৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১১, ২০২৩ ৪:২৫ অপরাহ্ন
সিভাসুতে প্রথমবারের মতো ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক কর্মশালা
ক্যাম্পাস

সিভাসুতে বর্তমানে ইন্টার্নরত ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের জন্যে পেশাগত দক্ষতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর গত ২৮ মে থেকে ৮ জুন, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজন করে। ইউনিভার্সিটি অব্ব্রিস্টল (ইউকে) এবং সেন্ট জর্জেস ইউনিভার্সিটি (গ্রেনাডা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ) এর সমন্বয়ে সিভাসু এই কর্মশালাটি আয়োজন করে। এতে অংশগ্রহণ করে সিভাসুর ইন্টার্নরত ৩০ জন শিক্ষার্থী।

ডিভিএম ডিগ্রী লাভের পর একজন ভেটেরিনারিয়ানের কর্মজীবনের শুরুতে যে যে পেশাগত দক্ষতার অভাবে কর্মক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় সেই বিষয়গুলো একটি গুণগত গবেষণালব্ধ ফলাফলের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় এবং সেই অনুযায়ী এই কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।১৫ জন করে মোট দুইটি দল গঠন করে ১০দিনের (৫দিন, প্রতি দল) জন্যে এই কর্মশালাটির পরিকল্পনা করা হয়। এই কর্মশালায় প্রাধান্য দেয়া হয়, স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর একজন ভেটেরিনারিয়ানের জন্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো।কর্মশালার প্রথম দিনে সিভি (জীবন বৃত্তান্ত) প্রস্তুত, কভার লেটার (পরিচিতি পত্র), মোটিভেশনাল লেটার (অনুপ্রেরণা পত্র) প্রস্তুত এবং ইন্টার্নশিপের দীর্ঘসময়টিকে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত চাকরির পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সময়কে সামঞ্জস্য করার বিষয়ে একটি প্রেক্টিক্যাল পর্ব রাখা হয়। দ্বিতীয় দিনে সরকারি চাকরি পরীক্ষার জন্যে কার্যকরী প্রস্তুতি পরিকল্পনা বিষয়ে একটি আলোচনা পর্ব সংযোজন করা হয়।কর্মশালার তৃতীয় দিনে সরকারি ও বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানের নৈতিক আচরণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। পরিকল্পনার চতুর্থ দিনে ইভিডেন্স বেইসড ভেটেরিনারি মেডিসিন (প্রমাণ ভিত্তিক ভেটেরিনারি মেডিসিন) গুরুত্ব এবং প্রয়োগ বিষয়ে আলোচনা রাখা হয়। সপ্তাহের শেষ দিনে ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে খামারির সাথে কার্যকরী ব্যবহার এবং উদ্যোক্তা হবার বিভিন্ন দিকগুলো আলোচনা করা হয়।

পেশাগত দক্ষতা কার্যক্রম এর সমন্বয়ক অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক এর তত্ত্বাবধানে, প্রকল্পটির গবেষণা সহায়ক ডা. আবদুল্লাহ আল সাত্তার সহ ভেটেরিনারি ইপিডেমিওলজি বিষয়ে মাস্টার্সরতশিক্ষার্থীদের সহায়তায় প্রতি দলের জন্যে এই পর্বগুলো পরিচালনা করা হয়।   কার্যক্রমটির বিভিন্ন বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল থেকে অধ্যাপক সারাহ বেইলি এবং সেন্ট জর্জেস ইউনিভার্সিটি থেকে সহযোগী অধ্যাপক
টালিয়া গুটিন সহযোগীতা করেন।

২-সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্বে রিসোর্স পার্সনের দায়িত্বে ছিলেন সিভাসু থেকে অধ্যাপক আব্দুল আহাদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আমির হোসেন সৈকত, সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব আলম, সহযোগী অধ্যাপক আহাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক এস. এম. মোকাদ্দেস আহমেদ দিপু, সহকারী অধ্যাপক সাজেদা আক্তার এবং সহকারী অধ্যাপক রিদোয়ান পাশা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন ডা. ফরহাদ হোসেইন (সাবেক পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর), ডা. রুমন তালুকদার (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা), ডা. সেতু ভূষণ দাশ (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা), ডা. মোঃ ইবরাহিম খলিল (বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা), ডা. অজয় দেবনাথ (ভেটেরিনারি সার্জন) এবং ডা. মোঃ আব্দুল কাদের (ভেটেরিনারি সার্জন)। বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পর্বে রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন ডা. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম (সহকারী মহাব্যবস্থাপক, কাজী ফার্ম লিমিটেড), ডা. সজীব দেবনাথ (প্রতিষ্ঠাতা, স্কাইটেক এগ্রোফার্মা), ড. রুবাইয়াত বিনতে হাসান (কনসালটেন্ট, ইউনিসেফ, মিয়ানমার), ডা. সাদ্দাম হোসেন (প্রধান কার্যনিবাহী কর্মকর্তা, বার্ড এন্ড পেট এনিম্যাল ক্লিনিক)এবং ডা.  পার্থ সামন্ত (প্রধান কার্যনিবাহী কর্মকর্তা, এন্টিটি)।

কর্মশালার শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এ.এস.এম লুত্ফুল আহসান, উপাচার্য, সিভাসু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এ.কে.এম. সাইফুদ্দিন, পরিচালক, বহিঃর্বিভাগ, অধ্যাপক গউজ মিঞা, পরিচালক, আইকিউএসি (ইন্টার্নাল কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেল) এবং ডা. ফরহাদ হোসেইন, সাবেক পরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।আরোও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ, রিসোর্স পার্সন, কোর্সটিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং এপি-মাস্টার্স ফেলো।অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ লুত্ফর রহমান, ডিন, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক এ. এস. এম লুত্ফুল আহসান পেশাগত দক্ষতা কার্যক্রমটির জন্যে প্রয়োজনীয় চাহিদা গুলো পূরণের লক্ষ্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং তিনি একটা শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা প্রস্তাব (অর্থনৈতিক সহায়তা সাপেক্ষে) পাশের প্রতিশ্রুতি দেন।তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “কেবল চাকরি না খুঁজে, চাকরিদাতাও হতেহবে। শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে হবে।শিক্ষার্থীদের লিডারশিপ গুণাবলি তৈরি করা অতীব জরুরি।”

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ লুত্ফর রহমান বলেন, “ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত একাডেমিক সময়ের উপযুক্ত বিষয় বা সময় নির্ধারণ করে, এই পেশাগত দক্ষতা ভিত্তিক বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে, কেননা বর্তমান যুগে চাকরি পাবার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে একাডেমিক দক্ষতার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা থাকাওজরুরি।”

ইন্টার্ন ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের মতে, মাঠপর্যায়ে কাজে নামার পূর্বে পেশাগত দক্ষতাভিত্তিক কোর্স বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এধরনের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চালু করা হলে, তাদের এবং পরবর্তী ভেটেরিনারি প্রজন্মের জন্যে কর্মক্ষেত্রে আরো সফলতার সাথে কাজ করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৮, ২০২৩ ২:৩৯ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ‘বৃহদাকারের ধানবীজ সংরক্ষণে বায়ুরোধী পদ্ধতি : ভূমিকা এবং ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ কর্তৃক বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ‘বৃহদাকারের ধানবীজ সংরক্ষণে বায়ুরোধী পদ্ধতি : ভূমিকা এবং ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মো: মঞ্জুরুল আলম এর সভাপতিত্বে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: নজরুল ইসলাম । বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএডিসি এর ক্ষুদ্র সেচ বিভাগ এর প্রধান প্রকৌশলী কৃষি প্রকৌশলী ড.শীবেন্দ্র নারায়ন গোপ এবং বিএডিসি গবেষণা সেল এর যুগ্ম পরিচালক ড. মো: নাজমুল ইসলাম ।
প্রকল্পের উপ প্রধান গবেষক প্রফেসর ড, চয়ন কুমার সাহা এর সঞ্চালনায় ‘বেশী পরিমানের বীজধান ও শস্যধান সংরক্ষণ প্রযুক্তি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো: রোস্তম আলী ।
গবেষকগণ বলেন, সাধারণত বিএডিসি এবং কৃষকের রক্ষিত বীজ ধানই বীজ এর প্রধান উৎস, বেশির ভাগ কৃষকই তাদের রক্ষিত বীজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে না বিধায় অনেক ক্ষেত্রে বীজের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়।
তবে সঠিক পদ্ধতিতে, সঠিক পাত্রে ধান সংরক্ষণ করে কৃষকগণ অধিক ফলন পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন । এ ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, হার্মেটিক (বায়ুরোধী) ব্যাগ ধান ও বীজ সংরক্ষণে খুবই কার্যকর।
গবেষক প্রফেসর ড, চয়ন কুমার সাহা বলেন , বায়ুরোধী ব্যাগ সহজেই ব্যবহার করা যায় এবং পূন:ব্যবহার উপযোগী
এতে সংরক্ষণকালীন অপচয় হয় না বললেই চলে। প্রফেসর ড. মো: রোস্তম আলী বলেন, বায়ুরোধী ব্যাগ ব্যাবহারের ফলে শস্যের রং ও গুনগত মান ঠিক থাকে।
উল্লেখ্য ফিড দি ফিউচার,ইউএসএআইডি ও এডিএমআই,যুক্তরাষ্ট্র এর অর্থায়নে এবং পোস্ট হারভেস্ট লস ইনোভেশন ল্যাব(ফিল)-বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন , ঢাকা বিভাগের ৩০জন উর্ধতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৮, ২০২৩ ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর শুভ উদ্বোধন
ক্যাম্পাস

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল এর শুভ উদ্বোধন এবং এর কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা ০৭/০৬/২০২৩ তারিখ, রোজ বুধবার মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস, দৌলতপুর, খুলনা এর সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সারোয়ার আকরাম আজিজ, মাননীয় ট্রেজারার, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা; প্রফেসর ড. মো: সারওয়ার জাহান, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সদস্য, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং ড. দূর্গা রানী সরকার, পরিচালক, এসপিকিউএ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। উক্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, ড. নৌশিন জাহান, পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), আইকিউএসি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ড. মো: তসলিম হোসেন, সহকারি অধ্যাপক, এনিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা। গীতা পাঠ করেন জনাব বিদুৎ মাতুব্বর, প্রভাষক, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব বাছির আহমদ, অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), আইকিউএসি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি, প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ আইকিউএসি এর প্রতিষ্ঠা, এর কার্যক্রম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন, মো: আরিফ সাদিক পলাশ, অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), আইকিউএসি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৬, ২০২৩ ১:০২ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে দুর্নীতি বিরোধী র‍্যালী অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়:  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নৈতিকতা কমিটির আয়োজনে আজ ৬ জুন (মঙ্গলবার) দুর্নীতি বিরোধী র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত র‌্যালিটি উদ্বোধন করেন নৈতিকতা কমিটির সভাপতি প্রফেসর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার কোন বিকল্প নাই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, তবেই উন্নত দেশ ও জাতি গঠন সম্ভব হবে।
নৈতিকতা কমিটির সদস্য-সচিব কৃষিবিদ ড. মোঃ জহিরুল আলম এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ।
র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীসহ ছাত্রছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।ব্যালী শেষে বিভিন্ন বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২৩ ৩:৫৯ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ‘ফাউন্ডেশন ট্রেনিং ফর ইউনির্ভাসিটি টিচার্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের ২৮তম কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইন্সটিটিউট কর্তৃক ০৫ জুন সোমবার বেলা ১২ঃ০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের নবীন শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ফাউন্ডেশান ট্রেইনিং ফর ইউনির্ভাসিটি টিচার্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের ২৮তম কোর্সের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠান জিটিআই শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জিটিআই এর পরিচালক প্রফেসর ড. বেনতুল মাওয়া এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর।
গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইন্সটিটিটের প্রফেসর ড. মোঃ মোজাম্মেল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসলাম আলী, গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইন্সটিটিটের সদ্য সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. এম. নজরুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত প্রশিক্ষনের কোর্স কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২৩ ৭:৪৮ অপরাহ্ন
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০ শয্যার ছাত্রী নিবাস করার প্রস্তাব
ক্যাম্পাস

কারিগরি শিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশের সব টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) ছাত্রীদের জন্য ২০০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস করা হবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, সকল উপজেলায় একটি করে টিএসসি স্থাপন করার কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি টিএসসিতে এক হাজার ৮০ জন করে ৩২৯টি টিএসসিতে মোট তিন লাখ ৫৫ হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ তৈরি হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস থাকবে। অ্যাসেট প্রকল্পের আওতায় একটি আন্তর্জাতিক মানের মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।

অর্থমন্ত্রী জানান, ১০০টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে এবং ৮৫টিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া, ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অবশিষ্ট সকল উপজেলায় একটি করে টিএসসি স্থাপন করার কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিটি টিএসসিতে এক হাজার ৮০ জন করে ৩২৯টি টিএসসিতে মোট তিন লাখ ৫৫ হাজার ৩২০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ তৈরি হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস থাকবে। অ্যাসেট প্রকল্পের আওতায় একটি আন্তর্জাতিক মানের মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। বর্তমানে সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ও ময়মনসিংহ জেলায় ৪টি মহিলা পলিটেকনিক স্থাপনের কাজ চলমান আছে। চলছে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের কাজ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১, ২০২৩ ৪:০৩ অপরাহ্ন
সিকৃবিতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১.৬.২৩) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দিনব্যপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। সিকৃবির রেজিস্ট্রার ও আহবায়ক, কোর কমিটি এবং ফোকাল পয়েন্ট, নৈতিকতা কমিটি মো: বদরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিকৃবির অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট মুহাম্মদ রোশন আলী।

কর্মশালায় এপিএ প্রস্তুতি, পরিবীক্ষণ মূল্যায়ন ও প্রমাণক সংরক্ষণ এবং এপিএমএস সফট্ওয়্যার সম্পর্কে ধারণা, সিটিজেন চার্টার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও প্রমাণক সংরক্ষণ বিষয়ে ইউজিসির প্রশিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিকৃবির ৪০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১, ২০২৩ ৩:৩১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩ পালিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এর ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগ আজ ১ জুন ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা এবং সেমিনার আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন বাকৃবি’র রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল। পরে সকাল ১১টায় বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল বলেন, দুধ একটি অতি প্রয়োজনীয় ও গুনাগুন সমৃদ্ধ খাবার। আগে দুধের প্রয়োজনীয়তা ও গুনাগুন সম্পর্কে মানুষ খুব একটা সচেতন ছিলোনা। শুধুমাত্র দুগ্ধ দিবসেই নয় বরং সবসময় এর প্রয়োজনীয়তা ও গুনাগুন সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ ’একটি বাড়ি একটি খামার’ যা দুধের চাহিদাও মিটাবে সাথে উন্নত দেশ গঠনেও ভূমিকা রাখবে।
ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পশু পালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ছাজেদা আখতার, বাংলাদেশ মিল্ক প্রোডাক্টস কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব দীপঙ্কর মন্ডল এবং আকিজ ডেয়রি লিমিটেড এর অপারেশনাল ডাইরেক্টর জনাব মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অবসর প্রাপ্ত প্রফেসর ড. মোঃ নুরুল ইসলাম এবং প্রফেসর ড. এম. এ. সামাদ খান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেহের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান দুধে সুষমভাবে উপস্থিত থাকায় দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয়। দুধ দৈহিক গঠন, মজবুত হাড় গঠন ও রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত দুধ পানে হাড় ও কোমরের ব্যথা কমে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২৩ ৯:০৬ অপরাহ্ন
সিভাসু হাটহাজারী ক্যাম্পাসে এপিডেমিওলজিক্যাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

হাটহাজারীতে অবস্থিত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এবং এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের গত ২০ শে মে, ২০২৩ তারিখে ভেটেরিনারি এপিডেমিওলোজি বিষয়ক একটি “এপি-কর্মশালা”র আয়োজন করা হয়। নবনির্মিত ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক এর তত্ত্বাবধানে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের চতুর্থ বর্ষের ২৯ জন ভেটেরিনারি শিক্ষার্থী এবং ৮ জন স্নাতক (মাস্টার্স ফেলো-এপিডেমিওলোজি) শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।

শিক্ষাবান্ধব কর্মশালাটির প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীদের একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষার্থীদের সাথে দুইটি “সিমুলেশান এক্সারসাইজ” অনুশীলন করা হয়। প্রথম সিমুলেশান এক্সারসাইজে শিক্ষার্থীদের সাথে “ভেটেরিনারিয়ানদের প্রেস্ক্রিপশান এবং তার বিভিন্ন নৈতিক দিকসমূহ” এবং দ্বিতীয় সিমুলেশান এক্সারসাইজেরোগের প্রাদুর্ভাব তদন্ত” বিষয়ের আদ্যোপান্ত আলোচনা করা হয়। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ৬টি গ্রুপে ভাগ করে বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয়।এই কার্যক্রমগুলোতে এপি-মাস্টার্স শিক্ষার্থীবৃন্দ সাহায্যকারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন। শিক্ষার্থীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণ করে এবং প্রতিটি এক্সারসাইজ থেকে নিজেদের ফলাফল বের করেন এবং প্রশ্নের উত্তর উপস্থাপন করে।

অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক বলেন, “এই ধরনের দলগত পড়াশোনা দক্ষতা বৃদ্ধিতে বেশ উপযোগী। সেই সাথে হাটহাজারী ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের প্রসারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্যে নিয়মিত এধরনের কার্যক্রম আয়োজন করা হবে”

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ৫:১৬ অপরাহ্ন
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্যে বাকৃবিতে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীন: মাইক্রো, ছোট, মাঝারি উদ্যোক্তরা ফুড বেভারেজের ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। একটা বয়সের পর শরীরে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় । যার মূল কারণ শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ না করা, কথাগুলো বলেছেন প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান উপাচার্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য নিশ্চিত করণে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (এমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই প্রদশর্নী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এমএসএমইকে সঠিকভাবেভাবে পরিচালনা করতে পারলে একটি বৃহৎগোষ্ঠী উপকৃত হবে।
রোববার (১৪ মে) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবির ফুড টেকনোলজি এবং গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফোর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. আফজাল রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ভার্চুয়ালি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জাতীয় সমিতির( নাসিবের) সভাপতি মো নুরুল গনি। এছাড়া নাসিবের ময়মনসিংহ ও জাতীয় পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের সামনের মুক্তমঞ্চে একটি খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এখানে ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়। যেগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয়েছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় প্রকল্প প্রধান ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ বলেন, শিল্প কারখানাগুলোর খাদ্য পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব আছে। তাই ইন্ডাস্ট্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে আমরা এই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এতে জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। গেইনের সাথে বাকৃবির প্রজেক্ট চলছে । এর একটি উদ্দেশ্য হলো মার্কেটে প্রচলিত কম খরচের খাদ্য পণ্যগুলো শনাক্তকরণ, যা খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগক্তাদের শক্তিশালী করে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা অর্জনই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল আলিম বলেন, এমএসএমই চাইলেই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রধান করতে পারে না। পণ্য উৎপাদনের জন্য তাদের ক্ষুদ্র অর্থ প্রদান করা হয়, যার জন্য চাইলেও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রদান করতে পারে না। কারণ ভোক্তারা স্বাস্থ্যকর খাবার থেকেও বেশি তারা দাম কমের দিকে নজর বেশি দেয়। সরকার এখন বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এমএসএমইকে সমর্থন করে থাকে কারণ তা না হলে বড় কোম্পানিগুলো এইসব পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে অনেক সুবিধা ভোগ করবে। তাই প্রত্যেক জেলার এমএসএমএইকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাবার গুণগত মান উন্নয়ন করণে প্রদর্শন ও প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop