৮:২২ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ৩ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২১ ২:৫৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২১ উদযাপিত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির আয়োজনে মাছের পোনা অবমুক্ত করার মধ্য দিয়ে “জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১” উদযাপন করেছে।

আজ সোমবার(৩০ আগস্ট) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে খাদ্য পুষ্টির অভাব দেখা দিবে এমন একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীদের গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে দেশে প্রোটিন এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার সুচিন্তা এবং অবদান কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর সম্মাননা যার মাধ্যমে এই পুষ্টি ঘাটতি পূরণের অগ্রযাত্রা শুরু। আজকে ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদরে নিরলস পরিশ্রমের ফসল আজকের এই মাছের ঘাটতি পূরণ। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি ভবিষ্যতে আমরা মাছ উৎপাদনের ব্যাপারে আরো সাফল্যমন্ডিত হবো।

মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মাহফুজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এর পরিচালক প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, বাকৃবি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর ,প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রফেসর ড. মোছাঃ কানিজ ফাতেমা, প্রফেসর ড. ফাতেমা হক শিখাসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আরোও শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. এ. কে. শাকুর আহম্মদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৯, ২০২১ ৯:৪২ অপরাহ্ন
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা
কৃষি গবেষনা

খসরু মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনঃ দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন এবং কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন। গবেষণা দলে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন একই বিভাগের সহকারী প্রফেসর মোঃ তৌফিকুর রহমান ও মোঃ জানিবুল আলম সোয়েব এবং শিক্ষার্থী মারিয়া সুলতানা জেনিন, তানজিনা রহমান মিম, মোঃ রাইসুল ইসলাম রাব্বী, মোঃ নুরুল আজমীর, মিনহাজ উদ্দিন নয়ন, রুকন আহমেদ ইমন, শঙ্খরুপা দে, জিনাত জাহান, আনিকা তাসনিম, শহিদুল বাসার, আসিফ আল রাযী নাবিল, সাদিয়া আশরফি ফাইরুজ, সাদিকুর রহমান, আবু হানিফ, মোঃ আলমগীর আলম, সাব্বাহ তাহসিন চৌধুরী ও তুহিনুল হাসান।

তন্মধ্যে আধুনিক কম্পিউটার ভিশন এর মাধ্যমে চায়ের ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির দ্বারা চায়ের দানার টেক্সচারাল ফিচার এবং বাহ্যিক গুনাগুনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন চায়ের চারটি গ্রেডকে নির্ভুলভাবে নির্ণয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবন, সেচ ব্যবস্থাকে সহজ করে আবাদি জমিতে সঠিক মাত্রায় আর্দ্রতা বজায় রাখার লক্ষ্যে মাইক্রোকন্ট্রোলারে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ব্যবহার করে উদ্ভাবন করেছেন স্বয়ংক্রিয় সেচ যন্ত্র যার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী মাটির আদ্রর্তা ও পানির উচ্চতা পরিমাপ করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পা¤প চালু এবং বন্ধ হবে। ভিন্ন ভিন্ন শস্যের ক্ষেত্রে পানির চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন আদ্রর্তা ও উচ্চতায় এই যন্ত্রের সুবিধা নেয়া যাবে।ফলে কৃষকরা সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। মাইক্রো-কন্ট্রোলার ভিত্তিক স্মার্ট অটোমেশন সিস্টেম এবং স্বয়ংক্রিয় ডিম ঘুরানোর পদ্ধতি সংযোজিত করে ডিমের প্রকার ও প্রজাতি ভেদে আলাদা আলাদা তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নির্ধারণ করার মাধ্যমে অধিক সুস্থ ও সবল বাচ্চা উৎপাদন করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন করেছেন অত্যাধুনিক ইনকিউবেটর যা দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামীণ পর্যায়ে পোল্ট্রি ব্যবসাকে আরো লাভজনক ও জনপ্রিয় করবে।

বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে লাকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উদ্ভাবনও করেছেন তরুণ বিজ্ঞানী ড. রাশেদ। দেশে প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণ চা, মাছ ও গবাদিপশুর বর্জ্য তৈরি হয়, যা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশের উপর নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এমনকি এটা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এই বর্জ্য পচেঁ প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউজ গ্যাস হিসেবে কার্বনডাইঅক্সাইড এর চেয়ে ২৫ গুন বেশি ক্ষতিকর অথচ মাছের বর্জ্য, চায়ের বর্জ্য ও গবাদিপশুর বর্জ্য মিশিয়ে ৬৫% নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদন করা সম্ভব। এক সমীক্ষায় দেখা যায় ২০১৫ সালে প্রায় ৩০.২১ মিলিয়ন গরু ও মহিষ, ২৫.৬৯ মিলিয়ন ছাগল ও ভেড়া, এবং ১৬০.৭০ মিলিয়ন পোল্ট্রি রয়েছে যা থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন কেজির মতো বর্জ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হত। যদি এর ৫০% বর্জ্যও নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় তবে তা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবে।

অন্যদিকে বছরের অর্ধেকটা সময়, বিশেষ করে বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। ফলে জলাবদ্ধ জমিতে কোন কৃষিকাজ হয় না। সেসব এলাকায় উক্ত সময়টুকুতে কোন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ থাকে না। এ সময় জমিতে উৎপাদন না হওয়ায় কৃষকের লোকসানসহ ঘাটতি দেখা দেয় শাক-সবজি ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও চাষযোগ্য জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি মোকাবেলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের হাওরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলে বছরব্যাপী কৃষিকাজ অব্যাহত রাখতে উলম্ব ভাসমান খামারে (ভার্টিক্যাল ফ্লটিং বেড) একক স্থান হতে অধিক ফসল উৎপাদন করে ক্রম-হ্রাসমান ভূমির উপর চাপ কমানোর এক অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ড. রাশেদ। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বন্যাক্রান্ত অঞ্চলে বদ্ধ পানির উপর কাঠামোটি ভাসিয়ে কৃষকরা অনায়াসেই চাষাবাদ করতে পারবেন এবং বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কাঠামোটি শুকনো অনাবাদি জমির উপর স্থাপন করে কৃষিকাজ সচল রাখতে সক্ষম হবেন। সম্পূর্ণরূপে অব্যবহার্য জলাবদ্ধ ভূমির উপর কাঠামোটি স্থাপন করে কয়েকটি উলম্ব স্তরে চাষাবাদ করার ফলে কম জায়গা ব্যবহার করে অধিক ফলন নিয়ে আসা যাবে যা গতানুগতিক চাষাবাদ পদ্ধতিতে পাওয়া অসম্ভব। সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য উপাদান দিয়ে তৈরি এই কাঠামোটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যাবে।

এখন পর্যন্ত দেশে টমেটো সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক কোন পদ্ধতি নেই যার ফলে কৃষকরা ফসল উৎপাদনের পর যথাযথ পদ্ধতিতে সংরক্ষণের অভাবে অনেক টমেটো পঁচে যায় । ফলে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয় । এ সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে টমেটোর জন্য বিশেষভাবে মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হয়েছে যেখানে ২০ দিন পর্যন্ত টমেটো সংরক্ষণ করা সম্ভব । এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা তাদের অবিক্রিত টমেটো সংরক্ষণের মাধ্যমে গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে ভোক্তাদের সরবরাহ করতে পারবে।
আবার শীতকালীন রবি শস্য সমূহ যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন ইত্যাদি উৎপাদন করার পর পরিবহন জনিত সমস্যার কারণে যথাসময়ে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয় না ফলে এসব পণ্য পঁচে যাওয়ার কারণে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ সমস্যা সমাধানে অল্প খরচে ইভাপোরেটিভ কুলিং চেম্বার স্থাপন করে ৭ থেকে ১০ দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব যাতে পণ্যের গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকে এবং তৃণমূল কৃষক সম্ভাব্য লোকসান থেকেও বাঁচতে পারে।

অব্যবহৃত ফুড এন্ড বেভারেজ এর অ্যালুমিনিয়াম ক্যানসমূহ দিয়ে স¦ল্প খরচে সোলার ড্রায়ার তৈরি করে মৌসুমী কৃষিজাত পণ্য ও বীজ বছরজুড়ে সংরক্ষণ করা যাবে। যা একদিকে পরিবেশ দূষণ রোধ করবে এবং অপরদিকে কৃষিপণ্যের অপচয় কমানো সম্ভব হবে। এছাড়াও যেসব অঞ্চলে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট বিদ্যমান সেসব অঞ্চলে উদ্ভাবিত সোলার কুকার দিয়ে রান্নাবান্নার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। এতে জীবাশ্ম জ্বালানির দ্বারা পরিবেশ দূষণ রোধসহ গ্যাস বিদ্যুৎ চালিত চুলা কিংবা লাকড়ির চুলার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা সাশ্রয় হবে। নগর জীবন ও গ্রামীণ অঞ্চলে সোলার কুকার ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।

ড. রাশেদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় থেকে বি.এসি. এগ্রি. ইঞ্জি., এমএস ইন ফার্ম পাওয়ার এন্ড মেশিনারি, জাপানের কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাডভান্সড টেকনোলজি (নবায়নযোগ্য জ্বালানী) বিষয়ের উপর পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাউন্ড ওয়াটার লিডারশিপ প্রোগ্রামে রিসার্চ সায়েনটিস্ট হিসেবে গবেষণা করেন। তিনি জাপানের মনবুকাগাকুশু, কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল কোর্স ও জাসসু স্কলারশীপ এবং এশিয়ান ডেভলাপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি-জেএসপি) ও এশিয়ান ইনিস্টিটিউশন অব টেকনোলজি ফেলোশীপ অর্জন করেন। তিনি জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. রাশেদ ইতোমধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উপর একটি বই লিখেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর প্রায় ৪০ টির মতো পিয়ার রিভিউড বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন কনফারেন্স, সেমিনার, সিম্পজিয়াম ও ওয়ার্কশপে বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন । তিনি নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা ও সিংগাপুরে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে এক্সিলেন্ট ও বেস্ট রিসার্চ পেপার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট (জাপান) অ্যাওয়ার্ড, কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া (মরক্কো) অ্যাওয়ার্ড, ভেনাস ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড (ভারত) থেকে আউটস্টেন্ডিং সায়েনটিস্ট ইন ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি শীর্ষক আর্ন্তজাতিক পদকসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেস্ট পাবলিকেশন (বাংলাদেশ) অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

তিনি চলমান গবেষণার পাশাপাশি দেশে কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড বায়োসিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর কাজ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রিসিশন এগ্রিকালচার, লাকসই কৃষি পণ্য উৎপাদন, পোস্ট-হারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।

ড. রাশেদ গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২১ ১২:০০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে স্মার্ট এগ্রো-টেকনোলজি ইনোভেশন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক (সায়ান)‘র যাত্রা শুরু
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্মার্ট এগ্রো-টেকনোলজি ইনোভেশন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক” বা সংক্ষেপে “সায়ান” নামে একটি জ্ঞানভিত্তিক প্লাটফর্ম এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে ।প্লাটফর্মটি তরুণদেরকে আধুনিক কৃষি যন্ত্র ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উৎসাহিত করতে সারা বিশ্বের কিশোর ও তরুণদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে ভূমিকা রাখবে ।

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারনে ২৬ আগস্ট ২০২১ রাত ৮টায় জুম অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে “তরুণের মেধা ও শক্তি গড়বে সবুজ পৃথিবী” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সায়ানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আসমি-বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ও কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মঞ্জরুল আলম। অনুষ্ঠানটিতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়ামের (এএসএমসি) পরিচালক ড. প্রশান্ত কে. কালিতা; ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের সহযোগী ডিন এবং এক্সটেনশন ইমিরিটাসের পরিচালক ড. জর্জ ছাপার এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানটিতে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।
আসমি-বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী পরিচালক ও কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. চয়ন কুমার সাহা, সায়ান প্রতিষ্ঠার কারণ, সায়ানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনার মাধ্যমে নবগঠিত “স্মার্ট এগ্রো-টেকনোলজি ইনোভেশন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক” বা সংক্ষেপে সায়ানের বর্ণনা করেন এবং প্রধান এডভাইজর, ৬ জন জাতীয় এডভাইজর, ৪ জন আন্তর্জাতিক এডভাইজর, ৬ জন জাতীয় মেনটর, ৩ জন আন্তর্জাতিক মেনটর, ১২ জন রিজিওনাল মেনটর, এবং সায়ানের ৩১ জন তরুণ এ্যম্বাসেডরের নাম ঘোষণা করেন। পরিচিতি পর্ব শেষে সায়ানের এ্যম্বাসেডর (প্রধান সমন্বয়কারী), এডভাইজরবৃন্দ এবং মেনটরবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। সায়ানের এডভাইজরবৃন্দ হতে এসিআই মোটরস লিমিটেড এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর সুব্রত রঞ্জন দাস এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর চীফ সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো আইয়ুব হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও আরডিএ এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন, দি মেটাল প্রা: লিমিটেড এর এমডি প্রকৌশলী সাদিদ জামিল মহোদয় তাদেঁর মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।

উল্লেখ্য এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন ইনোভেশন হাব (আসমি)-বাংলাদেশ প্রকল্পটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফিড দি ফিউচার প্রোগ্রাম ও ইউ এস এইড এর অর্থায়নে এবং সাসটেইনেবল ইনটেনসিফিকেশন ইনোভেশন ল্যাব (সিল), কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র ও এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়াম (এএসএমসি), ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়, যুক্তরাস্ট্র এর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের আয়তায় পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার উপযোগী লাগসই কৃষি যন্ত্র প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার বিষয়ক গবেষণার সাথে জড়িত।

গবেষণার পাশাপাশি প্রকল্পটি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোকে প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কার্যক্রমকে বেগবান করতে প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। তরুণদের মাঝে আধুনিক কৃষি যন্ত্র ও প্রযুক্তি ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতে আসমি-বাংলাদেশ প্রকল্পটি কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধীনে ২০২১ সালের মে মাসে “প্রাথমিকভাবে সায়ানের সাথে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের আরও ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় (হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) যুক্ত আছে।

পরে অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়ামের (এএসএমসি) পরিচালক ড. প্রশান্ত কে. কালিতা সায়ানের অফিশিয়াল লোগোর মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে সায়ান লগো প্রতিযোগীতার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন এবং ভার্চুয়ালি পুরষ্কারস্বরূপ ২০০ ডলারের চেক এবং সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন। এরপর, সায়ানের একজন এ্যম্বাসেডর সায়ানের অফিশিয়াল লোগোর বর্ণনা প্রদান করেন।

সবশেষে, সায়ানের প্রধান এডভাইজর প্রফেসর ড. মো. মঞ্জরুল আলম। “সায়ান আইডিয়া কম্পিটিশন-২০২১” এর পর্দা উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের মাননীয় ডিন মহোদয় প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম তার সমাপণী বক্তব্যের মাধ্যমে সায়ানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এটি ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের ৪ টি এইচ যথা:- হেড, হার্ট, হ্যান্ড, এবং হেলথ ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত একটি তরুণদের সংগঠন। এর ফলে তরুণরা তাদের সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সবুজ পৃথিবী বিনির্মাণ করতে পারবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২১ ৪:১৩ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে অনলাইন পদ্ধতিতে বিভিন্ন অনুষদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু
ক্যাম্পাস

শেকৃবিতে অনলাইন পদ্ধতিতে বিভিন্ন অনুষদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে।করোনা (কোভিড ১৯) মহামারির ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দেয়। ফলে চারটি অনুষদের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা যথাসময়ে না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পরে।

শিক্ষার্থীদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত ২৭ জুন শেকৃবিতে প্রথমবারের মতো কৃষি অনুষদের লেভেল ৩, সেমিস্টার ১/২০১৯ এর ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩-০৮-২০২১ ইং তারিখে তিনটি অনুষদ (এনিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন, ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সাইন্স, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট) এবং আজ ২৪-০৮-২০২১ তারিখে কৃষি অনুষদসহ চারটি লেভেলের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এতে কৃষি অনুষদের লেভেল-১ সেমিষ্টার-২ এর ৩৭৫ জন, এনিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের লেভেল-৩, সেমিস্টার-২ এর ৬৬ জন, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের (বিবিএ-২২ জন, ইকোনোমিক্স-২৯ জন) ও ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সাইন্স অনুষদের-২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে মনিটরিং করার জন্য একজন শিক্ষক সুপারভাইজার এর দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য যে, কোভিডকালীন ও কোভিড পরবর্তী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষা ও ক্লাস গ্রহনের রুপরেখা প্রণয়নের জন্য সিন্ডিকেটের ৯৪তম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়াকে আহবায়ক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পালকে সদস্য-সচিব করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষার্থীদের অনলাইন পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠভাবে গ্রহণের জন্য প্রফেসর এ. এম. এম. শামসুজ্জামানকে আহবায়ক করে ০৫ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীবান্ধব এমন উদ্যোগকে শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানান ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২১ ৬:৫১ অপরাহ্ন
বাকৃবির ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: করোনা মহামারি ও শোকের মাস হওয়ায় সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৬১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করণ, ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃষিবিদ ক্লাস ওয়াান’ স্মৃতিফলকের উন্মোচন এবং বৃক্ষরোপণ ও কৃষকদের মাঝে বৃক্ষের চারা বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এবং তার পরিবারবর্গসহ ওই সকলকে যারা ১৫ই আগষ্ট শহীদ হয়েছেন।

দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে আধুনিকায়ন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ই ফেব্রæয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর সম্মাননা প্রদান করে ঘোষণা করেন “আমি তোদের সম্মান দিলাম তোরা আমার মান রাখিস”। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পিছনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অপরিহার্য।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনসহ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ৯:৫৫ অপরাহ্ন
বশেমুরকৃবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
ক্যাম্পাস

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালোব্যাজ ধারণ করা হয়।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি শোক র‌্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া, মুখ্য আলোচক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান ইউজিসি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আরিফুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ সিরাজুল ইসলাম তালুকদার।

বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন মোল্লা, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম মন্ডল বক্তৃতা করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর বক্তৃতায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী। তিনি কৃষিশিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের গোড়াপত্তন করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা কথা ও পোষাকে নয় কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ৬:৪৪ অপরাহ্ন
যথাযোগ্য মর্যাদায় সিভাসু’তে জাতীয় শোক দিবস পালন
ক্যাম্পাস

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।

আজ রবিবার এই উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভা (ভার্চুয়াল)। বাদ যোহর খত্মে কোরআন ও দোয়া মাহফিল।

জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলনের পর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এরপর শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, অনুষদ, আবাসিক হল, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ‘শোকাবহ আগস্ট’। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। শোক দিবসের কর্মসূচিগুলোতে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২১ ৬:৫৭ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
ক্যাম্পাস

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেকৃবি শাখার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দুস্থদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) শেকৃবি’র কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সম্মানিত মহাসচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুযোগ্য যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শেকৃবি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এবং মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিশন এর মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের শেকৃবি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ সহ বরেন্য কৃষিবিদগণ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আইসিসি পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেনসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. লাম-ইয়া-আসাদ, প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন হলের প্রভোষ্টবৃন্দ, শেকৃবি এর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেকৃবি শাখার সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্টে নিহত হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব সহ সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন ১৫ আগস্টের খুনিরা চিহ্নিত এবং হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে রায় কার্যকরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, খুনিদের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমাদের দায় শেষ হয়নি। এ খুনের চক্রান্তের সাথে বা পটভূমির সাথে যারা জড়িত, হত্যাকান্ডের পর যারা বিভিন্ন ভাবে লাভবান হচ্ছে, যারা বিভিন্ন ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তাদেরকে কারা চাকুরিতে পুর্নবাসন এবং বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছিল এ সকল বিষয় নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে সামগ্রিক বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে জাতির কাছে নিরপেক্ষ ভাবে উপস্থাপন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের অপরাজনীতির অবসান হবে না।

বাহাউদ্দিন নাছিম খালেদা জিয়ার পাঁচটি ভূয়া জন্মদিন উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশীট অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর, বিয়ের কাবিননামায় ০৯ আগস্ট, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ০৫ আগস্ট। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। করোনা টেষ্টের যে রিপোর্ট ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাতে তার জন্মদিন উল্লেখ রয়েছে ০৮ মে ১৯৪৬ সাল।

একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কতটা নির্মম ও বিকৃত রুচির অধিকারী হলে জাতির এই শোকের দিনে জন্মদিন পালন করতে পারে এবং যারা নিজেদের জন্মদিনের একটি সঠিক তথ্য জাতিকে দিতে পারে না তারা কিভাবে রাজনীতি করেন।

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদদের মধ্যে বিভক্তি টানতে চায় তাদের ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। এরা সুযোগ সন্ধানী, জাতির পিতার আদর্শ এদের মধ্যে নেই। যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবো।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এদেশের আপামর জনমানুষের নেতা। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বাঙালীর এক নিরলস সাহসী কণ্ঠস্বর। জেল জুলুম অত্যাচার সয়ে নিয়ে তিনি দেশের মানুষের মুক্তির কথাই অবিরাম ভেবেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতার জনককেও রাতের আঁধারে হত্যা করে কাপুরুষের দল। বিচার হয়েছে আর বাকীদেরও হবে আমরা নিশ্চিত। তবে আজ তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন, গভীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা জড়িত ছিল। পনেরই আগস্টের শোকের দিনে এটিই আমাদের বড় দাবি।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১০০ জন দুস্থ ও অসহায়দের মানবিক সহায়তা করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২১ ৫:২৯ অপরাহ্ন
বিএনপি-জামাত দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ: কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম
ক্যাম্পাস

বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে দুঃখ পায়। এরা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। এরা সাম্প্রদায়িকতাকে উষ্কে দিয়ে ফায়দা লুটতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেকৃবি শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো খুনি মোশতাক ও জিয়া গং। বঙ্গবন্ধুর খুব কাছে থেকেই ষড়যন্ত্র করেছে তারা। একাত্তরের অপশক্তিরা এখনও দেশ থেকে মুছে যায়নি। তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে, দেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনা।

অনুষ্ঠানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ূন, শেকৃবি’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২১ ২:১২ অপরাহ্ন
মুরগির দুটি জাত উদ্ভাবন করলেন বাকৃবি‘র একদল গবেষক
ক্যাম্পাস

খামারে পালন করা হলেও দেখতে আর স্বাদে- গুণে প্রায় দেশি মুরগির মতোই – এমন এক মুরগির প্রজাতি উদ্ভাবনও করেছেন বাংলাদেশের একদল গবেষক। আর তা করা হয়েছে দেশি মুরগির জাত থেকেই। ‘বাউ ব্রো মুরগি’ বা ‘বাউ মুরগি’ নাম দিয়ে নতুন জাতের এই মুরগির দুটি স্ট্রেইন বা জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ।

এই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী (অবসরপ্রাপ্ত) ও অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা।

অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা জানান, ”অনেকগুলো স্থানীয় জাতের জার্মপল্গাজম ব্যবহার করে আমরা দুইটা জাত উদ্ভাবন করতে পেরেছি, যেগুলো ফার্মে পালন করা সম্ভব। এগুলোর স্বাদ প্রায় দেশি মুরগির মতোই, সুস্বাদু।”

প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির মতোই ঘরে এগুলো লালন-পালন করা যাবে। ছয় সপ্তাহ বা দেড়মাস বয়স হলেই সেগুলো বাজারজাত করা যাবে। বর্তমানে সীমিত আকারে বাণিজ্যিকভাবে এই মুরগি বাজারজাত করা শুরুও হয়েছে।

বাউ সাদা ও বাউ রঙিন
গবেষকরা যে দুইটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, তার নাম দেয়া হয়েছে ‘বাউ সাদা’ আর ‘বাউ রঙিন’। অর্থাৎ একটি মুরগি সাদা রঙের হয়ে থাকে, আরেকটা রঙিন। সাদা বাউ প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির চেয়ে একটু শক্ত। তবে রঙিন জাতটির স্বাদ একেবারে দেশি মুরগির মতো।দেড় মাস সময়ে একেকটা মুরগির ওজন হয়ে থাকে গড়ে ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত।

অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা জানান, ”দেশি মুরগির জাত থেকে এগুলো উদ্ভাবন হওয়ায় আমাদের দেশের আলো বাতাসে এরা সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এদের রোগ-বালাই কম হয়। অতিরিক্ত টিকা বা অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয় না।”

ঢাকার ধানমণ্ডির একজন বাসিন্দা, নাজমা আক্তার অনলাইন ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট থেকে এই মুরগি কিনে খেয়েছেন।”মাংসটা দেশি মুরগির মতোই কিছুটা শক্ত, অনেকটা একই রকম স্বাদ। তবে বাজারে দেশি মুরগির যেরকম দাম, তারে চেয়ে দামে বেশ কম পড়ে।”

তিনি জানান, পরিবারের যেসব সদস্যরা ব্রয়লার মুরগি খেতে পছন্দ করেন না, তারাও এই মুরগির মাংস বেশ মজা করে খেয়েছেন।

যেভাবে গবেষণার শুরু

অধ্যাপক মোল্লা জানিয়েছেন, তারা বিকল্প এই জাতের উদ্ভাবনের কাজ শুরু করেন ২০০২ সালে।”অনেকে ব্রয়লার মুরগি খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু দেশি মুরগির যোগান তো কম। তখন আমরা চিন্তা করলাম, আমাদের স্থানীয় মোরগ-মুরগি থেকে যদি এমন একটা স্ট্রেইন উদ্ভাবন করা যায়, যেটি ফার্মে লালনপালন করা যাবে, তাহলে আমিষের বিকল্প একটা উৎস তৈরি হবে” – তিনি বলছেন।

বিদেশি জাতের সংমিশ্রণে ‘সোনালি’ নামের একটি জাত এর আগে উদ্ভাবিত হলেও, সেটির স্বাদ দেশি মুরগির মতো নয়।

ফলে গবেষকরা চাইছিলেন এমন একটি জাত উদ্ভাবন করতে, যা দেশীয় মুরগির প্রজাতি থেকে আসবে। ফলে সেখানে দেশি মুরগির স্বাদ যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি বাংলাদেশি আবহাওয়ায় তাদের টিকে থাকার ক্ষমতা হবে বেশি।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএনআরসি) সহায়তায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেন। ২০১৪ সালে এসে তারা ঘোষণা করেন যে, স্থানীয় মুরগির জাত থেকে তারা খামারে লালনপালনের উপযোগী দুইটি জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন।

বর্তমানে প্রতি মাসে এই জাতের মুরগির ৩০ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কেটে গেলে তারা মাসে দুই লাখ বাচ্চা উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন।

তবে এই জাত দুইটি ব্রয়লার মুরগির মতোই – যা শুধুমাত্র মাংসের জন্যই উৎপাদন করা যাবে, এবং এসব মুরগি থেকে ডিম হবে না। এই জাত দুইটি বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দিতে এই বছরের শুরুতে একটি প্রকল্পও নেয়া হয়েছে। এসব জাতের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, ব্রয়লারের মতো বিদেশ থেকে মুরগির বাচ্চা আমদানি করতে হয় না। রোগে মৃত্যুর হারও অনেক কম।

বাউ মুরগি-৩
গ্রামে লালন-পালনের জন্য আসছে আরেকটি জাত উদ্ভাবনের কাজ করছেন গবেষকরা। নতুন এই জাতের নাম হবে বাউ মুরগি-৩।

অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা বলছেন, ”নানা কারণে দেশি মুরগি তো কমে যাচ্ছে। তাই আমরা নতুন যে জাতটি তৈরি করছি, সেটি কোনরকম অতিরিক্ত যত্ন ছাড়াই গ্রামে লালন-পালন করা যাবে।”নতুন জাতটি ছড়িয়ে দিতে পারলে প্রাকৃতিকভাবে দেশি মুরগির লালনপালন অনেক সহজ হবে বলে তিনি বলছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop