৫:৫০ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২১ ৩:১১ অপরাহ্ন
ক্রেতাশূন্য মাছ বাজার, লোকসানের মুখে পড়েছেন আড়তদাররা
মৎস্য

দু’দিনের বৃষ্টির কারণে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি মাছ বাজার। বিভিন্ন প্রকারের মাছের সরবরাহ বাড়লেও বেচাকেনা না থাকায় হতাশ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। এ অবস্থায় লোকসানের মুখে পড়েছেন আড়তদাররা।

শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে শহরের তিন নম্বর ঘাটে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছ বাজারটি প্রায় ২০০ বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে। নদীপথে পরিবহনের সুবিধা থাকায় ব্রিটিশ আমলে এখানে মাছ বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওর অঞ্চলের সব ধরনের ছোট বড় তাজা মাছ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছও বিক্রি হয় এই বাজারে। মূলত এই বাজার থেকেই নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাজারগুলোতে মাছ সরবরাহ হয়ে থাকে।

তবে দু’দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে দূর-দূরান্তের পাইকার না থাকায় মজুতকৃত মাছে পচন ধরার আশঙ্কা করছেন আড়তদাররা। অন্যদিকে ক্রেতার অভাবে লোকসান দিয়ে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছ পচে যাবে বলে লোকসান দিয়ে হলেও মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। একজন ইলিশ মাছ বিক্রেতা ১ হাজার ২৫০ টাকা কেজিতে ইলিশ কিনে আনলেও বিক্রি করতে হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায় বলে অভিযোগ করেন।

এদিকে প্রয়োজনের তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্বল্পসংখ্যক ক্রেতা বাজারে এসে কম মূল্যে মাছ কিনতে পেরে খুশি। ক্রেতারা বলেন, এই বাজারে টাটকা মাছ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বৃষ্টি থাকায় প্রায় প্রতিটি মাছ কেজিপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা মৎস্য আড়তদার সমিতির দাবি, খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত পরিবেশেই ২০০ বছর ধরে মাছ বাজারটি অস্থায়ীভাবে চলছে। সব ধরনের কর প্রদান করেও তারা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।

৩নং মাছ ঘাট মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের বিনীত আবেদন, আমাদের ঘাটটি যাতে স্থায়ী করে দেওয়া হয়।’

এই মাছ বাজারে শতাধিক আড়তদার ও হাজারের বেশি পাইকারি ব্যবসায়ী বংশ পরম্পরায় মাছ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। প্রতিদিন অন্তত তিন কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয় এই আড়তে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ৯:৪০ অপরাহ্ন
সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর
মৎস্য

বরিশালে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ ও কলাকৌশল শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বরিশাল নগরীর কাশীপুর মৎস্য প্রশিক্ষন কেন্দ্রের হলরুমে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুর রাজ্জাক।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রশিক্ষন দেন গ্রীন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. অলিউর রহমান। এছাড়া বরিশাল মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

কর্মশলায় বরিশালে কর্মরত জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশনের ৪০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশলায় জানানো হয়, বাংলাদেশের ইইজেড (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন) আয়তন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮শ’ ১৩ বর্গকিলোমিটার। সাগর থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৬ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। আহরিত মাছের মধ্যে ৪৫ ভাগ ইলিশ, ৬ ভাগ চিংড়ি এবং সামূদ্রিক নানা প্রজাতীর মাছ ৪৯ ভাগ। দেশে মৎস্য আহরণের ২৫৭টি বাণিজ্যিক নৌযান এবং ইঞ্জিন ও যন্ত্র চালিত ৩০ হাজার নৌযান রয়েছে। মৎস্য সম্পদের উপর প্রায় ৫ লাখ জেলে নির্ভরশীল। মৎস্য রপ্তানী থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩৯ হাজার ৮শ’ ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়।

এমন বাস্তবতায় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরুপন, সংরক্ষন, সঠিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই আহরন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিংড়ি ক্লাস্টার উন্নয়ন এবং উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ হাতে নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।

প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে এবং এর সুফল জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় কর্মশালায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ৪:৩৭ অপরাহ্ন
সিলেটের লালবাজারে চলছে নানা প্রজাতির মাছের প্রদর্শনী ও বিক্রি
মৎস্য

রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল, শোল তো আছেই; সঙ্গে মিলেছে সেই দূর সমুদ্রের টুনা মাছ, কোরাল, সেইল ফিশ। মাছ কিনতে এবং দেখতে আসা মানুষে ঠাসা লালবাজার। সিলেট নগরের লালবাজার। মাছের জন্য খ্যাত বাজারটিতে বসেছে তিন দিনব্যাপী মাছ বিক্রি ও প্রদর্শনী। পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষেই এ আয়োজন। পৌষ মাসের শেষ দিনে এ উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে।

লালবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির আয়োজনে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিন দিনব্যাপী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। মেলা উদ্বোধনের পর প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট ছিল মাছের বাজার। বাজারে ৮০টি দোকানে বিক্রি ও প্রদর্শন করা হচ্ছে মাছগুলো।

আজ দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলা উপলক্ষে লালবাজার সেজেছে আলোকসজ্জায়। মেলা প্রাঙ্গণে ঢোকার তিনটি দ্বার ঝলমল করছে আলোর ছটায়। হাওরের মাছ, চাষের মাছ এবং চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছে সামুদ্রিক মাছ।

মেলায় বিক্রির জন্য উঠেছে রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল, শোল, বাগাড়, ইলিশ, ঘাসকার্প, সামুদ্রিক টুনা মাছ, কোরাল, সেইল ফিশ, ভোল মাছ, বাইন মাছ, শাপলাপাতা মাছসহ আরও নানা প্রজাতির মাছ। মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের নজর কাড়ে ৩১ কেজি ওজনের বোয়াল, বড় বড় চিতল ও সামুদ্রিক সেইল ফিশ। বোয়ালটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা। প্রায় ১২ কেজি ওজনের চিতল মাছের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। মেলায় আনা শাপলাপাতা মাছের কেজিপ্রতি দাম চাওয়া হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা, টুনা মাছের কেজি ৪০০ টাকা, ভইল মাছের কেজি ৪৫০ টাকা, সেইল ফিশের কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা, ইলিশ মাছের কেজি আকারভেদে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। মেলায় আসা দর্শনার্থী ও ক্রেতারা মাছের দরদাম জেনে নিচ্ছেন। সে সঙ্গে সমানতালে চলেছে বিক্রিও। আগামী বুধবার এ মেলা শেষ হবে।

মেলায় মাছ কিনতে আসা দ্বীপরাজ চক্রবর্তী বলেন, পৌষসংক্রান্তি বাঙালিদের জন্য একটি উৎসব। বড় মাছ দিয়ে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে মেলায় এসেছি।’ রাজ আরও বললেন, ‘মেলা থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে চার কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ কিনেছি।’

মেলায় আসা রাহুল নাথ বলেন, ‘মেলায় সামুদ্রিক দুটি মাছ দেখেছি, যা বাজারে আগে দেখিনি। একটি পঙ্খিরাজ এবং অন্যটি শাপলাপাতা মাছ। আজ দেখলাম, কাল মাছ কিনব।’

মাছ ব্যবসায়ী মো. শিপন বলেন, ‘মেলা উপলক্ষে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে প্রায় ২৫ কেজি ওজনের পঙ্খিরাজ (সেইল ফিশ) এনেছি। এটির দাম ৩৫ হাজার টাকা চাইছি। আস্ত মাছ বিক্রি না হলে কেটে কেজিতে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে বিক্রি করব।’

আরেক মাছ বিক্রেতা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘মেলায় অন্যান্য মাছের সঙ্গে শাপলাপাতা মাছ এনেছিলাম। এটি দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন।’ প্রায় সাত কেজি ওজনের মাছটির দাম ১০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি।

লালবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমদ বলেন, ‘দেশীয় কিছু মাছ বিলুপ্তির পথে। সেসব মাছ আমরা সংগ্রহ করে মেলায় বিক্রি ও প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে আসা হয়। ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছরই লালবাজারে পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে মাছের মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ মেলা অব্যাহত রাখা হবে বলে আমরা আশা করছি।’

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ২:১৩ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, শুঁটকি পল্লীর ঘুম হারাম
মৎস্য

দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত দু’দিন ধরে বরগুনার তালতলীসহ সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আজ (রবিবার) সকাল থেকে হালকা দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি অব্যাহত আছে। আকাশে কালো মেঘের কারণে প্রকৃতি অন্ধকার রূপ ধারণ করেছে। গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না, সাগর উত্তাল হওয়ায় বরগুনার তালতলীতে আশারচর শুঁটকি পল্লীর জেলেরা বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

আজ দুপুরে সরেজমিনে শুঁটকি পল্লীর জেলেদের সাথে কথা বললে তারা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে পল্লীর বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানান তারা।

তালতলী উপজেলার সমুদ্রের কোলঘেঁষা আশার চর এলাকার শুঁটকি পল্লীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ৫ শতাধিক জেলে ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা এই শীত মৌসুমে শুঁটকি উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করে থাকেন। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদকে নিয়ে তারা এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। উড়িশ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে যাওয়া ঝড়টি যদি আঘাত হানে তাহলে এর প্রভাব পড়বে ওই আশারচর শুঁটকি পল্লীতে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে জেলেদের ঘরে থাকা লাখ লাখ টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া ঝড়ের সময় এখানকার জেলেদের আশ্রয়ের জন্য নেই কোনো আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টার। বর্তমানে আকাশে কালো মেঘের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এবং সাগরও কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

শুঁটকি ব্যাবসায়ী জামাল আকন ও জেলে আবুল কালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সম্ভাব্য আঘাতের আশঙ্কায় আশারচর শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানরত জেলে ও তাদের পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি জেলের অস্থায়ী ঘরে শুকনো শুঁটকি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে এবং বৃষ্টি হলে এগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যবসা ও লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

অপরদিকে শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানরত একাধিক জেলেরা জানান, ঝড়ের সময় ওই শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানরত জেলে ও তাদের পরিবার- পরিজন নিয়ে তারা চরম ঝুঁকিপূর্ণ ও অনেকটা আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছেন।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ কাওসার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের গতিবিধি ও আবহাওয়া বিভাগের সংকেতের প্রতি নজর রাখা হচ্ছে এবং আশারচর শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানরত জেলেদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়াও সাম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তাদের সাবধানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আশারচরের শুঁটকি পল্লীর আশেপাশে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২১ ২:৩৫ অপরাহ্ন
ফুটবলারের জালে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল
মৎস্য

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে স্থানীয় এক ফুটবলারের জালে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি এক হাজার টাকা কেজি দরে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হ্নীলা জালিয়াপাড়া নাফ নদী পয়েন্টে ইসমাইল নামে এক ফুটবল খেলোয়াড়ের জালে ওই কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি ইউনূছ নামে এক ব্যবসায়ী কিনেছেন।

ব্যবসায়ী ইউনূছ জানান , শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ইসমাইলের কাছ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে ২০ কেজির কোরালটি তিনি কেনেন। পরে হ্নীলা বাজারে এনে মাছটি কেটে এক হাজার টাকা কেজি দরে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, শুক্রবার বিকেলে একদল যুবক ফুটবল খেলার পর জাকি জাল দিয়ে মাছ ধরতে নামে। সেখানে ইসমাইল নামে এক ফুটবলারের জালে ২০ কেজি ওজনের কোরাল মাছটি উঠে আসে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২১ ১:৩১ অপরাহ্ন
পুকুরে মলা মাছের সঙ্গে তেলাপিয়া চাষ করবেন যেভাবে
মৎস্য

আমাদের দেশে দিন দিন মাছ চাষির সংখ্যা বাড়ছে। মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্বও দূর হচ্ছে। তাই মাছ চাষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেমনই হচ্ছে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি। এই চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দারুণ সফল হচ্ছেন চাষিরা। জেনে নিন এ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

এ ধরনের মাছ চাষের জন্য প্রথমে পুকুরে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর তেলাপিয়া। মাছ বড় হলে আগে মলা মাছ ধরতে হবে। কারণ বাজারে এর চাহিদা অনেক। মলা মাছ বড় হতে কম সময় লাগে। মলা মাছে লাভের পরিমাণও অনেক বেশি।

প্রথমে পুকুরে বিষটোপ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তার পরদিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ছয়-সাতদিন পর শতাংশপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ মিলি পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।

একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেণু ছাড়তে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেণু দিতে হবে। তারপর এ মলা মাছের ওপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।

মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করতে হবে। তেলাপিয়া বাজারজাত হবে আরও পরে। সঠিকভাবে মাছের যত্ন নিলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০-৩০০ পিসে কেজি হবে।

এভাবে মাছের বয়স ৯০ দিন হলে আনুমানিক ৯০ শতাংশ মলা মাছ বিক্রি করে ১০ শতাংশ মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়া সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২১ ১২:৩২ অপরাহ্ন
দেশী পাবদা মাছ চাষ করে সফল ডুমুরিয়ার বেনজির হোসেন
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়া করোনা মহামারির কারনে দেশে ফিরে আসা এক যুবক, মৎস্য অধিদপ্তরের পরামর্শে, পাবদা মাছের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। ইতোমধ্যে ২০ লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রিও করেছেন তিনি। বছর শেষে ৬ মাসের সিজনে পাবদা বিক্রি কোরে, প্রায় ৫০ লাখ টাকা আয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। ফলে অন্য চাষিরাও,পাবদা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

খুলনার ডুমুরিয়ার হাসানপুর গ্রামের বেনজির হোসেন একজন তরুন মৎস্য উদ্যোক্তা। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও, করোনা মহামারিতে দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়েন। সেসময় উপজেলা মৎস্য অফিসের পরামর্শে,পাবদা মাছের চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন।পরে ৫ একর জমিতে পাবদার চাষ শুরু করেন।

ইতোমধ্যে ২০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আরো প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হবে বলে মনে করছেন,বেনজির। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে চাষ করার ইচ্ছা পোষন করেন তিনি। তার এ সফলতা দেখে, স্থানীয় চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন।

দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষের ওপর নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বেনজিরকে মৎস্য অফিস থেকে কারিগরী পরামর্শসহ,প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

উপকুলীয় এলাকায় দেশী প্রজাতির মাছের সম্প্রসারণ ঘটালে চাষিরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এজন্য সরকারের সাহায্য বা প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পেলে, পাবদাসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষে আগ্রহী হবেন স্থানীয় চাষিরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২১ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
শীতকালে মাছের ক্ষতরোগ দূর করার উপায়
মৎস্য

শীতকালে মাছ চাষিদের একটু বেশি সতর্ক হতে হয়। কারণ এসময়ে মাছের রোগ-বালাই বেশি দেখা দেয়। ফলে খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। শীতে দূষিত পানি বা পানির চেয়ে মাছ বেশি হলে মাছের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এছাড়া পরজীবী ও জীবাণুর আক্রমণে শীতকালে মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

রোগাক্রান্ত মাছের কিছু অস্বাভাবিক আচরণ ও শারীরিক অসঙ্গতি দেখা যায়। এসব অসঙ্গতির মধ্যে রয়েছে খাবারের প্রতি অনিহা, কঠিন বস্তুতে গা ঘর্ষণ ও চলার গতি ধীর হওয়া। অন্যদিকে পানির উপর ভেসে থাকা, লাফালাফি করা এছাড়াও দেহের যেকোনা অংশে ঘা হতে পারে। আবার মাছের রূপালি রঙের সাদা ফোঁসকা উঠে পেট ফুলে যায়, ফুলকা ফুলে উঠে এবং গা থেকে আঠাঁলো বিজলা বের হয়।

আমাদের দেশে শীতকালে সাধারণত মাছের ক্ষত রোগটি মহামারি আকার ধারণ করে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এসময় খমারিরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। একানোমাইসিস নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়ার কারণে মাছের ক্ষত রোগ হয়। এ রোগের জীবাণু সম্পর্কে দ্বিমত থাকলেও প্রতিকূল পারিপার্শ্বিকতা এ রোগের মূল কারণ বলে মৎস্য বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

মাছের শরীরে ছোটছোট লাল রঙের দাগ হওয়া, দাগগুলো বড় ক্ষতে পরিণত হওয়া, লেজ, ফুলকা ও পাখনাতে পচন ধরা, কোনো কোনো সময় ফুলকা ও পাখনা পচে গিয়ে খসে পড়া। ক্ষত রোগে আক্রান্ত মাছগুলো পানির মধ্যে কাত হয়ে দল ছাড়াভাবে ভাসতে থাকে এবং মাছ দুর্বলভাবে সাঁতার কাটে।

শীতকালে পুকুরের পানির পিএইচ ঠিক রাখার জন্য নিয়মিতভাবে চুন দিতে হবে। ঘন ঘন জাল ফেলে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাল ফেললেও মাছগুলোকে পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট দ্রবণে ডুবিয়ে তারপর পুনরায় পানিতে ছাড়তে হবে।

পুকুরে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি মাছ রাখা ঠিক হবে না। বর্ষার সময় বাইরের পানি পুকুরে ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না। পুকুরের তলদেশের গাদ প্রতি দুই-তিন বছর পরপর একবার সরিয়ে নিতে হবে। মরা মাছগুলোতে চুন লাগিয়ে পুকুর থেকে দূরে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।

ঘা হওয়া মাছগুলো তুত বা কপার সালফেট পরিমিত পরিমাণে তৈরি করে তাতে সামান্য সময়ে গোসল করিয়ে আবার পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাপকহারে এ রোগ দেখা দিলে বিঘাপ্রতি ২০০ কিলোগ্রাম লবণ দুই কিস্তিতে ভাগ করে তিন দিনের ব্যবধানে পানিতে প্রয়োগ করতে হবে।

মাছের অতিরিক্ত খাবারের সঙ্গে টিরামাইসিন নামক ঔষধ (১০০ মিলিগ্রাম ঔষধ প্রতি কিলোগ্রাম খাদ্যের সঙ্গে) ভালোভাবে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। সিফেক্স প্রতি হেক্টর পানিতে ১ লিটার ঔষধ প্রয়োগ করে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এছাড়া কাঁচা হলুদ ১০:২ অনুপাতে বিঘাপ্রতি পানিতে একসঙ্গে মিশিয়ে শীতের সময়ে ব্যবহার করলে এ রোগ থেকে খামারের মাছকে ভালো রাখা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২১ ২:৫০ অপরাহ্ন
হালদা নদীতে ১০ হাজার মিটার অবৈধ ভাসা জাল জব্দ
মৎস্য

হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন ১০ হাজার মিটার অবৈধ ভাসা জালসহ জাল বসানোর সরঞ্জাম ও নোঙর জব্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) হালদা নদীর গড়দুয়ারা এলাকা থেকে হালদা মুখ পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম আইডিএফ ও রৌশনগীর একদল স্বেচ্ছাসেবক।

ইউএনও মো. শাহিদুল আলম বলেন, হালদা নদীর মা মাছসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হালদা নদীতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার অবৈধ ভাসা জাল, জাল বসানোর সরঞ্জামসহ একটি নোঙর জব্দ করেছি।

তিনি আরও বলেন, হালদার মা মাছ, ডলফিন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করছি।

অভিযানে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ইউএনও মো. শাহিদুল আলম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২১ ১২:৩২ অপরাহ্ন
বিলুপ্তির পথে হাকালুকি হাওরের দেশীয় প্রজাতির রাণী মাছ
মৎস্য

এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর, নদ-নদী,খাল-বিলে বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়লেও দেশীয় প্রজাতির রাণী মাছের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মাছের সঙ্গে রাণী মাছের বংশ অনেকটা বিলুপ্তি হতে চলেছে। বিশেষ করে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় হতে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওরও আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে অন্যান্য দেশীয় মাছের সাথে রাণী মাছ ধরা পড়তো।

বিগত কয়েক বছর যাবত এ মাছের খুব একটা দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা। এ বছর অন্যান্য বছরের চেয়ে রাণী মাছ একেবারেই কম পাওয়া যাচ্ছে। সরেজমিনে হাকালুকি হাওরে গিয়ে মৎস্যজীবিদের অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আগামীতে এ প্রজাতির মাছ একেবারেই না পাওয়ারই সম্ভাবনা। এ জাতীয় মাছের বংশ বিস্তার বা রক্ষার লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই। যার ফলে, হাকালুকি হাওর,বিল, জলাশয়ের অতি পরিচিত প্রজাতির রাণী মাছ আজ বিলুপ্তি হওয়ার পথে।

ফলজ,বনজ ও জলজ সম্পদে পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান ওই হাকালুকি হাওর। এ হাওর ও জলাশয় থেকে সারা বছরই মাছ ধরা হয়।হাকালুকি হাওর,বিলসহ আশপাশের জলাশয় ও মৎস্য ভান্ডারগুলোতে নানা প্রজাতির মাছ জন্মে।মাছের বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। তেলাপিয়া, কার্পো, রুই, কাতলাসহ ওই জাতীয় মাছের উৎপাদন ও বংশ বিস্তারে মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিলেও দেশীয় স্থানীয় প্রজাতির মাছের বংশ রক্ষায় তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে ২৩ জাতের দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।ওই জাতীয় মাছের বংশ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় নতুন প্রজন্মের অনেকেই ওই সব মাছ সম্পর্কে পরিচিত হতে পারছেনা। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে রাণী মাছ। রাণী মাছ জুড়ীসহ বৃহত্তর সিলেটের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় অনেকে বেশী দামে এ মাছ ক্রয় করতে আগ্রহী।

মাত্র এক যুগ আগেও এ সময়ে জুড়ীর বিভিন্ন হাটবাজারে রাণী মাছের ব্যাপক বেচা-কেনা ছিলো।ধীরে ধীরে এ প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমতে থাকায় অতি পরিচিত রাণী মাছ আজ অনেকটা হারিয়ে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে অত্র অঞ্চলের মৎস্যজীবিদের সাথে কথা হলে, অনেকের অভিমত অন্যান্য মাছের মতো রাণী মাছ চাষে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে হাকালুকি হাওরসহ আশপাশের জলাশয়গুলো আবারো অতীতের ন্যায় রাণী মাছ ভরে উঠবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop