১১:৪১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২১ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
বাণিজ্যিকভাবে কেঁচো সার উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছেন হালিম
কৃষি গবেষনা

পরিশ্রম আর আগ্রহের সমন্বয় ঘটাতে পারলে যেকোনো কাজেই মিলে প্রত্যাশিত সাফল্য। নার্সারি ব্যবসা দিয়ে শুরু করে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদনেও সফলতার পথে হাঁটছেন। নিজের নার্সারিতে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহারের পাশাপাশি বাজারজাত শুরু করেছেন এমনই এক উদ্যোক্তা। বলছিলাম পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির সীমান্তঘেঁষা পানছড়ির স্বপ্নবাজ তরুণ আব্দুল হালিমের কথা।

পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির সীমান্তঘেঁষা পানছড়ির উপজেলা শহর ঘেঁষা টিএন্ডটি ভবন। টিএন্ডটি ভবনের পাশেই সরকারি পরিত্যাক্ত টিলাভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে গাউছিয়া নার্সারি। গাউছিয়া নার্সারিতেই একটি ছোট্ট টিনের ঘরে বিশেষভাবে তৈরি ট্যাঙ্কে ও দশটি রিংয়ে চালার ঘরে চলছে স্বপ্নবাজ আব্দুল হালিমের কেঁচো সার বা বার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন প্রক্রিয়া।

সেখানেই জাগো নিউজকে নিজের বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদনের গল্প শোনালেন তরুণ উদ্যোক্তা মো. আব্দুল হালিম। বললেন মাস ছয়েক আগে বান্দরবানে নার্সারির উপর প্রশিক্ষণে গিয়ে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরির ধারণা লাভ করেন তিনি।

শুরুতেই কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বান্দরবান থেকে সংগ্রহ করেন এপিজিক নামক তিন কেজি কেঁচো। এর পরপরই শুরু করেন কঁচো থেকে পরিবেশ বান্ধব জৈব সার তৈরির মতো কর্মযজ্ঞ। মা-বাবা আর ডিগ্রি পড়ুয়া ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে গেল নভেম্বর মাসে পানছড়ির টিএন্ডটি ভবন লাগোয়া গাউছিয়া নার্সারিতে শুরু করেন বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন প্রক্রিয়া।

বললেন পরিবারের অভাব-অনটনের কথা চিন্তা করে ২০০৪ সালে স্বল্প পরিসরে প্রতিষ্ঠা করেন গাউছিয়া নার্সারি। নিজের আন্তরিকতা আর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গত ১৬ বছরে ডালপালা মেলেছে গাউছিয়া নার্সারি। ২০০৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেননি এ তরুণ।

পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে আর পরীক্ষাও দেয়া হয়নি। ফলে সেখানেই থেমে গেছে তার শিক্ষাজীবন। আর্থিক অস্বচ্ছলতায় লেখাপড়া করতে না পারলেও আক্ষেপ নেই তার।

নার্সারি প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরের মাথায় তার স্বপ্নে নতুন পালক হিসেবে যুক্ত হয়েছে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদান। বান্দরবান থেকে সংগ্রহ করা তিন কেজি এপিজিক কেঁচো আর চারটি ট্যাঙ্কে ও দশটি রিংয়ে দিয়েই তার পদযাত্রা।

মাত্র ছয় মাসে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদান করে সাফল্য পেয়েছেন পানছড়ির আব্দুল হালিম। বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদানের স্বপ্ন দেখছেন এ যুবক। এজন্য তিনি সরকারি ঋণ সহায়তা প্রদানেরও দাবি জানান।

পানছড়ির মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা গাউছিয়া নার্সারির মালিক মো. আব্দুল হালিম বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন ও বিপণনে নিজের সংসারে সমৃদ্ধি এনেছেন। নিজের নার্সারিতে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রতি মাসে এক টনেরও বেশি জৈব সার বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি পানছড়ি বাজারে সার বিক্রেতারাও নেন কেঁচো সার। বার্মি কম্পোস্ট সারের পাশাপাশি সার উৎপাদনকারি বিশেষ কেঁচোও বিক্রি করছেন তিনি। নিজের পাশাপাশি বাবা-মা আর ডিগ্রি পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের ঘামঝরা পরিশ্রমে স্বপ্নের পথে হাঁটছেন আবদুল হালিম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার একটি ফসল বা গাছের সুষম খাদ্যের যোগান দেয়। যেখানে রাসায়নিক সারে কেবল এক বা দুইটি খাদ্য উপাদান থাকে সেখানে বার্মি কম্পোস্টে রয়েছে সুষম খাদ্য উপাদান।

কেঁচো সার উৎপাদনে এপিজিক ও এন্ডিজিক নামক কেঁচো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফলে মাটিতে অণুজীবের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মাটিতে বাতাসের চলাচলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সাধারণত রিং পদ্ধতিতে বার্মি কম্পোস্ট উৎপাদিত হয়।

কলার বাকলসহ বিভিন্ন ঘাস, লতার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ রেখে দিতে হয়। পরে রিংয়ের মধ্যে ২০০ গ্রাম এপিজিক ও এন্ডিজিক কেঁচো মিশিয়ে রাখতে হয়। এভাবেই তৈরি হয় বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এ সার মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর ও পরিবেশ বান্ধব।

কেঁচো সার উৎপাদনে তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল হালিমের সাফল্যে অনেকেই বার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন জানিয়ে পানছড়ির উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণাঙ্কর চাকমা জানান, রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে কৃষকরা বার্মি কম্পোস্ট সার বেছে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকার রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।

সূত্রঃজাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২১ ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
একই জমিতে ভূট্টা ও শাক চাষে সফল সিলেটের কৃষকরা
কৃষি গবেষনা

সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রতি ভুট্টার সাথে আন্তঃফসল হিসেবে স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি যেমন লালশাক, ডাটাশাক, পালংশাক, লাইশাক, সরিষাশাক, খেসারিশাক, ধনিয়া ইত্যাদি চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন ওখানকার কৃষকরা। সিলেট অঞ্চলে শাক-সবজির চাহিদা এমনিতেই বেশি।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ব ও হাওর বিভাগের নতুন গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে অন্যান্য দানাদার শস্যের তুলনায় ভুট্টার উৎপাদন ক্ষমতাও তুলনামূলক বেশি বলে। ভুট্টা চাষে সার তুলনামূলক বেশি প্রয়োজন হয় এবং প্রাথমিক অবস্থায় দুই গাছের মধ্যবর্তী স্থানে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকে। এই ফাঁকা জায়গার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ধরনের স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি চাষ করা সম্ভব। অতিরিক্ত আকারে সার ছিটানোরও প্রয়োজন হয় না। এতে করে সমপরিমাণ জায়গায় অধিক পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে ভুট্টার সাথে আন্তঃফসল হিসেবে স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি চাষকালে ভুট্টা কিংবা শাকসবজি কোনো ফসলের উৎপাদনই তেমন বাধাগ্রস্থ হয়নি। বরং খেসারি শাক ও ধনিয়ার সাথে ভুট্টার উৎপাদন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। এতে করে অতিরিক্ত আকারে প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৬০,০০০-৮০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেমের (সাউরেস) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছেন কৃষিতত্ত্ব ও হাওর বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক। এই গবেষণায় আরো যুক্ত হয়েছেন মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী পলাশ দেব নাথ এবং নুর মোহাম্মদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২১ ৫:৪৯ অপরাহ্ন
দেশে গম চাষ ও উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষি গবেষনা

ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী উচ্চফলনশীল গমের জাতের মাঠ পরিদর্শন ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী উচ্চফলনশীল গমের নতুন জাতের মাধ্যমে দেশে গম চাষ ও উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, দেশে দিন দিন গমের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের আবহাওয়া গম চাষের জন্য খুব উপযোগী না হওয়ায় চাহিদার পুরোটা দেশে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। দেশে আগে গমের অনেকগুলো জাত জনপ্রিয় হয়েছিল কিন্তু সেগুলো সহজেই ব্লাস্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতো। নতুন উদ্ভাবিত জাত যেমন বারি গম -৩৩সহ আরও কয়েকটি জাত ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী। এই উচ্চফলনশীল জাতগুলোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই দিনাজপুরে জাতগুলোর উন্নত বীজ উৎপাদন করে সারাদেশে চাষে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে দেশের বিরাট এলাকা গম চাষের আওতায় আসবে ও উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

কৃষিমন্ত্রী সোমবার দিনাজপুরের নশিপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে গম ও ভুট্টার চলমান গবেষণা মাঠ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।
এসময় হুইপ ইকবালুর রহিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ এছরাইল হোসেন, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র-সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সূত্রে জানা যায়, ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী গমের মধ্যে বারি গম-৩৩, ডাব্লিউএমআরআই গম- ২ ও ডাব্লিউএমআরআই গম -৩ উল্লেখযোগ্য। বারি গম-৩৩ এর বৈশিষ্ট্য হলো এটি ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী, পাতার মরিচা ও পাতা ঝলসানো রোগপ্রতিরোধী। তাপ সহিষ্ণু। কাণ্ড শক্ত, সহজে হেলে পড়ে না। জীবনকাল ১১০-১১৫দিন। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪.৬-৫ টন। দানা বড়, সাদা, চকচকে। জিংক সমৃদ্ধ (৫০-৫৫ পিপিএম)। ব্লাস্টপ্রবণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চাষের জন্য বেশি উপযোগী। ২০১৭ সালে অবমুক্ত।
ডাব্লিউএমআরআই গম- ২ এর বৈশিষ্ট্য হলো ব্লাস্ট সহনশীল,পাতা ঝলসানো ও পাতার মরিচা রোগপ্রতিরোধী। তাপ সহিষ্ণু,আগাম। স্বল্প মেয়াদি জীবনকাল ১০৬-১১২ দিন। ফলন হেক্টর প্রতি ৪.৫-৫.৫ টন।ডাব্লিউএমআরআই গম- ২ এর বৈশিষ্ট্য হলো ব্লাস্ট প্রতিরোধী,পাতা ঝলসানো ও পাতার মরিচা রোগ প্রতিরোধী। তাপ সহিষ্ণু। জীবনকাল ১০৮-১১৪ দিন। খাটো জাতের ৯৬-১০৬ সেমি উচ্চতা। ফলন হেক্টর প্রতি ৪.০-৪.৫ টন।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। ব্লাস্টে আক্রান্ত ফসলের উৎপাদন শতকরা ২৫-৩০ ভাগ হ্রাস পায়।
ভুট্টার ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিমিট ও দেশের বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে। এটি নিয়ে তীব্র কোন সমস্যা নেই।
কৃষিমন্ত্রী সরেজমিনে গবেষণা মাঠ পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করেন। পরে দুপুরে মন্ত্রী ইনস্টিটিউট চত্বরে চার দিনব্যাপী ‘কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলা-২০২১’ এর উদ্বোধন করেন এবং কর্মশালায় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। মন্ত্রী এসময় জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতের চ্যালেন্জ মোকাবেলায় গম ও ভুট্টার নতুন নতুন জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সেগুলো কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ এছরাইল হোসেন কর্মশালায় গম ও ভুট্টার উৎপাদন, গবেষণা ও উন্নয়নের সার্বিক চিত্রের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, এই ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ৩৬ টি উচ্চ ফলনশীল গমের জাত উদ্ভাবন করেছে। এগুলোর মধ্যে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও জিঙ্কসমৃদ্ধ জাত বারি গম ৩৩ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইনস্টিটিউট কর্তৃক ২০১৯ সালে ডাব্লিউএমআরআই গম-১ এবং অতি সম্প্রতি ডাব্লিউএমআরআই গম-২ (ব্লাস্ট রোগসহনশীল) ও ডাব্লিউএমআরআই গম-৩ (ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী) জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত ভুট্টার ১৯ টি হাইব্রিড জাত ও ৭টি ওপেন পলিনেটেড কম্পোজিট জাত উদ্ভাবিত হয়েছে।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে হুইপ ইকবালুর রহিম, এমপি বলেন, দিনাজপুরে সব ধরণের ফসলের চাষের সম্ভাবনা প্রচুর। এ অঞ্চলে গম, ভুট্টাসহ শাক-সবজি ও ফল প্রক্রিয়াকরণের জন্য দ্রুত কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা প্রয়োজন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২১ ৪:১৭ অপরাহ্ন
এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ফর্ম বিতরন পর্ব শুরু
কৃষি গবেষনা

কৃষি নির্ভর এই দেশের কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়া দীপ্ত টেলিভিশন এবার হাতে নিয়েছে আরেকটি বিশাল উদ্যোগ। কৃষির অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে এগিয়ে নেয়া মানুষগুলোর কাজের স্বীকৃতি হিসাবে দীপ্ত টেলিভিশনের ‘‌দীপ্ত কৃষি‘‌ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে প্রদান করা হবে “এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২০”।

এখন থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কারটি দেয়া হবে মাঠ পর্যায়ে তিলতিল করে সফল হয়ে ওঠা কৃষক, খামারি, সৃজনশীল উদ্ভাবক, মেধাবী গবেষক এবং সফল কৃষি উদ্যোক্তাদের।

বাংলাদেশের সকল কৃষক, খামার, উদ্ভাবক, কৃষি বিজ্ঞাণী, গবেষক ও নতুন উদ্যোক্তা দীপ্ত কৃষি আ্যওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ইমেইল বা ডাকযোগে মনোনায়ন পত্র দাখিল করতে পারবেন বা ছবি তুলে দীপ্ত টিভির ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি মনোনায়ন ফরমে অবশ্যই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সিল ও স্বাক্ষর থাকতে হবে।

আবেদনকারীরা অনলাইনেও ফরম পূরণ করতে এখানে ক্লিক করুন: এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ফর্ম

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২১ ১:৫১ অপরাহ্ন
মালচিং ও জৈব প্রযুক্তি অনুসরণে খুবিতে বেগুনি ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য
কৃষি গবেষনা

বেগুনি ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে এক নতুন সংযোজন যা বৈদেশিক রপ্তানিতে সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ গবেষণা কেন্দ্রে চলতি মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে কম খরচে পোকা ও ভাইরাসমুক্ত নিরাপদ রঙিন ক্যাপসিকাম চাষের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। মালচিং ও জৈব প্রযুক্তি অনুসরণে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে একবার ফল তোলা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবারও ফল ধরেছে। এই গবেষণা প্রকল্পের মাঠে এখন ক্যাপসিকাম গাছে বেগুনি, হলুদ ও সবুজ তিন ধরনের ফল শোভা যাচ্ছে। প্রতিটি গাছে ৪-১০টি পর্যন্ত ক্যাপসিকাম ঝুলে আছে। চলতি সপ্তাহেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল সংগ্রহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় বেগুনি ক্যাপসিকাম দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে এবারই প্রথম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা মাঠে চাষ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে থ্রিপস বাহিত ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করে ক্যাপসিকাম উৎপাদন। গবেষণার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার দাশ। একই ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের ১ম বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আলম এ কাজের গবেষণা সহায়ক হিসাবে কাজ করছেন।

খুবিতে বেগুনি ক্যাপসিকাম
প্রধান গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক বলেন, “মাঠ পর্যায়ে ক্যাপসিকাম চাষের প্রধান অন্তরায় হল থ্রিপস পোকার আক্রমণ। এই থ্রিপস মরিচ গোত্রের সবজির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। এই পোকা পাতার নীচে থাকে ও ঈযরখঈঠ ভাইরাসের বাহক হিসাবে কাজ করে। এই ভাইরাসের আক্রমণ হলে গাছের কচিপাতা হলুদ হয়ে কুকঁড়ে যায় ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এই ভাইরাস দ্বারা এটি ছড়ায় ও অতি অল্প সময়ে এটি সমস্ত মাঠে ছড়িয়ে পড়ার খুবই সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ভাইরাস রোগের কোন প্রতিশোধক নেই ও ভাইরাস প্রতিরোধী ক্যাপসিকামের জাত বিশ্বে এখনো উদ্ভাবন হয়নি। কিন্তু আগাম সতর্কতা হিসাবে মাটি ও বীজ শোধন এবং পরিষ্কার চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। এছাড়া অল্পসংখ্যক গাছে রোগের লক্ষণ দেখা দিলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে মাটিসহ গাছ তুলে ফেলে দূরে কোন গর্তে মাটি চাপা দিয়ে রাখতে হয়। মাঠ পর্যায়ে জৈব উপায়ে কার্যকরী থ্রিপস দমনের পদ্ধতি নির্বাচনই ছিল এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। এই গবেষণায় থ্রিপস পোকা দমনের জন্য ক্যায়োলিন ক্লে ও নিমের তৈল জৈব বালাইনাশক হিসাবে ১০ দিন পর পর ছিটানো হয়। ক্যায়োলিন ক্লে, একটি অর্গানিক ক্লে পার্টিকেল যা এ্যালোমিনিয়াম ও সিলিকন সমৃদ্ধ। এই দ্রব্যের বাণিজ্যিক নাম সারাউন্ড। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় এই ক্লে পাউডার ব্যবহার করেছেন – যেমন গাছের তাপ নিয়ন্ত্রণ, ফলকে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা ও বিভিন্ন পোকা (থ্রিপস, মাইটস) দমন ইত্যাদি যেখানে বিজ্ঞানীরা খুবই ভালো ফল পেয়েছেন। যদিও বাংলাদেশের গবেষণায় ইতোপূর্বে এটি ব্যবহৃত হয়নি। এটি অর্গানিক পাউডার হওয়ায় বাণিজ্যিক চাহিদা ও খুব বেশি। এটি পানিতে দ্রবণীয় এবং সাধারণ ব্যাকপ্যাক স্প্রেয়ার দিয়ে ছিটানো যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন সোর্স ও সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে এই পাউডার পাওয়া যায়। এটি ছিটালে গাছ ও প্লাস্টিক মাল্চ পেপার সাদা হয়ে যায়। ক্যায়োলিন ক্লের সাদা রং সূর্য়ের তাপে প্রতিফলনের প্রভাব কাজে লাগিয়ে গাছকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া গাছের কান্ডে আলোর তীব্রতা বাড়ায় যা গাছের সালোক- সংশ্লেষণ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এ গবেষণায় নিমের তেলের ব্যবহার করা হয়েছে যার জৈব চাষ পদ্ধতিতে বাংলাদেশে বহুদিন ধরে ব্যবহারিত হয়ে আসছে। যেহেতু ক্যাপসিকামের সম্পূর্ণ অংশ খাওয়া হয় সেহেতু রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করলে সাধারণ মানুষ এই সবজিটি বেশি পছন্দ করে থাকে।” এ বিষয়টি মাথায় রেখেই মাঠ পর্যায়ে নতুন এই জৈব ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতির কথা চিন্তা করেন প্রধান গবেষক। এই মাঠে তিন রং এর (সবুজ, বেগুনি, ও হলুদ-বেগুনি) ক্যাপসিকাম গাছের বৃদ্ধি ও ফলনের তুলনামূলক গবেষণা চালানো হয়। বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম এই তিন রং এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলন দেয়। যার বাজার মূল্য অন্যান্য সবজির চেয়ে অনেক বেশি (প্রতি কেজির দাম প্রায় ২৫০-৩০০ টাকা)।
বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম
গবেষক বলেন, “এই মাঠে একটি গাছে সর্বোচ্চ ২০-২৫ টি ফল হয় এবং একটি ফলের ওজন প্রায় ৮০-১৪০ গ্রাম যা মানসম্মত ওজন।” তিনি বলেন, “বাজারে সবুজ, লাল ও হলুদ ক্যাপসিকাম দেখা মিললেও বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম তেমন চোখে পড়েনা। এজন্য আর্কষণীয় রঙিন সবজি হিসাবে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা আছে। ক্যাপসিকাম সাধারণত সালাদ, মিক্সিড সবজি ও চাইনিজ রান্নায় এর বহুবিধ ব্যবহার হয়। দাম বেশি হওয়ায় বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম চাষ করার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের সবজি চাষিরা খুবই আগ্রহী হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ” কিন্তু চাষিদেরকে সঠিক চাষ পদ্ধতি জানানো খুবই প্রয়োজন বলে গবেষক মনে করেন।
ড. প্রশান্ত কুমার দাশ বলেন, “ক্যাপসিকাম ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে এই জন্য শীতকালে গাছের বৃদ্ধি, ফুলধারণ ও ফলন ভাল হয়ে থাকে। তিনি উল্লেখ করেন ক্যাপসিকামের জাত নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”  তিনি বীজ শোধন করে প্লাস্টিক সেল ট্রেতে কোকোডাস্টসহ চারা উৎপাদন করলে ভালো সতেজ চারা পাওয়া যাবে বলে আশা করেন। গবেষক বলেন,”৩মিটার দৈর্ঘ্যরে, ১ মিটার প্রস্থ ও ০.২ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন বেড তৈরি করে ০.২৫ মিলিমিটার পূরত্বের উপরে সাদা ও নিচে কালো রং এর প্লাস্টিক মাল্চ বেডের উপরে ব্যবহার করলে গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও পরিষ্কার চাষ পদ্ধতির নিশ্চয়তা দেওয়া যেতে পারে। ” রোপনের সময় সারি থেকে সারির দূরত্ব ০.৮ মিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ০.৫ মিটার অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। প্লাস্টিক মালচ ব্যবহার করলে বহুবিধ উপকার পাওয়া যেতে পারে যেমন আগাছা দমন, মাটির সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখা ও গাছের ডগায় আলোর তীব্রতা বাড়ানো ইত্যাদি।
প্রধান গবেষক আশা করেন, “জৈব প্রযুক্তি অনুসরণ করে মাঠ পর্যায়ে বেগুনি রং এর ক্যাপসিকাম চাষ করলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে এক নতুন সম্ভাবনা হতে পারে। এছাড়া চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান এবং পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণে অনেকাংশেই সক্ষম হবেন।” ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বেগুনি ক্যাপসিকাম জৈব সবজি হিসাবে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্রঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেইসবুক পেইজ।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২১ ১০:০০ অপরাহ্ন
তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতায় যাচাইয়ে খুবিতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত-Agriview24.com
কৃষি গবেষনা

আজ ১৪ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারে তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু আলু জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) উদ্ভাবিত এই জাতের আলু চাষের মূল উদ্দেশ্য খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা প্রভাবিত এলাকায় আমন ধান কর্তনের পর নাবি জাতের এই আলু চাষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন এই প্রকল্পের গবেষণা প্লট বাস্তবায়ন করছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন খুবির চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জিএমএ গফুর, প্রকল্প পরিচালক ও গোপালগঞ্জস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এম কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনাস্থ বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুনর রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম।

গবেষণা কাজটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান কর্তৃক পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে BARI উদ্ভাবিত উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু বারি জাতের আলুর নতুন ১৫টি জাতের ৪৫টি গবেষণা প্লট প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে বারি-৬৩, বারি-৭২, বারি-৭৩ ও বারি-৭৮ এই চারটি জাত অধিকতর তাপ ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু হওয়ায় খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে নাবি জাত হিসেবে চাষের জন্য সুপারিশ করা হয়। এর ফলে এই উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান কাটার পর ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির প্রথমার্ধে চাষ এবং বিনা চাষ এই উভয় পদ্ধতিতেই এ আলু উৎপাদন করতে পারবেন। আবার আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর নভেম্বরে এই আলুর চাষ করতে পারলে তা কর্তনের পর বোরো বা অন্য ফসলের চাষও করতে পারবেন। তবে কৃষিবিদ, গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তাহলে কৃষক উৎপাদিত আলু সরংক্ষণ করে পরবর্তীতে বিক্রি করতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং তারা আরও বেশি করে আলু চাষে আগ্রহী হবে। পরে অতিথি ও গবেষকবৃন্দ সরেজমিন আলুর গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে খুবির সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বটিয়াঘাটা থেকে আগত কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা দাবি করেন এই এলাকার কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য ।

তথ্যসূত্রঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেইজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১০, ২০২১ ৭:০৫ অপরাহ্ন
তরুণ শিক্ষকদের গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে
কৃষি গবেষনা

তাজুল ইসলাম মামুন ,সহকারি প্রকাশকঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তরসহ বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ ‘বুক অব এবস্ট্রাক্ট’ এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।দেশ বিদেশে উচ্চতর শিক্ষায় যে শিক্ষকরা অধ্যয়ণরত ছিলেন বিভিন্ন জার্নালে তাদের প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধসমূহের উপর “সম্মাননা স্মারক ও সনদ” বিতরণ করা হয়।

এবছর বেস্ট পাবলিকেশন এওয়ার্ড পেয়েছেন ড. কে এম মেহেদী আদনান, ড. রানা রায়, ড. অনিমেষ চন্দ্র রায়, মাহমুদুল হাসান, ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অনুষদ ভিত্তিক পাবলিকেশন এওয়ার্ড পেলেন মোঃ মতিউর রহমান, অনিমেষ চন্দ্র দাশ, ড. মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, ড. মোঃ শাহ আলমগীর, ড. খালিদুজ্জামান এলিন, কাজী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

১০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। অনুষ্ঠানে বিদায়ী কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মোক্তার হোসেনের সঞ্চলনায় ও বিদায়ী সভাপতি প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা, প্রফেসর ড. এ এফএম সাইফুল ইসলাম, ড. মোঃ মোস্তফা সামসুজ্জামান, ড. কেএম মেহেদী আদনান, ড. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নব নিযুক্ত শিক্ষকবৃন্দকে বরণ করে নেয় শিক্ষক সমিতি। এসময় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট” এর বিজয়ীদের মধ্যেও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ সালের উচ্চমান সম্পন্ন আন্তর্জাতিক ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত ১০০ গবেষণা প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ উন্মোচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠোপোষকের বক্তৃতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, তরুণ শিক্ষকদের গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে।তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষা ও গবেষণা বান্ধব সরকার শিক্ষা ও গবেষণায় প্রচুর বরাদ্দ প্রদান করেছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

সবশেষে শিক্ষক সমিতির নতুন কার্যকরী কমিটি তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করে নেয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২১ ১:৪০ অপরাহ্ন
কৃষি গবেষণার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে টেকসই কৃষি উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষি গবেষনা

কৃষি গবেষণার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে (সিজিআইএআর) প্রয়োজনীয় লাগসই প্রযুক্তি ও আইডিয়া উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই কৃষি উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশগুলোকে এখন থেকে নতুন করে গবেষণা নিয়ে ভাবতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সিজিআইএআর গবেষণা সম্প্রসারণ, নতুন প্রকল্প ও কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে সিজিআইএআর এডভাইজরি কমিটির (সিএসি) ৭ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কৃষি গবেষণা, উন্নয়ন ও নীতি প্রণয়নে কাজ করে এমন ১৫টি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম হলো কনসাল্টেটিভ গ্রুপ ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (সিজিআইএআর)। ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইরি, সিমিট,ওয়ার্ল্ডফিস, ইপরি, সিয়াট, ও সিআইপি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমানে দেশে ৪৭টি প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এসব প্রতিষ্ঠান। এসব কর্মকাণ্ডে সরকারের দিকনির্দেশনা, অগ্রাধিকার ও নীতিমালার প্রতিফলন ও সমন্বয় করতে ২০১৩ সাল থেকে কাজ করছে ২২ সদস্যের সিজিআইএআর এডভাইজরি কমিটি। বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান এ কমিটির চেয়ারম্যান।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক এসময় ওয়ার্ল্ডফিসকে বাংলাদেশের মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও দেশিয় মাছকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় গবেষণা ও সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র(সিমিট)কে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ভুট্টায় মারাত্মক ক্ষতিকর ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকার আক্রমণ ও গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া, বাংলাদেশের কৃষি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইরিসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো জোরালো কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে আসবে বলেও কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিএসির চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সিজিআইএআর প্রতিষ্ঠানসমূহের বাংলাদেশ প্রতিনিধি, সিএসির সদস্যবৃন্দ এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১২ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জে গাজর চাষে বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় গাজর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন মানিকগঞ্জের গাজর চাষিরা। এছাড়া বাজারে পাচ্ছেন গাজরের ভালো দাম।

উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবারের মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে গাজরের চাষ করেছেন চাষিরা। মাটি ও জলবায়ু গাজর চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো পেয়েছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলার কৃষি অফিসার টিপু সুলতান বলেন, লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকরা গাজর চাষে ঝুঁকছেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

কৃষক আবুল কালাম বলেন, একই জমিতে অন্য সবজির জায়গায় গাজর চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া গাজর চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারও ফলন ভালো হওয়ায় পাশাপাশি দামও ভালো পেয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১ ১২:১১ পূর্বাহ্ন
মাছের উৎপাদন বাড়াতে চালু করা হয়েছে ‘ফিশটেক ল্যাবরেটরি’
এগ্রিবিজনেস

মাছ চাষিদের জন্য সুখবর। এবার মাছ ও চিংড়ির রোগ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ সেবা দেয়া ও গবেষণার জন্য চালু হয়েছে অ্যাকোয়াটেক অ্যানিমেল হেলথ ল্যাবরেটরি। যার নাম দেয়া হয়েছে ফিশটেক ল্যাবরেটরি। নতুন এ গবেষণাগারটি মৎস্য খাতের সমস্যা সমাধান ও উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় এ ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করা হয়। ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফিশটেক (বিডি) লিমিটেডের যৌথ অংশীদারিত্বের এই গবেষণাগারে অর্থায়ন করছে মার্কিন সহায়তা সংস্থা ইউএসএইড বলে জানা যায়।

জানা যায়, এর মাধ্যমে মাছ ও চিংড়ির রোগ নির্ণয়, সংশ্লিষ্ট খামারের মাটি-পানি পরীক্ষা, পুকুরের সঠিক সমস্যা নির্ণয়সহ নির্দিষ্ট খরচে বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন মাছ চাষিরা।

ওয়ার্ল্ড ফিস জানায়, ২০১৭-১৮ সালে খুলনা জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৭৪ টন। মাছ ও চিংড়ির বিভিন্ন রোগের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিনদিন মাছ বিশেষ করে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে দেশের রফতানি আয় কমেছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop