১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২৩ ১০:১৯ অপরাহ্ন
বাকৃবি ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সদ্য সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টুর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে আলোচনা-সমালোচনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগে দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি, ১৭/জি উত্তরায় ২টি ফ্লাট, জার্মান ও ইংল্যান্ডে বাড়ি এবং নিজ জেলা বরিশালেও বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলেও দুদকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাকৃবির সহকারি অধ্যাপক ইসফাক আহাম্মেদ।

গত ৩১ মে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল) উত্তম কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে দুদক কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, বাকৃবি সদ্য সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ চলতি বছরের ২৯ মার্চ দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের হয় (যাহার অভিযোগ নং- ২৮/২০২৩)। প্রাপ্ত এই অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বিশ^বিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে গত ৩১ মে গ্রেরণ করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে ইসফাক আহাম্মেদ দাবি করেন, প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু চাকরি বিধি লঙ্গন করে ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আর্ন্তজাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিটের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গোন্ডেন রাইচ প্রকল্পে পরামর্শক (কনসালটেন্স) হিসাবে কাজ করেছেন। এতে অবৈধ ভাবে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় করে বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে এই পরামর্শক কাজে যাওয়া আসায় তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের যানবাহন ও জ¦ালানি ব্যবহার করে প্রায় ২৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন।
একই সঙ্গে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার পর দুইটি বাসা দখলে রেখে এবং এতে পাহাড়া বসিয়ে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা ক্ষতি করেছেন। এছাড়াও তিনি নিজের আত্মীয়কে দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ করিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন।

ইসফাক আরও দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগে বাণিজ্য করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু। এতে তাঁর ছেলেরাও জড়িত রয়েছে। এছাড়াও লুৎফুল হাসান মন্টু নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের সুনামধন্য কয়েকজন শিক্ষককে ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়ে লাঞ্চিত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ইসফাক।

তবে এসব অভিযোগ সম্পুন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া বলে দাবি করেছেন প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান মন্টু। তিনি বলেন- যিনি নিজেকে সহকারি অধ্যাপক দাবি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজেই অস্তিত্বহীন। এই নামে কোন শিক্ষক বিশ^বিদ্যালয়ে নেই, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। তবে পূর্বচালে আমার ছয় ডেসিমেল জমি আছে, বরিশালে পৈত্রিকসূত্রেপ্রাপ্ত জমিতে ছোট একটি বাড়ি আছে এবং ঢাকার দক্ষিন কমলাপুরে পৈত্রিকসূত্রেপ্রাপ্ত জমি আছে। এর মধ্যে বোনদের অংশের কিছু জমি আমি কিনেছি। এর বাইরে পৃথিবীর কোথাও আমার বাড়ি নেই।

এ সময় চাকরিবিধি লঙ্গন করে ধান গবেষনায় পরার্মশক হিসাবে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে আমি তিন বছর পরামর্শক ছিলাম। এটা নিয়ম মেনেই করেছি। তাছাড়া আমার কোন ঠিকাদার আত্মীয় বিশ^বিদ্যালয়ে কাজ করেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শতাধিক কর্মচারিরা নিয়োগ হয়েছিল। এটি শুরু করেছিলেন আগের ভিসি। তবে আমার সময়ে দুইটি পৃথক নিয়োগ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে কোন ধরনের নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি।

এ সময় তিনি দাবি করেন, মূলত আমার দ্বায়িত পালনকালীন সময়ে কেউ হয়ত কোন সিদ্ধান্তে আমার প্রতি অসন্তোষ্ট হয়েছে। আর এ কারণেই হয়ত আমাকে হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে বলে আমি মনে করি।
সূত্র: ইনকিলাব

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সাধারণত এই অঞ্চলের কৃষকরা ইরি ও বোরো ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। তবে গত কয়েকবছর যাবত তারা পতিত জমিতে এই সবজির চাষ করে অধিক ফলন পাচ্ছেন। আর বাজারদর ভালো থাকায় মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই ইউনিয়নেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। কৃষকরা বেশ কয়েক বছর ধরে ইরি ও বোরো ধান চাষাবাদের সঙ্গে জমির পতিত জায়গায় এই সবজির চাষ করছেন। বর্তমানে এই সবজির চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর এখানকার উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি বছর আগৈলঝাড়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়া উৎপাদিত হয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা শুধু কুমড়া নয়, এর ডাটা ও পাতা বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারছেন।

আগৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর গ্রামের অনিতা ভদ্র জানান, আমি ১০ বছর যাবত ইরি ও বোরো ধানের পাশে পতিত জমিতে কুমড়ার চাষ করছি। এর চাষে বেশি খরচ হয় না। একটু যত্ন নিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। গত বছর জমি থেকেই ৫০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছিলাম। আশা করছি এবছর আরো বেশি টাকার বিক্রি করতে পারবো।

কৃষকরা জানায়, মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ কম। আর এর ফলন অধিক পাওয়া যায়। প্রতিটি কুমড়া ৩-৮ কেজি ওজনের হয়। বর্তমানে প্রতিমণ হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকর মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পতিত জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়ার চাষ করছেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকর মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আমরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে আসছি।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ২:৫২ অপরাহ্ন
বরিশালে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে তিন গরু হত্যার অভিযোগ
প্রাণিসম্পদ

বরিশালের গৌরনদীতে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে পশুগুলোর মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু খান জানান।

এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অভিযোগকারী রাজু খান উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উত্তর শরিকল গ্রামের নুরে আলম খানের ছেলে।

তিনি জানান, “শনিবার সকালে গরুগুলোকে গোয়াল ঘর থেকে বের করে পাশের খোলা জায়গায় চাড়ির (গরুকে খাবার দেওয়ার কনক্রিটের বড় পাত্র) সামনে বেঁধে খাবার দেওয়া হয়। চাড়িতে আগেই কিছু পানি ছিল। আমার বাবা সেই পানির সঙ্গে খৈল, ভূসি ও কুড়া মিশিয়ে গরুকে খেতে দেন।”

রাজু খান আরও বলেন, ওই খাবার খেয়ে বেলা ১১টার দিকে চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে একটি গর্ভবতী গাভি মারা গেলে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে চিকিৎসা দেওয়ার পরও একটি গর্ভবতী গাভি ও একটি বাছুর মারা যায়।

তার অভিযোগ, রাতের আঁধারে কে বা কারা শত্রুতা করে গরুর চাড়িতে বিষ ঢেলে রেখেছে। যা খেয়ে গরু তিনটি মারা গেছে। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গৌরনদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই একটি গাভি মারা যায়। পরে একটি বাছুর ও অপর গাভিটি মারা যায়।

একটি বাছুরকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ায় গরু তিনটি মারা গেছে। বিষের ধরন জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে; ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রতিবেদন এলে বলতে পারবো।”

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, “এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রাজু খান থানায় জিডি করেছেন। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
বরিশালের আমড়া ইউরোপের বাজারে
কৃষি বিভাগ

বরিশালের আমড়া শুধু দেশে নয় বিদেশেও রয়েছে বেশ পরিচিতি। বরিশালের ঝালকাঠি-পিরোজপুরে সুস্বাদু আমড়ার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক বছরে আমড়ার বাম্পার ফলনও হয়েছে। সুস্বাদু আর সুখ্যাতির কারণে কৃষকরা দামও পেয়েছেন বেশ ভালো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সারাদেশের আমড়ার চাহিদার ৬০-৭০ ভাগ মেটায় এ অঞ্চলের চাষিরা।

জানা যায়, আমড়া একটি অর্থকরি ফল। বিশ্বজুড়ে পিরোজপুরের আমড়া খ্যাতি লাভ করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও পানির জন্য এর ফলন ও গুণগতমান অনেক ভালো। আমড়ার চাষ করে এই জেলা ও আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলার চাষিরা স্বাবলম্বী ও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে সরবরাহের পর ইউরোপেও যাচ্ছে বরিশালের আমড়া। ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা এবং বরগুনায়ও আমড়ার ভালো ফলন হয়। এছাড়া দিন দিন আমড়ার উৎপাদন বৃদ্ধি ও উচ্চমূল্য পাওয়ায় এ অঞ্চলের অনেক মানুষই আমড়া চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

ঝালকাঠি জেলার আমড়া মোকামের ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান, শ্রাবণ থেকে কার্তিক এই চারমাসে মোকাম থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোটি কোটি টাকার আমড়া সরবরাহ করা হয়।

পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মো. জাফর জানান, দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আমড়া চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমড়া গাছ রোপণের দুই বছর পরই তা ফল দেয় এবং কমপক্ষে ১০/১২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। চলতি মৌসুমে গত ২/৩ বছরের তুলনায় আমড়ার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। কৃষকরা তাদের চাহিদা মতো দামও পাচ্ছেন। এই জেলার প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় আমড়া গাছ রয়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে তা পাঠানো হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যেও যাচ্ছে নিয়মিত।

নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বিগ বিজয় হালদার জানান, নাজিরপুরে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে আমড়া চাষ হয়। চাষিরা গত ২-৩ বছরের তুলনায় এবার আমড়ার দাম ভালো পেয়েছেন। চাষিরা তাদের পতিত জমিতে কান্দি কেটে মাটি উঁচু করে আমড়ার চাষ করেছেন। গৃহস্থরা ব্যাপারিদের কাছে, ব্যাপারিরা মোকামে পাইকারদের কাছে আমড়া বিক্রি করেন। গৃহস্থদের কাছ থেকে এক বস্তা আমড়া ৮০০-৯০০ টাকায় কিনে তা জেলার বাজারে প্রায় ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যাপারীরা।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২২ ৩:৫৯ অপরাহ্ন
বরিশালে কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার(১৩ নভেম্বর) নগরীর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হলরুমে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মাহবুব আলম।

বরিশালের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. রাসেল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. নুর হাসান এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল হামিদ, কৃষক মো. মেহেদী হাসান, কিষাণী মোসাম্মৎ শারমিন আরা প্রমুখ।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, কৃষিউৎপাদন বৃদ্ধি এবং চাষাবাদকে আরো লাভজনক করতে কৃষকদের দক্ষতা বাড়ানো চাই। এছাড়াও পণ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করার জন্য তাদের উন্নত ধারণা থাকা দরকার। আর তা প্রয়োগের মাধ্যমেই পণ্যকে গুণগত করা যাবে। এতে ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়বে। ফলে এর প্রভাব পড়বে হাট-বাজারে। সেই সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

খুলনার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তা, কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২২ ৪:২২ অপরাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জে বিনাধান-১৭ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ধানের চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনাধান-১৭ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার পূর্ব রহমতপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।

বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি (ভার্চুয়ালি) ছিলেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনজুরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, এসও নাজমুন নাহার পপি, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নুরুন্নাহার, প্রদর্শনী চাষি কাজী নজরুল ইসলাম রিয়াজ, বাবুল হাওলাদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বরিশালের জোয়ার-ভাটার এলাকার অধিকাংশ কৃষক আমনের স্থানীয় ধানের জাত চাষ করেন।

এগুলোর জীবনকাল অনেক বেশি। তাই শস্যবিন্যাস অনুসরণ করাটাই অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এসব স্থানে দরকার স্বল্প মেয়াদী জাত ব্যবহার। আর বিনাধান -১৭ এমনই একটি জাত। এর জীবনকাল মাত্র ১১৫ দিন। বিঘা প্রতি ফলন ২৮ থেকে ৩০ মন। রোগবালাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিরোধি।

এছাড়া ইউরিয়া সার শতকরা ৩০ ভাগ কম লাগে। জাতটি খরাসহিষ্ণু। ধান কাটার পর সরিষা চাষ করা যায়। এসব সুবিধার জন্য দক্ষিণাঞ্চলে এ জাতটি বেশ উপযোগী। তাই এর আবাদ স¤প্রসারণ করা জরুরি।

অনুষ্ঠানের আগে ধানের নমুনাশস্য কর্তন করা হয়। এর গড়ফলন হয়েছে প্রায় ৫.৫ টন। মাঠদিবসে অর্ধশতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২২ ৭:৪৪ অপরাহ্ন
বরিশালে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত
প্রাণিসম্পদ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): নানা আয়োজনে বরিশালে পালিত হলো বিশ্ব খাদ্য দিবস।

আজ রবিবার নগরীর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই দিবসের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. নুরুল আলম।

বরিশাল সদরের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার তানজিলা আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘড়াই, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বে সাতশ’ কোটি লোকের বসবাস। এর মধ্যে শতকরা দশ ভাগ ক্ষুধায় কাতর। আফ্রিকার নয় দেশের মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সে তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। আর তা কৃষি, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের সফলতার কারণেই সম্ভব হযেছে। তিনি আরো বলেন, খাদ্যের অভাবে পৃথিবীর একটি মানুষও যেন মারা না যায়। এজন্য আরো উৎপাদন বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি প্রয়োজন এর সুষম বন্টন। এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়; ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সংরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন।

অনুষ্ঠানশেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউসে এসে শেষ হয়। এতে কৃষি , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২২ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
পছন্দ হলেই ওজন স্কেলে মাপা হচ্ছে গরু
প্রাণিসম্পদ

ক্রেতার পছন্দ হলেই জ্যান্ত গরু তোলা হচ্ছে মেশিনে। ওজন করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কেজি মূল্যে খামার থেকে গরু ক্রয় করে খুশি ক্রেতারা। তাছাড়া খামার থেকে গরু কিনলে থাকছে না লালন-পালনের ঝামেলা। ঈদের আগের দিন খামারিদের গাড়িতেই গরু চলে যাবে ক্রেতার বাড়ি। এ কারণে খামারে গরু বিক্রির চাহিদাও বেড়েছে।

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি গ্রামের এমইপি অ্যাগ্রো খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম চাকলাদার জানান, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও মেহেরপুর হরিয়ানা, শাহীওয়াল, হাশা, দেশাল ও বুট্টি জাতের গরু সংগ্রহ করেছেন কোরবানি উপলক্ষে। তার খামারে ১৮৫টি গরু রয়েছে। ১০দিন আগেই ১৫৫টি গরু কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কোরবানির একদিন আগে সবার বাড়ির সামনে খামারের নিজস্ব পরিবহনে গরু দিয়ে আসা হবে। ক্রেতার কাছ থেকে যানবাহন খরচ নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘গরু হাটে মানুষের ধাক্কাধাক্কি, গোবর কাদায় একাকার হওয়া। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে পছন্দের গুরু দর কষাকষি করে কেনাটা মানুষ বড় ঝামেলা মনে করে। তারপর রয়েছে গরু বাড়িতে নিয়ে লালন-পালনের সমস্যা। শহরে গরু রাখার মতো জায়গা খুবই কম। এসব কারণে এ বছর খামার থেকে গরু ক্রয়ে আগ্রহ বেড়েছে বরিশাল অঞ্চলের মানুষের।’

খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘খামারের গরুগুলোর লালন-পালন মানুষের মতোই করা হচ্ছে। গরুর জন্য কয়েকজন পশু চিকিৎসক রয়েছেন। কোনও সমস্যা হলেই তারা তাৎক্ষনিক এসে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।’

বরিশালের অন্যান্য খামারিরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পালিত পশুর বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ক্রেতারা যোগাযোগ করে সরাসরি খামারে চলে যাচ্ছেন। এরপর পছন্দের গরুটি স্কেলে তুলে দাম নির্ধারণ হচ্ছে।

খামারে গরু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, ‘গরুর হাটে গিয়ে পছন্দের গরুটির দাম বলবে এরপর দর কষাকষি সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত। তাছাড়া খামারে গরু ক্রয় করলে বাজেটের মধ্যে থাকা সম্ভব হয়। খামারে ৭৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার গরু রয়েছে। আর খামারের যে পরিবেশ তা হাটে কোনও দিন পাওয়া যাবে না। এ কারণে হাট থেকে খামার থেকে গরু ক্রয় করা অনেক স্বাচ্ছন্দ্য।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, ‘এ বছর বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় বড় ছোট আট হাজার ১৩টি খামারে কোরবানির গরু বিক্রি হচ্ছে। বড় খামারে ২০০ ও ছোট খামারে ১০ থেকে ১২টি গরু লালন পালন করা হয়। খামারে গিয়ে ক্রেতারা গরু পছন্দ হওয়ার পর তা তুলে দেয়া হয় স্কেলে। সেখানে কেজি হিসাবে দাম নির্ধারণ হয়। এরপর টাকা পরিশোধ করে গরুর ছবি তুলে ক্রেতারা নিশ্চিতে ফিরছেন বাড়ি। দর কষাকষি নেই এবং লাল-পালনের ঝামেলা নেই এমনকি গরু খামারিদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আর খামার থেকে গরু ক্রয় কিনলে হাসিল লাগে না এই সুযোগটাও ক্রেতারা নিচ্ছেন।’

 

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৫:৪৩ অপরাহ্ন
বরিশালে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কৃষির ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কৃষির ভূমিকায় বারটানের করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৩ জুন) শহরতলীর মহাবাজে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. আমিন উল আহসান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল ওয়াদুদ। মূল প্রবন্ধক ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার।

বারটানের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী, ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, ডিএই ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. অলিউল আলম, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মো. আমিন উল আহসান বলেন, স্বাধীনতার আগে এ দেশের ৭ কোটি মানুষের খাবারের অভাব ছিল। এখন ১৮ কোটি হওয়া সত্তে¡ও খাবারের কোনো সংকট নেই। তবে পুষ্টি নিয়ে ভাবনা রয়েছে।

কোন খাবার কতটুকু খেলে চাহিদা পূরণ হবে, এ বিষয়ে বারটানের ভূমিকা গুরুত্বপূুর্ণ। তাই কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বের মাধ্যমে পুষ্টির গুণগতমান নিরূপণ করে তা জনগণের কাছে পৌঁেছ দিতে হবে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। পুষ্টির পরিমাণ জেনে খাবার খেলে আমাদের পুষ্টির নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত হবে।

সেমিনারে কৃষিসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ১০:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে তিনদিনের ফল মেলার উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে তিনদিনের ফল মেলা শুরু হয়েছে। আজ নগরীর খামারবাড়ির চত্বরে ডিএই’র উদ্যেগে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএই’র উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, ডিএই’র জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম এবং আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।

অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই’র অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রেজাউল হাসান, কৃষি প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, ফলচাষি মো. গিয়াস উদ্দিন লিটু প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, দেহের পুষ্টি সরবরাহে ফলের গুরুত্ব অপরিহার্য। তাই নিয়মিত সবার ফল খাওয়া দরকার। এর চাহিদা পূরণে দেশীয় ফলের আবাদ বাড়িয়ে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। সে আলোকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি অচিরেই এর শতভাগ পূরণ করতে পারব। মেলার স্টলগুলোতে দেশি-বিদেশি বাহারি ফলের সমরোহ ঘটে। এতে দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop