিছু বেগুনের জমি নেট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। জমির পাশে দেখা গেল মানুষের ভিড়।

স্থানীয় ক্রেতা গোলাম রাব্বানী বলেন, বারি বেগুন-১২ নিয়ে মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। এত বড় বেগুন আর দেখিনি। স্বাদ ভালো। তাই পুনরায় কিনতে এসেছি। স্থানীয় কৃষক তারেক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে বারি বেগুন-১২ প্রথমবারের মতো চাষ করেছি। ৩০ শতাংশ জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে নিতে হয় না। জমি ও বাজারে যাওয়ার পথেই কাড়াকাড়ি করে কিনে নিয়ে যায়। সাধারণ বেগুন ২৫-৩০ টাকা হলেও এটি ৪০-৪৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।

স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, এখানে কয়েকটি প্রদর্শনী প্লট দেয়া হয়েছে। ভালো ফলন হয়েছে। এ বেগুনে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। ভালো ফলনের কারণে এ বেগুন কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, ২০২১ সালে বারি বেগুন-১২ সম্পর্কে ধারণা পাই। এ বেগুনের বীজের জন্য বারিতে চিঠি লিখি। বারি কুমিল্লা কার্যালয় থেকে কিছু বীজ পাই। এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেই। ভালো ফলন হয়েছে। বড় আকারের বেগুন দেখে স্থানীয়রা অবাক হয়েছে। আমরা আশা করি- এই বেগুন চাষ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বারি বেগুন মূলত: এসেছে পটুয়াখালীর একটি রাখাইন সম্প্রদায় থেকে। তারা দীর্ঘদিন চাষ করত। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সেখান থেকে বীজটি সংগ্রহ করেছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বারি বেগুন-১২ নামে মাঠে ছাড়ে। জেলায় এ বছর ২০টি প্রদর্শনী হয়েছে। এটি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর বীজ সংগ্রহ করে কৃষক পুনরায় চাষ করতে পারবেন।

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
বরই চাষে বিপ্লব ঘটালেন কুমিল্লার ইউনুস
কৃষি বিভাগ

জীবিকার তাগিদে প্রবাসে থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি, অবশেষে দেশে ফিরে বরই চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে ইউনুস ভূঁইয়া। ইউনুস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের মোসলেম ভূঁয়ার ছেলে।

বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষ শুরু করে বেশ সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা ইউনুস ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি ৬০ বিঘা জমিতে এ বল সুন্দরী কুল নামের বরই চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন।

জানা যায়, বিশাল জায়গা জুড়ে লাগানো গাছগুলোতে ফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে। এক একটি গাছ ৪ থেকে ৫ হাত লম্বা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুলছে লাল সোনালি রঙের  বরই গাছ গুলো। ফাগুনের মিষ্টি রোদ পড়ে রঙিন বরই গুলো চকচক করছে। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছের ডাল। বরই উপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো। খেতেও খুব সুস্বাদু। বাজারে এ বরইয়ের চাহিদা ও দাম অনেক ভালো। ফলে চাষের সকল খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান কৃষি উদ্যোক্তা ইউনুস ভূইয়া। বরই চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং এ বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।

মো. ইউনুস ভূঁইয়া জানান, জীবিকার তাগীদে দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে কৃষি খামারের তত্ত্বাবধান করেছেন। কয়েক বছর আগে দেশে আসেন। নিজের এবং অন্যের জমি লিজ নিয়ে ৬৬ বিঘা জমিতে মাছের খামার করেন। এলাকাটা উঁচু হওয়ায় পানি কমে যায়। তেমন লাভও পাচ্ছিলেন না। পরে স্থানীয় কৃষি অফিসের সাথে কথা বলে বরই চাষ শুরু করেন। চারা আনলেন নাটোর থেকে। আট মাসে বরই ফল আসা শুরু করে। ২০২১ সালে অল্প কয়েকদিনে তিনি কয়েক লক্ষাধিক টাকার বরই বিক্রি করেছেন। চলতি বছর আরো বেশি ফল পেয়েছেন। তিনি জানান, জমি পত্তনসহ তার প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো পূঁজি লেগেছে। আশা করছেন চলতি বছর তার পূঁজি উঠে আসবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাইন উদ্দিন আহমেদ জানান, ইউনুস ভূঁইয়াাকে শুরু থেকে উপজেলা কৃষি অফিস হতে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। জৈব সার ব্যবহার করে যেন ফল ও সবজি উৎপাদন করতে পারে সেজন্য তাকে কেঁচো কম্পোস্ট প্রদর্শনী দিয়েছি। তিনি আরো জানান, কৃষি অফিসের উদ্যোগ মুরাদনগর উপজেলায় ১০০ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করি। এর অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা ইউনুস ভূঁইয়া। শুধু এ উপজেলায় নয় পুরো কুমিল্লার মধ্যে তার বরই বাগান সবচেয়ে বড়। ৬০ বিঘা জমিতে চারো পাশে ক্যানেল তৈরি করে এ ফল বাগানটি গড়ে তুলেছেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার সবজি চারা বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে
কৃষি বিভাগ

একপাশে গোমতীনদী অন্য পাশে রানী ময়নামতির প্রাসাদ। তার মাঝেই সমেষপুর গ্রাম। ছায়া সুনিবিড় সমেষপুর গ্রামে এখন নজর কাড়ে চারা চাষিদের ব্যস্ততা। কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। কেউবা পানি ছিটাচ্ছেন। কেউবা চারা তুলে আটি করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে পাইকাররা চারা গুনে গাড়িতে তুলছেন। এমন দৃশ্য কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সমেষপুর গ্রামে। বছরের ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ এ ৪ মাস চারা উৎপাদন ও বিক্রয় হয়। এ চার মাসে প্রায় চার কোটি টাকারও বেশী রবিশস্যের চারা উৎপাদন ও বিক্রি করেন ওই জনপদের কৃষকরা। এসব রবিশস্যের চারা দেশের সবজি চাষিদের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে প¦ার্শবর্তী দেশ ভারতেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট প্লটে গায়ে গায়ে লেগে হাজারো চারা দোল খাচ্ছে। রোদ থেকে বাঁচাতে চারা গাছের উপরে বাঁশ পলিথিন দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাষিরা নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিস্কার করছেন। কেউবা পানি ছিটিয়ে চারাগুলোকে সতেজ করার চেষ্টা করছেন। প্লটগুলোতে মাথা তুলে আছে মরিচ, টম্যাটো, বেগুন, তাল বেগুন, লাউসহ নানান প্রজাতির চারা। এ চারাগুলোই কিছু দিন পরে বিভিন্ন জমিতে ফুল ফলে ভরিয়ে দেবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বুড়িচং উপজেলার সমেষপুরসহ পাশের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমিতে চারা চাষ করেছেন কৃষকরা। চারটি ব্লকে ৯৪ জন চাষি চারা উৎপাদনের সাথে জড়িত।

সমেষপুর এলাকার চারা চাষি মোঃ আলমগীর হোসেন বাসসকে বলেন, তিনি এ বছর ১০০ শতক জমিতে চারা চাষ করেছেন। তার বাগানে টমেটোসহ নানান জাতের চারা রয়েছে। এ ১০০ শতক জমিতে চারা উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে খরচ বাদে তার মুনাফা হবে অন্তত ৫ লাখ টাকা।

বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চারা উৎপাদনের সময় রোগ ও পোকামাকড় এর আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া, রবি প্রণোদনা, বোরো হাইব্রিড প্রণোদনা, পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান, ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন প্রদর্শনীসহ কৃষক প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৃষককে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩ ৯:৩৪ অপরাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে কুমিল্লার চাষিদের ভাগ্য বদল!
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লায় বেড়েছে সূর্যমুখী চাষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও এই জেলার মাটির সূর্যমুখী চাষের উপযোগী হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বাম্পার ফলন ও বাজারে সূর্যমুখীর দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

জানা যায়, কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা বাজার সংলগ্ন ডুমুরিয়া এলাকার কৃষকরা চাষ করছেন। সারাদেশে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। সেই অনুপাতে কুমিল্লার কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এটির চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম। তাই কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর কুমিল্লার দেবিদ্বার, বরুড়া, ব্রাহ্মণপাড়া, চান্দিনা সহ অন্যান্য সকল উপজেলার ৩১০ জন কৃষক ১১৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর চাষ করছেন। যার বিঘাপ্রতি ফলন হবে ৫-৬ মণ।

আবদুল জলিল বলেন, আমি ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে কর্মকর্তা এসে পরামর্শ দিয়ে যান।

তিনি আরো বলেন, গত ২ মাসে বিভিন্ন প্রকার সার ও পানির সেচ দিয়ে ২৫-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনো ফুল পাকা শুরু করেনি। পেকে গেলে সূর্যমুখী ফুলগুলো সংরক্ষণ করে তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করবো।

সদর দক্ষিণ বিজয়পুরের চৌধুরীখোলা এলাকার কৃষক মো. ইয়াছিন বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে লাভের আশায় চাষ করেছি। জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি পেকে গেলে তা থেকে তৈল উৎপাদন করে বাজারজাত করে লাভবান হতে পারবো।

কৃষি অফিসের মতে, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখী চাষে লাভ বেশি। আর দেশে তেলের ঘাটতি মেটাতে কৃষকরা এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন। প্রতি বিঘায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ করে কৃষকরা ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়াও এটি ফসল চাষ করলে খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২২ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় মাল্টার বাম্পার ফলন, নগদ টাকা পেয়ে খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জেলার গ্রামে গ্রামে এখন সবুজ মাল্টার উৎসব চলছে। মাল্টা বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে খুশি চাষি। অন্যদিকে ভোক্তারা ফরমালিনমুক্ত তাজা মাল্টা কিনতে পেরে আনন্দিত। বিশেষ করে কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট, দেবিদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাল্টার চাষ করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে মাল্টার চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে ১০/১৫টি করে চারা লাগাচ্ছেন গৃহস্থরা। সব মিলিয়ে তিন শতাধিক চাষি মাল্টা চাষে জড়িত। তাদের উৎপাদিত মাল্টা কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় ফল দোকানসহ বিভিন্ন উপজেলার দোকানে বিক্রি হচ্ছে।

কুমিল্লার বরুড়া পৌর এলাকার উত্তরের গ্রাম মুগুজি। গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুর রব মাল্টার বাগান করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। দেশে এসে স্থানীয় বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন। বাড়ির পাশে নিজের কিছু জমি ছিল। পরিকল্পনা করলেন অর্থকরি কোনো ফলের বাগান করবেন। ইউটিউবে মাল্টার চাষ ও সম্ভাবনা দেখলেন। তিনি চার বছর আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সহযোগিতা নিয়ে ১৭ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করেন। তার ভালো ফল দেওয়া গাছ থেকে মৌসুমে প্রতিটি থেকে ৩৫ কেজির মতো মাল্টা পেয়েছেন। এ মাল্টা আকারের বড়, মিষ্টিও খুব। তিনি বাজারের পাইকারের কাছে মাল্টা বিক্রি করেন না। গ্রামের মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করেন, যাতে এ ফল সবাই কিনতে পারে।

জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলাম জানান, দেশের শতভাগ মাল্টা আমদানি করতে হয়। এদেশে ভারত, চীন থেকে বেশি মাল্টা আসে। যার অধিকাংশ ক্ষতিকর ক্যামিকেল যুক্ত। দেশের উৎপাদিত মাল্টা এখন বাজারে পাওয়া যায়। যা দেশের মাল্টার পাঁচ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে। এ গতি অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে মাল্টা রপ্তানি করা যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ্উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মাল্টার চাষ করতে অনেকে আগ্রহী। তারা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করছেন। কুমিল্লায় প্রচুর মাল্টা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। মাল্টার বাগান করতে আগ্রহীদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২২ ৫:১৩ অপরাহ্ন
নিষিদ্ধ রিং জালে বিলুপ্তির পথে দেশিয় মাছ!
মৎস্য

কুমিল্লার খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় থেকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ও একশ্রেণির মানুষের কারণে ছোট জাতীয় অনেক মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাভূমির সঙ্গে সংযোগ খাল ভরাট, জলাশয়ে বছরের অধিকাংশ সময় পানি না থাকা এবং প্রজনন মৌসুমে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া।

আরেকটি কারণের মধ্যে রয়েছে- একশ্রেণির মানুষ অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, নিষিদ্ধ কারেন্ট বা রিংজালের ব্যবহার করে মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করায় দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-ছোট মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তির শঙ্কায় থাকা এসব মাছের মধ্যে রয়েছে- চ্যাপিলা, বইচা, আইড়, পুঁটি, সরপুঁটি, বাইলা, মেনি, শিং, মাগুর, শোল, কই, টাকি ইত্যাদূ।

খাল, বিল, জলাশয়ে একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বাজারগুলোও ভরে যেত দেশিয় মাছে। বর্তমানে চায়না প্রযুক্তির কারেন্ট জালের পর রিংজাল ব্যবহার করায় ওই জাতীয় ছোট মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে।

ফলে বাজারে ছোট প্রজাতির মাছের সরবরাহ অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।

কুমিল্লার মুরাদনগর, দাউদকান্দি, দেবিদ্বার ও লাকসামে খাল, বিল, জলায়শের ছোট মাছ ধরার জন্য রিংজালের ব্যবহারে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে একশ্রেণির মৎস্য শিকারিদের মধ্যে।

জানা যায়, ওইসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চায়না রিংজাল নদ-নদী, খাল-বিল জুড়ে ফাঁদ পেতে রাখা হচ্ছে। এতে প্রাকৃতিক সবধরনের দেশিয় মাছ ধরা পড়ছে চায়না প্রযুক্তির রিংজালে।
বিশেষ করে মুরাদনগরে রিংজালের ব্যবহার অত্যধিকহারে বেড়েছে। এ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ও কোম্পানিগঞ্জসহ বিভিন্ন বাজার থেকে রিংজাল কিনে খাল-বিলের মাঝে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন।

প্রতিদিনই মাছ ধরার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। কেউ কেউ খাল বা বিলের পাড়ে টং ঘর বানিয়ে একেবারে জেঁকে বসেছেন। সন্ধ্যা রাতে রিংজালের ফাঁদ পেতে রাখে খাল, বিল, জলাশয়ে। পরদিন খুব ভোরে রিংজাল উঠিয়ে দেশিয় প্রজাতির মাছ ধরে নিচ্ছেন তারা।

মুরাদনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান বলেন, সকল প্রকার নিষিদ্ধ ‘কারেন্ট জাল ও চায়না রিংজাল দিয়ে মাছ শিকার করা বেআইনি কাজ। মাছ শিকারে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার না করার জন্য প্রচার প্রচারণা চলমান রয়েছে। আমরা দ্রুত সকল প্রকার নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।

কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ জানান, আকারে ছোট হলেও এসব দেশিয় মাছ পুষ্টিগুণে সেরা। তাই এসব মাছ বিলুপ্তির কারণে পুষ্টির বড় উৎস্য হারিয়ে যাচ্ছে। খাল, বিল, জলাশয়ে মূলত ছোট মাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্মে থাকে।

জমিতে রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে এবং কারেন্ট জাল বা রিংজাল ব্যবহার করায় প্রোটিন ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন ও ভিটামিনযুক্ত এসব মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

কারেন্টজাল বা রিংজালের ব্যবহার বন্ধ এবং জমিতে কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে দেশিয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা সম্ভব।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
ট্রেতে চারা লাগানোর দিকে ঝুঁকছেন কুমিল্লার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জেলায় ট্রেতে চারা লাগানো দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে কমছে খরচ। বাড়ছে ফসল উৎপাদন। তিন ফসলি জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষাকে যুক্ত করতে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ করা হচ্ছে।

এজন্য সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরির জন্য বীজ বপন করা হচ্ছে। তাছাড়া পাকা ধানের জমি কাটা হচ্ছে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে। বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কৃষকদের এমন উৎসবে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।

এছাড়া প্রয়োজনের সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শ্রমিক মজুরি দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যায়। এখন সব চিন্তা থেকে আমরা মুক্ত।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার রামপুর ও পাহাড়পুর গ্রামে ২০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ ও কম্বাইন হারভেস্টারের সাহায্যে ধান কাটার উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে। সে নিরিখে এখন সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরির জন্য বীজ বপন করছেন কৃষকরা। এতে তাদের সময় ও খরচ বাঁচে।

বুড়িচং উপজেলায় কার্যক্রমটির সমন্বয়কারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায় বাসসকে জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অর্থায়নে এ কাজটি হচ্ছে। দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

প্রথমত কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বিশেষ করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করা। দ্বিতীয়ত যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন বাঁচিয়ে শস্য বিন্যাসে নতুন ফসল সরিষার অন্তর্ভুক্তি। তাছাড়া স্বল্প খরচে চারা রোপণ ও কর্তনের মাধ্যমে কৃষকের বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অর্থ সাশ্রয় হবে ও শ্রমিক সংকটের চিন্তা কিছুটা লাঘব হবে।

ইতোমধ্যে আউশ ধান কাম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে। পরবর্তীতে রোপা আমনও কাটা হবে বলে জানান।

প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২২ ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় পানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার চান্দিনায় এবার পানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাতে কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসি। ধীরে ধীরে পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের কৃষক। জেলার চান্দিনা উপজেলার, মহিচাইল, কাদুটি, বরকড়ই এইসব এলাকায় দেখা যায় পানের বরজের নজরকাড়া দৃশ্য। পান চাষ একটি দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক ফসল।

একবার পানের বরজে কাজ করলে ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বরজে কাজ করতে হয় না। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে রাসায়নিক সারের ব্যবহারও অনেকটাই কম। দেশীয় পদ্ধতিতে পান চাষে প্রথমে ডাল সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করতে হয়। এর তিন থেকে চার মাস পর ডাল থেকে সবুজ লতা বের হয়ে ছেয়ে যায় পান পাতার লতা। তারপর শুরু হয় চাষিদের পান সংগ্রহ। এক বিঘা জমিতে পান চাষ করে প্রতি বছর দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব বলে জানান পান চাষিরা।

কাদুটি গ্রামের পান চাষি জুয়েল চৌধুরী জানান, এবার পানের ভালো ফলন হয়েছে। বাজার দামও বেশ ভালো। আগের চেয়ে পান চাষ বেশি হচ্ছে, আবার পদ্ধতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তার সাফল্যের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, প্রথমে আমি ২৫ শতাংশ জমিতে পানের চাষ শুরু করি। এখন তিন বিঘা জমিতে পানের চাষ হচ্ছে আমার। কৃষি অফিস থেকে অফিসার এসে আমাদের পান চাষের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, চান্দিনা উপজেলায় এবার ৭০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়েছে। প্রতি বছর এ এলাকায় পানের চাষ বাড়ছে। পান চাষে সরকারি কোনও বরাদ্দ না থাকায় তাদের বীজ, সার, প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে পান চাষিদের পানে পচন, নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শের কথা জানান তিনি।

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২২ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
কচু চাষে এগিয়ে কুমিল্লা
কৃষি বিভাগ

জেলার বাজারগুলোতে কচু শাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুমিল্লার অলিগলিতেও কচু বিক্রি হচ্ছে। এবছর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে পানি কচুর চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৩০-১৫০ মণ কচু পাচ্ছেন চাষিরা।

জমিতে কচুর আবাদ করে চাষিরা স্থানীয় বাজারেই দর পাচ্ছেন কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা করে। দিন দিন কচুর লতির চাহিদা বেড়েই চলছে।

এখন থেকে ৮ থেকে ৯ হাজার টন লতি উৎপাদন হবে বলে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে। দেশে কচুর বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে।

কচু শাক, কচুর ডগা, কচুর মুখি, ও লতি সবজি হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। কচুতে প্রচুর পরিমাণ লৌহ ও ভিটামিন থাকে।

আগাম জাতের কচু চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কুমিল্লার চাষিদের মুখে।

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বরুড়া উপজেলার কৃষক সাদ্দাম হোসেন বাসসকে বলেন, এ বছর ১০ কাঠা জমিতে আগাম জাতের কচু চাষ করেছেন। খরচও তুলনামূলক কম হয়েছে।

তিনি বলেন, ১০ কাঠা জমিতে কচু চাষ করেছি। এক কাঠা জমি থেকে ৬-৭ মণ করে কচু পেয়েছি। জমি থেকেই ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করে দিচ্ছি। প্রতিবার তো এমন দাম হয় না, এবার কচুর দাম খুবই ভালো। যদি এমন বাজার থাকে তাহলে কচুতে প্রচুর টাকা আয় হবে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, কচু চাষ খুবই লাভজনক। চাষিরা কচু চাষ করে বেশ ভালো লাভ করছেন। সেই সঙ্গে দিন দিন কচু চাষ এ অঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। মুখি কচুর পাশাপাশি লতিরাজ কচু চাষ করেও কৃষকরা কম সময়ে লাভবান হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop